পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২৭৭-[৮০] যিয়াদ ইবনু লাবীদ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বিষয় বর্ণনা করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, সেটা ’ইলম উঠে যাওয়ার সময় সংঘটিত হবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! কিরূপে ’ইলম উঠে যাবে? অথচ আমরা তো কুরআন শিক্ষা করছি, আমাদের সন্তানদেরকেও কুরআন শিক্ষা দিচ্ছি। আমাদের সন্তানগণ ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) অবধি তাদের সন্তান-সন্ততিদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতে থাকবে! তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যিয়াদ! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক। আমি তো তোমাকে মদীনার একজন বিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তি বলেই মনে করতাম। এসব ইয়াহূদী ও নাসারাগণ কি তাওরাত ও ইঞ্জীল পড়ছে না? কিন্তু তারা তদনুযায়ী কাজ করছে না এমন নয় কি? আহমাদ, ইবনু মাজাহ; ইমাম তিরমিযীও অনুরূপ যিয়াদ (রাঃ)হতে বর্ণনা করেছেন।[1]
اَلْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَن زِيَاد بن لبيد قَالَ ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَيْئًا فَقَالَ: «ذَاكَ عِنْدَ أَوَانِ ذَهَابِ الْعِلْمِ» . قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَذْهَبُ الْعِلْمُ وَنحن نَقْرَأ الْقُرْآن ونقرئه أبناءنا ويقرؤه ابناؤنا أَبْنَاءَهُم إِلَى يَوْم الْقِيَامَة قَالَ: «ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ زِيَادُ إِنْ كُنْتُ لَأُرَاكَ مِنْ أَفْقَهِ رَجُلٍ بِالْمَدِينَةِ أَوَلَيْسَ هَذِهِ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى يَقْرَءُونَ التَّوْرَاةَ وَالْإِنْجِيلَ لَا يَعْمَلُونَ بِشَيْءٍ مِمَّا فِيهِمَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَابْنُ مَاجَهْ وَرَوَى التِّرْمِذِيُّ عَنهُ نَحوه
ব্যাখ্যা: এ হাদীসে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আমল না করাকে সমাজ থেকে ‘ইলম চলে যাওয়া ও পৃথিবীতে মূর্খতা প্রকাশ পাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। অর্থাৎ- কোন বিদ্যা (কুরআন ও হাদীসের) জানার পর সে অনুযায়ী ‘আমল না করা সে বিদ্যা না জানা বা মূর্খতারই নামান্তর। অতএব একজন মূর্খ ব্যক্তি ও শিক্ষিত ‘আমলহীন ব্যক্তি উভয়ই সমান, পর্যায়ক্রমে শিক্ষিত ‘আমলহীন ব্যক্তি বোঝা বহনকারী গাধা। হাদীসটি মানুষকে ‘আমলের প্রতি উৎসাহিত ও সতর্ক করছে।