৮০

পরিচ্ছেদঃ আখেরাতে মুমিনগণ রবের দর্শন লাভ করবে

৮০. আবূ যুবায়ের থেকে বর্ণিত, তিনি জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে শুনেছেন, তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ’ওরুদ’ (বা জাহান্নামে নামা) সম্পর্কে, তিনি বলেন: আমরা কিয়ামতের দিন অমুক অমুক স্থান থেকে হাজির হব, দেখ অর্থাৎ মানুষের ওপরে, তিনি বলেন: লোকদেরকে তাদের মূর্তিসহ ডাকা হবে এবং তারা যার ইবাদত করত। প্রথম অতঃপর প্রথম ধারাবাহিকভাবে, অতঃপর আমাদের রব আসবেন এবং বলবেন: তোমরা কার অপেক্ষা করছ? তারা বলবেন: আমরা আমাদের রবের অপেক্ষা করছি, তিনি বলবেন: আমি তোমাদের রব, তারা বলবে: যতক্ষণ না আমরা আপনাকে দেখব, ফলে তিনি তাদের সামনে জাহির হবেন সহাস্যে”। রাসূল বলেন: “অতঃপর তিনি তাদের নিয়ে চলবেন, তারাও তার অনুসরণ করবে। তাদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে নূর দেয়া হবে, কি মুনাফিক কি মুমিন, অতঃপর তারা তার অনুসরণ করবে, জাহান্নামের পুলে থাকবে হুক ও বড়শিসমূহ, সেগুলো পাকড়াও করবে আল্লাহ যাকে চাইবেন তাকে, অতঃপর আল্লাহ তা’আলা মুনাফিকদের নূর নিভিয়ে দিবেন, মুমিনগণ নাজাত পাবে, প্রথম দলটি নাজাত পাবে তাদের চেহারা হবে চৌদ্দ তারিখের চাঁদের ন্যায়, শত্তুর হাজার এমন হবে যাদের কোন হিসাব নেয়া হবে না। অতঃপর তাদের পরবর্তীরা হবে আসমানের সবচেয়ে উজ্জল তারকার ন্যায়, অতঃপর অনুরূপ, অতঃপর সুপারিশ আরম্ভ হবে এবং তারা সুপারিশ করবে, অবশেষে যে لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ বলেছে এবং যার অন্তরে গমের ওজন পরিমাণ কল্যাণ ছিল সেও জাহান্নাম থেকে বের হবে। তাদেরকে জান্নাতের বারান্দায় রাখা হবে, জান্নাতিরা তাদের ওপর পানি ঢালতে থাকবে, অবশেষে তারা পানি প্রবাহের স্থানে শস্য গজানোর ন্যায় বেড়ে উঠবে, তাদের পোড়াদাগ চলে যাবে, অতঃপর প্রার্থনা করা হবে, এমনকি তাকে দুনিয়া ও দুনিয়ার সমান দশগুণ দেয়া হবে”। [মুসলিম ও আহমদ] হাদিসটি মওকুফ ও সহিহ।

80- عَنْ أبي الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ -رضي الله عنه- يُسْأَلُ عَنْ الْوُرُودِ فَقَالَ: «نَجِيءُ نَحْنُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَنْ كَذَا وَكَذَا انْظُرْ أَيْ ذَلِكَ فَوْقَ النَّاسِ، قَالَ: فَتُدْعَى الْأُمَمُ بِأَوْثَانِهَا وَمَا كَانَتْ تَعْبُدُ، الْأَوَّلُ فَالْأَوَّلُ ثُمَّ يَأْتِينَا رَبُّنَا بَعْدَ ذَلِكَ فَيَقُولُ: مَنْ تَنْظُرُونَ؟ فَيَقُولُونَ: نَنْظُرُ رَبَّنَا فَيَقُولُ: أَنَا رَبُّكُمْ فَيَقُولُونَ: حَتَّى نَنْظُرَ إِلَيْكَ فَيَتَجَلَّى لَهُمْ يَضْحَكُ». قَال:َ «فَيَنْطَلِقُ بِهِمْ وَيَتَّبِعُونَهُ، وَيُعْطَى كُلُّ إِنْسَانٍ مِنْهُمْ -مُنَافِقٍ أَوْ مُؤْمِنٍ- نُورًا ثُمَّ يَتَّبِعُونَهُ، وَعَلَى جِسْرِ جَهَنَّمَ كَلَالِيبُ وَحَسَكٌ تَأْخُذُ مَنْ شَاءَ اللَّهُ ثُمَّ يُطْفَأُ نُورُ الْمُنَافِقِينَ، ثُمَّ يَنْجُو الْمُؤْمِنُونَ فَتَنْجُو أَوَّلُ زُمْرَةٍ وُجُوهُهُمْ كَالْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْر،ِ سَبْعُونَ أَلْفًا لَا يُحَاسَبُونَ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ كَأَضْوَإِ نَجْمٍ فِي السَّمَاءِ، ثُمَّ كَذَلِكَ ثُمَّ تَحِلُّ الشَّفَاعَةُ، وَيَشْفَعُونَ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ النَّارِ مَنْ قَالَ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَكَانَ فِي قَلْبِهِ مِنْ الْخَيْرِ مَا يَزِنُ شَعِيرَةً، فَيُجْعَلُونَ بِفِنَاءِ الْجَنَّةِ، وَيَجْعَلُ أَهْلُ الْجَنَّةِ يَرُشُّونَ عَلَيْهِمْ الْمَاءَ حَتَّى يَنْبُتُوا نَبَاتَ الشَّيْءِ فِي السَّيْلِ وَيَذْهَبُ حُرَاقُهُ ثُمَّ يَسْأَلُ حَتَّى تُجْعَلَ لَهُ الدُّنْيَا وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهَا مَعَهَا» . ( م, حم ) موقوف صحيح

80- عن ابي الزبير انه سمع جابر بن عبد الله -رضي الله عنه- يسال عن الورود فقال: «نجيء نحن يوم القيامة عن كذا وكذا انظر اي ذلك فوق الناس، قال: فتدعى الامم باوثانها وما كانت تعبد، الاول فالاول ثم ياتينا ربنا بعد ذلك فيقول: من تنظرون؟ فيقولون: ننظر ربنا فيقول: انا ربكم فيقولون: حتى ننظر اليك فيتجلى لهم يضحك». قال: «فينطلق بهم ويتبعونه، ويعطى كل انسان منهم -منافق او مومن- نورا ثم يتبعونه، وعلى جسر جهنم كلاليب وحسك تاخذ من شاء الله ثم يطفا نور المنافقين، ثم ينجو المومنون فتنجو اول زمرة وجوههم كالقمر ليلة البدر، سبعون الفا لا يحاسبون ثم الذين يلونهم كاضوا نجم في السماء، ثم كذلك ثم تحل الشفاعة، ويشفعون حتى يخرج من النار من قال: لا اله الا الله وكان في قلبه من الخير ما يزن شعيرة، فيجعلون بفناء الجنة، ويجعل اهل الجنة يرشون عليهم الماء حتى ينبتوا نبات الشيء في السيل ويذهب حراقه ثم يسال حتى تجعل له الدنيا وعشرة امثالها معها» . ( م, حم ) موقوف صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ হাদিসে কুদসি
১/ বিবিধ হাদিসসমূহ