পরিচ্ছেদঃ ৪৬. সূরা আদ-দুখান
৩২৫৪। মাসরূক (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, এক লোক ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ)-এর নিকট এসে বলল, কোন এক বক্তা বলছে যে, যামীন হতে একটি ধোয়া বের হবে। তা কাফিরদের কান বধির করে দিবে এবং মু’মিনদের সর্দিতে আক্রান্ত করবে।
মাসরূকু (রাহঃ) বলেন, এতে ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) রাগান্বিত হন। তিনি হেলান দিয়ে বসা ছিলেন, এবার সোজা হয়ে বসলেন, তারপর বললেন, তোমাদের কাউকে তার জ্ঞাত (বিষয়) সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে সে যেন তার উত্তর দেয় বা সেই প্রসঙ্গে অবহিত করে। আর তাকে তার না জানা বিষয় প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সে যেন বলে, আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন। কেননা এটাও লোকের জ্ঞানের কথা যে, তাকে এমন কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলো যা সে জানে না, সে বলবে যে, আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন।
কেননা আল্লাহ তা’আলা তার নবীকে বলেছেনঃ “আপনি বলুন, আমি তোমাদের নিকট এর জন্য (হিদায়াতের বিনিময়ে) কোন পরিশ্রমিক চাই না এবং আমি কৃত্রিমতা প্রদর্শনকারীদের অন্তর্ভুক্ত নই”- (সূরা দুখান ৮৬)।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দেখতে পেলেন যে, কুরাইশরা তার অবাধ্যতা ও বিরোধিতায় চরম পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে, তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ ইউসুফ (আঃ)-এর সময়কার সাত বছরের দুর্ভিক্ষের মত এদেরকেও সাত বছর দুর্ভিক্ষে নিক্ষেপ করে আমাকে সাহায্য করুন। তারপর তাদের উপর দুর্ভিক্ষ ও অনাবৃষ্টি নেমে এলো এবং সব কিছু নিঃশেষ হয়ে গেল। এমনকি তারা চামড়া, হাড় ও মৃত জীব ভক্ষণ করতে লাগল।
আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, এ সময় মাটি হতে ধোয়ার মত এক পদার্থ বের হতে লাগল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আবূ সুফইয়ান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলেন, আপনার জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং তাদের জন্য আল্লাহ তা’আলার দরবারে দু’আ করুন। ’আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, এটাই আল্লাহ তা’আলার এই বাণীর “যেদিন স্পষ্টই ধোয়াচ্ছন্ন হবে এবং তা মানবজাতিকে গ্রাস করে ফেলবে, এটা হবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি” তাৎপর্য- (সূরা দুখান ১০-১১)।
মানসূর (রাহঃ) বলেন, এটাই নিম্নোক্ত আয়াতের তাৎপর্যঃ “হে আমাদের রব! আমাদের উপর হতে শাস্তি দূরীভূত কর নিশ্চয় আমরা মুমিন”- (সূরা দুখান ১২)। আখিরাতের শাস্তি দূরীভূত করা হবে কি? আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, ধরপাকড়, কঠিন বিপদ ও ধোঁয়া সবই অতিবাহিত হয়েছে। আ’মাশ ও মানসূরের মধ্যে একজন বলেন, চন্দ্র বিদীর্ণ হওয়ার ঘটনা অতিক্রান্ত হয়েছে এবং অপরজন বলেন, রোম বিজয়ের ঘটনা (অতিবাহিত হয়েছে)।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম
আবূ ঈসা (রাহঃ) বলেন, লিযাম বলতে সেই হত্যা বুঝানো হয়েছে যা বদরের দিন সংঘটিত হয়েছে। এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْجُدِّيُّ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الأَعْمَشِ، وَمَنْصُورٍ، سَمِعَا أَبَا الضُّحَى، يُحَدِّثُ عَنْ مَسْرُوقٍ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ إِنَّ قَاصًّا يَقُصُّ يَقُولُ إِنَّهُ يَخْرُجُ مِنَ الأَرْضِ الدُّخَانُ فَيَأْخُذُ بِمَسَامِعِ الْكُفَّارِ وَيَأْخُذُ الْمُؤْمِنَ كَهَيْئَةِ الزُّكَامِ قَالَ فَغَضِبَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ ثُمَّ قَالَ إِذَا سُئِلَ أَحَدُكُمْ عَمَّا يَعْلَمُ فَلْيَقُلْ بِهِ قَالَ مَنْصُورٌ فَلْيُخْبِرْ بِهِ وَإِذَا سُئِلَ عَمَّا لاَ يَعْلَمُ فَلْيَقُلِ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ مِنْ عِلْمِ الرَّجُلِ إِذَا سُئِلَ عَمَّا لاَ يَعْلَمُ أَنْ يَقُولَ اللَّهُ أَعْلَمُ فَإِنَّ اللَّهَ تَعَالَى قَالَ لِنَبِيِّهِ : (قلْ مَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُتَكَلِّفِينَ ) " . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا رَأَى قُرَيْشًا اسْتَعْصَوْا عَلَيْهِ قَالَ " اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَيْهِمْ بِسَبْعٍ كَسَبْعِ يُوسُفَ " . فَأَخَذَتْهُمْ سَنَةٌ فَأَحْصَتْ كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى أَكَلُوا الْجُلُودَ وَالْمَيْتَةَ وَقَالَ أَحَدُهُمَا الْعِظَامَ قَالَ وَجَعَلَ يَخْرُجُ مِنَ الأَرْضِ كَهَيْئَةِ الدُّخَانِ قَالَ فَأَتَاهُ أَبُو سُفْيَانَ قَالَ إِنَّ قَوْمَكَ قَدْ هَلَكُوا فَادْعُ اللَّهَ لَهُمْ . قَالَ فَهَذَا لِقَوْلِهِ : ( يوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ * يَغْشَى النَّاسَ هَذَا عَذَابٌ أَلِيمٌ ) . قَالَ مَنْصُورٌ هَذَا لِقَوْلِهِ ( رَبَّنَا اكْشِفْ عَنَّا الْعَذَابَ إِنَّا مُؤْمِنُونَ ) فَهَلْ يُكْشَفُ عَذَابُ الآخِرَةِ قَالَ مَضَى الْبَطْشَةُ وَاللِّزَامُ الدُّخَانُ وَقَالَ أَحَدُهُمَا الْقَمَرُ وَقَالَ الآخَرُ الرُّومُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَاللِّزَامُ يَعْنِي يَوْمَ بَدْرٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Masruq:
"A man came to 'Abdullah and said: 'A story teller has said that a smoke will appear from the earth, taking the hearing of disbelievers and manifesting as a cold for the believers.'" He became angry, and since he was reclining, he sat up then said: 'When one of you is asked about something he knows, then let him speak accordingly' - Mansur (one of the narrators) narrated it as: "Then let him inform of it" - "And when asked about what he does not know, then let him say: "Allah knows best." For indeed, it is part of a man's knowledge, that when he is asked about something he does not know, he says: "Allah knows best." For verily Allah, Most High said to His Prophet: Say: "No wage do I ask of you for this, nor am I one of the pretenders (38:86)." When the Messenger of Allah (ﷺ) saw that the Quraish were behaving stubbornly with him, he said: "O Allah! Assist me against them with seven (years of famine) like the seven of Yusuf." So He punished them with drought making everything barren, until they ate skins and carcasses" - one of them said: "bones." He said: 'And it appeared that smoke was coming out of the earth. So Abu Sufyan came to him and said: "Verily your people are being destroyed, so supplicate to Allah for them." He said: "So this is about His saying: 'The Day when the sky will bring forth a visible smoke, covering the people, this is a painful torment (44:10 & 11).'" Mansur narrated it as: "So this is about His saying: Our Lord! Remove the torment from us, really we shall become believers (44:12)." - "So shall the punishment be removed from them in the Hereafter? Al-Batshah (humiliated defeat in Badr), Al-Lizam (disbeliever captives from Badr), the smoke," - one of them said: "The moon" the other said: "The Romans have all passed."