পরিচ্ছেদঃ ১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব
১৫৫৮-[৩৬] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বড় হোক কিংবা ছোট হোক, বান্দা যেসব দুঃখ-কষ্ট পায়, নিশ্চয়ই তা তার অপরাধের কারণে। তবে আল্লাহ যা ক্ষমা করে দেন তা এর চেয়েও অনেক বেশী। এ কথার সমর্থনে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করেন- অর্থাৎ ’’তোমাদের ওপর যেসব বিপদ-আপদ নিপতিত হয়, তা তোমাদের কর্মফলের কারণে। আর আল্লাহ ক্ষমা করে দেন অনেক অনেক বেশি’’- (সূরাহ্ আশ্ শূরা ৪২: ৩০)। (তিরমিযী)[1]
وَعَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لَا يُصِيبُ عَبْدًا نَكْبَةٌ فَمَا فَوْقَهَا أَوْ دُونَهَا إِلَّا بِذَنَبٍ وَمَا يَعْفُو اللَّهُ عَنْهُ أَكْثَرُ وَقَرَأَ: (وَمَا أَصَابَكُمْ مِنْ مُصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَن كثير)
رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
ব্যাখ্যা: وَيَعْفُوْ عَنْ كَثِيْر তিনি অনেক গুনাহ ক্ষমা করেন গুনাহের কারণে দ্রুত শাস্তি দেন না। ইবনু কাসীর বলেন, তিনি তোমাদের বন্ধু অপরাধ ক্ষমা করে দেন যদি তিনি তোমাদেরকে তোমাদের কৃতকর্মের কারণে পাকড়াও করতেন তবে ভূপৃষ্ঠে তোমাদের কেউ চলাফেরা করতে পারত না। আর এটা অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অপরাধী তথা গুনাহগার ব্যক্তি ব্যতিরেকে অন্যদের ক্ষেত্রে দুনিয়ায় বিপদাপদ, মুসীবাত পৌঁছলে আখিরাতে তা তাদের উচ্চমর্যাদার কারণ হয়ে যায়। অথবা অন্য কোন উদ্দেশ্য নিহিত যা আমাদের নিকট গোপন। আর অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক-বালিকাও উম্মাদ ব্যক্তিরা তারা এ আয়াতের অন্তর্ভুক্ত না। কারও মতে শিশুদের ওপর মুসীবাত তার মর্যাদা ও তার পিতামাতার মর্যাদার কারণ হয়।