১৬৭৫

পরিচ্ছেদঃ ৫. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৭৫-[৩০] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন জানাযার সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করতেন, তখন বলতেন,

’’আল্ল-হুম্মাগ ফিরলি হাইয়্যিনা-, ওয়া মাইয়্যিতিনা-, ওয়া শা-হিদিনা-, ওয়া গ-য়িবিনা-, ওয়া সগীরিনা-, ওয়া কাবীরিনা-, ওয়া যাকারিনা-, ওয়া উনসা-না-, আল্ল-হুম্মা মান আহ্ ইয়াইতাহু মিন্না- ফা আহয়িহী ’আলাল ইসলা-ম, ওয়ামান তাওয়াফ্ ফায়তাহূ মিন্না- ফাতা ওয়াফফাহূ ’আলাল ঈ-মান, আল্ল-হুম্মা লা- তাহরিমনা- আজরাহূ, ওয়ালা- তাফতিন্না বা’দাহ্’’

(অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের জীবিত-মৃত, উপস্থিত-অনুপস্থিত, ছোট-বড়, নর-নারীগণকে ক্ষমা করো। হে আল্লাহ! আমাদের মধ্যে যাদেরকে তুমি জীবিত রাখবে তাদেরকে তুমি ইসলাম ধর্মের উপর জীবিত রাখ। আর যাদের মৃত্যুদান করবে তাদের ঈমানের উপর মৃত্যুদান করো। হে আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে মৃত ব্যক্তির সাওয়াব হতে বঞ্চিত করো না এবং এরপর আমাদেরকে বিপদাপন্ন করো না।)। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّى عَلَى الْجَنَازَةِ قَالَ: «اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا وَصَغِيرِنَا وَكَبِيرِنَا وَذَكَرِنَا وَأُنْثَانَا. اللَّهُمَّ مَنْ أَحْيَيْتَهُ مِنَّا فَأَحْيِهِ عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَنْ تَوَفَّيْتَهُ مِنَّا فَتَوَفَّهُ عَلَى الْإِيمَانِ. اللَّهُمَّ لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَهُ وَلَا تَفْتِنَّا بَعْدَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا صلى على الجنازة قال: «اللهم اغفر لحينا وميتنا وشاهدنا وغاىبنا وصغيرنا وكبيرنا وذكرنا وانثانا. اللهم من احييته منا فاحيه على الاسلام ومن توفيته منا فتوفه على الايمان. اللهم لا تحرمنا اجره ولا تفتنا بعده» . رواه احمد وابو داود والترمذي وابن ماجه

ব্যাখ্যা: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দু‘আ ‘‘হে আল্লাহ! আমাদের ছোটদের ক্ষমা করো’’। প্রশ্ন হলো ক্ষমা প্রার্থনা তো অপরাধের পর। ছোটদের তো কোন অপরাধ-ই নেই, তাহলে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কিসের এবং কেন? এর উত্তরে ইবনু হাজার আসক্বালানী (রহঃ) বলেন, শিশুর জন্য মাগফিরাতের দু‘আ তাদের মর্যাদা সমুন্নত করার জন্য বিবেচিত হবে। ইমাম ত্বহাবী (রহঃ) বলেন; লাওহে মাহফূজে তাদের ভাগ্যলিপির ভিত্তিতে তাদের জন্য মাগফিরাত কার্যকর হবে।

لَا تَحْرِمْنَا أَجْرَه ‘‘তার আজুরা বা সাওয়াব থেকে আমাদের বঞ্চিত করো না’’, এর ব্যাখ্যা হলোঃ মু’মিন মু’মিনের ভাই, ভাইয়ের মৃত্যুতে অপর ভাই ব্যথাতুর ও মুসীবাতগ্রস্ত হয়। এ সময় তাকে ধৈর্য ধারণ করতে হয় যার বিনিময়ে রয়েছে সাওয়াব ও আজুরা।

সুতরাং হে আল্লাহ! তুমি আমাকে এ সাওয়াব ও আজুরা দান থেকে বঞ্চিত করো না। আর মৃত্যুর পর আমরা ধৈর্যহীন হয়ে, ঈমানহীন হয়ে যেন ফিৎনার মধ্যেও নিপতিত না হই।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)