হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৩ টি

পরিচ্ছেদঃ ৮৭. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই একদল মুসলিমের জান্নাতে প্রবেশে করার প্রমান

৪২০। সাঈদ ইবনু মানসূর (রহঃ) ... হুসায়ন ইবনু আবদুর রাহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনু আবদুর রহমানের কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, গতকাল রাতে যে তারকাটি বিচ্যুত হয়োছিল তা তোমরা কেউ দেখেছ কি? আমি বললাম, আমি দেখেছি। অবশ্য আমি রাতের সালাত (নামায/নামাজ) রত ছিলাম না; আমাকে বিচ্ছু দংশন করেছিল। সাঈদ বললেন, দংশন করার পরে তুমি কি করেছিলে? আমি বললাম, ঝাড়-ফুঁক করিয়েছি। তিনি বললেন, তোমাকে এই ঝাড়-ফুঁক গ্রহণে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? আমি বললাম, সেই হার্দীস যা আমি শাবী থেকে শুনেছি। তিনি বললেন, শাবী কী হাদীস বর্ণনা করেছেন?

আমি বললাম, শাবী বুরায়দা ইবনু হুসায়ন আল আসলামী (রাঃ) সুত্রে বর্ণনা করেন যে, কুদৃষ্টি বা বিচ্ছু দংশন ব্যতীত অন্য বিষয়ে ঝাঁড়-ফুঁক করান উচিত নয়। তিনি বললেন, ভাল বলেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন যে, স্বপ্নে আমার সামনে সকল উম্মাতকে উপস্থিত করা হয়, তখন কোন কোন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম যে, তাঁর সঙ্গে ছোট্ট একটি দল রয়েছে; আর কাউকে দেখলাম, তাঁর সঙ্গে একজন কিংবা দুজন লোক; আবার কেউ এমনও ছিলেন যে, তাঁর সাথে কেউ নেই। হঠাৎ আমার সামনে এক বিরাট দল দেখা গেল। মনে হল, এরা আমার উম্মাত। তখন আমাকে বলা হল, ইনি . মূসা (আলাইহিস সালাম) ও তাঁর উম্মাত; তবে আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি ওদিকে তাকালাম, দেখি বিরাট এক দল। আবার বলা হল, আপনি উপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন, (আমি ওদিকে তাকালাম) এক বিরাট দল।

বলা হলো, এরা আপনার উম্মাত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার এমন লোক আছে যারা শাস্তি ব্যতীত হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এই বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ঘরে চলে গেলেন। আর উপস্থিত সাহাবীগণ তখন এই হিসাব ও আযাব বিহীন জান্নাতে প্রবেশকারী কারা হবেন, এই নিয়ে বিতর্ক শুরু করলেন। কেউ বললেন, তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী। কেউ বললেন, তাঁরা সেসব লোক যারা ইসলামের উপর জন্মলাভ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কোন প্রকার শিরক করেনি। এসব বিতর্ক শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এলেন এবং বললেন, তোমরা কি নিয়ে বিতর্ক করছ? সবাই বিষয়টি খুলে বললেন।

তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এরা সেই সব লোক, যারা ঝাঁড়-ফুক করে না বা তা গ্রহণও করে না, অশুভ লক্ষণ মানে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তখন উককাশা ইবনু মিহসান (রাঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার জন্য দুআ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাঁদের অন্তভুক্ত করে নেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন থাকবে। তারপর আরেক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বলল, আমার জন্যও দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকেও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তর করলেনঃ এই সুযোগ লাভে উককাশা তোমার চেয়ে অগ্রগামী হয়ে গেছে।

باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ ‏‏

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ أَيُّكُمْ رَأَى الْكَوْكَبَ الَّذِي انْقَضَّ الْبَارِحَةَ قُلْتُ أَنَا ‏.‏ ثُمَّ قُلْتُ أَمَا إِنِّي لَمْ أَكُنْ فِي صَلاَةٍ وَلَكِنِّي لُدِغْتُ ‏.‏ قَالَ فَمَاذَا صَنَعْتَ قُلْتُ اسْتَرْقَيْتُ ‏.‏ قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قُلْتُ حَدِيثٌ حَدَّثَنَاهُ الشَّعْبِيُّ ‏.‏ فَقَالَ وَمَا حَدَّثَكُمُ الشَّعْبِيُّ قُلْتُ حَدَّثَنَا عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ أَنَّهُ قَالَ لاَ رُقْيَةَ إِلاَّ مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ ‏.‏ فَقَالَ قَدْ أَحْسَنَ مَنِ انْتَهَى إِلَى مَا سَمِعَ وَلَكِنْ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرُّهَيْطُ وَالنَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صلى الله عليه وسلم وَقَوْمُهُ وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ ‏.‏ فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ الآخَرِ ‏.‏ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي هَذِهِ أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَهَضَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ صَحِبُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الإِسْلاَمِ وَلَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ ‏.‏ وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا الَّذِي تَخُوضُونَ فِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ ‏"‏ هُمُ الَّذِينَ لاَ يَرْقُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ مِنْهُمْ ‏"‏ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ ‏"‏ ‏.‏


Husain b. 'Abd al-Rahman reported: I was with Sa'id b. Jubair when he said: Who amongst you saw a star shooting last night? I said: It was I; then I said: I was in fact not (busy) in prayer, but was stung by a scorpion (and that is the reason why I was awake and had a glimpse of the shooting star). He said: Then what did you do? I said: I practised charm. He said: What urged you to do this? I said: (I did this according to the implied suggestion) of the hadith which al-Shu'ba narrated. He said: What did al-Shu'ba narrate to you? I said: Buraida b. Husaib al-Aslami narrated to us. The charm is of no avail except in case of the (evil influence) of an eye or the sting of a scorpion. He said: He who acted according to what he had heard (from the Holy Prophet) acted rightly, but Ibn 'Abbas narrated to us from the Messenger of Allah (ﷺ) that he said: There were brought before me the peoples and I saw an apostle and a small group (of his followers) along with him, another (apostle) and one or two persons (along with him) and (still another) apostle having no one with him. When a very large group was brought to me I conceived as if it were my Ummah. Then it was said to me: It is Moses and his people. You should look at the horizon, and I saw a very huge group. It was again said to me: See the other side of the horizon, and there was (also) a very huge group. It was said to me: This is your Ummah, and amongst them there were seventy thousand persons who would be made to enter Paradise without rendering any account and without (suffering) any torment. He then stood up and went to his house. Then the people began to talk about the people who would be admitted to Paradise without rendering any account and without (suffering) any torment. Some of them said: They may be those who (have had the good fortune of living) in the company of the Messenger of Allah (ﷺ) and some of them said: They be those who were born in Islam and did not associate anything with Allah. Some people mentioned other things. Thereupon came forth the Messenger of Allah (ﷺ) before them and he said: What was that which you were talking about? They informed him. He said: They are those persons who neither practise charm, nor ask others to practise it, nor do they take omens, and repose their trust in their Lord. Upon this 'Ukkasha b. Mihsan stood up and said: Supplicate for me that He should make me one among them. Upon this he (Messenger of Allah) said: Thou are one among them. Then another man stood up and said: Supplicate before Allah that He should make me one among them. Upon this he said: 'Ukkisha has preceded you.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. সালাতের আগে দু'টি খুতবা এবং তার মাঝখানে বৈঠক

১৮৭১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... হুসায়ন (রহঃ) থেকে উপরোক্ত সনদে বর্ণিত। রাযী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতেন। "কিন্তু তিনি দাড়িয়ে" শব্দটি বলেননি।

باب ذِكْرِ الْخُطْبَتَيْنِ قَبْلَ الصَّلاَةِ وَمَا فِيهِمَا مِنَ الْجَلْسَةِ ‏

وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ قَالَ وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ قَائِمًا ‏.‏


This hadith has been narrated by Husain with the same chain of transmitters but with this alteration that he did not make mention of the standing position.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাত ও খুতবা সংক্ষিপ্তকরণ

১৮৮৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উমারা ইবনু রুয়াইবা (রাঃ) বিশর ইবনু মারওয়ানকে মিন্বরে দাঁড়িয়ে উভয়ে হাত উঠাতে দেখলেন। তিনি বললেন, আল্লাহ হাত দুটিকে ধবংস করে দিন। আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করা ব্যতীত অন্য কিছু দেখিনি। রাবী শাহাদাত অঙ্গুলির প্রতি ইশারা করলেন।

باب تَخْفِيفِ الصَّلاَةِ وَالْخُطْبَةِ ‏

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عُمَارَةَ، بْنِ رُؤَيْبَةَ قَالَ رَأَى بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ رَافِعًا يَدَيْهِ فَقَالَ قَبَّحَ اللَّهُ هَاتَيْنِ الْيَدَيْنِ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا يَزِيدُ عَلَى أَنْ يَقُولَ بِيَدِهِ هَكَذَا ‏.‏ وَأَشَارَ بِإِصْبَعِهِ الْمُسَبِّحَةِ ‏.‏


Umara b. Ruwaiba said he saw Bishr b. Marwan on the pulpit raising his hands and said: Allah, disfigure these hands! I have seen Allah's Messenger (ﷺ) gesture no more than this with his hands, and he pointed with his forefinger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. সালাত ও খুতবা সংক্ষিপ্তকরণ

১৮৯০। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... হুসায়ন ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বিশর ইবনু মারওয়ানকে জুমু’আর দিনে উভয় হাত তুলতে দেখেছি। তখন উমারা ইবনু রুয়াইবা (রাঃ) বললেন, অতঃপর উপরোক্তরূপ বর্ণনা করেন।

باب تَخْفِيفِ الصَّلاَةِ وَالْخُطْبَةِ ‏

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ رَأَيْتُ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ يَوْمَ جُمُعَةٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَارَةُ بْنُ رُؤَيْبَةَ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏


This hadith has been narrated by another chain of transmitters on the authority of Husain b. Abd al-Rahman.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. 'আবুল কাসিম' উপনাম গ্রহন নিষিদ্ধ এবং পছন্দনীয় নামের বিবরণ

৫৪০৫। রিফাআ ইবনু হায়সাম ওয়াসিতী (রহঃ) ... হুসায়ন (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি "আমি তো বণ্টনকারীরূপে প্রেরিত হয়েছি; তোমাদের মাঝে বণ্টনের দায়িত্ব পালন করি" অংশটুকু উল্লেখ করেন নি।

باب النَّهْىِ عَنِ التَّكَنِّي، بِأَبِي الْقَاسِمِ وَبَيَانِ مَا يُسْتَحَبُّ مِنَ الأَسْمَاءِ ‏.‏

حَدَّثَنَا رِفَاعَةُ بْنُ الْهَيْثَمِ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي الطَّحَّانَ - عَنْ حُصَيْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَذْكُرْ ‏ "‏ فَإِنَّمَا بُعِثْتُ قَاسِمًا أَقْسِمُ بَيْنَكُمْ ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Husain With the same chain of transmitters but no mention is made of these words: " (I have been sent as a distributor), so I distribute amongst you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩৬. মিম্বরের উপর থাকাবস্থায় দুই হাত তোলা অবাঞ্ছনীয়।

১১০৪. আহমদ ইবনে ইউনুছ (রহঃ) ..... হুসায়ন ইবনে আব্দুর রহমান (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমারা ইবনে রুয়াইবাহ্‌ (রাঃ) বিশর ইবনে মারওয়ান (রাঃ)-কে জুমার দিনে (হাত তুলে) দোয়া করতে দেখে বলেন, আল্লাহ তার হাত হস্তদ্বয়কে বিনষ্ট করুন! রাবী হুসাইন বলেন, উমারা আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাড়িঁয়ে এর অধিক কিছু করতে দেখিনি যে, তিনি শাহাদত আঙ্গুল দিয়ে ইশারা ব্যতীত আর কিছুই করেননি। (মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ)

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الْمِنْبَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ رَأَى عُمَارَةُ بْنُ رُؤَيْبَةَ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ وَهُوَ يَدْعُو فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَقَالَ عُمَارَةُ قَبَّحَ اللَّهُ هَاتَيْنِ الْيَدَيْنِ ‏.‏ قَالَ زَائِدَةُ قَالَ حُصَيْنٌ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا يَزِيدُ عَلَى هَذِهِ يَعْنِي السَّبَّابَةَ الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ ‏.‏


'Umarah b. Ruwaibah said that he saw Bishr b. Marwan (on the pulpit) praying on Friday (by raising his hands). 'Umarah said: May Allah reject these hands! I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) on the pulpit gesturing no more than this pointing with his forefinger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা

৩৬০৭. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান বনী তামীমের আমর ইবন জাওয়ান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন এ প্রসঙ্গে যে, আমি তাকে বললাম, আপনি আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রাঃ)-এর (সাহাবিগণের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব) পৃথক থাকা সম্পর্কে আপনার অভিমত বর্ণনা করুন। তিনি বললেন, আমি আহনাকে বলতে শুনেছি, আমি হজ্জ উপলক্ষে মদীনায় আসলাম। আমরা আমাদের মনযিলে ছিলাম, এমন সময় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ লোক মসজিদে একত্রিত হচ্ছে। আমি গিয়ে দেখলাম, লোক মসজিদে একত্রিত রয়েছে। তাদের মাঝে রয়েছেন- আলী ইবন আবূ তালিব, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবন আবী ওয়াক্কাস (রাঃ)। আমি যখন তাদের নিকট দাঁড়ালাম তখন বলা হলঃ এই যে, উসমান ইবন আফফান এসে গেছেন। তার গায়ে ছিল একখানা হলুদ বর্ণের চাদর।

রাবী বলেন, আমি আমার সাথীকে বললাম, তুমি এখানে অবস্থান কর, দেখি উসমান (রাঃ) কি বলেন। উসমান (রাঃ) বললেনঃ এখানে কি আলী (রাঃ) আছেন? এখানে কি যুবায়র (রাঃ) আছেন? এখানে কি তালহা (রাঃ) আছেন? এবং এখানে কি সা’দ (রাঃ) আছেন? তারা বললেনঃ হ্যাঁ (আমরা এখানে আছি)। তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলার কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি অমুক অমুক গােত্রের (উটের) বাথান ক্রয় করবে, আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি তা ক্রয় করে রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললামঃ আমি অমুক (উটের) বাথান খরিদ করেছি। তিনি বললেনঃ এখন তুমি তা আমাদের মসজিদের জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, তাহলে এর সওয়াব তুমি পাবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেন : আমি তোমাদেরকে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি ’রূমা’ কূপ ক্রয় করবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি (তা ক্রয় করে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললামঃ আমি রূমা’ কূপ ক্রয় করেছি। তখন তিনি বললেনঃ এখন তা তুমি মুসলিমদের পানি পান করার জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, আর এর সওয়াব তুমি পাবে। তারা বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি। যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি জান, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যে ব্যক্তি অনটনগ্রস্ত (তাবুক) যুদ্ধের বাহিনীর যুদ্ধোপকরণের ব্যবস্থা করে দেবে, আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। এরপর আমি তাদের জন্য এমন যুদ্ধোপকরণের ব্যবস্থা করে দেই যে, ঐ বাহিনীর কোন লোকের একটি রশির বা একটি লাগামেরও অভাব হয়নি? তারা বললেনঃ হ্যাঁ। উসমান (রাঃ) এরপর বলেনঃ হে আল্লাহ! আপনি সাক্ষী থাকুন! হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন! হে আল্লাহ্! আপনি সাক্ষী থাকুন।

بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي يُحَدِّثُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُمَرَ بْنِ جَاوَانَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَذَاكَ أَنِّي قُلْتُ لَهُ أَرَأَيْتَ اعْتِزَالَ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ مَا كَانَ قَالَ سَمِعْتُ الْأَحْنَفَ يَقُولُ أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ وَأَنَا حَاجٌّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَى آتٍ فَقَالَ قَدْ اجْتَمَعَ النَّاسُ فِي الْمَسْجِدِ فَاطَّلَعْتُ فَإِذَا يَعْنِي النَّاسَ مُجْتَمِعُونَ وَإِذَا بَيْنَ أَظْهُرِهِمْ نَفَرٌ قُعُودٌ فَإِذَا هُوَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِمْ فَلَمَّا قُمْتُ عَلَيْهِمْ قِيلَ هَذَا عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ قَدْ جَاءَ قَالَ فَجَاءَ وَعَلَيْهِ مُلَيَّةٌ صَفْرَاءُ فَقُلْتُ لِصَاحِبِي كَمَا أَنْتَ حَتَّى أَنْظُرَ مَا جَاءَ بِهِ فَقَالَ عُثْمَانُ أَهَاهُنَا عَلِيٌّ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ إِنِّي ابْتَعْتُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ قَالَ فَاجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُ بِئْرَ رُومَةَ قَالَ فَاجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يُجَهِّزُ جَيْشَ الْعُسْرَةِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ عِقَالًا وَلَا خِطَامًا قَالُوا نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ


Al-Ahnaf said: "I came to Al-Madinah, and I was performing Hajj, and while we were in our camping place unloading our mounts, someone came to us and said: 'The people have gathered in the Masjid.' I looked and found the people gathered, and in the midst of them was a group; there I saw 'Ali bin Abi Talib, Az-Zubair, Talhah and Sa'd bin Abi Waqqas, may Allah have mercy on them. When I got there, it was said that 'Uthman bin 'Affan had come. He came, wearing a yellowish cloak. I said to my companion: Stay where you are until I find out what is happening. 'Uthman said: Is 'Ali here? Is Az-Zubair here? Is Talhah here? Is Sa'd here? They said: Yes. He said: I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever buys the Mirbad of Banu so and so, Allah will forgive him, and I bought it, then I came to the Messenger of Allah and told him, and he said: Add it to our Masjid and the reward for it will be yours? They said: Yes. He said: I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever buys the well of Rumah, Allah will forgive him, so I came to the Messenger of Allah and said: I have bought the well of Rumah. He said: Give it to provide water for the Muslims, and the reward for it will be yours? They said: Yes. He said: 'I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever equips the army of Al-'Usrah (i.e. Tabuk), Allah will forgive him, so I equipped them until they were not lacking even a rope or a bridle?' They said: Yes. He said: O Allah, bear witness, O Allah, bear witness, O Allah, bear witness."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০১. খুতবার মাঝে ইমাম কিভাবে ইশারা করবেন

১৫৯৮. হুসাইন হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বিশর ইবনু মারওয়ানকে মিম্বারের উপর (দু’আর জন্য) দু’হাত উঠানো অবস্থায় দেখে বলেন, আল্লাহ এই হাত দু’টিকে ধ্বংস করুন। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মিম্বারের উপর (খুতবা দিতে) দেখেছি। কিন্তু তিনি (দু’আর সময়) কেবলমাত্র তাঁর (শাহাদত) আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতেন।[1]

بَاب كَيْفَ يُشِيرُ الْإِمَامُ فِي الْخُطْبَةِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو زُبَيْدٍ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ قَالَ رَأَى عُمَارَةُ بْنُ رُوَيْبَةَ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ رَافِعًا يَدَيْهِ فَقَالَ قَبَّحَ اللَّهُ هَذِهِ الْيَدَيْنِ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَمَا يُشِيرُ إِلَّا بِأُصْبُعِهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০১. খুতবার মাঝে ইমাম কিভাবে ইশারা করবেন

১৫৯৯. হুসাইন ইবনু আব্দুর রহমান উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, তিনি (উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ) বিশর ইবনু মারওয়ানকে জুমু’আর দিন মিম্বারের উপর দু’আর জন্য দু’হাত উঠানো অবস্থায় দেখলেন। তখন তিনি তাকে তিরস্কার করলেন এবং বললেন: “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে মিম্বারের উপর (খুতবা দিতে) দেখেছি। তিনি তাঁর আঙ্গুল দ্বারা এরূপ করা ব্যতীত (দু’আতে) আর কিছুই করতেন না।” আর (এ বলে) তিনি তার শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা কটিদেশের নিকটে ইশারা করলেন।[1]

بَاب كَيْفَ يُشِيرُ الْإِمَامُ فِي الْخُطْبَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عُمَارَةَ بْنِ رُوَيْبَةَ قَالَ رَأَى بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ رَافِعًا يَدَيْهِ يَدْعُو عَلَى الْمِنْبَرِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ قَالَ فَسَبَّهُ وَقَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَمَا يَقُولُ بِأُصْبُعِهِ إِلَّا هَكَذَا وَأَشَارَ بِالسَّبَّابَةِ عِنْدَ الْخَاصِرَةِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৪. হিসাব ও শাস্তি ছাড়াই মুসলিমদের একাধিক দল জান্নাতে প্রবেশ করার প্রমাণ।

৪১৫-(৩৭৪/২২০) সাঈদ ইবনু মানসূর (রহঃ) ..... হুসায়ন ইবনু আবদুর রহমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাঈদ ইবনু যুবায়র এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, তোমাদের মধ্য হতে কেউ রাতে যে তারকাটি বিচ্যুত হয়েছিল তা দেখেছে কি? আমি বললাম, আমি দেখেছি। অবশ্য আমি রাতের সালাতে রত ছিলাম না; আমাকে বিচ্ছু দংশন করেছিল। সাঈদ বললেন, দংশন করার পর তুমি কি করেছিলে? আমি বললাম, ঝাড়ফুঁক করিয়েছি। তিনি বললেন, তোমাকে এ ঝাড়ফুঁক গ্রহণে কিসে উদ্বুদ্ধ করল? আমি বললাম, সে হাদীস যা আমাদেরকে শা’বী বর্ণনা করেছেন। তিনি বললেন, শা’বী কী হাদীস বর্ণনা করেছেন? আমি বললাম, শা’বী বুরাইদাহ ইবনু হুসায়ন আল আসলামী (রাযিঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, কুদৃষ্টি বা বিচ্ছু দংশন ব্যতীত অন্য বিষয়ে ঝাড়ফুঁক করানো উচিত নয়। তিনি বললেন, ভাল বলেছেন।

ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন যে, স্বপ্নে আমার সামনে সকল নবীদের উপস্থিত করা হয়। অতঃপর তখন কোন কোন নবীকে দেখলাম যে, তার সঙ্গে ছোট্ট একটি দল রয়েছে; আর কাউকে দেখলাম, তার সঙ্গে একজন কিংবা দু’জন লোক আবার কেউ এমনও ছিলেন যে, তার সাথে কেউ নেই। হঠাৎ আমার সামনে এক বিরাট দল দেখা গেল। মনে হলো, এরা আমার উম্মত। তখন আমাকে বলা হল, ইনি মূসা (আঃ) ও তার উম্মত; তবে আপনি ওপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন। আমি ওদিকে তাকালাম, দেখি বিরাট একদল, আবার বলা হল, আপনি ওপর দিগন্তে তাকিয়ে দেখুন, (আমি ওদিকে তাকিয়ে দেখলাম) এক বিরাট দল। বলা হল, এরা আপনার উম্মত। এদের মধ্যে সত্তর হাজার এমন লোক আছে যারা শাস্তি ব্যতীত ও হিসাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন, অতঃপর তার ঘরে চলে গেলেন।

তারা উপস্থিত সাহাবাগণ তখন এ হিসাব ও আযাববিহীন জান্নাতে প্রবেশকারী কারা হবেন? এ নিয়ে আলোচনা শুরু করলেন। কেউ বললেন, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবা। কেউ বললেন, তারা সে সব লোক যারা ইসলামের উপর জন্মলাভ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কোন প্রকার শিরক করেনি এবং তারা বহু জিনিসের উল্লেখ করলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে বেরিয়ে এলেন এবং বললেনঃ তোমরা কি নিয়ে আলোচনা করছিলে? সবাই বিষয়টি (খুলে) বললেন।

তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বললেনঃ এরা সে সব লোক যারা ঝাড়ফুঁক করে না বা তা গ্রহণও করে না, পাখি উড়িয়ে শুভাশুভের লক্ষণ মানে না বরং সর্বদাই আল্লাহর উপর নির্ভর করে। তখন উক্কাশাহ ইবনু মিহসান (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, আমার জন্যে দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তুমি তাদেরই একজন থাকবে। তারপর আরেক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমার জন্যেও দু’আ করুন, আল্লাহ যেন আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উত্তরঃ এ সুযোগ লাভ উক্কাশাহ তোমার চাইতে অগ্রগামী হয়ে গেছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২০, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪৩৪)

باب الدَّلِيلِ عَلَى دُخُولِ طَوَائِفَ مِنَ الْمُسْلِمِينَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ كُنْتُ عِنْدَ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَقَالَ أَيُّكُمْ رَأَى الْكَوْكَبَ الَّذِي انْقَضَّ الْبَارِحَةَ قُلْتُ أَنَا ‏.‏ ثُمَّ قُلْتُ أَمَا إِنِّي لَمْ أَكُنْ فِي صَلاَةٍ وَلَكِنِّي لُدِغْتُ ‏.‏ قَالَ فَمَاذَا صَنَعْتَ قُلْتُ اسْتَرْقَيْتُ ‏.‏ قَالَ فَمَا حَمَلَكَ عَلَى ذَلِكَ قُلْتُ حَدِيثٌ حَدَّثَنَاهُ الشَّعْبِيُّ ‏.‏ فَقَالَ وَمَا حَدَّثَكُمُ الشَّعْبِيُّ قُلْتُ حَدَّثَنَا عَنْ بُرَيْدَةَ بْنِ حُصَيْبٍ الأَسْلَمِيِّ أَنَّهُ قَالَ لاَ رُقْيَةَ إِلاَّ مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ ‏.‏ فَقَالَ قَدْ أَحْسَنَ مَنِ انْتَهَى إِلَى مَا سَمِعَ وَلَكِنْ حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ عُرِضَتْ عَلَىَّ الأُمَمُ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ وَمَعَهُ الرُّهَيْطُ وَالنَّبِيَّ وَمَعَهُ الرَّجُلُ وَالرَّجُلاَنِ وَالنَّبِيَّ لَيْسَ مَعَهُ أَحَدٌ إِذْ رُفِعَ لِي سَوَادٌ عَظِيمٌ فَظَنَنْتُ أَنَّهُمْ أُمَّتِي فَقِيلَ لِي هَذَا مُوسَى صلى الله عليه وسلم وَقَوْمُهُ وَلَكِنِ انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ ‏.‏ فَنَظَرْتُ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي انْظُرْ إِلَى الأُفُقِ الآخَرِ ‏.‏ فَإِذَا سَوَادٌ عَظِيمٌ فَقِيلَ لِي هَذِهِ أُمَّتُكَ وَمَعَهُمْ سَبْعُونَ أَلْفًا يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَهَضَ فَدَخَلَ مَنْزِلَهُ فَخَاضَ النَّاسُ فِي أُولَئِكَ الَّذِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ بِغَيْرِ حِسَابٍ وَلاَ عَذَابٍ فَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ صَحِبُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ فَلَعَلَّهُمُ الَّذِينَ وُلِدُوا فِي الإِسْلاَمِ وَلَمْ يُشْرِكُوا بِاللَّهِ ‏.‏ وَذَكَرُوا أَشْيَاءَ فَخَرَجَ عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ مَا الَّذِي تَخُوضُونَ فِيهِ ‏"‏ ‏.‏ فَأَخْبَرُوهُ فَقَالَ ‏"‏ هُمُ الَّذِينَ لاَ يَرْقُونَ وَلاَ يَسْتَرْقُونَ وَلاَ يَتَطَيَّرُونَ وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ عُكَّاشَةُ بْنُ مِحْصَنٍ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ مِنْهُمْ ‏"‏ ثُمَّ قَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ ادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَنِي مِنْهُمْ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ سَبَقَكَ بِهَا عُكَّاشَةُ ‏"‏ ‏.‏

Chapter: The Evidence that groups of Muslims will enter Paradise without being called to account, and without being punished


Husain b. 'Abd al-Rahman reported: I was with Sa'id b. Jubair when he said: Who amongst you saw a star shooting last night? I said: It was I; then I said: I was in fact not (busy) in prayer, but was stung by a scorpion (and that is the reason why I was awake and had a glimpse of the shooting star). He said: Then what did you do? I said: I practised charm. He said: What urged you to do this? I said: (I did this according to the implied suggestion) of the hadith which al-Shu'ba narrated. He said: What did al-Shu'ba narrate to you? I said: Buraida b. Husaib al-Aslami narrated to us. The charm is of no avail except in case of the (evil influence) of an eye or the sting of a scorpion. He said: He who acted according to what he had heard (from the Holy Prophet) acted rightly, but Ibn 'Abbas narrated to us from the Messenger of Allah (ﷺ) that he said: There were brought before me the peoples and I saw an apostle and a small group (of his followers) along with him, another (apostle) and one or two persons (along with him) and (still another) apostle having no one with him. When a very large group was brought to me I conceived as if it were my Ummah. Then it was said to me: It is Moses and his people. You should look at the horizon, and I saw a very huge group. It was again said to me: See the other side of the horizon, and there was (also) a very huge group. It was said to me: This is your Ummah, and amongst them there were seventy thousand persons who would be made to enter Paradise without rendering any account and without (suffering) any torment. He then stood up and went to his house. Then the people began to talk about the people who would be admitted to Paradise without rendering any account and without (suffering) any torment. Some of them said: They may be those who (have had the good fortune of living) in the company of the Messenger of Allah (ﷺ) and some of them said: They be those who were born in Islam and did not associate anything with Allah. Some people mentioned other things. Thereupon came forth the Messenger of Allah (ﷺ) before them and he said: What was that which you were talking about? They informed him. He said: They are those persons who neither practise charm, nor ask others to practise it, nor do they take omens, and repose their trust in their Lord. Upon this 'Ukkasha b. Mihsan stood up and said: Supplicate for me that He should make me one among them. Upon this he (Messenger of Allah) said: Thou are one among them. Then another man stood up and said: Supplicate before Allah that He should make me one among them. Upon this he said: 'Ukkisha has preceded you.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩. জুমুআর সালাত এবং খুতবাহ হালকা করা প্রসঙ্গে

১৯০২-(.../...) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... হুসায়ন ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জুমুআর দিন বিশর ইবনু মারওয়ানকে তার দু’ হাত উপরে তুলতে দেখলাম। উমারাহ ইবনু রুয়াইবাহ বলেন ..... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৮৮৭, ইসলামীক সেন্টার ১৮৯৪)

باب تَخْفِيفِ الصَّلاَةِ وَالْخُطْبَةِ ‏

وَحَدَّثَنَاهُ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ رَأَيْتُ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ يَوْمَ جُمُعَةٍ يَرْفَعُ يَدَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَارَةُ بْنُ رُؤَيْبَةَ ‏.‏ فَذَكَرَ نَحْوَهُ ‏.‏


This hadith has been narrated by another chain of transmitters on the authority of Husain b. Abd al-Rahman.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. কৃত ‘আমল ও না করা আমলের খারাবী থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করা

৬৭৯০-(.../...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না, ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনু আমর ইবনু জাবালাহ্ (রহঃ) ..... হুসায়ন (রহঃ) হতে এ সূত্রে অবিকল বর্ণনা করেছেন। তবে মুহাম্মাদ ইবনু জাফারের হাদীসে "ওয়া মিন্‌ শারি মা- লাম আমল" অর্থাৎ- "এবং আমি যা করিনি তার খারাবী হতে" কথাটি উল্লেখ নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৪৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৭০২)

باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ، بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - كِلاَهُمَا عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ حُصَيْنٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ مِثْلَهُ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ ‏ "‏ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ أَعْمَلْ ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Muhammad b. ja'far through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩০. মিম্বারের উপর অবস্থানকালে দু’ হাত উপরে উঠানো

১১০৪। হুসাইন ইবনু ’আবদুর রহমান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) দেখেন যে, বিশর ইবনু মারওয়ান (জুমু’আহর দিন খুত্ববাহকালে) দু’আ করছেন। তখন ’উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) বললেন, আল্লাহ তোমার এ হাত দু’টিকে কুৎসিত করুন। যায়িদাহ বলেন, হুসাইন ইবনু ’আবদুর রহমান বলেছেন, ’উমারাহ ইবনু রুওয়াইবাহ (রাঃ) আমার কাছে বর্ণনা করেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বারের উপর এর চাইতে অধিক কিছু করতে দেখিনি অর্থাৎ তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলির পাশের শাহাদাত অঙ্গুল দ্বারা ইশারা করা ব্যতীত অন্য কিছুই করতেন না।[1]

সহীহ : মুসলিম।

باب رَفْعِ الْيَدَيْنِ عَلَى الْمِنْبَرِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ رَأَى عُمَارَةُ بْنُ رُؤَيْبَةَ بِشْرَ بْنَ مَرْوَانَ وَهُوَ يَدْعُو فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَقَالَ عُمَارَةُ قَبَّحَ اللهُ هَاتَيْنِ الْيَدَيْنِ ‏.‏ قَالَ زَائِدَةُ قَالَ حُصَيْنٌ حَدَّثَنِي عُمَارَةُ قَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ مَا يَزِيدُ عَلَى هَذِهِ يَعْنِي السَّبَّابَةَ الَّتِي تَلِي الإِبْهَامَ ‏.‏

- صحيح : م


'Umarah b. Ruwaibah said that he saw Bishr b. Marwan (on the pulpit) praying on Friday (by raising his hands). 'Umarah said: May Allah reject these hands! I have seen the Messenger of Allah (ﷺ) on the pulpit gesturing no more than this pointing with his forefinger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হুসায়ন ইবন আবদুর রহমান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৩ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে