৭৯

পরিচ্ছেদঃ আখেরাতে মুমিনগণ রবের দর্শন লাভ করবে

৭৯. আবূ সায়িদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল কিয়ামতের দিন আমরা কি আমাদের রবকে দেখব? তিনি বলেন: “তোমরা কি সূর্য ও চাঁদ দেখায় সন্দেহ কর যখন আসমান পরিষ্কার থাকে?”, আমরা বললাম: না, তিনি বললেন: “নিশ্চয় সেদিন তোমরা তোমাদের রবকে দেখায় সন্দেহ করবে না, যেমন চাঁদ-সূর্য উভয়কে দেখায় সন্দেহ কর না”। অতঃপর বললেন: “একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবে: প্রত্যেক সম্প্রদায় যেন তার নিকট যায়, যার তারা ইবাদত করত, ক্রুসের অনুসারীরা তাদের ক্রুসের সাথে যাবে; মূর্তিপূজকরা তাদের মূর্তির সাথে যাবে; এবং প্রত্যেক মাবুদের ইবাদতকারীরা তাদের মাবুদের সাথে যাবে। অবশেষে আল্লাহকে ইবাদতকারী নেককার অথবা বদকার লোকেরা অবশিষ্ট থাকবে এবং কতক কিতাবি, অতঃপর জাহান্নাম হাজির করা হবে যেন তা মরীচিকা। অতঃপর ইহুদিদের বলা হবে: তোমরা কার ইবাদত করতে? তারা বলবে: আমরা আল্লাহর ছেলে উযাইর এর ইবাদত করতাম, অতঃপর তাদেরকে বলা হবে: তোমরা মিথ্যা বলেছ, আল্লাহর কোন স্ত্রী ও সন্তান নেই, তোমরা কি চাও? তারা বলবে: আমরা চাই আমাদেরকে পানি পান করান, বলা হবে: তোমরা পান কর, ফলে তারা জাহান্নামে ছিটকে পড়বে। অতঃপর খৃস্টানদের বলা হবে: তোমরা কার ইবাদত করতে? তারা বলবে: আমরা আল্লাহর ছেলে ঈসার ইবাদত করতাম, বলা হবে: তোমরা মিথ্যা বলেছ, আল্লাহর কোন স্ত্রী ও সন্তান নেই, তোমরা কি চাও? তারা বলবে: আমরা চাই আমাদের পানি পান করান। বলা হবে: পান কর, ফলে তারা জাহান্নামে ছিটকে পড়বে, অবশেষে আল্লাহকে ইবাদতকারী নেককার ও বদকার অবশিষ্ট থাকবে, তাদেরকে বলা হবে: কে তোমাদেরকে আটকে রেখেছে অথচ লোকেরা চলে গেছে? তারা বলবে: আমরা তাদেরকে (দুনিয়াতে) ত্যাগ করেছি, আজ আমরা তার (আমাদের রবের) বেশী মুখাপেক্ষী, আমরা এক ঘোষণাকারীকে ঘোষণা করতে শুনেছি: প্রত্যেক কওম যেন তার সাথেই মিলিত হয়, যার তারা ইবাদত করত, তাই আমরা আমাদের রবের অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন: অতঃপর আল্লাহ তাদের নিকট আসবেন ভিন্ন সুরুতে, যে সুরুতে প্রথমবার তারা তাকে দেখেনি। তিনি বলবেন: আমি তোমাদের রব। তারা বলবে: আপনি আমাদের রব, নবীগণ ব্যতীত তার সাথে কেউ কথা বলবে না। তিনি বলবেন: তোমাদের ও তার মাঝে কোন নিদর্শন আছে যা তোমরা চিন? তারা বলবে: পায়ের গোছা, ফলে তিনি তার গোছা উন্মুক্ত করবেন, প্রত্যেক মুমিন তাকে সেজদা করবে, তবে যে লোকদেখানো কিংবা লোকদের শোনানোর জন্য সেজদা করত সে অবশিষ্ট থাকবে। সে সেজদা করতে চাইবে কিন্তু তার পিঠ উল্টো সোজা খাড়া হয়ে যাবে। অতঃপর পুল আনা হবে এবং তা জাহান্নামের ওপর রাখা হবে। আমরা বললাম: হে আল্লাহর রাসূল পুল কি? তিনি বললেন: পদস্খলনের স্থান, তার ওপর রয়েছে ছো মারা হুক, পেরেক, বিশাল বড়শি যার রয়েছে বড় কাঁটা যেরূপ নজদ এলাকায় হয়, যা সা’দান বলা হয়। তার ওপর দিয়ে মুমিনগণ চোখের পলক, বিদ্যুৎ, বাতাস, শক্তিশালী ঘোড়া ও পায়দল চলার ন্যায় পার হবে, কেউ নিরাপদে নাজাত পাবে, কেউ ক্ষতবিক্ষত হয়ে নাজাত পাবে এবং কেউ জাহান্নামে নিক্ষেপ হবে, অবশেষে যখন তাদের সর্বশেষ ব্যক্তি অতিক্রম করবে তখন তাকে টেনে হিছড়ে পার করা হবে। আর কোন সত্য বিষয়ে তোমরা আমার নিকট এতটা পীড়াপীড়ি কর না, -তোমাদের নিকট যা স্পষ্ট হয়েছে- মুমিনগণ সেদিন আল্লাহর নিকট যতটা পীড়াপীড়ি করবে, যখন দেখবে যে তাদের ভাইদের মধ্যে শুধু তারাই নাজাত পেয়েছে, তারা বলবে: হে আমাদের রব, আমাদের ভাইয়েরা আমাদের সাথে সালাত আদায় করত, আমাদের সাথে সিয়াম পালন করত এবং আমাদের সাথে আমল করত। আল্লাহ তা’আলা বলবেন: যাও যার অন্তরে তোমরা দিনার পরিমাণ ঈমান দেখ তাকে বের কর। আল্লাহ তাদের আকৃতিকে জাহান্নামের জন্য হারাম করে দিবেন। তারা তাদের নিকট আসবে, তাদের কেউ পা পর্যন্ত অদৃশ্য হয়ে গেছে, কেউ গোছার অর্ধেক পর্যন্ত, তারা যাদেরকে চিনবে বের করে আনবে। অতঃপর ফিরে আসবে, আল্লাহ বলবেন: যাও, যার অন্তরে তোমরা অর্ধেক দিনার পরিমাণ ঈমান দেখ তাকে বের কর, তারা যাকে চিনবে বের করে আনবে। অতঃপর ফিরে আসবে, আল্লাহ বলবেন: যাও যার অন্তরে তোমরা অণু পরিমাণ ঈমান দেখ তাকে বের কর, ফলে তারা যাকে চিনবে বের করবে”। আবূ সায়িদ বলেন: যদি তোমরা আমাকে সত্য জ্ঞান না কর, তাহলে পড়:

﴿ إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا ٤٠ ﴾ [النساء : ٤٠]

“নিশ্চয় আল্লাহ অণু পরিমাণও যুলম করেন না। ‎আর যদি সেটি ভাল কাজ হয়, তিনি তাকে দ্বিগুণ ‎করে দেন এবং তাঁর পক্ষ থেকে মহা প্রতিদান ‎প্রদান করেন”।‎[1] অতঃপর নবী, ফেরেশতা ও মুমিনগণ সুপারিশ করবেন। আল্লাহ বলবেন: আমার সুপারিশ বাকি রয়েছে, অতঃপর জাহান্নাম থেকে এক মুষ্টি গ্রহণ করবেন, ফলে এমন লোক বের করবেন যারা জ্বলে গিয়েছে, তাদেরকে জান্নাতের দরজার নিকট অবস্থিত নহরে নিক্ষেপ করা হবে, যাকে বলা হয় সঞ্জীবনী পানি, ফলে তার দু’পাশে গজিয়ে উঠবে যেমন প্রবাহিত পানির উর্বর মাটিতে শস্য গজিয়ে উঠে, যা তোমরা দেখেছ পাথর ও গাছের পাশে, তার থেকে যা সূর্যের দিকে তা সবুজ এবং যা ছায়ার আড়ালে তা সাদা, অতঃপর তারা মুক্তোর ন্যায় বের হবে। অতঃপর তাদের গর্দানে সীলমোহর দয়া হবে, অতঃপর তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে, জান্নাতিরা বলবে: তারা হচ্ছে রহমানের নাজাতপ্রাপ্ত, তাদেরকে তিনি জান্নাতে প্রবেশ করিয়েছেন কোন আমলের বিনিময়ে নয়, যা তারা করেছে, বা কোন কল্যাণের বিনিময়ে নয় যা তারা অগ্রে প্রেরণ করেছে। অতঃপর তাদেরকে বলা হবে: তোমাদের জন্য তোমরা যা দেখেছ তা এবং তার সাথে তার অনুরূপ”। [বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।

79- عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ- قَال: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ نَرَى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ؟ قَالَ: «هَلْ تُضَارُونَ فِي رُؤْيَةِ الشَّمْسِ وَالْقَمَرِ إِذَا كَانَتْ صَحْوًا؟» قُلْنَا: لَا. قَالَ: «فَإِنَّكُمْ لَا تُضَارُونَ فِي رُؤْيَةِ رَبِّكُمْ يَوْمَئِذٍ إِلَّا كَمَا تُضَارُونَ فِي رُؤْيَتِهِمَا» ثُمَّ قَالَ: «يُنَادِي مُنَادٍ: لِيَذْهَبْ كُلُّ قَوْمٍ إِلَى مَا كَانُوا يَعْبُدُونَ؛ فَيَذْهَبُ أَصْحَابُ الصَّلِيبِ مَعَ صَلِيبِهِمْ، وَأَصْحَابُ الْأَوْثَانِ مَعَ أَوْثَانِهِمْ، وَأَصْحَابُ كُلِّ آلِهَةٍ مَعَ آلِهَتِهِم،ْ حَتَّى يَبْقَى مَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ مِنْ بَرٍّ أَوْ فَاجِرٍ وَغُبَّرَاتٌ مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ، ثُمَّ يُؤْتَى بِجَهَنَّمَ تُعْرَضُ كَأَنَّهَا سَرَابٌ فَيُقَالُ لِلْيَهُودِ: مَا كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ؟ قَالُوا: كُنَّا نَعْبُدُ عُزَيْرًا ابْنَ اللَّهِ فَيُقَال:ُ كَذَبْتُمْ لَمْ يَكُنْ لِلَّهِ صَاحِبَةٌ وَلَا وَلَدٌ فَمَا تُرِيدُونَ؟ قَالُوا: نُرِيدُ أَنْ تَسْقِيَنَا فَيُقَالُ: اشْرَبُوا فَيَتَسَاقَطُونَ فِي جَهَنَّمَ، ثُمَّ يُقَالُ: لِلنَّصَارَى مَا كُنْتُمْ تَعْبُدُونَ؟ فَيَقُولُونَ: كُنَّا نَعْبُدُ الْمَسِيحَ ابْنَ اللَّهِ فَيُقَالُ: كَذَبْتُمْ لَمْ يَكُنْ لِلَّهِ صَاحِبَةٌ وَلَا وَلَدٌ فَمَا تُرِيدُونَ؟ فَيَقُولُونَ: نُرِيدُ أَنْ تَسْقِيَنَا فَيُقَالُ: اشْرَبُوا، فَيَتَسَاقَطُونَ فِي جَهَنَّمَ حَتَّى يَبْقَى مَنْ كَانَ يَعْبُدُ اللَّهَ مِنْ بَرٍّ أَوْ فَاجِرٍ فَيُقَالُ لَهُمْ: مَا يَحْبِسُكُمْ وَقَدْ ذَهَبَ النَّاسُ فَيَقُولُونَ: فَارَقْنَاهُمْ وَنَحْنُ أَحْوَجُ مِنَّا إِلَيْهِ الْيَوْمَ، وَإِنَّا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي: لِيَلْحَقْ كُلُّ قَوْمٍ بِمَا كَانُوا يَعْبُدُونَ، وَإِنَّمَا نَنْتَظِرُ رَبَّنَا قَالَ: فَيَأْتِيهِمْ الْجَبَّارُ فِي صُورَةٍ غَيْرِ صُورَتِهِ الَّتِي رَأَوْهُ فِيهَا أَوَّلَ مَرَّةٍ، فَيَقُولُ: أَنَا رَبُّكُمْ، فَيَقُولُون:َ أَنْتَ رَبُّنَا فَلَا يُكَلِّمُهُ إِلَّا الْأَنْبِيَاءُ، فَيَقُولُ: هَلْ بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهُ آيَةٌ تَعْرِفُونَهُ؟ فَيَقُولُونَ: السَّاقُ فَيَكْشِفُ عَنْ سَاقِهِ فَيَسْجُدُ لَهُ كُلُّ مُؤْمِن،ٍ وَيَبْقَى مَنْ كَانَ يَسْجُدُ لِلَّهِ رِيَاءً وَسُمْعَةً فَيَذْهَبُ كَيْمَا يَسْجُدَ فَيَعُودُ ظهْرُهُ طبَقًا واحِدًا ثُمَّ يُؤْتَى بِالْجَسْرِ فَيُجْعَلُ بَيْنَ ظَهْرَيْ جَهَنَّمَ» قُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا الْجَسْرُ؟ قَالَ: «مَدْحَضَةٌ مَزِلَّةٌ عَلَيْهِ خَطَاطِيفُ وَكَلَالِيبُ وَحَسَكَةٌ مُفَلْطَحَةٌ لَهَا شَوْكَةٌ عُقَيْفَاءُ تَكُونُ بِنَجْدٍ يُقَالُ لَهَا: السَّعْدَانُ، الْمُؤْمِنُ عَلَيْهَا كَالطَّرْفِ وَكَالْبَرْقِ وَكَالرِّيحِ وَكَأَجَاوِيدِ الْخَيْلِ وَالرِّكَابِ فَنَاجٍ مُسَلَّمٌ، وَنَاجٍ مَخْدُوشٌ، وَمَكْدُوسٌ فِي نَارِ جَهَنَّمَ، حَتَّى يَمُرَّ آخِرُهُمْ يُسْحَبُ سَحْبًا فَمَا أَنْتُمْ بِأَشَدَّ لِي مُنَاشَدَةً فِي الْحَقِّ- قَدْ تَبَيَّنَ لَكُمْ- مِنْ الْمُؤْمِنِ يَوْمَئِذٍ لِلْجَبَّارِ، وَإِذَا رَأَوْا أَنَّهُمْ قَدْ نَجَوْا فِي إِخْوَانِهِمْ، يَقُولُون:َ رَبَّنَا إِخْوَانُنَا كَانُوا يُصَلُّونَ مَعَنَا وَيَصُومُونَ مَعَنَا، وَيَعْمَلُونَ مَعَنَا، فَيَقُولُ اللَّهُ تَعَالَى: اذْهَبُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ دِينَارٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجُوهُ، وَيُحَرِّمُ اللَّهُ صُوَرَهُمْ عَلَى النَّار،ِ فَيَأْتُونَهُمْ وَبَعْضُهُمْ قَدْ غَابَ فِي النَّارِ إِلَى قَدَمِهِ، وَإِلَى أَنْصَافِ سَاقَيْهِ، فَيُخْرِجُونَ مَنْ عَرَفُوا ثُمَّ يَعُودُونَ فَيَقُولُ اذْهَبُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ نِصْفِ دِينَارٍ فَأَخْرِجُوهُ فَيُخْرِجُونَ مَنْ عَرَفُوا ثُمَّ يَعُودُونَ، فَيَقُولُ: اذْهَبُوا فَمَنْ وَجَدْتُمْ فِي قَلْبِهِ مِثْقَالَ ذَرَّةٍ مِنْ إِيمَانٍ فَأَخْرِجُوهُ فَيُخْرِجُونَ مَنْ عَرَفُوا» قَالَ أَبُو سَعِيدٍ: فَإِنْ لَمْ تُصَدِّقُونِي فَاقْرَءُوا: ﴿إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَظۡلِمُ مِثۡقَالَ ذَرَّةٖۖ وَإِن تَكُ حَسَنَةٗ يُضَٰعِفۡهَا﴾ فَيَشْفَعُ النَّبِيُّونَ وَالْمَلَائِكَةُ وَالْمُؤْمِنُونَ فَيَقُولُ الْجَبَّارُ: بَقِيَتْ شَفَاعَتِي فَيَقْبِضُ قَبْضَةً مِنْ النَّارِ فَيُخْرِجُ أَقْوَامًا قَدْ امْتُحِشُوا فَيُلْقَوْنَ فِي نَهَرٍ بِأَفْوَاهِ الْجَنَّةِ، يُقَالُ لَهُ: مَاءُ الْحَيَاةِ؛ فَيَنْبُتُونَ فِي حَافَتَيْهِ كَمَا تَنْبُتُ الْحِبَّةُ فِي حَمِيلِ السَّيْلِ قَدْ رَأَيْتُمُوهَا إِلَى جَانِبِ الصَّخْرَةِ وَإِلَى جَانِبِ الشَّجَرَةِ، فَمَا كَانَ إِلَى الشَّمْسِ مِنْهَا كَانَ أَخْضَرَ، وَمَا كَانَ مِنْهَا إِلَى الظِّلِّ كَانَ أَبْيَضَ، فَيَخْرُجُونَ كَأَنَّهُمْ اللُّؤْلُؤُ فَيُجْعَلُ فِي رِقَابِهِمْ الْخَوَاتِيمُ فَيَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ فَيَقُولُ أَهْلُ الْجَنَّةِ: هَؤُلَاءِ عُتَقَاءُ الرَّحْمَنِ أَدْخَلَهُمْ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ عَمَلٍ عَمِلُوهُ وَلَا خَيْرٍ قَدَّمُوهُ، فَيُقَالُ لَهُمْ: لَكُمْ مَا رَأَيْتُمْ وَمِثْلَهُ مَعَهُ». ( خ, م ) صحيح

79- عن ابي سعيد الخدري -رضي الله عنه- قال: قلنا يا رسول الله هل نرى ربنا يوم القيامة؟ قال: «هل تضارون في روية الشمس والقمر اذا كانت صحوا؟» قلنا: لا. قال: «فانكم لا تضارون في روية ربكم يومىذ الا كما تضارون في رويتهما» ثم قال: «ينادي مناد: ليذهب كل قوم الى ما كانوا يعبدون؛ فيذهب اصحاب الصليب مع صليبهم، واصحاب الاوثان مع اوثانهم، واصحاب كل الهة مع الهتهم، حتى يبقى من كان يعبد الله من بر او فاجر وغبرات من اهل الكتاب، ثم يوتى بجهنم تعرض كانها سراب فيقال لليهود: ما كنتم تعبدون؟ قالوا: كنا نعبد عزيرا ابن الله فيقال: كذبتم لم يكن لله صاحبة ولا ولد فما تريدون؟ قالوا: نريد ان تسقينا فيقال: اشربوا فيتساقطون في جهنم، ثم يقال: للنصارى ما كنتم تعبدون؟ فيقولون: كنا نعبد المسيح ابن الله فيقال: كذبتم لم يكن لله صاحبة ولا ولد فما تريدون؟ فيقولون: نريد ان تسقينا فيقال: اشربوا، فيتساقطون في جهنم حتى يبقى من كان يعبد الله من بر او فاجر فيقال لهم: ما يحبسكم وقد ذهب الناس فيقولون: فارقناهم ونحن احوج منا اليه اليوم، وانا سمعنا مناديا ينادي: ليلحق كل قوم بما كانوا يعبدون، وانما ننتظر ربنا قال: فياتيهم الجبار في صورة غير صورته التي راوه فيها اول مرة، فيقول: انا ربكم، فيقولون: انت ربنا فلا يكلمه الا الانبياء، فيقول: هل بينكم وبينه اية تعرفونه؟ فيقولون: الساق فيكشف عن ساقه فيسجد له كل مومن، ويبقى من كان يسجد لله رياء وسمعة فيذهب كيما يسجد فيعود ظهره طبقا واحدا ثم يوتى بالجسر فيجعل بين ظهري جهنم» قلنا: يا رسول الله وما الجسر؟ قال: «مدحضة مزلة عليه خطاطيف وكلاليب وحسكة مفلطحة لها شوكة عقيفاء تكون بنجد يقال لها: السعدان، المومن عليها كالطرف وكالبرق وكالريح وكاجاويد الخيل والركاب فناج مسلم، وناج مخدوش، ومكدوس في نار جهنم، حتى يمر اخرهم يسحب سحبا فما انتم باشد لي مناشدة في الحق- قد تبين لكم- من المومن يومىذ للجبار، واذا راوا انهم قد نجوا في اخوانهم، يقولون: ربنا اخواننا كانوا يصلون معنا ويصومون معنا، ويعملون معنا، فيقول الله تعالى: اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال دينار من ايمان فاخرجوه، ويحرم الله صورهم على النار، فياتونهم وبعضهم قد غاب في النار الى قدمه، والى انصاف ساقيه، فيخرجون من عرفوا ثم يعودون فيقول اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال نصف دينار فاخرجوه فيخرجون من عرفوا ثم يعودون، فيقول: اذهبوا فمن وجدتم في قلبه مثقال ذرة من ايمان فاخرجوه فيخرجون من عرفوا» قال ابو سعيد: فان لم تصدقوني فاقرءوا: ﴿ان الله لا يظلم مثقال ذرةٖ وان تك حسنةٗ يضعفها﴾ فيشفع النبيون والملاىكة والمومنون فيقول الجبار: بقيت شفاعتي فيقبض قبضة من النار فيخرج اقواما قد امتحشوا فيلقون في نهر بافواه الجنة، يقال له: ماء الحياة؛ فينبتون في حافتيه كما تنبت الحبة في حميل السيل قد رايتموها الى جانب الصخرة والى جانب الشجرة، فما كان الى الشمس منها كان اخضر، وما كان منها الى الظل كان ابيض، فيخرجون كانهم اللولو فيجعل في رقابهم الخواتيم فيدخلون الجنة فيقول اهل الجنة: هولاء عتقاء الرحمن ادخلهم الجنة بغير عمل عملوه ولا خير قدموه، فيقال لهم: لكم ما رايتم ومثله معه». ( خ, م ) صحيح

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ হাদিসে কুদসি
১/ বিবিধ হাদিসসমূহ