২৪৮০

পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮১. উপত্যকা থেকে পানিসেচ এবং যে পরিমাণ পানি আটকে রাখা যাবে

১/২৪৮০। আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। হাররা থেকে প্রবাহিত নালার পানি বণ্টনকে কেন্দ্র করে এক আনসারী ব্যক্তি যুবাইর (রাঃ) -এর বিরুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অভিযোগ দায়ের করে। এ নালার পানি তারা খেজুর বাগানে সিঞ্চন করতো। আনসারী বললো, পানি প্রবাহিত হতে দাও। কিন্তু যুবাইর (রাঃ) তা অস্বীকার করেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বিবাদ পেশ করলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হে জুবায়র, তোমার জমিতে পানি সিঞ্চন কর, অতঃপর তো তোমার প্রতিবেশীর জন্য ছেড়ে দাও।

তাতে আনসারী রাগান্বিত হল, এবং বলল হে আল্লাহর রাসূল সে আপনার ফুফুর ছেলে বলে (আপনি এরকম ফয়সালা করলেন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা রক্তিমাভ হয়ে গেলো। তিনি বলেনঃ হে যুবাইর! তোমার ক্ষেতে পানি দাও, তারপর তা আটকে রাখো যাতে আইল পর্যন্ত উঠতে পারে। আবদুললাহ ইবনুয যুবাইর (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার ধারণামতে এ সম্পর্কেই নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয় (অনুবাদ)

’’হে মুহাম্মাদ! তোমার প্রতিপালকের শপথ! এরা কিছুতেই মুমিন হতে পারে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের পারস্পরিক মতভেদের ব্যাপারসমূহে তোমাকে বিচারকরূপে মেনে না নিবে, অতঃপর তুমি যে ফয়সালা করবে, সেই সম্পর্কে তারা নিজেদের মনে কিছুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করবে না। বরং এর সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সোর্পদ করে দিবে’’। (সূরা নিসাঃ ৬৫)

بَاب الشُّرْبِ مِنْ الْأَوْدِيَةِ وَمِقْدَارِ حَبْسِ الْمَاءِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ، أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ رَجُلاً، مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرَّ ‏.‏ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمَا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اسْقِ يَا زُبَيْرُ ثُمَّ أَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ فَتَلَوَّنَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ‏"‏ يَا زُبَيْرُ اسْقِ ثُمَّ احْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسَبُ هَذِهِ الآيَةَ أُنْزِلَتْ فِي ذَلِكَ ‏(‏فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لاَ يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا‏)‏‏.‏

حدثنا محمد بن رمح، انبانا الليث بن سعد، عن ابن شهاب، عن عروة بن الزبير، عن عبد الله بن الزبير، ان رجلا، من الانصار خاصم الزبير عند رسول الله صلى الله عليه وسلم في شراج الحرة التي يسقون بها النخل فقال الانصاري سرح الماء يمر ‏.‏ فابى عليه فاختصما عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اسق يا زبير ثم ارسل الماء الى جارك ‏"‏ ‏.‏ فغضب الانصاري فقال يا رسول الله ان كان ابن عمتك فتلون وجه رسول الله صلى الله عليه وسلم ثم قال ‏"‏ يا زبير اسق ثم احبس الماء حتى يرجع الى الجدر ‏"‏ ‏.‏ قال فقال الزبير والله اني لاحسب هذه الاية انزلت في ذلك ‏(‏فلا وربك لا يومنون حتى يحكموك فيما شجر بينهم ثم لا يجدوا في انفسهم حرجا مما قضيت ويسلموا تسليما‏)‏‏.‏


It was narrated from 'Abdullah bin Zubair that :
a man from among the Ansar had a dispute with Zubair in the presence of the Messenger of Allah (ﷺ) concerning the streams of the Harrah with which he irrigated his palm trees. The Ansari said: “Let the water flow,” but he refused. So they referred their dispute to the Messenger of Allah (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) said: “Irrigate (your trees) O Zubair, then let the water flow to your neighbor.” The Ansari became angry and said: “O Messenger of Allah (ﷺ), is it because he is your cousin (son of your paternal aunt)?” The expression of the Messenger of Allah (ﷺ) changed, then he said: “O Zubair, irrigate (your trees) then retain the water until it reaches the walls.” Zubair said: “I think this Verse was revealed concerning that: “But no, by your Lord, they make you (O Muhammad) judge in all disputes between them, and find in themselves no resistance against your decisions, and accept (them) with full submission [1].'” (Sahih) [1] An-Nisa 4.65


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান ইবনু মাজাহ
১৩/ বিচার ও বিধান (كتاب الأحكام)