৪৬০৪

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

সুরা আদিয়াত

وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْكَنُودُ الْكَفُورُ يُقَالُ فَأَثَرْنَ بِهِ نَقْعًا رَفَعْنَا بِهِ غُبَارًا لِحُبِّ الْخَيْرِ مِنْ أَجْلِ حُبِّ الْخَيْرِ لَشَدِيدٌ لَبَخِيلٌ وَيُقَالُ لِلْبَخِيلِ شَدِيدٌ حُصِّلَ مُيِّزَ

মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الْكَنُوْدُ অকৃতজ্ঞ। فَأَثَرْنَ بِهٰ نَقْعًا সে সময় ধূলি উৎক্ষিপ্ত করে। لِحُبِّ الْخَيْرِ ধন-সম্পদের প্রতি ভালবাসার কারণে। لَشَدِيْدٌ মানে অবশ্যই কৃপণ। কৃপণকে আরবী ভাষায় شَدِيْدٌ বলা হয়। حُصِّلَ পৃথক করা হবে।


সুরা কারি’আ

كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوثِ كَغَوْغَاءِ الْجَرَادِ يَرْكَبُ بَعْضُهُ بَعْضًا كَذَلِكَ النَّاسُ يَجُولُ بَعْضُهُمْ فِي بَعْضٍ كَالْعِهْنِ كَأَلْوَانِ الْعِهْنِ وَقَرَأَ عَبْدُ اللَّهِ كَالصُّوفِ

كَالْفَرَاشِ الْمَبْثُوْثِ মানে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মত। পতঙ্গ যেমন একটি আরেকটির ওপর পড়ে, ঠিক তেমনিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের ওপর পড়বে। كَالْعِهْنِ নানা রঙের তুলার ন্যায়। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাঃ) كَالصُّوْفِ পড়েছেন।


সুরা তাকাছুর

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ التَّكَاثُرُ مِنْ الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, التَّكَاثُرُ ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির আধিক্য।


সুরা আসর

وَقَالَ يَحْيَى الْعَصْرُ الدَّهْرُ أَقْسَمَ بِهِ

বলা হয় الْعَصْرُ কাল বা সময়। আল্লাহ্ তা’আলা এখানে কালের শপথ করেছেন।


সুরা হুমাযা

الْحُطَمَةُ اسْمُ النَّارِ مِثْلُ سَقَرَ وَ لَظَى

الْحُطَمَةُ ’লাযা’ ও ’সাকার’ যেমন জাহান্নামের নাম, তেমনি ’হুতামা’ও একটি জাহান্নামের নাম।


সুরা ফীল

قَالَ مُجَاهِدٌ أَلَمْ تَرَ أَلَمْ تَعْلَمْ . وَقَالَ مُجَاهِدٌ أَبَابِيلَ مُتَتَابِعَةً مُجْتَمِعَةً وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مِنْ سِجِّيلٍ هِيَ سَنْكِ وَكِلْ

أَبَابِيْلَ ঝাঁকে ঝাঁকে ও একত্রিত। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, مِنْ سِجِّيْلٍ শব্দটি سَنْكِ ও كِلْ থেকে আরবীকৃত আরবী শব্দ (এর অর্থ হল পাথর ও মাটির ঢিল)।


সুরা কুরায়শ

وَقَالَ مُجَاهِدٌ لِإِيلَافِ أَلِفُوا ذَلِكَ فَلَا يَشُقُّ عَلَيْهِمْ فِي الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ وَآمَنَهُمْ مِنْ كُلِّ عَدُوِّهِمْ فِي حَرَمِهِمْ قَالَ ابْنُ عُيَيْنَةَ لِإِيلَافِ لِنِعْمَتِي عَلَى قُرَيْشٍ

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, لِإِيْلَافِ মানে তারা এ বিষয়ে অভ্যস্ত ছিল। ফলে, শীত ও গ্রীষ্মে তা তাদের জন্য কষ্টকর হয় না। وَاٰمَنَهُمْ আল্লাহ্ তা’আলা হারামের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় শত্রু থেকে নিরাপত্তা দিয়েছেন। ইবনু উআয়না (রহ.) বলেন, لِإِيْلَافِ কুরাইশদের প্রতি আমার নি’মাতের কারণে।


সুরা মাউন

وَقَالَ مُجَاهِدٌ يَدُعُّ يَدْفَعُ عَنْ حَقِّهِّهِ قَالُ هُوَ مِنْ دَعَعْتُ يُدَعُّونَ يُدْفَعُونَ سَاهُونَ لَاهُونَ وَ الْمَاعُونَ الْمَعْرُوفَ كُلُّهُ وَقَالَ بَعْضُ الْعَرَبِ الْمَاعُونُ الْمَاءُ قَالَ عِكْرِمَةُ أَعْلَاهَا الزَّكَاةُ الْمَفْرُوضَةُ وَأَدْنَاهَا عَارِيَّةُ الْمَتَاعِ

মুজাহিদ (রহ.) বলেন, يَدُعٌ সে তাকে হাক না দিয়ে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। বলা হয় এ শব্দটি শব্দ থেকে উদ্ভূত। يُدَعُّوْنَ তাদেরকে বাধা দেয়া হয়। ساهُوْنَ উদাসীন। الماعُوْن সর্বপ্রকার কল্যাণকর কাজ। কোন কোন আরবী ভাষা বিশেষজ্ঞ বলেন, الماعُوْنُ পানি। ’ইকরামাহ (রাঃ) বলেন, মাউনের অন্তর্ভুক্ত সর্বোচ্চ স্তরের বিষয় হচ্ছে যাকাত প্রদান করা এবং সর্বনিম্ন পর্যায়ের বিষয় হচ্ছে গৃহস্তালির প্রয়োজনীয় ছোট খাট জিনিস ধার দেয়া।


সুরা কাউসার

وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ شَانِئَكَ عَدُوَّكَ

ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, شانِئَكَ তোমার শত্রু।


৪৬০৪। আদম (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আকাশের দিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মি’রাজ হলে তিনি বলেন, আমি একটি জলাধারের (নদী) ধারে পৌঁছলাম, যার উভয় তীরে ফাঁপা মুক্তার তৈরি গম্বুজ রয়েছে। আমি বললাম, হে জিবরাঈল! এটি কি? তিনি বললেন, এটিই (হাউযে) কাওসার।

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا عُرِجَ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى السَّمَاءِ قَالَ ‏ "‏ أَتَيْتُ عَلَى نَهَرٍ حَافَتَاهُ قِبَابُ اللُّؤْلُؤِ مُجَوَّفًا فَقُلْتُ مَا هَذَا يَا جِبْرِيلُ قَالَ هَذَا الْكَوْثَرُ ‏"‏‏.‏

حدثنا ادم، حدثنا شيبان، حدثنا قتادة، عن انس ـ رضى الله عنه ـ قال لما عرج بالنبي صلى الله عليه وسلم الى السماء قال ‏ "‏ اتيت على نهر حافتاه قباب اللولو مجوفا فقلت ما هذا يا جبريل قال هذا الكوثر ‏"‏‏.‏


Narrated Anas:

When the Prophet (ﷺ) was made to ascend to the Heavens, he said (after his return), "I came upon a river the banks of which were made of tents of hollow pearls. I asked Gabriel. What is this (river?' He replied, 'This is the Kauthar.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫২/ তাফসীর (كتاب تفسير)