পরিচ্ছেদঃ ১১৪৪. মুহরিম নয় এমন কোন ব্যক্তি যদি শিকার করে শিকারকৃত জন্তু মুহরিমকে উপহার দেয় তাহলে মুহরিম তা খেতে পারবে। ইবন ‘আব্বাস (রা) ও আনাস (রা) শিকার ছাড়া অন্ন কোন প্রানী যবেহ করাতে মুহরিমের কোন অসুবিধা আছে বলে মনে করেন না। যেমন উট, বকরী, গরু, মুরগী ও ঘোড়া। বলা হয় عَدْل অর্থ مِثْل (অনুরূপ) এবং عِدْلٌ অর্থ زِنَةُ (সমান) قِيَامًا এর অর্থ হল قِوَامًا (কল্যাণ) এবং يَعْدِلُونَ এর অর্থ হল يَجْعَلُونَ له عَدْلاً (সমকক্ষ দাঁড় করানো)
১১৪৩ পরিচ্ছেদঃ শিকার জন্তু এবং অনুরূপ কিছুর বিনিময়।
এবং মহান আল্লাহর বাণীঃ হে মুমিনগণ! ইহরামে থাকাকালে তোমরা শিকার জন্তু হত্যা করো না, তোমাদের মধ্যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে উহা হত্যা করলে যা হত্যা করল এর বিনিময় হলো অনুরূপ গৃহপালিত জন্তু, যার ফয়সালা করবে তোমাদের মধ্যে দু’জন ন্যায়পরায়ণ লোক কা’বাতে প্রেরিতব্য কুরবানীরূপে অথবা তার কাফফারা হবে দরিদ্রকে খাদ্য দান করা কিংবা সমসংখ্যক সিয়াম পালন করা যাতে সে আপন কৃতকর্মের ফল ভোগ করে। যা গত হয়েছে আল্লাহ ক্ষমা করেছেন কেউ তা পুনরায় করলে আল্লাহ তার শাস্তি দিবেন এবং আল্লাহ পরাক্রমশালী শাস্তিদাতা। তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও তা ভক্ষণ হালাল করা হয়েছে তোমাদের ও (পর্যটকদের) ভোগের জন্য এবং তোমরা যতক্ষণ ইহরামে থাকবে ততক্ষণ স্থলের শিকার তোমাদের জন্য হারাম। আল্লাহকে ভয় কর তার নিকট তোমাদের কে একত্র করা হবে। (৫ঃ ৯৫–৯৬)
১৭০৪। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর (শত্রুদের তথ্য অনুসন্ধানের জন্য) বের হলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীগন ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলা হল, একটি শত্রুদল তাঁর সাথে যুদ্ধ করতে চায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন। এ সময় আমি তাঁর সাবীদের সাথে ছিলাম। হঠাৎ দেখি যে, তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হাসাহাসি করছে। আমি তাকাতেই একটি জংলী গাধা দেখতে পেলাম। অমনি আমি বর্শা দিয়ে আক্রমন করে তাঁকে ধরাশায়ী করে ফেলি। সঙ্গীদের নিকট সহযোগীতা কামনা করলে সকলে আমাকে সহযোগীতা করতে অস্বীকার করল। এরপর আমরা সকলেই ঐ জংলী গাধার মাংস খেলাম। এতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার আশংকা করলাম। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারীম এর সন্ধানে আমার ঘোড়াটিকে কখনো দ্রুত কখোন আস্তে চালাচ্ছিলাম।
মাঝরাতের দিকে গিফার গোত্রের এক লোকের সাথে সাক্ষাৎ হলে আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কোথায় রেখে এসে এসেছ? সে বললো তা’হিন নামক স্থানে আমি তাঁকে রেখে এসেছি। এখন তিনি সুকয়া নামক স্থানে কায়লূলায় (দুপুরের বিশ্রামে) আছেন। আমি বললাম হে , আল্লাহর রাসূল! আপনার সাহাবীগন আপনার প্রতি সালাম পাঠিয়েছেন এবং আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা করছে। তাই আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। তারপর আমি পুনরায় বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি একটি বন্য গাধা শিকার করেছি। এখনো তাঁর বাকি অংশটুকু আমার কাছে রয়েছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাওমের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা খাও। অথচ তারা সকলেই তখন ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
باب إِذَا صَادَ الْحَلاَلُ فَأَهْدَى لِلْمُحْرِمِ الصَّيْدَ أَكَلَهُ وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَنَسٌ بِالذَّبْحِ بَأْسًا وَهُوَ غَيْرُ الصَّيْدِ نَحْوُ الإِبِلِ وَالْغَنَمِ وَالْبَقَرِ وَالدَّجَاجِ وَالْخَيْلِ، يُقَالُ عَدْلُ ذَلِكَ مِثْلُ، فَإِذَا كُسِرَتْ عِدْلٌ فَهُوَ زِنَةُ ذَلِكَ. قِيَامًا قِوَامًا. يَعْدِلُونَ يَجْعَلُونَ عَدْلاً
حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ انْطَلَقَ أَبِي عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ، وَلَمْ يُحْرِمْ، وَحُدِّثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَدُوًّا يَغْزُوهُ، فَانْطَلَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم، فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ، فَنَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ، فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ، فَطَعَنْتُهُ، فَأَثْبَتُّهُ، وَاسْتَعَنْتُ بِهِمْ، فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي، فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ، وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ، فَطَلَبْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَرْفَعُ فَرَسِي شَأْوًا، وَأَسِيرُ شَأْوًا، فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ قُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَرَكْتُهُ بِتَعْهِنَ، وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا. فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَهْلَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ، إِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ، فَانْتَظِرْهُمْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ، وَعِنْدِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ. فَقَالَ لِلْقَوْمِ " كُلُوا " وَهُمْ مُحْرِمُونَ.
Narrated `Abdullah bin Abu Qatada:
My father set out (for Mecca) in the year of Al-Hudaibiya, and his companions assumed Ihram, but he did not. At that time the Prophet (ﷺ) was informed that an enemy wanted to attack him, so the Prophet (ﷺ) proceeded onwards. While my father was among his companions, some of them laughed among themselves. (My father said), "I looked up and saw an onager. I attacked, stabbed and caught it. I then sought my companions' help but they refused to help me. (Later) we all ate its meat. We were afraid that we might be left behind (separated) from the Prophet (ﷺ) so I went in search of the Prophet (ﷺ) and made my horse to run at a galloping speed at times and let it go slow at an ordinary speed at other times till I met a man from the tribe of Bani Ghifar at midnight. I asked him, "Where did you leave the Prophet (ﷺ) ?" He replied, "I left him at Ta'hun and he had the intention of having the midday rest at As-Suqya. I followed the trace and joined the Prophet (ﷺ) and said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! Your people (companions) send you their compliments, and (ask for) Allah's Blessings upon you. They are afraid lest they may be left behind; so please wait for them.' I added, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! I hunted an onager and some of its meat is with me. The Prophet (ﷺ) told the people to eat it though all of them were in the state of Ihram."
পরিচ্ছেদঃ ১১৪৭. ইহরামধারী ব্যক্তি শিকার জন্তুর প্রতি ইশারা করবে না, জার ফলে ইহরামবিহীন ব্যক্তি শিকার করে নেয়
১৭০৭। মূসা ইবনু ইসমাইল (রহঃ) ... ’আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁকে তাঁর পিতা বলেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জে যাত্রা করলে তাঁরাও সকলে যাত্রা করলেন। তাঁদের থেকে একটি দলকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্য পথে পাঠিয়ে দেন। তাঁদের মধ্যে আবূ কাতাদা (রাঃ)-ও ছিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা সমুদ্র তীরের রাস্তা ধরে অগ্রসর হবে আমাদের পরস্পর সাক্ষাৎ হওয়া পর্যন্ত। তাই তাঁরা সকলেই সমুদ্র তীরের পথ ধরে চলতে থাকেন। ফিরার পথে তাঁরা সবাই ইহরাম বাঁধলেন কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। পথে চলতে চলতে তাঁরা কিছু বন্য গাধা দেখতে পেলেন। আবূ কাতাদা (রাঃ) গাধাগুলোর উপর হামলা করে একটি মাদী হত্যা করে ফেললেন। এরপর একস্থানে অবতরন করে তাঁরা সকলেই এর মাংস খেলেন। তারপর বললেন, আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় আমরা কি শিকার জন্তুর মাংস খেতে পারি? তাই আমরা গাধাটির অবশিষ্ট অংশ উঠিয়ে নিলাম।
তাঁরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পৌঁছে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা ইহরাম বেধেছিলাম কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরাম বাধেনি। এ সময় আমরা কতগুলো বন্যগাধা দেখতে পেলাম। আবূ কাতাদা (রাঃ) এগুলোর উপর আক্রমন করে একটি মাদী গাধা হত্যা করে ফেলেন। এক স্থানে অবতরন করে আমরা সকলেই এর মাংস খেয়ে নেই। এরপর বললাম। আমরা তো মুহরিম, এ অবস্থায় কি আমরা শিকারকৃত জানোয়ারের মাংস খেতে পারি? এখন আমরা এর অবশিষ্ট মাংস নিয়ে এসেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কেউ কি এর উপর আক্রমন করতে তাঁকে আদেশ বা ইশারা করেছ? তাঁরা বললেন, না, আমার আর তা করিনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাহলে বাকি মাংস তোমরা খেয়ে নাও।
باب لاَ يُشِيرُ الْمُحْرِمُ إِلَى الصَّيْدِ لِكَىْ يَصْطَادَهُ الْحَلاَلُ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ ـ هُوَ ابْنُ مَوْهَبٍ ـ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ حَاجًّا، فَخَرَجُوا مَعَهُ فَصَرَفَ طَائِفَةً مِنْهُمْ، فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ خُذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ حَتَّى نَلْتَقِيَ. فَأَخَذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ، فَلَمَّا انْصَرَفُوا أَحْرَمُوا كُلُّهُمْ إِلاَّ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ، فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ رَأَوْا حُمُرَ وَحْشٍ، فَحَمَلَ أَبُو قَتَادَةَ عَلَى الْحُمُرِ، فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا، فَنَزَلُوا فَأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهَا، وَقَالُوا أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ الأَتَانِ، فَلَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّا كُنَّا أَحْرَمْنَا وَقَدْ كَانَ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ، فَرَأَيْنَا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ، فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا، فَنَزَلْنَا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهَا ثُمَّ قُلْنَا أَنَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا. قَالَ " مِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَنْ يَحْمِلَ عَلَيْهَا، أَوْ أَشَارَ إِلَيْهَا ". قَالُوا لاَ. قَالَ " فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا ".
Narrated `Abdullah bin Abu Qatada:
That his father had told him that Allah's Messenger (ﷺ) set out for Hajj and so did his companions. He sent a batch of his companions by another route and Abu Qatada was one of them. The Prophet (ﷺ) said to them, "Proceed along the seashore till we meet all together." So, they took the route of the seashore, and when they started all of them assumed Ihram except Abu Qatada. While they were proceeding on, his companions saw a group of onagers. Abu Qatada chased the onagers and attacked and wounded a sheonager. They got down and ate some of its meat and said to each other: "How do we eat the meat of the game while we are in a state of Ihram?" So, we (they) carried the rest of the she-onager's meat, and when they met Allah's Messenger (ﷺ) they asked, saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! We assumed Ihram with the exception of Abu Qatada and we saw (a group) of onagers. Abu Qatada attacked them and wounded a she-onager from them. Then we got down and ate from its meat. Later, we said, (to each other), 'How do we eat the meat of the game and we are in a state of Ihram?' So, we carried the rest of its meat. The Prophet asked, "Did anyone of you order Abu Qatada to attack it or point at it?" They replied in the negative. He said, "Then eat what is left of its meat."
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৫। সালিহ ইবনু মিসমার সূলামী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা হুদায়বিয়ার বছর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে গেলেন। তার সঙ্গীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরাম বাঁধলেন না। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবহিত করা হল যে, শত্রুরা গাইকা নামক স্থানে ওত পেতে আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার যাত্রা অব্যাহত রাখলেন। আবূ কাতাদা (রাঃ) বলেন, আমি তাঁর সাহাবীগণের সঙ্গে ছিলাম, তাদের কতক আমার দিকে চেয়ে হাসছিল। আমি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে একটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আমি সেটিকে ধাওয়া করলাম এবং বর্শা ছুড়ে সেটিকে বিদ্ধ করলাম। তারপর সাহাবীদের সাহায্য চাইলাম। কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা এর মাংস খেলাম এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকাবোধ করলাম। অতএব আমি তাঁর সন্ধানে চললাম। কখনো ঘোড়া দ্রুত হাকাচ্ছিলাম, আবার কখনো সাধারণভাবে চালাচ্ছিলাম।
মধ্যরাতে গিফার গোত্রের এক ব্যাক্তির সাক্ষাত পেলাম এবং তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত পেয়েছে? সে বলল, আমি তাঁকে তা’হিন নামক স্থানে ছেড়ে এসেছি এবং তিনি সুফয়া নামক স্থানে দুপূরের সময়টা যাত্রা বিরতি করার মনস্থ করেছেন। আমি (আবূ কাতাদা) তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার সাহাবীগন আপনাকে সালাম জানিয়েছেন এবং আপনার জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করেছেন। তারা আপনার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা করছেন। অতএব আপনি তাদের জন্য অপেক্ষা করুন। অতএব তিনি তাদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি একটি শিকার ধরেছি এবং তার কিছু অংশ আমার কাছে অবশিষ্ট আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের বললেন, তোমরা খাও। তারা ইহরাম অবস্থায় ছিলেন।
وَحَدَّثَنَا صَالِحُ بْنُ مِسْمَارٍ السُّلَمِيُّ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ يَحْيَى، بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ وَحُدِّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ عَدُوًّا بِغَيْقَةَ فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِهِ يَضْحَكُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ إِذْ نَظَرْتُ فَإِذَا أَنَا بِحِمَارِ وَحْشٍ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ فَطَعَنْتُهُ فَأَثْبَتُّهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَانْطَلَقْتُ أَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُرَفِّعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلاً مِنْ بَنِي غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ لَقِيتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تَرَكْتُهُ بِتِعْهِنَ وَهُوَ قَائِلٌ السُّقْيَا فَلَحِقْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلاَمَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ انْتَظِرْهُمْ . فَانْتَظَرَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَدْتُ وَمَعِي مِنْهُ فَاضِلَةٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْقَوْمِ " كُلُوا " . وَهُمْ مُحْرِمُونَ .
'Abdullah b. Abu Qatada reported:
My father went with the Messenger of Allah (ﷺ) in the year of Hudaibiya. His Companions entered upon the state of Ihram whereas he did not, for it was conveyed to the Messenger of Allah (ﷺ) that the enemy (was hiding at) Ghaiqa. The Messenger of Allah (ﷺ) went forward. He (Abu Qatada) said: Meanwhile I was along with his Companions, some of them smiled (to one another) As I cast a glance I saw a wild ass. I attacked It with a spear and held it, and begged for their (i. e. of his companions) assistance, but they refused to help me and we ate its meat. But we were afraid lest we should be separated (from the Messenger of Allah). So I proceeded on (with a view to) seeking the Messenger of Allah (ﷺ). Some- times I'dashed my horse and sometimes I made it run at a leisurely pace (keeping pace with others). (In the meanwhile) I met a person from Banfu Ghifar in the middle of the night. I said to him: Where did you meet the messenger of Allah (ﷺ)? He said: I left him at Ta'bin and he intended to halt at Suqya to spend the afternoon. I met him and said: Messenger of Allah. your Companions convey salutations and benedictions of Allah to you and they fear that they may not be separated from you (and the enemy may do harm to you), so wait for them, and he (the Holy Prophet) waited for them. I said: Messenger of Allah, I killed a game and there is left with me (some of the meat). The Apostle of Allah (ﷺ) said to his people: Eat it. And they were in the state of Ihram.
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোন অসুবিধার কারণে ইহরাম অবস্থায় মাথা কামানো জায়েয, মাথা কামালে ফিদয়া দেয়া ওয়াজিব এবং ফিদয়ার পরিমাণ
২৭২৬। আবূ কামিল জাহদারী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন এবং আমরাও তাঁর সফর সঙ্গী হলাম। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভিন্ন পথ ধরলেন এবং আবূ কাতাদা (রাঃ) সহ কতিপয় সাহাবীকে (অন্য পথ অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়ে) বললেন, তোমরা আমার সঙ্গে সাক্ষাত না করা পর্যন্ত সমূদ্র তীরবর্তী পথ ধরে অগ্রসর হও। আবূ কাতাদা (রাঃ) বলেন, অতএব তারা সমুদ্র উপকূল বরাবর পথ ধরলেন। তারা যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথে মোড় নিলেন, তখন আবূ কাতাদা (রাঃ) ছাড়া আর সকলে ইহরাম বাঁধলেন, তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। এই অবস্থায় পথ চলতে চলতে তারা কতকগুলো বন্য গাধা দেখতে পেলেন এবং আবূ কাতাদা (রাঃ) এগুলোকে আক্রমণ করে একটি গাধী শিকার করলেন। তারা যাত্রা বিরতি দিয়ে গাধীর মাংস খেলেন।
আবূ কাতাদা (রাঃ) বলেন, তারা বললেন, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারের মাংস খেলাম। এরপর তারা এর অবশিষ্ট গোশত সঙ্গে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মিলিত হয়ে বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা ইহরাম বেঁধেছি কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরাম বাঁধেন নি। এই অবস্থায় আমরা কয়েকটি বন্য গাধা দেখতে পেলাম। আবূ কাতাদা (রাঃ) এগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি গাধী শিকার করেন। আমরা যাত্রা বিরতি দিয়ে এর মাংস খেয়েছি। অতঃপর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা ইহরাম অবস্থায় শিকারকৃত পশুর মাংস আহার করব কি অথচ আমরা মুহরিম? আমরা অবশিষ্ট গোশত সাথে করে নিয়ে এসেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমাদের কেউ কি তা শিকার করার নির্দেশ অথবা ইঙ্গিত করেছে? তারা বললেন, না। তিনি বললেন, তাহলে অবশিষ্ট মাংসও খেতে পার।
باب جَوَازِ حَلْقِ الرَّأْسِ لِلْمُحْرِمِ إِذَا كَانَ بِهِ أَذًى وَوُجُوبِ الْفِدْيَةِ لِحَلْقِهِ وَبَيَانِ قَدْرِهَا
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، - رضى الله عنه - قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَاجًّا وَخَرَجْنَا مَعَهُ - قَالَ - فَصَرَفَ مِنْ أَصْحَابِهِ فِيهِمْ أَبُو قَتَادَةَ فَقَالَ " خُذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ حَتَّى تَلْقَوْنِي " . قَالَ فَأَخَذُوا سَاحِلَ الْبَحْرِ . فَلَمَّا انْصَرَفُوا قِبَلَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحْرَمُوا كُلُّهُمْ إِلاَّ أَبَا قَتَادَةَ فَإِنَّهُ لَمْ يُحْرِمْ فَبَيْنَمَا هُمْ يَسِيرُونَ إِذْ رَأَوْا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلُوا فَأَكَلُوا مِنْ لَحْمِهَا - قَالَ - فَقَالُوا أَكَلْنَا لَحْمًا وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ - قَالَ - فَحَمَلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِ الأَتَانِ فَلَمَّا أَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا كُنَّا أَحْرَمْنَا وَكَانَ أَبُو قَتَادَةَ لَمْ يُحْرِمْ فَرَأَيْنَا حُمُرَ وَحْشٍ فَحَمَلَ عَلَيْهَا أَبُو قَتَادَةَ فَعَقَرَ مِنْهَا أَتَانًا فَنَزَلْنَا فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهَا فَقُلْنَا نَأْكُلُ لَحْمَ صَيْدٍ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ . فَحَمَلْنَا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا . فَقَالَ " هَلْ مِنْكُمْ أَحَدٌ أَمَرَهُ أَوْ أَشَارَ إِلَيْهِ بِشَىْءٍ " . قَالَ قَالُوا لاَ . قَالَ " فَكُلُوا مَا بَقِيَ مِنْ لَحْمِهَا " .
'Abdullah b. Abu Qatada reported on the authority of his father (Allah be pleased with him):
The Messenger of Allah (ﷺ) set out for Pilgrimage and we also set out along with him. He (Abu Qatada) said: There proceeded on some of his Companions and Abu Qatada was (one of them). He (the Prophet) said: You proceed along the coastline till you meet me. He (Abu Qatada) said: So they proceeded ahead of the Prophet of Allah (ﷺ), all of them had entered upon the state of Ihram, except Abu Qatada; he had not put on ihram. As they went on they saw a wild ass, and Abu Qatada attacked it and cut off its hind legs. They got down and ate its meat. They said: We ate meat In the state of Ihram. They carried the meat that was left of it. As they came to the Messenger of Allah (way peace be upon him) they said: Messenger of Allah, we were in the state of Ihram whereas Abu Qatada was not. We saw a wild ass and Abu Qatada attacked it and cut off its hind legs. We got down and ate its meat and we thus ate the meat of a game while we were In the state of Ihram. We have (carried to you) what was left out of its meat. Thereupon he (the holy Prophet) said: Did anyone among you command him (to hunt) or point to him with anything (to do so)? They said: No. Thereupon he said: Then eat what is left out of its meat.
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৮। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান আদু-দারিমী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ-কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তার পিতা তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে হুদায়বিয়ার অভিযানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, আমি ছাড়া আর সকলেই উমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছিলেন। আমি একটি বন্য গাধা শিকার করলাম এবং আমার মুহরিম সঙ্গীদের এর মাংস খাওয়ালাম। অতঃপর আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে অবহিত করলাম যে, শিকারের অবশিষ্ট মাংস আমাদের সাথে আছে। তিনি বললেন, তোমরা তা খাও। তখন তারা ছিলেন মুহরিম।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - وَهُوَ ابْنُ سَلاَّمٍ - أَخْبَرَنِي يَحْيَى، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، - رضى الله عنه - أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، غَزَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ الْحُدَيْبِيَةِ قَالَ فَأَهَلُّوا بِعُمْرَةٍ غَيْرِي - قَالَ - فَاصْطَدْتُ حِمَارَ وَحْشٍ فَأَطْعَمْتُ أَصْحَابِي وَهُمْ مُحْرِمُونَ ثُمَّ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَنْبَأْتُهُ أَنَّ عِنْدَنَا مِنْ لَحْمِهِ فَاضِلَةً . فَقَالَ " كُلُوهُ " وَهُمْ مُحْرِمُونَ .
Abdullah b. Abu Qatada narrated on the authority of his father (Allah be pleased with him) that they went with the Messenger of Allah (ﷺ) on an expedition to Hudaibiya. He (further) said:
They had entered upon the state of Ihram except I for 'Umra. He (again) said: I (Abu Qatada) hunted a wild ass and fed my companions in the state of their being Muhrim. 1 then came to the Messenger of Allah (ﷺ) and informed him that we had with us the meat that was left out of it. Thereupon he said: "Eat it," while they were in the state of Ihram.
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭২৯। আহমদ ইবনু আবদা যাব্বী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত যে, তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে (সফরে) রওনা হলেন। তারা সবাই ইহরাম অবস্থায় ছিলেন, কিন্তু আবূ কাতাদা (রাঃ) হালাল অবস্থায় ছিলেন। হাদীসের অবশিষ্ট বর্ণনা পূর্বাবৎ। তবে এই বর্ণনায় আরও আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, এর কিছু গোশত তোমাদের সাথে আছে কি? তারা বললেন, তার পা আমাদের সাথে আছে। রাবী বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা নিয়ে আহার করলেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا فُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ النُّمَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو حَازِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، - رضى الله عنه - أَنَّهُمْ خَرَجُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ مُحْرِمُونَ وَأَبُو قَتَادَةَ مُحِلٌّ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ فَقَالَ " هَلْ مَعَكُمْ مِنْهُ شَىْءٌ " . قَالُوا مَعَنَا رِجْلُهُ . قَالَ فَأَخَذَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَهَا .
'Abdullah b. Abu Qatada reported on the authority of his father (Allah be pleased with him) that they went out with the Messenger of Allah (ﷺ) and they were Muhrim except Abu Qatada. The rest of the hadith Is the same (but with the exception of these words):
" He (the Holy Prophet) said: 15 there any- thing out of it? They said: We have its leg with us. The Messenger of Allah (ﷺ) took it and ate it."
পরিচ্ছেদঃ ৭. হজ্জ, উমরা অথবা উভয় উদ্দেশ্যে ইহরামকারীর জন্য স্থলের হালাল জন্তু অথবা যে জন্তু মুলত স্থলের, তা শিকার করা নিষিদ্ধ
২৭৩০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, কুতায়বা ও ইসহাক (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,আবূ কাতাদা (রাঃ) ইহরামকারী একটি দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তিনি ইহরাম ছাড়া ছিলেন। হাদীসের পরবর্তী বর্ণনা পূর্ববৎ। এতে আছেঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাদের কেউ কি শিকারের দিকে ইঙ্গিত করেছে অথবা কোনরূপ নির্দেশ দিয়েছে? তারা বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ না। তিনি বললেন, তাহলে এটা খেতে পার।
وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَإِسْحَاقُ، عَنْ جَرِيرٍ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ كَانَ أَبُو قَتَادَةَ فِي نَفَرٍ مُحْرِمِينَ وَأَبُو قَتَادَةَ مُحِلٌّ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ وَفِيهِ قَالَ " هَلْ أَشَارَ إِلَيْهِ إِنْسَانٌ مِنْكُمْ أَوْ أَمَرَهُ بِشَىْءٍ " . قَالُوا لاَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَكُلُوا " .
Abdullah b. Abi Qatada reported that Abu Qatada was among the party of those who had entered upon the state of Ihram whereas he was not. The rest of the hadith is the same (and herein it is also narrated):
" He (the Holy Prophet) said: Did any person among you point to him (to hunt) or command him (in any form)? They said: Messenger of Allah, not at all. Thereupon he said: Then eat it."
পরিচ্ছেদঃ ৫. গরীবকে সময় দেওয়ার ফযীলত এবং ধনী ও গরীব দেনাদারের নিকট থেকে পাওনা আদায়ের ব্যপারে সহানুভূতি প্রদর্শন
৩৮৫৫। আবূল হায়সাম খালিদ ইবনু খিদাশ ইবনু আজলান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ কাতাদা (রাঃ) একবার তার এক ঋণ গ্রহীতাকে খোঁজ করেন। সে তার থেকে আত্মগোপন করছিল। পরে তিনি তাকে পেয়ে যান। সে বলল, আমি অভাবগ্রস্ত। তিনি বললেন, আল্লাহ শপথ! সে বলল, আল্লাহর শপথ। তিনি বললেন, তাহলে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি এ কামনা করে যে, আল্লাহ তাকে কিয়ামত দিবসের দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্তি দেন সে যেন ঋণগ্রস্ত অক্ষম লোকের সহজ ব্যবস্থা করে কিংবা ঋণ মওকুফ করে দেয়।
باب فَضْلِ إِنْظَارِ الْمُعْسِرِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْهَيْثَمِ، خَالِدُ بْنُ خِدَاشِ بْنِ عَجْلاَنَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ أَبَا قَتَادَةَ، طَلَبَ غَرِيمًا لَهُ فَتَوَارَى عَنْهُ ثُمَّ وَجَدَهُ فَقَالَ إِنِّي مُعْسِرٌ . فَقَالَ آللَّهِ قَالَ آللَّهِ . قَالَ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ سَرَّهُ أَنْ يُنْجِيَهُ اللَّهُ مِنْ كُرَبِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ فَلْيُنَفِّسْ عَنْ مُعْسِرٍ أَوْ يَضَعْ عَنْهُ " .
Abdullah b. Abu Qatada reported that Abu Qatada (Allah be pleased with him) demanded (the payment of his debt) from his debtor but he disappeared; later on he found him and he said:
I am hard up financially, whereupon he said: (Do you state it) by God? He said: By God. Upon this he (Qatada) said: I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: He who loves that Allah saves him from the torments of the Day of Resurrection should give respite to the insolvent or remit (his debt).
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ইস্তিঞ্জা করার সময় ডান হাত দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ করা মাকরূহ।
৩১. মুসলিম ইবনু ইবরাহীম ..... ইয়াহ্ইয়া ইবনু আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ কাতাদা তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ পেশাবের সময় তোমাদের কেউ যেন ডান হাত দিয়ে লজ্জাস্থান স্পর্শ না করে এবং পায়খানার পর ডান হাত দিয়ে কুলুখ ব্যবহার না করে এবং পানি পান করার সময় এক দমে [নিঃশ্বাসে] যেন পানি পান না করে।
-(বুখারী মুসলিম- তিরমিযী, ইবনু মাজাহ- নাসাঈ)।
باب كَرَاهِيَةِ مَسِّ الذَّكَرِ بِالْيَمِينِ فِي الاِسْتِبْرَاءِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا بَالَ أَحَدُكُمْ فَلاَ يَمَسَّ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ وَإِذَا أَتَى الْخَلاَءَ فَلاَ يَتَمَسَّحْ بِيَمِينِهِ وَإِذَا شَرِبَ فَلاَ يَشْرَبْ نَفَسًا وَاحِدًا " .
حكم : صحيح (الألباني
Narrated Abu Qatadah:
The Prophet (sal Allaahu alayhi wa sallam) said: When any one of you urinates, he must not touch his penis with his right hand, and when he goes to relieve himself he must not wipe himself with his right hand (in the privy), and when he drinks, he must not drink in one breath.
পরিচ্ছেদঃ ১৩২. কোন অনিবার্য কারণ বশতঃ নামায সংক্ষিপ্ত করা।
৭৮৯. আব্দুর রহমান ইবনু ইবরাহীম ... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা (রহঃ) থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমি কখনও কখনও নামায দীর্ঘায়িত করার ইরাদা করি কিন্তু কোন ছোট বাচ্চার ক্রন্দন ধ্বনি শুনে তার মাতার কষ্টের কথা চিন্তা করে নামায সংক্ষিপ্ত করি। (বুখারী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মুসলিম)।
باب تَخْفِيفِ الصَّلاَةِ لِلأَمْرِ يَحْدُثُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، وَبِشْرُ بْنُ بَكْرٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنِّي لأَقُومُ إِلَى الصَّلاَةِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُطَوِّلَ فِيهَا فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ كَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمِّهِ " .
Abu Qatadah reported the Messenger of Allah (ﷺ) as saying:
I stand up to pray and intend to prolong it; but when I hear the cry of a boy I shorten if for fear that his mother might be distressed.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫. যুহরের নামাযের কিরাত সম্পর্কে।
৭৯৯. আল-হাসান ইবনু আলী ..... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা তাঁর পিতার সূত্রে পূর্ববর্তী হাদীছের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। সেখানে তিনি আরও বর্ণনা করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের শেষ দুই রাকাতে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করতেন। রাবী হাম্মামের বর্ণনায় আরও আছে যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাকাতের চাইতে প্রথম রাকাত একটু দীর্ঘ করতেন। তিনি ফজর ও আসরের নামাযেও অনুরূপ করতেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ، وَأَبَانُ بْنُ يَزِيدَ الْعَطَّارُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، بِبَعْضِ هَذَا وَزَادَ فِي الأُخْرَيَيْنِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ . وَزَادَ عَنْ هَمَّامٍ قَالَ وَكَانَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الثَّانِيَةِ وَهَكَذَا فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي صَلاَةِ الْغَدَاةِ .
The above mentioned tradition as been reported by Abu Qatadah through a different chain of narrators. This version adds:
He would recite Fatihat al-kitab in the last two surahs. Hammam added: He would prolong the first rak’ah but would not prolong the second so much; and he did so similarly in the afternoon prayer, and so in the morning prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫. যুহরের নামাযের কিরাত সম্পর্কে।
৮০০. আল-হাসান ইবনু আলী .... আবদুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদা থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, সম্ভবতঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামাআতে অধিক লোকের শরীক হওয়ার সুযোগ প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রথম রাকাত দীর্ঘ করতেন।
باب مَا جَاءَ فِي الْقِرَاءَةِ فِي الظُّهْرِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ فَظَنَنَّا أَنَّهُ يُرِيدُ بِذَلِكَ أَنْ يُدْرِكَ النَّاسُ الرَّكْعَةَ الأُولَى .
Abu Qatadah said:
We thought that by this (prolonging the first rak’ah). He (the prophet) meant that the people might join the first rak’ah.
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/ ঋণগ্রস্থ ব্যাক্তির উপর জানাযার সালাত আদায় করা
১৯৬৪। মুহাম্মাদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ কাতাদাহ তাঁর পিতা আবূ কাতাদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে কয়েকজন আনসারী ব্যক্তির মৃত দেহ আনা হল জানাজার সালাত আদায় করার জন্য। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা নিজেরাই স্বীয় সাথীর উপর জানাজার সালাত আদায় কর, যেহেতূ সে ঋণগ্রস্ত। আবূ কাতাদা (রাঃ) বললেন, সে ঋণ আমার উপর (সে ঋণ আদায়ের দায়িত্ব আমার)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা আদায় করার অঙ্গীকার চাইলেন। আদায় করার অঙ্গীকার করা হলে তিনি জানাজার সালাত আদায় করলেন।
باب الصَّلاَةِ عَلَى مَنْ عَلَيْهِ دَيْنٌ
أَخْبَرَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِرَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ فَإِنَّ عَلَيْهِ دَيْنًا " . قَالَ أَبُو قَتَادَةَ هُوَ عَلَىَّ . قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " بِالْوَفَاءِ " . قَالَ بِالْوَفَاءِ . فَصَلَّى عَلَيْهِ .
'Abdullah bin Abi Qatadah narrated from his father that:
a man was brought to the Prophet for him to offer the funeral prayer, and he said: "Pray for your companion, for he owes a debt." Abu Qatadah said: " I will pay it." The Prophet said: "In full?" He said: "In full." So he prayed for him
পরিচ্ছেদঃ ৮০. মুহরিম ব্যক্তির হাসি দেখে যদি কোন হালাল ব্যক্তি শিকারের সন্ধান পায় এবং তা হত্যা করে তাহলে সে তা আহার করবে কিনা?
২৮২৭. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... আবদুল্লাহ্ ইবন আবু কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার বছর আমার পিতা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রওয়ানা হলেন। তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন, আর তিনি ইহরাম বাঁধলেন না। আমি তাঁর সাহাবীগণের সাথে ছিলাম। এমন সময় তারা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে হেসে উঠলেন। আমি লক্ষ্য করে দেখলাম, একটি জংলী গাধা। আমি তাকে লক্ষ্য করে বর্শা নিক্ষেপ করলাম। বর্শ নিক্ষেপ করতে আমি তাঁদের সাহায্য কামনা করলাম, কিন্তু তারা আমাকে সাহায্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। আমরা তার মাংস খেলাম। আমরা কাফেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা করলাম। তারপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তালাশে ঘোড়াকে অতি দ্রুত হাঁকালাম।
মধ্যরাত্রে গিফার গোত্রের এক ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হলো। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কোথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ছেড়ে এসেছে? সে বললো, সুকিয়া নামক স্থানে তাঁকে শায়িত অবস্থায় ছেড়ে এসেছি। পরে তাঁর সাথে মিলিত হয়ে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার সাহাবীবৃন্দ আপনাকে সালাম দিয়েছেন। তারা আপনার থেকে পেছনে থাকার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ভয় করছে। অতএব আপনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করুন। তিনি তাঁদের জন্য অপেক্ষা করলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি একটি জংলী গাধা ধরে ফেলেছি। আর তার কিছু অংশ আমার নিকট আছে। তিনি কাফেলাকে লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমরা তা আহার কর, অথচ তারা তখন মুহরিম ছিল।
إِذَا ضَحِكَ الْمُحْرِمُ فَفَطِنَ الْحَلَالُ لِلصَّيْدِ فَقَتَلَهُ أَيَأْكُلُهُ أَمْ لَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ انْطَلَقَ أَبِي مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ يُحْرِمْ فَبَيْنَمَا أَنَا مَعَ أَصْحَابِي ضَحِكَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ فَنَظَرْتُ فَإِذَا حِمَارُ وَحْشٍ فَطَعَنْتُهُ فَاسْتَعَنْتُهُمْ فَأَبَوْا أَنْ يُعِينُونِي فَأَكَلْنَا مِنْ لَحْمِهِ وَخَشِينَا أَنْ نُقْتَطَعَ فَطَلَبْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُرَفِّعُ فَرَسِي شَأْوًا وَأَسِيرُ شَأْوًا فَلَقِيتُ رَجُلًا مِنْ غِفَارٍ فِي جَوْفِ اللَّيْلِ فَقُلْتُ أَيْنَ تَرَكْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تَرَكْتُهُ وَهُوَ قَائِلٌ بِالسُّقْيَا فَلَحِقْتُهُ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَصْحَابَكَ يَقْرَءُونَ عَلَيْكَ السَّلَامَ وَرَحْمَةَ اللَّهِ وَإِنَّهُمْ قَدْ خَشُوا أَنْ يُقْتَطَعُوا دُونَكَ فَانْتَظِرْهُمْ فَانْتَظَرَهُمْ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَصَبْتُ حِمَارَ وَحْشٍ وَعِنْدِي مِنْهُ فَقَالَ لِلْقَوْمِ كُلُوا وَهُمْ مُحْرِمُونَ
It was narrated that Abdullah bin Abi Qatadah said:
"My father set out with the Messenger of Allah in the year of Al-Hudaybiyah, and his companions entered Ihram, but he did not. (He said:) 'While I was with my companions, some of them laughed at others. I looked and saw an onager. I stabbed it then asked them to help, but they refused to help me. We ate from its meat, and we were afraid that we would be intercepted (by the enemy) so I followed the Messenger of Allah, sometimes making my horse gallop and sometimes traveling at a regular place. I met a man from Ghifar at midnight and said: Where did you leave the Messenger of Allah? He said: I left him when he was napping in As-Suqya. I caught up with him and said: O messenger of Allah! Your Companions convey their greetings of Salam to you, and the mercy of Allah and His blessings. They were afraid that they may be intercepted and cut off from you, so wait for them. Then I said: O Messenger of Allah, I caught an onager and I have some of it. He said to the People: Eat, and they were I Ihram.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যুদ্ধে যোগদান
৩১৬০. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবন আবু কাতাদা (তার পিতা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললোঃ আমি যদি ধৈর্যের সাথে সওয়াবের নিয়তে সামনে অগ্রসর হয়ে, পিছু না হটে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করি, তাহলে কি আল্লাহ আমার সব পাপ ক্ষমা করে দিবেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ। যখন সে ব্যক্তি প্রস্থান করলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডাকলেন অথবা ডাকতে বললেন। তাকে ডাকা হলো, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি বললে? লোকটি তার বক্তব্য তার নিকট পুনরায় ব্যক্ত করলো। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হ্যাঁ, তবে ঋণ ব্যতীত; জিবরীল (আঃ) আমাকে এরূপ বললেন।
مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى وَعَلَيْهِ دَيْنٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ قُتِلْتُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا مُقْبِلًا غَيْرَ مُدْبِرٍ أَيُكَفِّرُ اللَّهُ عَنِّي خَطَايَايَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ فَلَمَّا وَلَّى الرَّجُلُ نَادَاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْ أَمَرَ بِهِ فَنُودِيَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَيْفَ قُلْتَ فَأَعَادَ عَلَيْهِ قَوْلَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَعَمْ إِلَّا الدَّيْنَ كَذَلِكَ قَالَ لِي جِبْرِيلُ عَلَيْهِ السَّلَام
It was narrated from 'Abdullah bin Abi Qatadah that his father said:
"A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: 'O Messenger of Allah, if I am killed in the cause of Allah with patience and seeking reward, facing the enemy and not running away, do you think that Allah will forgive my sins?' The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Yes.' When the man turned away, the Messenger of Allah (ﷺ) called him back and said: 'What did you say?' He repeated his question, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Yes, except debt. Jibril told me.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩২. ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির যুদ্ধে যোগদান
৩১৬২. আব্দুল জব্বার ইবন আ’লা (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবন ’আবু কাতাদা তার পিতা কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরের উপর থাকাবস্থায় এক ব্যক্তি এসে বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি যদি আমার এ তলোয়ার দিয়ে ধৈর্যসহকারে সওয়াবের নিয়তে সামনে অগ্রসর হয়ে পিছু না হটে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করে শহীদ হই; তাহলে কি আমার পাপসমূহ আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। লোকটি চলে গেলে তাকে ডেকে বললেনঃ ইনি হলেন জিবরীল, তিনি বলছেন- তোমার উপর ঋণ থাকলে তা ব্যতীত।
مَنْ قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ تَعَالَى وَعَلَيْهِ دَيْنٌ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْجَبَّارِ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَمْرٍو سَمِعَ مُحَمَّدَ بْنَ قَيْسٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَأَيْتَ إِنْ ضَرَبْتُ بِسَيْفِي فِي سَبِيلِ اللَّهِ صَابِرًا مُحْتَسِبًا مُقْبِلًا غَيْرَ مُدْبِرٍ حَتَّى أُقْتَلَ أَيُكَفِّرُ اللَّهُ عَنِّي خَطَايَايَ قَالَ نَعَمْ فَلَمَّا أَدْبَرَ دَعَاهُ فَقَالَ هَذَا جِبْرِيلُ يَقُولُ إِلَّا أَنْ يَكُونَ عَلَيْكَ دَيْنٌ
It was narrated from 'Abdullah bin Abi Qatadah that his father said:
"A man came to the Prophet (ﷺ) when he was on the Minbar and said: 'O Messenger of Allah, do you think that if I wield this sword of mine in the cause of Allah, with patience and seeking reward, facing the enemy, and not running away, will Allah forgive my sins?' He said: 'Yes.' When he turned away, he called him back and said: 'Jibril says: unless you are in debt.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫/৮. যোহর ও আসরের সালাতে কখনো সশব্দে কুরআন তিলাওয়াত।
১/৮২৯। আবদুল্লাহ ইবনু আবূ ক্বাতাদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরসহ যোহরের সালাত পড়াকালে প্রথম দু রাকআতে কখনো কখনো আমাদের শুনিয়ে কিরাআত পাঠ করতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবী দাউদ ৭৬৩।
بَاب الْجَهْرِ بِالْآيَةِ أَحْيَانًا فِي صَلَاةِ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقْرَأُ بِنَا فِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُولَيَيْنِ مِنْ صَلاَةِ الظُّهْرِ وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ أَحْيَانًا .
It was narrated from ‘Abdullah bin Abu Qatadah that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) used to recite when leading us in the first two Rak’ah of the Zuhr prayer, and sometimes he would recite such that we could hear the Verse.”
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৯৩. ইহরামধারী ব্যক্তির উদ্দেশে শিকার না করা হলে সে তার গোশত খেতে পারে
২/৩০৯৩। আবদুল্লাহ ইবনে আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদাইবিয়ার বছর আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে রওয়ানা হলাম। তাঁর সাহাবীগণ ইহরাম বাঁধলেন, কিন্তু আমি বাঁধিনি। আমি একটি গাধা দেখতে পেয়ে তার উপর ঝাপিয়ে পড়লাম এবং তা শিকার করলাম। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার অবস্থা বর্ণনা করলাম। আমি আরও উল্লেখ করলাম যে, আমি তখনও ইহরাম বাঁধিনি এবং তা আপনার জন্য শিকার করেছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীদের এ মাংস খাওয়ার নির্দেশ দিলেন। কিন্তু আমি তাঁর জন্য এটা শিকার করেছি বলায় তিনি তা আহার করলেন না।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ إِذَا لَمْ يُصَدْ لَهُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَنْبَأَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ زَمَنَ الْحُدَيْبِيَةِ فَأَحْرَمَ أَصْحَابُهُ وَلَمْ أُحْرِمْ فَرَأَيْتُ حِمَارًا فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ وَاصْطَدْتُهُ فَذَكَرْتُ شَأْنَهُ لِرَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ وَذَكَرْتُ أَنِّي لَمْ أَكُنْ أَحْرَمْتُ وَأَنِّي إِنَّمَا اصْطَدْتُهُ لَكَ فَأَمَرَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ أَصْحَابَهُ فَأَكَلُوا وَلَمْ يَأْكُلْ مِنْهُ حِينَ أَخْبَرْتُهُ أَنِّي اصْطَدْتُهُ لَهُ .
It was narrated from ‘Abdullah bin Abu Qatadah that his father said:
“I went out with the Messenger of Allah (ﷺ) at the time of Hudaibiyah, and his Companions entered Ihram, but I did not. I saw a donkey do I hunted it. I mentioned that to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him: ‘I had not entered Ihram, and I was hunting it for you.’ The Prophet (ﷺ) told his Companions to eat it, but he did not eat from it, because I told him that I had hunted it for him.”
পরিচ্ছেদঃ ২৪/১১. দু’টি জিনিসের সংমিশ্রণে (উত্তেজক পানীয়) প্রস্তুত নিষিদ্ধ।
৩/৩৩৯৭। আবদুল্লাহ ইবনে আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ কাঁচা খেজুর ও পাকা খেজুর একত্রে মিশাবে না এবং খেজুর ও আংগুরও একত্রে মিশাবে না। তবে এর প্রতিটি পৃথকভাবে ভিজিয়ে নবীয তৈরি করতে পারো।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب النَّهْيِ عَنْ الْخَلِيطَيْنِ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " لاَ تَجْمَعُوا بَيْنَ الرُّطَبِ وَالزَّهْوِ وَلاَ بَيْنَ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَانْبِذُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى حِدَتِهِ " .
It was narrated from ‘Abdullah bin Abu Qatadah, from his father, that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
“Do not combine fresh dates and unripe dates, or raisins and dates; rather make Nabidh with each one of them on its own.
পরিচ্ছেদঃ ঋণগ্রস্ত ব্যাক্তির জানাযা প্রসঙ্গে।
১০৬৯. মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আবী কাতাদা তাঁর পিতা আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে জনৈক ঋণগ্রস্থ ব্যক্তিকে সালাতুল জানাযার জন্য আনা হলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা তোমাদের সাথীর সালাতুল জানাযা আদায় করে নাও। (আমি এতে শরীক হচ্ছি না) কারণ, তার যিম্মায় ঋণ রয়ে গেছে। তখন আবূ কাতাদা বললেন, এর ঋণ আমার যিম্মায়। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তা আদায়ের অঙ্গীকারের সাথে তো? এরপর তিনি নিজে ঐ ব্যক্তির সালাতুল জানাযা আদায় করলেন। - ইবনু মাজাহ ২৪০৭, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জাবির, সালামা ইবনুল আকওয়া ও আসমা বিনত ইয়াযীদ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সাহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الصَّلاَةِ عَلَى الْمَدْيُونِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي قَتَادَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أُتِيَ بِرَجُلٍ لِيُصَلِّيَ عَلَيْهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " صَلُّوا عَلَى صَاحِبِكُمْ فَإِنَّ عَلَيْهِ دَيْنًا " . قَالَ أَبُو قَتَادَةَ هُوَ عَلَىَّ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بِالْوَفَاءِ " . قَالَ بِالْوَفَاءِ . فَصَلَّى عَلَيْهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ وَأَسْمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي قَتَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abdullah bin Abi Qatadah narrated from his father that:
The Prophet was brought a (deceased) man to perform Salat over. So the Prophet said: "Pray for your companion; for indeed he had a debt upon him." Abu Qatadah said: "It shall be upon me." So the Messenger of Allah said: "To pay it off?" (He said: "To pay it off.") So he performed the prayer for him.