পরিচ্ছেদঃ ৩৪৬. বিতিরের নামাযে দু'আ কুনুত পাঠ সম্পর্কে।
১৪২৫. কুতায়বা ইবন সাঈদ ও আহমাদ ইবন জাওয়াস আল্-হানাফী (রহঃ) ..... আবুল হাওরা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হাসান ইবন আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আমাকে কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিয়েছেন, যা আমি বিতিরের নামাযে পাঠ করি। রাবী ইবন জাওয়াসের বর্ণনায় আছে “বিতিরের দুআ কুনূতে পড়ে থাকি”। তা হলঃ “আল্লহুমা ইহদিনী ফীমান হাদায়তা ওয়া আফিনী ফীমান আফায়তা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়া বারিকলী ফীমা আতায়তা ওয়াকিনী শাররা মা কাদায়তা, ইন্নাকা তাকদী ওয়ালা য়ুকদা আলায়কা ওয়াইন্নাহু লায়াযিল্লু মান ওয়ালায়তা ওলা য়াইযযু মান আদায়তা তাবারাকতা রব্বানা ওয়া তাআলাইতা। (তিরমিযী, নাসাঈ, ইবন মাজা)।
باب الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ جَوَّاسٍ الْحَنَفِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عنهما عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ قَالَ ابْنُ جَوَّاسٍ فِي قُنُوتِ الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " .
Narrated Al-Hasan ibn Ali:
The Messenger of Allah (ﷺ) taught me some words that I say during the witr. (The version of Ibn Jawwas has: I say them in the supplication of the witr.) They were: "O Allah, guide me among those Thou hast guided, grant me security among those Thou hast granted security, take me into Thy charge among those Thou hast taken into Thy charge, bless me in what Thou hast given, guard me from the evil of what Thou hast decreed, for Thou dost decree, and nothing is decreed for Thee. He whom Thou befriendest is not humbled. Blessed and Exalted art Thou, our Lord."
পরিচ্ছেদঃ ৫০. সন্দেহযুক্ত বস্তু ত্যাগের প্রতি উৎসাহ দান
৫৭১১. মুহাম্মদ ইব্ন আবান (রহঃ) ... আবুল হাওরা সাদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান ইব্ন আলী (রাঃ)-এর নিকট জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কোন কথা স্মরণ রেখেছেন? তিনি বললেনঃ আমি তার থেকে স্মরণ রেখেছি, যা তোমাকে সন্দেহে নিপতিত করে, তা পরিত্যাগ করবে। আর যাতে কোন সন্দেহ নেই তা-ই করবে।
الْحَثُّ عَلَى تَرْكِ الشُّبُهَاتِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعْبَةُ عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْديِّ قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا مَا حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حَفِظْتُ مِنْهُ دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لَا يَرِيبُكَ
It was narrated that Abu Al-Hawra' As-Sa'di said:
"I said to Al-Hasan bin 'Ali, may Allah be pleased with him: 'What did you memorize from the Messenger of Allah [SAW]?' He said: I memorized from him: 'Leave that which makes you doubt for that which does not make you doubt.'
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
২৫২০. আবূ মূসা আনসারী (রহঃ) .... আবুল হাওরা সা’দী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি হাসান ইবন আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বললামঃ আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কি কি বিষয় স্মরণ রেখেছেন? তিনি বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্মরণ রেখেছি যে, যাতে তোমার দ্বিধা আছে তা পরিত্যাগ করে যাতে তোমার দ্বিধা নাই তা গ্রহণ কর। সত্য হল প্রশান্তি আর মিথ্যা হল দ্বিধা।
সহীহ, ইরওয়া ১২,২০৭৪, আযাযিল ১৭৯, আর রাওযুন নাযীর ১২৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটিতে আরো বর্ণনা রয়েছে, হাদীসটি সহীহ। আবুল হাওরা সা’দী (রহঃ) এর নাম হল রাবীআ ইবন শায়বান। মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... বুরায়দ (রহঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
بَابٌ
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ مَا حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيبَةٌ " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ وَأَبُو الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُرَيْدٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Al-Hasan bin 'Ali said:
"I remember that the Messenger of Allah (s.a.w) said: 'Leave what makes you in doubt for what does not make you in doubt. The truth brings tranquility while falsehood sows doubt.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০. বিতর নামাযে দু’আ কুনুত পাঠ করা
৪৬৪। আবুল হাওরা (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, হাসান ইবনু ’আলী (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কয়েকটি বাক্য শিখিয়ে দিয়েছেন। এগুলো আমি বিতরের নামাযে পাঠ করে থাকিঃ
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
“হে আল্লাহ! যাদেরকে তুমি হিদায়াত করেছো আমাকেও তাদের সাথে হিদায়াত কর, যাদের প্রতি উদারতা দেখিয়েছ তুমি তাদের সাথে আমার প্রতিও উদারতা দেখাও। তুমি যাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছ তাদের সাথে আমার অভিভাবকত্বও গ্রহণ কর। তুমি আমাকে যা দান করেছ তার মধ্যে বারকাত দাও। তোমার নির্ধারিত খারাবি হতে আমাকে রক্ষা কর। কেননা তুমিই নির্দেশ দিতে পার, তোমার উপর কারো নির্দেশ চলে না। যাকে তুমি বন্ধু ভেবেছ সে কখনও অপমানিত হয় না। তুমি কল্যাণময়, তুমি সুউচ্চ”। সহীহ। ইরওয়া— (৪২৯), মিশকাত— (১২৭৩), তা’লীক আলা-ইবনু খুজাইমাহ– (১০৯৫), সহীহ আবু দাউদ- (১৪২৫)।
এ অনুচ্ছেদে আলী (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবু ঈসা বলেনঃ এটি হাসান হাদীস। আবুল হাওরার সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা এ হাদীসটি জানতে পারিনি। আবুল হাওরার নাম বার’আহ ইবনু শাইবান।
বিতরে দু’আ কুনুতের ব্যাপারে উল্লেখিত হাদীসের চেয়ে বেশি ভাল হাদীস আমাদের জানা নেই। বিতরের কুনুতের ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতের অমিল রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) বলেছেন, সারা বছর (প্রতি রাতে) বিতরের নামাযে কুনুত পাঠ করতে হবে। তিনি রুকূ করার পূর্বে কুনূত পাঠ করা পছন্দ করেছেন। কিছু বিশেষজ্ঞের এটাই মত। সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, ইসহাক এবং কুফাবাসীগণও একইরকম মত দিয়েছেন। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি কেবল রামাযান মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই রুকূ করার পর কুনূত পাঠ করতেন, অন্য সময়ে কুনুত পাঠ করতেন না। কিছু বিশেষজ্ঞ এ মত দিয়েছেন। ইমাম শাফিঈ এবং আহমাদও এ কথাই বলেছেন।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। নামাজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে ও স্থানে দোয়া পাঠ করাকে কুনূতের দোয়া বলা হয়। বেতর নামাজে কুনূতের দোয়া পাঠ করার বিষয়টি আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] থেকে নির্ভরযোগ্য পন্থায় সাব্যস্ত হয় নি। তবে তিনি আল হাসান বিন আলী [রাদিয়াল্লাহু আনহুমা] কে বেতর নামাজের কুনূতে পাঠ করার জন্য এই দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন। তাই মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন বেতর নামাজে কুনূতের এই দোয়াটি কোনো কোনো সময় পাঠ করে।
২। বেতর নামাজের শেষ রাকাতে রুকূর পূর্বে অথবা রুকূ থেকে উঠার পর, উভয় অবস্থায় কুনূতের দোয়া পাঠ করা জায়েজ। কুনূতের দোয়াটি হলো এই যে,
"اَللَّهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قْضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ".
باب مَا جَاءَ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قَالَ الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ رضى الله عَنْهُمَا عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ " اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ وَاسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . وَلاَ نَعْرِفُ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ شَيْئًا أَحْسَنَ مِنْ هَذَا . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي الْقُنُوتِ فِي الْوِتْرِ فَرَأَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْقُنُوتَ فِي الْوِتْرِ فِي السَّنَةِ كُلِّهَا وَاخْتَارَ الْقُنُوتَ قَبْلَ الرُّكُوعِ . وَهُوَ قَوْلُ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَإِسْحَاقُ وَأَهْلُ الْكُوفَةِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَنَّهُ كَانَ لاَ يَقْنُتُ إِلاَّ فِي النِّصْفِ الآخِرِ مِنْ رَمَضَانَ وَكَانَ يَقْنُتُ بَعْدَ الرُّكُوعِ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَبِهِ يَقُولُ الشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ .
Al-Hasan bin Ali [may Allah be pleased with him] said:
"Allah's Messenger taught me some phrases to say during Al-Witr (Allahummahdini fiman hadait, wa a'fini fiman afait, wa tawallani fiman tawallait, wa barik Li fima atait, wa qini sharra ma qadait, fa Innaka taqdi wa la yuqda Alaik, wa innahu la yadhillu man walait, tabarakta Rabbana wa ta'alait.) 'O Allah guide me among those You have guided, pardon me among those You have pardoned, befriend me among those You have befriended, bless me in what You have granted, and save me from the evil that You decreed. Indeed You decree, and none can pass decree, and none can pass decree upon You, indeed he is not humiliated whom You have befriended, blessed are You our Lord and Exalted.'"
পরিচ্ছেদঃ ৬০. উট বাধো তারপর তাওয়াক্কুল (ভরসা) কর
২৫১৮। আবূল হাওরা আস-সাদী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাসান ইবনু আলী (রাঃ)-কে আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কোন কথাটা মনে রেখেছেন? তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এই কথাটি মনে রেখেছিঃ যে বিষয়ে তোমার সন্দেহ হয়, তা ছেড়ে দিয়ে যাতে সন্দেহের সম্ভাবনা নেই তা গ্রহণ কর। যেহেতু, সত্য হলো শান্তি ও স্বস্তি এবং মিথ্যা হলো দ্বিধা-সন্দেহ।
সহীহঃ ইরওয়াহ (১২, ২০৭৪), আযযিলাল (১৭৯), আর রাওযুন নায়ীর (১৫২)।
এ হাদীসটিতে আরো বক্তব্য আছে। আবূল হাওরা আস-সাদীর নাম রাবী’আহ ইবনু শাইবান। আবূ ঈসা বলেনঃ এই হাদীসটি সহীহ। বুনদার মুহাম্মাদ ইবনু জাফর হতে, তিনি শুবাহ হতে, তিনি বুরাইদ (রহঃ)-এর সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের সমার্থবোধক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُرَيْدِ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ، قَالَ قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ مَا حَفِظْتَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ حَفِظْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " دَعْ مَا يَرِيبُكَ إِلَى مَا لاَ يَرِيبُكَ فَإِنَّ الصِّدْقَ طُمَأْنِينَةٌ وَإِنَّ الْكَذِبَ رِيبَةٌ " . وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . قَالَ وَأَبُو الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيُّ اسْمُهُ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ بُرَيْدٍ، فَذَكَرَ نَحْوَهُ .
Al-Hasan bin 'Ali said:
"I remember that the Messenger of Allah (s.a.w) said: 'Leave what makes you in doubt for what does not make you in doubt. The truth brings tranquility while falsehood sows doubt.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫১: বিতরের সালাতে দুআ পড়া
১৭৪৫. কুতায়বাহ্ (রহ.) ..... আবুল হাওরা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হাসান (রাঃ) বলেছেন, রসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে কিছু বাক্য শিক্ষা দিয়েছিলেন যেগুলো আমি বিতরের কুনূতে পড়ে থাকি-
“আল্ল-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদায়তা ওয়া আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফায়তা ওয়াতা ওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লায়তা ওয়াবা-রিক লী ফীমা- আ’ত্বয়তা ওয়াকিনী শাররা মা- কযয়তা ইন্নাকা তাকযী ওয়ালাইউকযা- ‘আলায়কা ওয়া ইন্নাহু লা- ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লায়তা তাবা-রকতা রব্বানা- ওয়া তা'আ-লায়তা”
(হে আল্লাহ! তুমি যাদেরকে সুপথ দেখিয়েছো, আমাকেও তাদের মধ্যে গণ্য করে সুপথ দেখাও। যাদেরকে তুমি মাফ করেছে, আমাকেও তাদের মধ্যে গণ্য করে মাফ করে দাও, তুমি যাদের অভিভাবক হয়েছে, তাদের মধ্যে গণ্য করে আমারও অভিভাবক হয়ে যাও। তুমি আমাকে যা দান করেছে, তাতে বারাকাত দাও। তুমি যে ফায়সালা করে রেখেছে তার অনিষ্ট হতে আমাকে বাঁচাও। কেননা তুমি সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকো, তোমার বিরুদ্ধে কেউ সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তুমি যার সাথে বন্ধুত্ব রাখো, সে কোনদিন অপমানিত হয় না। আর তুমি যার সাথে দুশমনী কর, সে কোন দিন সম্মানিত হতে পারে না।)।
باب الدُّعَاءِ فِي الْوِتْرِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ بُرَيْدٍ، عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ، قَالَ: قَالَ الْحَسَنُ: عَلَّمَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَاتٍ أَقُولُهُنَّ فِي الْوِتْرِ فِي الْقُنُوتِ: اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۳۴۰ (۱۴۲۵، ۱۴۲۶)، سنن الترمذی/الصلاة ۲۲۴ (الوتر ۱۰) (۴۶۴)، سنن ابن ماجہ/الإقامة ۱۱۷ (۱۱۷۸)، (تحفة الأشراف: ۳۴۰۴)، مسند احمد ۱/۱۹۹، ۲۰۰، سنن الدارمی/الصلاة ۲۱۴ (۱۶۳۲) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 1746 - صحيح
Supplicating during witr
It was narrated that Abu Al-Jawza said: Al-Hasan said: The Messenger of Allah (ﷺ) taught me some words to say in witr in Qunut: Allahumma ihdini fiman hadayta wa 'afini fiman afayta wa tawallani fiman tawallayta wa barik li fima a'tayta, wa qini sharra ma qadayta, fa innaka taqdi wa la yuqda 'alayk, wa innahu la yadhilluman walayta, tabarakta Rabbana wa at'alayt (O Allah, guide me among those whom You have guided, pardon me among those You have pardoned, turn to me in friendship among those on whom You have turned in friendship, and bless me in what You have bestowed, and save me from the evil of what You have decreed. For verily You decree and none can influence You; and he is not humiliated whom You have befriended. Blessed are You, O Lord, and Exalted.)'
পরিচ্ছেদঃ নশ্বর এই দুনিয়ার যেসব উপকরণ মানুষকে সন্দেহে নিপতিত করে দেয়, সে ব্যাপারে সতর্কীকরণ
৭২০. আবুল হাওরা আস সা‘দী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি হাসান বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুমাকে বললাম, আপনি আমাকে এমন হাদীস বর্ণনা করুন, যা আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে মুখস্ত করেছেন; অন্য কেউ আপনাকে হাদীস বর্ণনা করেননি।” রাবী বলেন, তখন তিনি বললেন, “আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যেসব জিনিস তোমাকে সন্দেহে নিপতিত করে, তা ছেড়ে সেসব জিনিস গ্রহণ করো যা তোমাকে সন্দেহে নিপতিত করে না।” তিনি আরো বলেছেন, “ভালো কাজ সেটাই যা অন্তরে প্রশান্তি যোগায় আর মন্দ কাজ হলো সন্দেহমূলক।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে কিছু সাদাকার খেজুর আসে, আমি সেখান থেকে একটি খেজুর নিয়ে আমার মুখে দেই অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার মুখের ভিতর থেকে লালাসহ খেজুরটি বের করে নিয়ে নেন এবং তা আবার সাদাকার খেজুরের মাঝে রেখে দেন। অতঃপর তাঁকে বলা হলো, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এই শিশুর কাছে খেজুরটি নেওয়া তো আপনার প্রয়োজন ছিল না।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমাদের অর্থাৎ মুহাম্মাদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পরিবার-পরিজনদের জন্য সাদাকাহ বৈধ নয়।”
আমি রাসূল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিম্নোক্ত দু‘আটি পড়তে শুনেছি:
اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ، إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقْضَى عَلَيْكَ، إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ
অর্থ: “হে আল্লাহ, আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন তাদের মাঝে যাদেরকে আপনি হেদায়েত দান করেছেন। আমাদেরকে হেদায়েত দান করুন তাদের মাঝে যাদেরকে আপনি হেদায়েত দান করেছেন। আমাদেরকে নিরাপত্তা দান করুন তাদের মাঝে যাদেরকে আপনি নিরাপত্তা দান করেছেন। আমাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করুন তাদের মাঝে যাদের আপনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। আপনি আমাদেরকে যা কিছু প্রদান করেছেন, তাতে বারাকাহ দিন। আমাদেরকে রক্ষা করুন আপনার মন্দ ফায়সালা থেকে। নিশ্চয়ই আপনি ফায়সালা করেন, আপনার উপর কেউ ফায়সালা করতে পারে না। আপনি যার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তাকে কেউ অপদস্থ করতে পারে না। আপনি বরকতময় এবং সুমহান।”[1]
আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (ইরওয়াউল গালীল: ২০৭৪।)
ذِكْرُ الزَّجْرِ عَمَّا يُرِيبُ الْمَرْءَ مِنْ أَسْبَابِ هَذِهِ الدُّنْيَا الْفَانِيَةِ الزَّائِلَةِ
720 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ بْنِ أَبِي عَوْنٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ التِّرْمِذِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُؤَمَّلُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: حَدِّثْنِي بِشَيْءٍ حَفِظْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُحَدِّثْكَ بِهِ أَحَدٌ قَالَ: قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
(دَعْ مَا يُرِيبُكَ إلى مالا يريبك) قال (الْخَيْرُ طُمَأْنِينَةٌ وَالشَّرُّ رِيبَةٌ) وأُتي النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فأخذتُ تَمْرَةً فَأَلْقَيْتُهَا فِي فِيَّ فَأَخَذَهَا بِلُعَابِهَا حَتَّى أَعَادَهَا فِي التَّمْرِ فَقِيلَ لَهُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا كَانَ عَلَيْكَ مِنْ هَذِهِ التَّمْرَةِ مِنْ هَذَا الصَّبِيِّ؟ فقَالَ:(إنَّا آلَ مُحَمَّدٍ لَا يَحِلُّ لَنَا الصَّدَقَةُ) وَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو بِهَذَا الدُّعَاءِ: (اللَّهُمَّ اهْدِنَا فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنَا فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنَا فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لَنَا فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقضى عَلَيْكَ إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تباركت وتعاليت)
الراوي : أَبُو الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 720 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ প্রতিপালকের কাছে হেদায়েত, নিরাপত্তা, তাঁর বেলায়েত (নৈকট্য, বন্ধুত্ব) কামনা করার নির্দেশ
৯৪১. আবূল হাওরা আস সা‘দী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি হাসান বিন আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললাম, আপনার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কী মনে আছে?” জবাবে তিনি বলেন, “আমার মনে আছে, আমি একবার সাদাকার খেজুর থেকে একটি খেজুর নিয়ে আমার মুখে দিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি মুখের লালাসহ মুখ থেকে খেজুর বের করে সাদাকার খেজুরের মাঝে রেখে দেন। তিনি আমাদেরকে এই দু‘আ শিখাতেন, اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقضى عَلَيْكَ إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ (হে আল্লাহ, আপনি আমাকে হেদায়েত দান করুন তাদের মাঝে যাদেরকে আপনি হেদায়েত দান করেছেন, আমাকে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন, তাদের মাঝে যাদের আপনি নিরাপত্তা দান করেছেন, আপনি আমাকে যা দান করেছেন, তাতে বারাকাহ দিন, আপনি যা ফায়সালা করেছেন তার অনিষ্টতা থেকে আমাকে রক্ষা করুন। নিশ্চয়ই আপনি ফায়সালা করেন, আপনার উপর কোন ফায়সালা করা হয় না, আপনি যাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেন, তাকে কেউ পথভ্রষ্ট করতে পারে না।)
ইমাম শু‘বা রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আমার ধারণা তিনি আরো বলেছেন, تباركت وتعاليت (আপনি বরকতময় এবং সুমহান।)”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আবুল হাওরা হলেন রবী‘আহ বিন শাইবান আস সা‘দী, আর আবুল জাওযার নাম হলো আওস বিন আব্দুল্লাহ। তাঁরা দুই জনেই বসরার অধিবাসী এবং তাবে‘ঈ।”
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আবূ দাঊদ: ১২৮১।)
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِسُؤَالِ الْعَبْدِ رَبَّهُ جَلَّ وَعَلَا الْهِدَايَةَ وَالْعَافِيَةَ وَالْوِلَايَةَ فِيمَنْ رُزِقَ إِيَّاهَا
941 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْهَمْدَانِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: سَمِعْتُ بُرَيْدَ بْنَ أَبِي مَرْيَمَ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيِّ قَالَ: قُلْتُ لِلْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ: مَا تَذْكُرُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قال: أَذْكُرُ أَنِّي أَخَذْتُ تَمْرَةً مِنْ تَمْرِ الصَّدَقَةِ فَجَعَلْتُهَا فِي فِيَّ فَانْتَزَعَهَا بِلُعَابِهَا فَطَرَحَهَا فِي التَّمْرِ وَكَانَ يُعَلِّمُنَا هَذَا الدُّعَاءَ:(اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ إِنَّكَ تَقْضِي وَلَا يُقضى عَلَيْكَ إِنَّهُ لَا يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ) قَالَ شُعْبَةُ: وأظنه قال: (تباركت وتعاليت).
الراوي : أَبُو الْحَوْرَاءِ السَّعْدِيّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 941 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح ـ
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: أَبُو الْحَوْرَاءِ رَبِيعَةُ بْنُ شَيْبَانَ السَّعْدِيُّ وَأَبُو الْجَوْزَاءِ اسْمُهُ: أَوْسُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَهُمَا جَمِيعًا تابعيان بصريان.