১৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

১৩-[১২] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ন্যায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে, আমাদের কা’বাকে ক্বিবলা (কিবলা/কেবলাহ) হিসেবে গ্রহণ করে, আমাদের যাবাহকৃত পশুর মাংস (গোসত/গোস্ত) খায়, সে এমন মুসলিম যার জন্য (জান-মাল, ইজ্জাত-সম্ভ্রম রক্ষায়) আল্লাহ ও রসূলের ওয়া’দা রয়েছে। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার ভঙ্গ করো না। (বুখারী)[1]

الفصل الاول

وَعَن أنس أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى صَلَاتَنَا وَاسْتَقْبَلَ قِبْلَتَنَا وَأَكَلَ ذَبِيحَتَنَا فَذَلِكَ الْمُسْلِمُ الَّذِي لَهُ ذِمَّةُ اللَّهِ وَذِمَّةُ رَسُولِهِ فَلَا تُخْفِرُوا اللَّهَ فِي ذمَّته» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن انس انه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا واكل ذبيحتنا فذلك المسلم الذي له ذمة الله وذمة رسوله فلا تخفروا الله في ذمته» . رواه البخاري

Chapter - Section 1


Anas reported God’s messenger as saying, "If anyone observes our form of prayer, faces our qibla, and eats what we kill, that one is a Muslim who has protection from God and His messenger; so do not betray God’s protection.”

Bukhari transmitted it.

ব্যাখ্যা : সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) তার দ্বারাই প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব যিনি তাওহীদ ও নুবূওয়্যাতে বিশ্বাসী। আর যিনি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নুবূওয়্যাত স্বীকার করেন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আল্লাহর পক্ষ থেকে যা নিয়ে এসেছেন তা সবই তিনি বিশ্বাস করেন। প্রত্যেক ব্যক্তিই ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) সম্পর্কে অবহিত যদিও সে তার সালাত সম্পর্কে হয়ত পূর্ণ অবহিত নয়। আর আমাদের সালাতের ‘আমল অন্যদের সালাতেও পাওয়া যায়, যেমনঃ ক্বিরাআত (কিরআত) ও ক্বিয়াম (কিয়াম)। কিন্তু আমাদের (মুসলিমদের) ক্বিবলাহ্ (কিবলাহ/কিবলা) শুধু আমাদের জন্যই খাস।

এ হাদীসে ইসলামের মাত্র তিনটি রুকন (সালাত, ক্বিবলাহ্ ও যাবীহাহ্) উল্লেখ করার কারণ এই যে, এগুলো অতি প্রকাশ্য যা দ্রুত অবহিত হওয়া যায়। কোন ব্যক্তির সাথে প্রথম দিবসের সাক্ষাতেই তার সালাত ও খাবার সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়। এতেই বুঝা যায় যে, সে কোন ধর্মে বিশ্বাসী। যে ব্যক্তি তার মধ্যে ইসলামের নিদর্শনের প্রকাশ ঘটায় এবং মুসলিমদের বিষয়গুলো তার মধ্যে প্রতিষ্ঠা করে সে আল্লাহর নিরাপত্তার আওতায় চলে আসে। মুসলিমের যা কিছু হারাম তারও তা হারাম। ফলে সে আল্লাহর যিম্মাদারীর অন্তর্ভুক্ত। অতএব তোমরা আল্লাহর যিম্মাদারীকে বিনষ্ট করবে না।

হাদীসের শিক্ষাঃ

(১) লোকজনের বাহ্যিক বিষয়ই ধর্তব্য, আভ্যন্তরীণ বিষয় ধর্তব্য নয়। অতএব যে ব্যক্তি ধর্মীয় নিদর্শনের প্রকাশ ঘটাবে তার প্রতি সে ধর্মের বিধিবিধান কার্যকরী হবে।

(২) ‘আমল ব্যতীত শুধু ঈমান যথেষ্ট নয় যেমনটি মুরজিয়াহ্ সম্প্রদায় মনে করে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১: ঈমান (বিশ্বাস) (كتاب الإيمان)