পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
১৭৮৭-[১৬] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন ধন-সম্পদ লাভ করবে, এক বছর অতিবাহিত হবার আগে এ ধন-সম্পদের উপর তাকে যাকাত দিতে হবে না। (তিরমিযী; একদল লোক বলেছেন, এ হাদীসটির সানাদ ইবনু ’উমার (রাঃ) পর্যন্ত পৌঁছেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত নয়।)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِى
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا زَكَاة فِيهِ حَتَّى يحول عيه الْحَوْلُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَذَكَرَ جَمَاعَةٌ أَنَّهُمْ وَقَفُوهُ على ابْن عمر
ব্যাখ্যা: ইবনু মালিক বলেনঃ এ হাদীস হতে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি কোন মাল অর্জন করল আর তার নিকট ঐ মালেরই নিসাব পরিমাণ মাল আছে, যেমন- তার ৮০টি ছাগল আছে। যার উপর ছয় মাস অতিবাহিত হয়েছে। অতঃপর তার আরো ৪১টি ছাগল জমা হলো ক্রয়ের মাধ্যমে হোক বা ওয়ারিসী সূত্রে হোক, তাহলে পরের ৪১টি ছাগলের উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না যতক্ষণ না ক্রয়ের সময় বা ওয়ারিসী সূত্রে পাওয়ার সময় থেকে একটি বৎসর পূর্ণ হবে। আর এটি ইমাম শাফি‘ঈ ও ইমাম আহমাদের মত।
পক্ষান্তরে ইমাম আবূ হানীফাহ্ ও ইমাম মালিক-এর নিকট পরের মাল আগের মালের হিসাবের সঙ্গে একই হিসেবে গণ্য হবে। যেমন- বাচ্চা মায়ের অনুগামী হয়। সুতরাং এক বৎসর পূর্ণ হলে ৮০টির উপর ২টি ছাগল ওয়াজিব হবে। আর এটি আহলে হাদীসদের অভিমত। কারণ এক প্রকারের মাল হলে পরের মাল আগের মালের সাথে যোগ করতে হবে।
কোন বস্ত্তর বৃদ্ধি কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। হয় লভ্যাংশের মাধ্যমে তার বৃদ্ধি ঘটবে অথবা প্রাপ্ত কোন উপঢৌকন, মীরাসের সম্পত্তি এবং যাকাত দেয়া হয় না এমন ক্রয়কৃত মালের মাধ্যমে বৃদ্ধি ঘটবে। অথবা চতুষ্পদ জন্তুর প্রসবকৃত বাচ্চার মাধ্যমে বৃদ্ধি ঘটবে। বর্ধিত এই সম্পত্তিগুলো মূল মালের সাথে মিলানো এবং তার গণনার ক্ষেত্রে ‘আলিমদের মাঝে মতভেদ পরিলক্ষিত হয়েছে।
লভ্যাংশের মাধ্যমে বর্ধিত সম্পত্তির ক্ষেত্রে হুকুম হলো যদি মূল মাল নিসাব পরিমাণ হয় তাহলে লভ্যাংশের মাধ্যমে বর্ধিত মালকে মূল মালের সাথে মিলিয়ে তার বছর অনুপাতে যাকাত দিতে হবে। (অর্থাৎ কারো নিকট পাঁচলক্ষ টাকা থেকে বছর শুরু হল, অতঃপর সাত মাস পর পঞ্চাশ হাজার টাকা লভ্যাংশ তার সাথে যোগ হল। তাই বছর শেষে সব টাকা হিসাব করে একসাথে যাকাত দিতে হবে। লভ্যাংশের মাধ্যমে বর্ধিত টাকার জন্য নতুনভাবে বছর গণনা করা যাবে না) আর যদি মূল মাল নিসাব পরিমাণ না হয় তাহলে লভ্যাংশের মাধ্যমে বর্ধিত মালের কোন যাকাত দেয়া লাগবে না।
চতুষ্পদ জন্তুর প্রসবকৃত বাচ্চার মাধ্যমে বর্ধিত হুকুম লভ্যাংশেল মাধ্যমে বর্ধিত হুকুমের ন্যায়।