৭৫২

পরিচ্ছেদঃ ৩১৭- কোন ব্যক্তি মেহমানের সামনে আহার পরিবেশন করে নিজে নামাযে দাঁড়িয়ে গেলে।

৭৫২। নুআইম ইবনে কানাব (রহঃ) বলেন, আমি আবু যার (রাঃ) এর নিকট এসে তাকে ঘরে পেলাম না। আমি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম, আবু যার (রাঃ) কোথায়? তিনি বলেন, কোন কাজে বাইরে গিয়েছেন, এখনই আপনার সাক্ষাতে এসে যাবেন। অতএব আমি তার অপেক্ষায় বসে থাকলাম। তিনি দু’টি উটসহ আসলেন, যার একটির পিছনে অপরটি বাধা এবং প্রতিটির ঘাড়ে ছিল একটি করে মশক। তিনি সেই দু’টি নামালেন, অতঃপর এলেন। আমি বললাম, হে আবু যার! যাদের সাথে আমি দেখা-সাক্ষাত করি তাদের মধ্যে আমার কাছে আপনার চেয়ে অধিক প্রিয় কেউ নাই। আবার তাদের মধ্যে আপনার চেয়ে অধিক অপ্রিয়ও আমার কাছে কেউ নাই।

তিনি বলেন, তোমার পিতা আল্লাহর জন্য কোরবান হোক। এই দু’টি বিপরীত জিনিস একত্র হলো কি করে। তিনি বলেন, আমি জাহিলী যুগে একটি কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দিয়েছি। আমার আশংকা হয় যে, আমি আপনার সাথে সাক্ষাত করলেই আপনি বলবেন, তোমার তওবা করার বা নিস্কৃতি লাভের কোন সুযোগ নাই। কিন্তু আমি আকাঙ্খা করতাম যে, আপনি বলবেন, তোমার তওবা করার ও নিস্তার লাভের উপায় আছে।

তিনি বলেন, তুমি কি এটি জাহিলী যুগে করেছিলে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বলেন, অতীতের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করেছেন। তিনি তার স্ত্রীকে বলেন, আমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসো। মহিলা অসম্মত হলো। তিনি পুনরায় তাকে আদেশ করলে এবারও সে অস্বীকার করলো। শেষে দু’জনের কথা কাটাকাটির স্বর উচ্চ মাত্রায় পৌঁছলো। তিনি বলেন, এই যে! তোমরা তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বক্তব্য গণায় ধরো না।

আমি বললাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সম্পর্কে কি বলেছেন? তিনি বলেছেনঃ “নিশ্চয় নারী হচ্ছে পাঁজরের বাঁকা হাড়। তুমি যদি তা সোজা করতে চাও তবে তাকে খানখান করে ফেলবে। আর তুমি যদি তাদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে যাও, তবুও তাদের বাঁকা স্বভাব বিদ্যমান থাকবেই”।

মহিলাটি চলে গেলো এবং সারীদ (ঝোলে ভিজানো রুটি) নিয়ে বিড়ালের মত চুপিসারে ফিরে এলো। আবু যার (রাঃ) আমাকে বলেন, তুমি খাও, আমার কথা চিন্তা করো না। আমি রোযা আছি। অতঃপর তিনি নামাযে দাঁড়িয়ে গেলেন এবং ধীরেসুস্থে নামায পড়লেন। নামায শেষে তিনি আহার করলেন। আমি বললাম, ইন্না লিল্লাহ! আমি কখনও আশংকা করিনি যে, আপনি আমাকে মিথ্যা কথা বলবেন! তিনি বলেন, তোমার পিতা আল্লাহর জন্য কোরবান হোক! তুমি সাক্ষাত করার সময় থেকে আমি তোমাকে কোন মিথ্যা কথা বলিনি।

আমি বললাম, আপনি কি আমাকে বলেননি যে, আপনি রোযাদার? তিনি বলেন, হাঁ, আমি এই মাসে তিন দিন রোযা রেখেছি। আমার জন্য তার সওয়াব লেখা হয়েছে এবং আমার জন্য খাদ্য গ্রহণ হালাল হয়ে গেছে। (নাসাঈ, দারিমী, আহমাদ হাঃ ২১৬৬৫)

بَابُ مَنْ قَدَّمَ إِلَى ضَيْفِهِ طَعَامًا فَقَامَ يُصَلِّي

حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ قَالَ‏:‏ حَدَّثَنِي الْجُرَيْرِيُّ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ بْنُ عَبْدِ اللهِ، عَنْ نُعَيْمِ بْنِ قَعْنَبٍ قَالَ‏:‏ أَتَيْتُ أَبَا ذَرٍّ فَلَمْ أُوَافِقْهُ، فَقُلْتُ لِامْرَأَتِهِ‏:‏ أَيْنَ أَبُو ذَرٍّ‏؟‏ قَالَتْ‏:‏ يَمْتَهِنُ، سَيَأْتِيكَ الْآنَ، فَجَلَسْتُ لَهُ، فَجَاءَ وَمَعَهُ بَعِيرَانِ، قَدْ قَطَرَ أَحَدَهُمَا بِعَجُزِ الْآخَرِ، فِي عُنُقِ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا قِرْبَةٌ، فَوَضَعَهُمَا ثُمَّ جَاءَ، فَقُلْتُ‏:‏ يَا أَبَا ذَرٍّ، مَا مِنْ رَجُلٍ كُنْتُ أَلْقَاهُ كَانَ أَحَبَّ إِلَيَّ لُقْيًا مِنْكَ، وَلاَ أَبْغَضَ إِلَيَّ لُقْيًا مِنْكَ، قَالَ‏:‏ لِلَّهِ أَبُوكَ، وَمَا جَمَعَ هَذَا‏؟‏ قَالَ‏:‏ إِنِّي كُنْتُ وَأَدْتُ مَوْءُودَةً فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَرْهَبُ إِنْ لَقِيتُكَ أَنْ تَقُولَ‏:‏ لاَ تَوْبَةَ لَكَ، لاَ مَخْرَجَ لَكَ، وَكُنْتُ أَرْجُو أَنْ تَقُولَ‏:‏ لَكَ تَوْبَةٌ وَمَخْرَجٌ، قَالَ‏:‏ أَفِي الْجَاهِلِيَّةِ أَصَبْتَ‏؟‏ قُلْتُ‏:‏ نَعَمْ، قَالَ‏:‏ عَفَا اللَّهُ عَمَّا سَلَفَ‏.‏ وَقَالَ لِامْرَأَتِهِ‏:‏ آتِينَا بِطَعَامٍ، فَأَبَتَ، ثُمَّ أَمَرَهَا فَأَبَتَ، حَتَّى ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُهُمَا، قَالَ‏:‏ إِيهِ، فَإِنَّكُنَّ لاَ تَعْدُونَ مَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قُلْتُ‏:‏ وَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ فِيهِنَّ‏؟‏ قَالَ‏:‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ خُلِقَتْ مِنْ ضِلَعٍ، وَإِنَّكَ إِنْ تُرِدْ أَنْ تُقِيمَهَا تَكْسِرُهَا، وَإِنْ تُدَارِهَا فَإِنَّ فِيهَا أَوَدًا وَبُلْغَةً، فَوَلَّتْ فَجَاءَتْ بِثَرِيدَةٍ كَأَنَّهَا قَطَاةٌ، فَقَالَ‏:‏ كُلْ وَلاَ أَهُولَنَّكَ فَإِنِّي صَائِمٌ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي، فَجَعَلَ يُهَذِّبُ الرُّكُوعَ، ثُمَّ انْفَتَلَ فَأَكَلَ، فَقُلْتُ‏:‏ إِنَّا لِلَّهِ، مَا كُنْتُ أَخَافُ أَنْ تَكْذِبَنِي، قَالَ‏:‏ لِلَّهِ أَبُوكَ، مَا كَذَبْتُ مُنْذُ لَقِيتَنِي، قُلْتُ‏:‏ أَلَمْ تُخْبِرْنِي أَنَّكَ صَائِمٌ‏؟‏ قَالَ‏:‏ بَلَى، إِنِّي صُمْتُ مِنْ هَذَا الشَّهْرِ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَكُتِبَ لِي أَجْرُهُ، وَحَلَّ لِيَ الطَّعَامُ‏.‏

حدثنا ابو معمر قال حدثنا عبد الوارث قال حدثني الجريري قال حدثنا ابو العلاء بن عبد الله عن نعيم بن قعنب قال اتيت ابا ذر فلم اوافقه فقلت لامراته اين ابو ذر قالت يمتهن سياتيك الان فجلست له فجاء ومعه بعيران قد قطر احدهما بعجز الاخر في عنق كل واحد منهما قربة فوضعهما ثم جاء فقلت يا ابا ذر ما من رجل كنت القاه كان احب الي لقيا منك ولا ابغض الي لقيا منك قال لله ابوك وما جمع هذا قال اني كنت وادت موءودة في الجاهلية ارهب ان لقيتك ان تقول لا توبة لك لا مخرج لك وكنت ارجو ان تقول لك توبة ومخرج قال افي الجاهلية اصبت قلت نعم قال عفا الله عما سلف وقال لامراته اتينا بطعام فابت ثم امرها فابت حتى ارتفعت اصواتهما قال ايه فانكن لا تعدون ما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قلت وما قال رسول الله فيهن قال ان المراة خلقت من ضلع وانك ان ترد ان تقيمها تكسرها وان تدارها فان فيها اودا وبلغة فولت فجاءت بثريدة كانها قطاة فقال كل ولا اهولنك فاني صاىم ثم قام يصلي فجعل يهذب الركوع ثم انفتل فاكل فقلت انا لله ما كنت اخاف ان تكذبني قال لله ابوك ما كذبت منذ لقيتني قلت الم تخبرني انك صاىم قال بلى اني صمت من هذا الشهر ثلاثة ايام فكتب لي اجره وحل لي الطعام


Nu'aym ibn Qa'nab said, "I went to Abu Dharr and did not find him at home. I asked his wife, 'Where is Abu Dharr?' 'Fetching some things for the house. He will be back presently.' I sat down to wait for him and he came with two camels. One of them was lined up behind the other and each of the camels had a waterskin on its neck. Abu Dharr took them off. Then he came and I said, 'Abu Dharr! There was no man who I desired to meet more than you and there was none that I hated to meet more than you!' He said, 'Your father belongs to Allah! How can these two be joined together?' I replied, 'In the Jahiliyya, a buried a daughter alive and I feared that I would meet you and you would say, "There is no way for you to repent. There is no way out." On the other hand, I used to hope that you would say, 'There is a way for you to repent. There is a way out."'


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
মেহমানদারি