১৬৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৭৮-[৩৩] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের ভাল গুণগুলোই আলোচনা করো, তাদের খারাপ গুণ বা কাজগুলোর আলোচনা হতে বিরত থাকো। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اذْكُرُوا مَحَاسِنَ مَوْتَاكُمْ وَكُفُّوا عَنْ مُسَاوِيهِمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ

وعن ابن عمر قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذكروا محاسن موتاكم وكفوا عن مساويهم» . رواه ابو داود والترمذي

ব্যাখ্যা: মৃত ব্যক্তির খারাপ গুণগুলো আলোচনা করা জায়িয নয়, কেবল ভাল গুণগুলোই আলোচনা করতে হবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ- ‘‘তোমরা মৃত ব্যক্তির ভাল গুণগুলো আলোচনা করো’’, এ ‘আমর’ বা নির্দেশ মুস্তাহাব অর্থে, আর খারাপ গুণ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার নির্দেশটি ওয়াজিব অর্থে ব্যবহার হবে।

রাবীদের দোষ-ত্রুটি আলোচনা করা সকল ‘আলিমের ঐকমত্যে জায়িয। কাফির ফাসিকদের দোষ-ত্রুটিও তাদের অনিষ্টতা থেকে সতর্ক থাকার লক্ষ্যে আলোচনা করা বৈধ। ফাসিক্ব বলতে যে বিদ্‘আতে লিপ্ত থাকে এবং (তাওবাহ্ না করে) ঐ অবস্থায় মারা যায়। তবে যে ব্যক্তি বিদ্‘আত ব্যতীত অন্যান্য ফাসিক্বী কাজ পুনঃপুন করে এ রকম ব্যক্তির দোষ-ত্রুটি আলোচনায় যদি মুসলেহাত বা কল্যাণ থাকে তাহলে তার দোষ-ত্রুটি আলোচনা বৈধ।

জীবন্ত ব্যক্তির গীবত করার চেয়ে মৃত ব্যক্তির গীবত করা গুরুতর অপরাধ। কারণ জীবিত ব্যক্তির নিকট থেকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু মৃত ব্যক্তির নিকট থেকে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ নেই।

‘আলিমগণ বলেছেন, মৃতকে গোসলদানকারী যদি এমন কিছু দেখে যা তাকে অভিভূত করেছে, যেমন তার মুখ উজ্জ্বল হওয়া, তার শরীর থেকে সুগন্ধি বের হওয়া ইত্যাদি তবে তা অন্যের নিকট প্রকাশ করা মুস্তাহাব। পক্ষান্তরে খারাপ কিছু দেখলে তা প্রকাশ করা হারাম।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)