২৩৩

পরিচ্ছেদঃ ১১৮– সব্জি বাগানে গমন এবং থলে ভর্তি জিনিসপত্রসহ তা কাঁধে বহন করে বাড়ি ফেরা।

২৩৩। আমর ইবনে আবু কুররা আল-কিন্দী (রহঃ) বলেন, আমার পিতা আবুল কুররা (রহঃ) সালমান (রাঃ)-এর নিকট তার বোনের বিবাহের প্রস্তাব দিলেন। তিনি তাতে অসম্মত হলেন এবং বুকায়রা নাম্নী নিজ মুক্তদাসীকে বিবাহ করলেন। আবু কুররা (রহঃ) সালমান (রাঃ) ও হুযায়ফা (রাঃ)-এর মধ্যকার মনোমালিন্যের কথা জানতে পারলেন। তিনি তার খোঁজে গেলেন। তাকে জানানো হলো যে, তিনি তার সবজি বাগানে আছেন। তিনি সেখানে গেলেন এবং তার সাক্ষাত পেলেন। তার সাথে সবজি ভর্তি একটি ঝুড়ি ছিল। তিনি এর হাতার মধ্যে তার লাঠি ঢুকিয়ে তা কাঁধে তুলে নিলেন। তিনি বলেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আপনার ও হুযায়ফা (রাঃ)-র মধ্যে কি ঘটেছে? আবু কুররা (রহঃ) বলেন, সালমান (রাঃ) পড়লেন, “মানুষ তাড়াহুড়া প্রবণ” (১৭ঃ ১১)।

অতএব তারা রওয়ানা হয়ে সালমান (রাঃ)-র বাড়িতে এসে পৌছলেন। সালমান (রাঃ) ঘরে প্রবেশ করে ’আসসালামু আলাইকুম’ বললেন। আবু কুররাকে অনুমতি দিলে তিনিও ঘরে প্রবেশ করেন। ঘরে একখানা মাদুর বিছানো ছিল। সালমান (রাঃ) বলেন, আপনার দাসীর বিছানায় বসুন। সে নিজের জন্য তা পেতেছে। অতঃপর তিনি তার সাথে কথা শুরু করলেন এবং বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট অবস্থায় যা বিভিন্নজনকে বলতেন, হুযায়ফা (রাঃ) তা লোকদের নিকট বর্ণনা করেন। এসব সম্পর্কে আমার নিকট এসে আমাকে জিজ্ঞেস করা হতো। আমি বলতাম, হুযায়ফা-ই তার কথা সম্পর্কে অধিক অবগত। লোকজনের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়া আমি অপছন্দ করতাম।

লোকজন আবার হুযায়ফার কাছে গিয়ে বলতো, সালমান (রাঃ) আপনার বক্তব্যকে সমর্থনও করেননি এবং মিথা প্রতিপন্নও করেননি। হুযায়ফা (রাঃ) আমার নিকট এসে বলেন, হে সালমানের মায়ের পুত্র সালমান। আমিও বললাম, হে হুযায়ফার মায়ের পুত্র হুযায়ফা! তুমি বিরত হবে, অন্যথায় আমি উমারকে তোমার সম্পর্কে লিখে জানাবো। আমি তাকে উমারের ভয় প্রদর্শন করলে তিনি আমাকে ত্যাগ করেন। অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “আমিও আদমেরই সন্তান। (হে আল্লাহ) আমি আমার কোন উম্মাতকে অকারণে ভৎসনা করলে বা গালি দিলে তুমি তা তার পক্ষে দোয়ারূপে গ্রহণ কর” (আবু দাউদ, আহমাদ)।

بَابُ الْخُرُوجِ إِلَى الْمَبْقَلَةِ، وَحَمَلِ الشَّيْءِ عَلَى عَاتِقِهِ إِلَى أَهْلِهِ بِالزَّبِيلِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَخْلَدٍ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ أُسَامَةَ، عَنْ مِسْعَرٍ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ قَيْسٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي قُرَّةَ الْكِنْدِيِّ قَالَ‏:‏ عَرَضَ أَبِي عَلَى سَلْمَانَ أُخْتَهُ، فَأَبَى وَتَزَوَّجَ مَوْلاَةً لَهُ، يُقَالُ لَهَا‏:‏ بُقَيْرَةُ، فَبَلَغَ أَبَا قُرَّةَ أَنَّهُ كَانَ بَيْنَ حُذَيْفَةَ وَسَلْمَانَ شَيْءٌ، فَأَتَاهُ يَطْلُبُهُ، فَأَخْبَرَ أَنَّهُ فِي مَبْقَلَةٍ لَهُ، فَتَوَجَّهَ إِلَيْهِ، فَلَقِيَهُ مَعَهُ زَبِيلٌ فِيهِ بَقْلٌ، قَدْ أَدْخَلَ عَصَاهُ فِي عُرْوَةِ الزَّبِيلِ، وَهُوَ عَلَى عَاتِقِهِ، فَقَالَ‏:‏ يَا أَبَا عَبْدِ اللهِ، مَا كَانَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ حُذَيْفَةَ‏؟‏ قَالَ‏:‏ يَقُولُ سَلْمَانُ‏:‏ ‏(‏وَكَانَ الإِنْسَانُ عَجُولاً‏)‏، فَانْطَلَقَا حَتَّى أَتَيَا دَارَ سَلْمَانَ، فَدَخَلَ سَلْمَانُ الدَّارَ فَقَالَ‏:‏ السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ، ثُمَّ أَذِنَ لأَبِي قُرَّةَ، فَدَخَلَ، فَإِذَا نَمَطٌ مَوْضُوعٌ عَلَى بَابٍ، وَعِنْدَ رَأْسِهِ لَبِنَاتٌ، وَإِذَا قُرْطَاطٌ، فَقَالَ‏:‏ اجْلِسْ عَلَى فِرَاشِ مَوْلاَتِكَ الَّتِي تُمَهِّدُ لِنَفْسِهَا، ثُمَّ أَنْشَأَ يُحَدِّثُهُ فَقَالَ‏:‏ إِنَّ حُذَيْفَةَ كَانَ يُحَدِّثُ بِأَشْيَاءَ، كَانَ يَقُولُهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَضَبِهِ لأَقْوَامٍ، فَأُوتَى فَأُسْأَلُ عَنْهَا‏؟‏ فَأَقُولُ‏:‏ حُذَيْفَةُ أَعْلَمُ بِمَا يَقُولُ، وَأَكْرَهُ أَنْ تَكُونَ ضَغَائِنُ بَيْنَ أَقْوَامٍ، فَأُتِيَ حُذَيْفَةُ، فَقِيلَ لَهُ‏:‏ إِنَّ سَلْمَانَ لاَ يُصَدِّقُكَ وَلاَ يُكَذِّبُكَ بِمَا تَقُولُ، فَجَاءَنِي حُذَيْفَةُ فَقَالَ‏:‏ يَا سَلْمَانُ ابْنَ أُمِّ سَلْمَانَ، فَقُلْتُ يَا حُذَيْفَةُ ابْنَ أُمِّ حُذَيْفَةَ، لَتَنْتَهِيَنَّ، أَوْ لَأَكْتُبَنَّ فِيكَ إِلَى عُمَرَ، فَلَمَّا خَوَّفْتُهُ بِعُمَرَ تَرَكَنِي، وَقَدْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ مِنْ وَلَدِ آدَمَ أَنَا، فَأَيُّمَا عَبْدٌ مِنْ أُمَّتِي لَعَنْتُهُ لَعْنَةً، أَوْ سَبَبْتُهُ سَبَّةً، فِي غَيْرِ كُنْهِهِ، فَاجْعَلْهَا عَلَيْهِ صَلاةً‏

حدثنا اسحاق بن مخلد، عن حماد بن اسامة، عن مسعر، قال‏:‏ حدثنا عمر بن قيس، عن عمرو بن ابي قرة الكندي قال‏:‏ عرض ابي على سلمان اخته، فابى وتزوج مولاة له، يقال لها‏:‏ بقيرة، فبلغ ابا قرة انه كان بين حذيفة وسلمان شيء، فاتاه يطلبه، فاخبر انه في مبقلة له، فتوجه اليه، فلقيه معه زبيل فيه بقل، قد ادخل عصاه في عروة الزبيل، وهو على عاتقه، فقال‏:‏ يا ابا عبد الله، ما كان بينك وبين حذيفة‏؟‏ قال‏:‏ يقول سلمان‏:‏ ‏(‏وكان الانسان عجولا‏)‏، فانطلقا حتى اتيا دار سلمان، فدخل سلمان الدار فقال‏:‏ السلام عليكم، ثم اذن لابي قرة، فدخل، فاذا نمط موضوع على باب، وعند راسه لبنات، واذا قرطاط، فقال‏:‏ اجلس على فراش مولاتك التي تمهد لنفسها، ثم انشا يحدثه فقال‏:‏ ان حذيفة كان يحدث باشياء، كان يقولها رسول الله صلى الله عليه وسلم في غضبه لاقوام، فاوتى فاسال عنها‏؟‏ فاقول‏:‏ حذيفة اعلم بما يقول، واكره ان تكون ضغاىن بين اقوام، فاتي حذيفة، فقيل له‏:‏ ان سلمان لا يصدقك ولا يكذبك بما تقول، فجاءني حذيفة فقال‏:‏ يا سلمان ابن ام سلمان، فقلت يا حذيفة ابن ام حذيفة، لتنتهين، او لاكتبن فيك الى عمر، فلما خوفته بعمر تركني، وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم‏:‏ من ولد ادم انا، فايما عبد من امتي لعنته لعنة، او سببته سبة، في غير كنهه، فاجعلها عليه صلاة‏


'Amr ibn Qurra al-Kindi said, "My father offered his sister in marriage to Salman. He refused and then married a mawla of his called Buqayra. Abu Qurra heard that there were bad feelings between Hudhayfa and Salman. He went to talk to him (Salman) about this. He was told that he was in a vegetable garden which belonged to him and went and met him there. Salman had a sack of vegetables. He put his stick in the knot of the sack and put it on his shoulder. Abu Qurra asked, 'Abu 'Abdullah, what is the trouble between you and Hudhayfa?' Salman replied, 'Man is prone to be impetuous.' (17: 11)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
বদান্যতা, কৃপণতা ও চারিত্রিক দোষ-ত্রুটি