পরিচ্ছেদঃ ৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - মাসজিদ ও সালাতের স্থান
৭০৩-[১৫] আবূ উসায়দ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে সে যেন এই দু’আ পড়েঃ ’’আল্লা-হুম্মাফ্ তাহলী আব্ওয়া-বা রহমতিক’’ (হে আল্লাহ! তুমি আমার ওপর তোমার রহমতের দরজাগুলো খুলে দাও)। যখন মাসজিদ হতে বের হবে তখন বলবেঃ ’’আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন্ ফাযলিক’’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার ফাযল বা অনুগ্রহ কামনা করি)। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْمَسَاجِدِ وَمَوَاضِعِ الصَّلَاةِ
وَعَنْ أَبِي أُسَيْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دَخَلَ أَحَدُكُمُ الْمَسْجِدَ فَلْيَقُلِ: اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ. وَإِذَا خَرَجَ فَلْيَقُلِ: الله إِنِّي أَسأَلك من فضلك . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: যখন মসজিদে প্রবেশ করবে এ দু‘আ পাঠ করবে (اَللّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ)। আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় এসেছে, প্রথমে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি সালাম ও দরূদ পাঠ করবে। পরে এ দু‘আটি পাঠ করবে।
ইমাম নাবাবী (রহঃ) বলেনঃ এ দু‘আ পাঠ করা মুস্তাহাব।
এ দু‘আ ব্যতিরেকে আরো অনেক দু‘আ এসেছে আবূ দাঊদে তার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো-
أَعُوْذُ بِاللهِ الْعَظِيْم، وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيْم، وَسْلْطَانِهِ الْقَدِيْم مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، بِسْمِ اللهِ وَالْحَمْدُ لِلّهِ، اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَعَلى الِ مُحَمَّدٍ وَسَلَّم، اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ ذُنُوْبِيْ وَافْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ.
অর্থাৎ- আমি বিতাড়িত শায়ত্বন (শয়তান) হতে মহান আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করছি, আশ্রয় প্রার্থনা করছি তাঁর করুণাময় সত্তা এবং শাশ্বত সার্বভৌম শক্তির নামে। আল্লাহর নামে (প্রবেশ করছি), দরূদ ও সালাম মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওপর। হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য তোমার রহমাতের দ্বার খুলে দাও।
আর বের হওয়ার সময় বলবে- (اَللّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ)
প্রবেশের সময় রহমাতকে এবং বের হওয়ার সময় অনুগ্রহকে নির্ধারণ করার কারণ হলো রহমাত আল্লাহর কিতাবে আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তির নি‘আমাত এবং পরকালের নি‘আমাত। যেমন- আল্লাহ বলেন, ‘‘তারা যা সঞ্চয় করে আপনার পালনকর্তার রহমাত তদপেক্ষা উত্তম।’’ (সূরাহ্ আয্ যুখরুফ ৪৩ : ৩২)
আর অনুগ্রহ হলো দুনিয়াবী নি‘আমাত। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘তোমাদের ওপর তোমাদের পালনকর্তার অনুগ্রহ অন্বেষণ করাতে কোন পাপ নেই।’’ (সূরাহ্ আল বাক্বারাহ্ ২ : ১৯৮)
‘‘আর সালাত সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ো এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করো।’’ (সূরাহ্ আল জুমু‘আহ্ ৬২ : ১০)
যে মসজিদে প্রবেশ করবে সে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করবে। এমন কাজে ব্যাস্ত হবে যা প্রতিদান ও জান্নাতের নিকটবর্তী করবে। সুতরাং তা রহমাত ও দু‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট। আর বের হওয়াটা হলো রিযক্ব (রিজিক/রিযিক) বা যাবতীয় প্রয়োজন। এজন্য অনুগ্রহ দু‘আর সাথে সংশ্লিষ্ট।