পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
১৪-[১৩] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক (বেদুঈন) লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন একটি কাজের সন্ধান দিন যা করলে আমি সহজে জান্নাতে পৌঁছতে পারি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর ’ইবাদাত করতে থাকবে, তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ফরয সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) ক্বায়িম করবে, ফরয যাকাত আদায় করবে এবং রমাযানের সিয়াম পালন করবে- এ কথা শুনে লোকটি বলল, আল্লাহর কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন রয়েছে! আমি এর থেকে বেশিও করবো না, কমও করবো না। সে লোক যখন চলে গেল তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কেউ যদি জান্নাতী কোন লোককে দেখে আনন্দিত হতে চায়, সে যেন এ লোককে দেখে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
الفصل الاول
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: أَتَى أَعْرَابِيٌّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: دُلَّنِي عَلَى عَمَلٍ إِذَا عَمِلْتُهُ دَخَلْتُ الْجَنَّةَ. قَالَ: «تَعْبُدُ اللَّهَ وَلَا تُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا وَتُقِيمُ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ وَتُؤَدِّي الزَّكَاةَ الْمَفْرُوضَةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ» . قَالَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا أَزِيدُ عَلَى هَذَا شَيْئًا وَلَا أَنْقُصُ مِنْهُ. فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْجنَّة فَلْينْظر إِلَى هَذَا»
Chapter - Section 1
Abu Huraira reported that an Arab came to the Prophet and said, "Guide me to a deed by doing which I shall enter paradise.” He said, “Worship God and associate nothing with Him, observe the prescribed prayer, pay the obligatory zakat, and fast during Ramadan.” He replied, "By Him in whose hand my soul is, I shall not add anything to this, or fall short of it.” Then when he turned away the Prophet said, "If anyone wishes to look at a man who will be among the people of paradise, let him look at this man.”
(Bukhari and Muslim.)
ব্যাখ্যা: হাদীসে আরকানে ইসলামের মাত্র তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ এ বিষয়গুলো অন্যগুলোর তুলনায় অধিক প্রকাশ্য। আর বাকী রুকনগুলোও এর সাথেই সম্পৃক্ত।
প্রথমে আল্লাহর ‘ইবাদাতের উল্লেখের পর শির্ক-এর বিষয় এজন্য উল্লেখ করা হয়েছে যে, কাফিররাও আল্লাহর ‘ইবাদাত করে কিন্তু পাশাপাশি মূর্তির পূজাও করে এবং মনে করে যে, এ মূর্তিগুলো আল্লাহর অংশীদার। তাই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা অস্বীকার করেছেন।
এ হাদীস ও সামনের ত্বলহাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসে প্রশ্নকারীকে নফল ‘ইবাদাতের কথা জানানো হয়নি। বরং ত্বলহার হাদীসে নফল পরিত্যাগ করার শপথকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কেননা এ ঘটনায় বর্ণিত লোকজন ইসলামে নবদীক্ষিত ছিল। তাই তাদের জন্য আবশ্যক কাজগুলোই যথেষ্ট মনে করা হয়েছে। যাতে তা তাদের জন্য ভারী না হয়ে যায়।
হাদীসের শিক্ষা: ঈমানের জন্য ‘আমল আবশ্যক।