৭০৬

পরিচ্ছেদঃ ৯১: ওয়ায-নসীহত এবং তাতে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করার বিবরণ

৩/৭০৬। মুআবিয়া ইবনে হাকাম সুলামী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (একবার) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে নামায পড়ছিলাম। ইত্যবসরে হঠাৎ একজন মুক্তাদীর হাঁচি হলে আমি (তার জবাবে) ’য়্যারহামুকাল্লাহ’ (আল্লাহ তোমাকে রহম করুন) বললাম। তখন অন্য মুক্তাদীরা আমার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতে লাগল। আমি বললাম, ’হায়! হায়! আমার মা আমাকে হারিয়ে ফেলুক! তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা আমার দিকে তাকিয়ে দেখছো?’ (এ কথা শুনে) তারা তাদের নিজ নিজ হাত দিয়ে নিজ নিজ উরুতে আঘাত করতে লাগল।

তাদেরকে যখন দেখলাম যে, তারা আমাকে চুপ করাতে চাচ্ছে (তখন তো আমার অত্যন্ত রাগ হয়েছিল); কিন্তু আমি চুপ হয়ে গেলাম। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায সমাপ্ত করলেন---আমার পিতা-মাতা তাঁর জন্য কুরবান হোক, আমি তাঁর চেয়ে উত্তম শিক্ষাদাতা না আগে দেখেছি আর না এর পরে। আল্লাহর শপথ! তিনি না আমাকে তিরস্কার করলেন, আর না আমাকে মারধর করলেন, আর না আমাকে গালি দিলেন ---তখন তিনি বললেন, ’’এই নামাযে লোকদের কোন কথা বলা বৈধ নয়। (এতে যা বলতে হয়,) তা হল তাসবীহ, তাকবীর ও কুরআন পাঠ।’’ অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মত কোন কথা বললেন।

আমি বললাম, ’ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমি জাহেলিয়াতের লাগোয়া সময়ের (নও মুসলিম)। আল্লাহ ইসলাম আনয়ন করেছেন। আমাদের মধ্যে কিছু লোক গণকের কাছে (অদৃষ্ট ও ভবিষ্যৎ জানতে) যায়।’ তিনি বললেন, ’’তুমি তাদের কাছে যাবে না।’’ আমি বললাম, ’আমাদের মধ্যে কিছু লোক অশুভ লক্ষণ গ্রহণ করে থাকে।’ তিনি বললেন, ’’এটা এমন একটি অনুভূতি যা লোকে তাদের অন্তরে উপলব্ধি করে থাকে। সুতরাং এই অনুভূতি তাদেরকে যেন (বাঞ্ছিত কর্ম সম্পাদনে) বাধা না দেয়।’’ (মুসলিম)[1]

الْوَعْظُ وَالْاِقْتِصَادُ فِيْهِ - (91)

وَعَن مُعاوِيَةَ بنِ الحَكَمِ السُّلَمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: بَيْنَا أنَا أُصَلّي مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إذْ عَطَسَ رَجُلٌ مِنَ القَوْمِ، فَقُلْتُ: يَرْحَمُكَ اللهُ، فَرَمَانِي القَوْمُ بِأبْصَارِهِمْ ! فَقُلْتُ: وَاثُكْلَ أُمِّيَاهُ، مَا شَأنُكُمْ تَنْظُرُونَ إلَيَّ ؟! فَجَعَلُوا يَضْرِبُونَ بِأَيدِيهِم عَلَى أَفْخَاذِهِمْ ! فَلَمَّا رَأيْتُهُمْ يُصَمِّتُونَنِي لَكِنّي سَكَتُّ، فَلَمَّا صَلّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فَبِأبِي هُوَ وَأُمِّي، مَا رَأيْتُ مُعَلِّماً قَبْلَهُ وَلاَ بَعْدَهُ أحْسَنَ تَعْلِيماً مِنْهُ، فَوَاللهِ مَا كَهَرَني، وَلاَ ضَرَبَنِي، وَلاَ شَتَمَنِي . قَالَ: « إنَّ هذِهِ الصَّلاَةَ لاَ يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلامِ النَّاسِ، إنَّمَا هِيَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ، وَقِراءةُ القُرْآنِ »، أَوْ كَمَا قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قلتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنّي حَدِيثُ عَهْدٍ بِجَاهِلِيَّةٍ، وَقَدْ جَاءَ اللهُ بِالإسْلاَمِ، وَإنَّ مِنّا رِجَالاً يَأتُونَ الْكُهّانَ؟ قَالَ: فَلاَ تَأتِهِمْ . قُلْتُ: وَمِنّا رِجَالٌ يَتَطَيَّرُونَ ؟ قَالَ: ذَاكَ شَيْء يَجِدُونَهُ في صُدُورِهِمْ فَلاَ يَصُدَّنَّهُمْ . رواه مسلم

وعن معاوية بن الحكم السلمي رضي الله عنه، قال: بينا انا اصلي مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، اذ عطس رجل من القوم، فقلت: يرحمك الله، فرماني القوم بابصارهم ! فقلت: واثكل امياه، ما شانكم تنظرون الي ؟! فجعلوا يضربون بايديهم على افخاذهم ! فلما رايتهم يصمتونني لكني سكت، فلما صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، فبابي هو وامي، ما رايت معلما قبله ولا بعده احسن تعليما منه، فوالله ما كهرني، ولا ضربني، ولا شتمني . قال: « ان هذه الصلاة لا يصلح فيها شيء من كلام الناس، انما هي التسبيح والتكبير، وقراءة القران »، او كما قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قلت: يا رسول الله صلى الله عليه وسلم، اني حديث عهد بجاهلية، وقد جاء الله بالاسلام، وان منا رجالا ياتون الكهان؟ قال: فلا تاتهم . قلت: ومنا رجال يتطيرون ؟ قال: ذاك شيء يجدونه في صدورهم فلا يصدنهم . رواه مسلم

(91) Chapter: Brevity in Preaching


Mu'awiyah bin Al-Hakam As-Sulami (May Allah be pleased with him) reported:
While I was in Salat with Messenger of Allah (ﷺ), a man in the congregation sneezed and I responded with: 'Yarhamuk-Allah (Allah have mercy on you).' The people stared at me with disapproving looks. So I said: "May my mother lose me. Why are you staring at me?" Thereupon, they began to strike their thighs with their hands. When I saw them urging to me to remain silent, I became angry but restrained myself. When Messenger of Allah (ﷺ) concluded his Salat. I have never before seen an instructor who gave better instruction than he, may my father and mother be sacrificed for him. He neither remonstrated me, nor beat me, nor abused me. He simply said,"It is not permissible to talk during Salat because it consists of glorifying Allah, declaring His Greatness as well as recitation of the Qur'an," or he said words to that effect." I said: "O Allah's Messenger, I have but recently accepted Islam, and Allah has favoured us with Islam. There are still some people among us who go to consult soothsayers." He said, "Do not consult them." Then I said: "There are some of us who are guided by omens." He said, "These things which come to their minds. They should not be influenced by them."

(Muslim).

Commentary: This Hadith emphasizes four points. Firstly, as no talk is allowed in Salat (prayer), nobody can utter benedictory words for a sneezer either. Secondly, this Hadith throws light on the Prophet's way of imparting moral instruction to others. He would prudently enlighten ignorant people on Islam, avoiding to express his resentment over their lapses which simply betrayed their lack of knowledge. This has a lesson for `Ulama' and preachers. Thirdly, Muslims are prohibited from consulting soothsayers. Fourthly, belief in bad omens is also prohibited. Divinations and presages were the popular fallacies of Arabs in the pre-Islamic epoch. Islam abolished them. Yet, once again these absurdities have caught the fancy of ignorant Muslims. May Allah guide them!


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন)
১/ শিষ্টাচার (كتاب الأدب)