১৬৬৪

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - জানাযার সাথে চলা ও সালাতের বর্ণনা

১৬৬৪-[১৯] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মৃতদেরকে গালি দিও না। কেননা তারা নিশ্চিতভাবে তাদের কৃতকর্মের ফল পেয়ে গেছে। (বুখারী)[1]

الْمَشْيُ بِالْجَنَازَةِ وَالصَّلَاةُ عَلَيْهَا

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسُبُّوا الْأَمْوَاتَ فَإِنَّهُمْ قَدْ أَفْضَوْا إِلَى مَا قدمُوا» رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن عاىشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «لا تسبوا الاموات فانهم قد افضوا الى ما قدموا» رواه البخاري

ব্যাখ্যা: মৃত ব্যক্তিদের গালি দেয়ার নিষেধাজ্ঞাটি ‘আম বা সার্বজনীন। মুসলিম কাফির এতে কোন ভেদাভেদ নেই। কেউ কেউ বলেছেনঃ এ নিষেধাজ্ঞাটি শুধু মুসলিমের ক্ষেত্রে অমুসলিমদের বেলায় নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

কেননা الْأَمْوَاتَ শব্দের মধ্যে লাম বর্ণটি عهدى বা জানা, অর্থাৎ জানা-বিশেষ বা নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে। সুতরাং এখানে মুসলিম সম্প্রদায়ের মৃতদের গালি দিতে নিষেধ করা হয়েছে।

আল্লামা শাওকানী (রহঃ) বলেন, স্বতন্ত্র দলীল না আসা পর্যন্ত হাদীসের অর্থ ‘আমভাবেই গ্রহণ করতে হবে। যেমন- হাদীসের রাবীদের সমালোচনা করা বৈধ। এতে স্বতন্ত্র দলীল এবং উম্মাতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ সমালোচনা জীবিত মৃত কাফির মুশরিক সকলেই সমান।

মৃতদের গালি দেয়া নিষেধের কারণ বলা হয়েছে যে, তারা তো তাদের কৃতকর্মের ফলাফল পেয়ে গেছে, এখন তোমার গালি দেয়াতে তাদের কোন ক্ষতিও হবে না এবং কোন লাভও হবে না। যেমন জীবিতদের বেলায় হয়ে থাকে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)