পরিচ্ছেদঃ ৩৭. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহন করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫২। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয যুবাঈ (রহঃ) ... আবদুল মুত্তালিব ইবনুল হারিস (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাবী’আ ইবনুল হারিস এবং আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব। (রাঃ) একত্রিত হলেন। এরপর তারা আমার এবংফযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) সম্পর্কে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা যদি এ দু’জন যুবককে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পাঠাই এবং তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাথে কথা বলে; ফলে তিনি তাদেরকে যাকাত উসূলকারী নিয়োগ করেন এবং মানুষ যা যাকাত প্রদান করবে তা তারা তার নিকট পৌছিয়ে দেয় এবং তারা পারিশ্রমিক হিসাবে ঐ পরিমাণ পায় যা অন্যান্য লোকেরা পেয়ে থাকে; তবে ভাল হবে।
এ সময় আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) এসে তাদের নিকট দাঁড়ালেন। তারা এ বিষয়টি তার নিকট উল্লেখ করলেন। তখন আলী (রাঃ) বললেন, আপনারা পাঠাবেন না। কারণ আল্লাহর শপথ! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজ করবেন না। তখন রাবী’আ ইবনুল হারিস (রাঃ) আলী (রাঃ) এর প্রতি রেগে গেলেন এবং বললেন, আল্লাহর শপথ। আপনি আমাদের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে এ আচরণ করছেন। আল্লাহর কসম! আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হবার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন। কিন্তু আমরা তো এতে আপনার প্রতি ঈর্ষা করিনা।
এ কথা শুনে আলী (রাঃ) বললেন, তোমরা তাদেরকে পাঠিয়ে দাও। এরপর তারা চললেন এবং আলী (রাঃ) শুয়ে পড়লেন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন যুহরের সালাত আদায় করলেন তখন তারা অগ্রে গিয়ে হুজরার নিকট দাঁড়িয়ে রইলেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে তাদের উভয়ের কান ধরে বললেন, তোমাদের মনে কি কথা জমা আছে বল। তারপর তিনি হুজরায় প্রবেশ করলেন। আমরাও তাঁর সাথে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যয়নব বিনত জাহশের গৃহে অবস্থান করছিলেন। রাবী বলেন, আমরা একে অন্যের উপর ভরসা করে ছিলাম। এ সময় আমাদের একজন কথা বলতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি মানুষের মধ্যে সর্বাধিক দয়াবান এবং আত্নীয়তা রক্ষাকারী। আমরা বিবাহের বয়সে পদার্পণ করেছি আমরা এসেছি, যেন আপনি আমাদেরকে এই যাকাতের মাল উসুলকারী নিয়োজিত করেন। আমরাও আপনার নিকট পৌছিয়ে দিব যেমন অন্যান্য লোকেরা পৌছিয়ে দেন এবং আমরাও (এর থেকে কিছু) পাব যেমন অন্যান্যরা পান।
বর্ণনাকারী বলেন, এ কথা শুনে তিনি দীর্ঘক্ষণ নীরব থাকলেন। অবশেষে পূনরায় আমরা তার সাথে (এ বিষয়ে) কথা বলার ইচ্ছা করলাম। তখন যয়নাব (রাঃ) পর্দার অন্তরাল থেকে আমাদেরকে ইশারা করে বললেন, তাঁর সাথে এখন কোন কথা বলো না। রাবী বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবার পরিজনের জন্য সাদাকার মাল ভক্ষণ করা বৈধ নয়। এতো মানুষের ময়লা। তোমরা মাহমিয়াকে আমার নিকট ডেকে আন। সে খুমুসের রক্ষণাবেক্ষণকারী ছিল। আর নাওফল ইবনুল হারিস ইবনু আবদুল মুত্তালিব কেও।
তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলেন। তিনি মাহমিয়াকে বললেন, তুমি তোমার কন্যাকে ফযল ইবনু আব্বাসের নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। এরপর নাওফল ইবনু হারিস (রাঃ) কে বললেন, তুমিও তোমার কন্যাকে এ ছেলেটির নিকট বিয়ে দিয়ে দাও। বর্ণনাকারী আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেন, সুতরাং তিনি আমার নিকট নিজ কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দিলেন। তারপর তিনি মাহমিয়াকে বললেন, খুমুসের মাল থেকে তাদেরকে এই এই পরিমাণ সাদাকা দিয়ে দাও। ইমাম যুহরী বলেন, তিনি আমার নিকট তার নাম উল্লেখ করেন নি।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ وَاللَّهِ لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلاَمَيْنِ - قَالاَ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَاهُ فَأَمَّرَهُمَا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَأَصَابَا مِمَّا يُصِيبُ النَّاسُ - قَالَ - فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لاَ تَفْعَلاَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ . فَانْتَحَاهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُ هَذَا إِلاَّ نَفَاسَةً مِنْكَ عَلَيْنَا فَوَاللَّهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ . قَالَ عَلِيٌّ أَرْسِلُوهُمَا . فَانْطَلَقَا وَاضْطَجَعَ عَلِيٌّ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَقُمْنَا عِنْدَهَا حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِآذَانِنَا . ثُمَّ قَالَ " أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ " ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ فَجِئْنَا لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَنُصِيبَ كَمَا يُصِيبُونَ - قَالَ - فَسَكَتَ طَوِيلاً حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ - قَالَ - وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ عَلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لاَ تُكَلِّمَاهُ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِي لآلِ مُحَمَّدٍ . إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ " . قَالَ فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ فَأَنْكَحَهُ وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِي فَأَنْكَحَنِي وَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ يُسَمِّهِ لِي .
'Abd al-Muttalib b. Rabi'a b. al-Harith reported that Rabi'a b. al-Harith and Abbas b. Abd al-Muttalib gathered together and said:
By Allah, if we had sent these two young boys (i. e. I and Fadl b. 'Abbas) to the Messenger of Allah (ﷺ) and they had spoken to him, he would have appointed them (as the collectors) of these sadaqat; and they would (collect them) and pay (to the Holy Prophet) as other people (collectors) paid and would get a share as other people got it. As they were talking about it there came 'Ali b. Abu Talib and stood before them, and they made a mention of it to him. 'Ali b. Abu Talib said: Don't do that; by Allah he (the Holy Prophet) would not do that (would not accept your request). Rabi'a b. Harith turned to him and said: By Allah, you are not doing so but out of jealousy that you nurse against us By Allah, you became the son-in-law of the Messenger of Allah (ﷺ) but we felt no jealousy against you (for this great privilege of yours). 'Ali then said: Send them (if you like). They set out and 'Ali lay on the bed. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the noon prayer. we went ahead of him to his apartment and stood near it till he came out. He took hold of our ears (out of love and affection) and then said: Give out what you have kept in your hearts. He then entered (the apartment) and we also went in and he (the Holy Prophet) was on that day (in the house of) Zainab b. jahsh. We urged each (of us) to speak. Then one of us thus spoke: Messenger of Allah, you are the best of humanity and the best to cement the ties of blood-relations. We have reached the-marriageable age. We have come (to you) so that you may appoint us (as collectors) of these sadaqat. and we would pay you just as thin people (other collectors) pay you, and get our share as others get it. He (the Holy Prophet) kept silence for a long time till we wished that we should speak with him (again), and Zainab pointied to us from behind the curtain not to talk (any more). He (the Holy Prophet) said; It does not become the family of Muhammad (to accept) sadaqat for they are the impurities of people. You call to me Mahmiya (and he was in charge of khums, i. e, of the one-fifth part that goes to the treasury out of the spoils of war), and Naufal b. Harith b. 'Abd al-Muttalib. They both came to him, and he (the Holy Prophet) said to Mahmiya: Marry your daughter to this young man (i. e. Fadl b. 'Abbas), and he married her to him And he said to Naufal b. Harith: Marry your daughter to this young man (i e. 'Abd al-Muttalib b. Rabi'a, the narrator of this hadith) and he married her to me, and he said to Mahmiya: Pay so much mahr on behalf of both of them from this khums Zuhri, however. said: He did not determine (the amount of mahr).
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এবং তার বংশধরদের জন্য যাকাত গ্রহন করা অবৈধ; তার বংশধর হল, বনী হাশিম এবং বনী মুত্তালিব গোত্রের লোকজন, অন্য কেউ নয়
২৩৫৩। হারুন ইবনু মারুফ (রহঃ) ... আবদুল মুত্তালিব ইবনু রাবী’আ ইবনু হারিস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁর পিতা রাবী’আ ইবনুল হারিস ও আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) আবদুল মুত্তালিব ইবনু রাবী’আ ও ফযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বললেন, তোমরা উভয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট যাও। এরপর তিনি মালিক (রহঃ) এর বর্ণিত অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করবেন।
তবে এতে এও আছে যে তারপর আলী (রাঃ) চাঁদর বিছিয়ে এর উপর শুয়ে পড়লেন এবং বললেন, আমি প্রজ্ঞাবান ও রায় প্রদানে বলিষ্ঠ। আল্লাহর শপথ! আমি এ স্থান পরিত্যাগ করার পূর্বেই তোমাদের উভয়ের ছেলে ঐ উত্তর নিয়ে ফিরে আসবে যার জন্য তোমরা তাদেরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট পাঠিয়েছ।
এ হাদীসের মধ্যে এ কথাও বর্ণিত আছে যে, অতঃপর তিনি আমাদেরকে বললেন, এতো সাদাকা এতো মানুষের ময়লা এ মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পরিবার পরিজনের জন্য হালাল নয়।
হাদীসে এ কথাও বর্নিত আছে যে, অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার নিকট মাহমিয়া ইবনু জু’আ (রাঃ) কে ডেকে নিয়ে আস। তিনি ছিলেন বর্নী আসাদের এক ব্যাক্তি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গনীমতের মালের খুমুস (এক পঞ্চমাংশ) উসূলকারী নিয়োগ করেছিলেন।
باب تَحْرِيمِ الزَّكَاةِ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَى آلِهِ وَهُمْ بَنُو هَاشِمٍ وَبَنُو الْمُطَّلِبِ دُونَ غَيْرِهِمْ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَقَالَ فِيهِ فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ وَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ مَكَانِي حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِحَوْرِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ قَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ " . وَقَالَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ .
Rabi'a b. Harith b. 'Abd al-Muttalib and Abbas b. 'Abd al-Muttalib said to Abd al-Muttalib b. Rabi'a and Fadl b. Ibn Abbas:
Go to the Messenger of Allah (ﷺ), and the rest of the hadith is the same (but with this addition):" 'Ali spread his cloak and then lay down on it and said: I am the father of Hasan, and I am the chief. By Allah, I would not move from my place till your sons come back to you with the reply to that for which you sent them to the Messenger of Allah (ﷺ). And he then also said: Verily these sadaqat are the impurities of people, and they are not permissible for Muhammad (may peaace be upon him), and for the family of Muhammad. And he also said: The Messenger of Allah (ﷺ) also said to me: Call Mahmiya b. Jaz', and he was person from Banu Asad. and the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed him as a collector of khums.
পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।
২৯৭৫. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ ইবন হারিছ ইবন আবদিল মুত্তালিব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তাঁর পিতা রাবী’আ ইবন হারিছ এবং আব্বাস ইবন আবদিল মুত্তালিব, আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ এবং ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে বলেন যে, তোমরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হয়ে বলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের বয়স হয়েছে, সে সম্পর্কে তো আপনি অবহিত। আমরা বিবাহ করতে ইচ্ছুক।
আর হে আল্লাহ্র রাসূল! আপনি তো সকলের চাইতে অধিক নেককার ও পরোপকারী। আমাদের পিতার কাছে আমাদের বিবাহের দেনমোহর পরিশোধের মত অর্থ নেই। তাই আপনি আমাদের সাদকা আদায়ের অফিসার হিসাবে নিয়োগ করুন। অন্য অফিসাররা যা দিয়ে থাকে, আমরাও আপনাকে তা দেব এবং তার মুনাফা আমরা গ্রহণ করব।
রাবী বলেনঃ এ সময় আলী (রাঃ) সেখানে আসেন। আমরা যখন এ অবস্থায় ছিলাম, তখন আলী (রাঃ) আমাদেরকে বলেনঃ আল্লাহ্র শপথ করে বলি যে, নিশ্চয়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের কাউকেও সাদকা আদায়ের অফিসার নিয়োগ করবেন না। তখন রাবী’আ বলেনঃ এতো আপনি নিজের পক্ষ থেকে বলছেন। আপনি তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হয়েছেন, এতে আমরা আপনার প্রতি ঈর্ষান্বিত নই। তখন আলী (রাঃ) তাঁর চাদর বিছিয়ে সেখানে শুয়ে পড়েন এবং বলেনঃ আমি আবুল হাসান, সকলের চাইতে জ্ঞানী। আল্লাহ্র শপথ! আমি এ স্থান পরিত্যাগ করব না যতক্ষণ না তোমাদের সন্তানেরা ঐ কাজ হতে বঞ্চিত হয়ে ফিরে আসে, যার জন্য তোমরা তাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট প্রেরণ করেছ।
আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) বলেনঃ আমি এবং ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ) যখন তাঁর নিকটে পৌছাই, তখন যুহরের সালাতের তাকবীর শুরু হয়ে যায়। তখন আমরা লোকদের সাথে (জামাআতে) সালাত আদায় করি। অতঃপর আমি এবং ফযল দ্রুত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হুজরার দিকে ধাবমান হই। এদিন তিনি যয়নব বিনত জাহশ (রাঃ)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। আমরা দরওয়াযার নিকট দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাইরে এসে (স্নেহবশত) আমার ও ফযলের কান ধরে বললেনঃ বল তোমরা কি বলতে চাচ্ছ।
অতঃপর তিনি হুজরার মাঝে ফিরে যান এবং আমাকে ও ফযলকে ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেন। তখন আমরা ভিতরে প্রবেশ করি এবং একে অন্যকে কথা শুরু করার জন্য বলতে থাকি। অবশেষে আমি কথা শুরু করি অথবা ফযল শুরু করে। রাবী আবদুলাহ (রাঃ) এ ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আবদুল মুত্তালিব ইবন রাবী’আ বলেনঃ তখন ফযল ঐ কথা পেশ করেন, যা বলার জন্য আমাদের পিতা আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চুপ থাকেন এবং তাঁর দৃষ্টি ছাদের প্রতি নিবদ্ধ করেন। এভাবে অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ায় আমরা মনে করি যে, তিনি এখন কোন জওয়াব দিবেন না। এ সময় আমরা লক্ষ্য করি যে, যয়নব পর্দার পিছন হতে হাতের ইশারায় আমাদের বলছেন যে, আমরা যেন ব্যস্ত না হই। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ব্যাপারে চিন্তা করছিলেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাথা নীচু করে আমাদের বললেনঃ এ সাদকা তো মানুষের ময়লা-আবর্জনা (অর্থাৎ মালের ময়লা), যা মুহাম্মদ এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের জন্য হালাল নয়। তোমরা নওফল ইবন হারিছকে আমার কাছে ডেকে আন। তখন তাঁকে তাঁর নিকট ডেকে আনা হয়। তিনি তাকে বলেনঃ হে নওফল! তুমি আবদুল মুত্তালিবকে তোমার মেয়ের সাথে বিয়ে দাও। তখন নওফল তার মেয়েকে আমার সাথে বিবাহ দেন।
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমরা মুহমিয়্যা ইবন জাযাকে আমার কাছে ডেকে আন, যিনি ছিলেন যুবায়দ গোত্রের লোক। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে মালে-গনীমতের খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আদায়ের জন্য নিয়োগ করেন। (মুহমিয়্যা আসলে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ তুমি তোমার (মেয়ের সাথে) ফযলের বিয়ে দাও। তখন তিনি বিবাহ দিয়ে দেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি দাঁড়াও এবং খুমুস হতে এ পরিমাণ, এ পরিমাণ সস্পদ মোহর বাবদ দিয়ে দাও। (রাবী বলেন) আবদুল্লাহ্ ইবন হারিছ (রাঃ) আমার নিকট মোহরের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ، حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيُّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ وَعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُولاَ لَهُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَدْ بَلَغْنَا مِنَ السِّنِّ مَا تَرَى وَأَحْبَبْنَا أَنْ نَتَزَوَّجَ وَأَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُهُمْ وَلَيْسَ عِنْدَ أَبَوَيْنَا مَا يُصْدِقَانِ عَنَّا فَاسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ فَلْنُؤَدِّ إِلَيْكَ مَا يُؤَدِّي الْعُمَّالُ وَلْنُصِبْ مَا كَانَ فِيهَا مِنْ مِرْفَقٍ . قَالَ فَأَتَى إِلَيْنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَقَالَ لَنَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ وَاللَّهِ لاَ نَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ " . فَقَالَ لَهُ رَبِيعَةُ هَذَا مِنْ أَمْرِكَ قَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ نَحْسُدْكَ عَلَيْهِ . فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ فَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِجَوَابِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . قَالَ عَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى نُوَافِقَ صَلاَةَ الظُّهْرِ قَدْ قَامَتْ فَصَلَّيْنَا مَعَ النَّاسِ ثُمَّ أَسْرَعْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ إِلَى بَابِ حُجْرَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُمْنَا بِالْبَابِ حَتَّى أَتَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخَذَ بِأُذُنِي وَأُذُنِ الْفَضْلِ ثُمَّ قَالَ أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ ثُمَّ دَخَلَ فَأَذِنَ لِي وَلِلْفَضْلِ فَدَخَلْنَا فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ قَلِيلاً ثُمَّ كَلَّمْتُهُ أَوْ كَلَّمَهُ الْفَضْلُ - قَدْ شَكَّ فِي ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ - قَالَ كَلَّمَهُ بِالأَمْرِ الَّذِي أَمَرَنَا بِهِ أَبَوَانَا فَسَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَاعَةً وَرَفَعَ بَصَرَهُ قِبَلَ سَقْفِ الْبَيْتِ حَتَّى طَالَ عَلَيْنَا أَنَّهُ لاَ يَرْجِعُ إِلَيْنَا شَيْئًا حَتَّى رَأَيْنَا زَيْنَبَ تَلْمَعُ مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ بِيَدِهَا تُرِيدُ أَنْ لاَ تَعْجَلاَ وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَمْرِنَا ثُمَّ خَفَّضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَأْسَهُ فَقَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ ادْعُوا لِي نَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ " . فَدُعِيَ لَهُ نَوْفَلُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ " يَا نَوْفَلُ أَنْكِحْ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ " . فَأَنْكَحَنِي نَوْفَلٌ ثُمَّ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي زُبَيْدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحِ الْفَضْلَ " . فَأَنْكَحَهُ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قُمْ فَأَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . لَمْ يُسَمِّهِ لِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْحَارِثِ .
Narrated AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith:
AbdulMuttalib ibn Rabi'ah ibn al-Harith said that his father, Rabi'ah ibn al-Harith, and Abbas ibn al-Muttalib said to AbdulMuttalib ibn Rabi'ah and al-Fadl ibn Abbas: Go to the Messenger of Allah (ﷺ) and tell him: Messenger of Allah, we are now of age as you see, and we wish to marry. Messenger of Allah, you are the kindest of the people and the most skilled in matchmaking. Our fathers have nothing with which to pay our dower. So appoint us collector of sadaqah (zakat), Messenger of Allah, and we shall give you what the other collectors give you, and we shall have the benefit accruing from it. Ali came to us while we were in this condition.
He said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: No, I swear by Allah, he will not appoint any of you collector of sadaqah (zakat).
Rabi'ah said to him: This is your condition; you have gained your relationship with the Messenger of Allah (ﷺ) by marriage, but we did not grudge you that. Ali then put his cloak on the earth and lay on it.
He then said: I am the father of Hasan, the chief. I swear by Allah, I shall not leave this place until your sons come with a reply (to the question) for which you have sent them to the Prophet (ﷺ).
AbdulMuttalib said: So I and al-Fadl went towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). We found that the noon prayer in congregation had already started. So we prayed along with the people. I and al-Fadl then hastened towards the door of the apartment of the Prophet (ﷺ). He was (staying) with Zaynab, daughter of Jahsh, that day. We stood until the Messenger of Allah (ﷺ) came. He caught my ear and the ear of al-Fadl.
He then said: Reveal what you conceal in your hearts. He then entered and permitted me and al-Fadl (to enter). So we entered and for a little while we asked each other to talk. I then talked to him, or al-Fadl talked to him (the narrator, Abdullah was not sure).
He said: He spoke to him concerning the matter about which our fathers ordered us to ask him. The Messenger of Allah (ﷺ) remained silent for a moment and raised his eyes towards the ceiling of the room. He took so long that we thought he would not give any reply to us. Meanwhile we saw that Zaynab was signalling to us with her hand from behind the veil, asking us not to be in a hurry, and that the Messenger of Allah (ﷺ) was (thinking) about our matter.
The Messenger of Allah (ﷺ) then lowered his head and said to us: This sadaqah (zakat) is a dirt of the people. It is legal neither for Muhammad nor for the family of Muhammad. Call Nawfal ibn al-Harith to me. So Nawfal ibn al-Harith was called to him.
He said: Nawfal, marry AbdulMuttalib (to your daughter). So Nawfal married me (to his daughter).
The Prophet (ﷺ) then said: Call Mahmiyyah ibn Jaz'i to me. He was a man of Banu Zubayd, whom the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed collector of the fifths.
The Messenger of Allah (ﷺ) said to Mahmiyyah: Marry al-Fadl (to your daughter). So he married him to her. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Stand up and pay the dower from the fifth so-and-so on their behalf. Abdullah ibn al-Harith did not name it (i.e. the amount of the dower).
পরিচ্ছেদঃ ৯৫. নবী (ﷺ)এর বংশধরগণকে সাদাকা উসুল করার কাজে নিযুক্ত করা প্রসঙ্গে
২৬১১. আমর ইবন সাওয়্যাদ (রহঃ) ... আব্দুল মুত্তালিব ইবন রবীআ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তাঁর পিতা রবীআ ইবন হারিছ (রাঃ) তাঁকে এবং ফযল ইবন আব্বাস (রাঃ)-কে বললেন যে, আপনারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যান এবং তাঁকে বলুন যে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদেরকে সাদাকা উসূল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করুন। আমরা এই অবস্থায় থাকাকালীন আলী (রাঃ) আসলেন এবং আমাদেরকে বললেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের কাউকেও সাদাকা উসূল করার জন্য কর্মচারী নিযুক্ত করবেন না। আব্দুল মুত্তালিব বলেন, তখন আমি এবং ফজল (রাঃ) চলে আসলাম এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পৌছলে তিনি আমাদেরকে বললেন যে, সাদাকা লোকজনের ধন-সম্পত্তির ময়লা। তাই ইহা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর বংশধরদের জন্য বৈধ নয়।
بَاب اسْتِعْمَالِ آلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى الصَّدَقَةِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ سَوَّادِ بْنِ الْأَسْوَدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ ابْنِ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ قَالَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ وَالْفَضْلِ بْنِ الْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُولَا لَهُ اسْتَعْمِلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلَى الصَّدَقَاتِ فَأَتَى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَنَحْنُ عَلَى تِلْكَ الْحَالِ فَقَالَ لَهُمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَسْتَعْمِلُ مِنْكُمْ أَحَدًا عَلَى الصَّدَقَةِ قَالَعَبْدُ الْمُطَّلِبِ فَانْطَلَقْتُ أَنَا وَالْفَضْلُ حَتَّى أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَنَا إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَةَ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلَا لِآلِ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
Abu Rabiah binAl-Harith said to 'Abdul-Muttalib bin Rabi'ah bin Al-Harith and Al-Fadl bin 'Abbas bin 'Abdul-Muttalib:
"Go to the Messenger of Allah and say to him: 'O Messenger of Allah, appoint us to collect the Sadaqat!' 'Ali bin Abi Talib came along when we were like that, and he said to them: "The Messenger of Allah will not appoint any of you to collect the Sadaqah."' 'Abdul-Muttalib said: "So I went with Al-Fadl until we came to the Messenger of Allah and he said to us: "This Zakah is the dirt of the people, and it is not permissible for Muhammad or for the family of Muhammad."'
পরিচ্ছেদঃ ২৯. আল-'আব্বাস ইবনু ‘আবদুল মুত্তালিব (রাযিঃ)-এর মর্যাদা
৩৭৫৮। আবদুল মুত্তালিব ইবনু রবীআ ইবনুল হারিস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, আল-আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্তালিব (রাঃ) রাগান্বিত অবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে যান। তখন আমি তার নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি প্রশ্ন করেনঃ কিসে আপনাকে রাগান্বিত করেছে? তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সাথে কুরাইশদের কি হল? তারা নিজেরা যখন পরস্পর মিলিত হয় তখন উজ্জ্বল চেহারায় মিলিত হয়। কিন্তু তারা আমাদের (হাশিমীদের) সাথে এর বিপরীত অবস্থায় মিলিত হয়। রাবী বলেন, (এ বক্তব্য) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতই রাগান্বিত হন যে, তার মুখমণ্ডল রক্তিম রর্ণ ধারণ করে। তারপর তিনি বলেনঃ সেই মহান সত্তার শপথ, যার হাতে আমার জীবন! কোন ব্যক্তির অন্তরে ঈমান ঢুকতে পারে না, যাবত না সে আল্লাহ ও তার রাসূলের (সন্তুষ্টির) জন্য আপনাদেরকে ভালোবাসে। এরপর তিনি বললেনঃ হে লোকেরা! যে কেউ আমার চাচাকে দুঃখ দিল সে যেন আমাকেই দুঃখ দিল। কেননা কোন লোকের চাচা তার পিতার সমান।
“চাচা পিতৃস্থানীয়" অংশ ব্যতীত হাদীসটি যঈফ, আর ঐ অংশটুকু সহীহ, মিশকাত (৬১৫৬), সহীহা ৮০৬
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمُطَّلِبِ بْنُ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، أَنَّ الْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ " مَا أَغْضَبَكَ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلاَقَوْا بَيْنَهُمْ تَلاَقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ . قَالَ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لاَ يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الإِيمَانُ حَتَّى يُحِبَّكُمْ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ " . ثُمَّ قَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdul-Muttalib bin Rabi'ah bin Al-Harith bin 'Abdul-Muttalib:
"Al-'Abbas bin 'Abdul-Muttalib entered upon the Messenger of Allah (ﷺ) in a state of anger while I was with him, so he said: 'What has angered you?' He said: 'O Messenger of Allah, what is it with us and the Quraish, whenever they meet one another it is with glad faces, and when they meet us they meet us with other than that?'" He said: "So the Messenger of Allah (ﷺ) became angry, until his face reddened, then he said: 'By the One in Whose Hand is my soul! Faith does not enter a man's heart until he loves you for the sake of Allah, and for the sake of His Messenger.' Then he said: 'O people! Whoever harms my uncle, he has harmed me, for indeed, a man's uncle is not but the Sinw (two or three palm trees will come from a single root, so each is called a Sinw. A man's uncle is like that to his father. That is, he is like his father) of his father."
পরিচ্ছেদঃ ৫১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধরকে সদাকাহ্ উসুলকারী নিযুক্ত না করা প্রসঙ্গে
২৩৭১-(১৬৭/১০৭২) ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয যুবাঈ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনু রবী’আহ ইবনু হারিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রবী’আহ ইবনু হারিস ও আব্বাস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বালিব (রাযিঃ) সম্মিলিতভাবে বললেন, আল্লাহর শপথ! আমরা এ ছেলে দু’টিকে অর্থাৎ আমি ও ফাযল ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যদি পাঠিয়ে দিতাম এবং তারা উভয়ে তার কাছে গিয়ে তাদেরকে যাকাত আদায়কারী হিসেবে নিয়োগের জন্য আবেদন করত। অতঃপর তারা অন্যান্য আদায়কারীদের ন্যায় যাকাত আদায় করে এনে দিতে এবং অন্যান্যরা যেভাবে পারিশ্রমিক পায় তারাও সেভাবে পারিশ্রমিক পেত। রাবী বলেন, তারা এ ব্যাপার নিয়ে আলাপ করছিলেন, এমন সময় আলী ইবনু আবূ তলিব (রাযিঃ) এসে তাদের মাঝে দাঁড়ালেন। তারা এ প্রস্তাবটি তার কাছে উত্থাপন করলেন।
আলী (রাযিঃ) বললেন, তোমরা এ কাজ করো না। আল্লাহর শপথ তিনি এটা করবেন না (কারণ আমাদের জন্য যাকাত হারাম)। তখন রবী’আহ ইবনু হারিস (রাযিঃ) তার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ “তুমি শুধু বিদ্বেষের বশীভূত হয়েই আমাদের সাথে এরূপ করছো। অথচ তুমি যে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামাতা হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছো এজন্যে তো তোমার প্রতি আমরা কোন প্রকার বিদ্বেষ পোষণ করছি না। তখন আলী (রাযিঃ) বললেন, এদের দু’জনকে পাঠিয়ে দাও। অতঃপর তারা উভয়ে চলে গেল এবং ’আলী (রাযিঃ) বিছানায় শুয়ে থাকলেন।
আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রাবী’আহ বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করলেন। আমরা তাড়াতাড়ি করে তাঁর প্রত্যাবর্তন করার পূর্বেই তাঁর কামরার কাছে গিয়ে তার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলাম। তিনি এসে আমাদের দু’জনের কান ধরে (স্নেহসিক্ত কণ্ঠে) বললেন, “কোন মতলবে এসেছে, আসল কথাটা সাহস করে বলে ফেলো।” তারপর তিনি ও আমরা হুজরার মধ্যে প্রবেশ করলাম। এ সময় তিনি যায়নাব বিনতু জাহশ (রাযিঃ) এর ঘরে অবস্থান করছিলেন।
রাবী বলেন, এবার আমরা পরস্পরকে কথাটি তোলার জন্য বলছিলাম। অবশেষে আমাদের একজনে বললাম, হে আল্লাহর রসূল! "আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহকারী এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী। আমাদের এখন বিয়ের বয়স হয়েছে, অথচ আমরা বেকার। তাই আপনার শরণাপন্ন হয়েছি, অন্যান্য যাকাত আদায়কারীদের মত আপনি আমাদেরকেও যাকাত আদায়কারী হিসেবে নিয়োগ করুন; অন্যান্যরা যেভাবে যাকাত আদায় করে এনে দেয় আমরা তাই করব এবং তাতে আমরাও কিছু পারিশ্রমিক পাব।” এ কথার পর তিনি দীর্ঘ সময় ধরে চুপ করে থাকলেন। এমনকি আমরা পুনর্বার আমাদের কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। পর্দার আড়াল থেকে যায়নাব (রাযিঃ) কথা না বলার জন্য আমাদেরকে ইঙ্গিত করলেন।
অতঃপর তিনি বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরিবার-পরিজন তথা বংশধরদের জন্য ’যাকাত’ গ্রহণ করা সমীচীন নয়। কেননা যাকাত হলো মানুষের (সম্পদের) ময়লা। বরং তোমরা গিয়ে খুমুসের কোষাধ্যক্ষ মাহমিয়্যাহ এবং নাওফাল ইবনু হারিস ইবনু আবদুল মুত্ত্বালিবকে আমার কাছে ডেকে আনো। রাবী বলেন, তারা দু’জনে উপস্থিত হলে প্রথমে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) মাহমিয়াকে বললেনঃ "তুমি তোমার কন্যাকে এ ছেলে অর্থাৎ ফাযল ইবনু আব্বাসের সাথে বিয়ে দাও। তিনি তাই করলেন। অতঃপর তিনি নাওফাল ইবনু হারিসকে বললেনঃ তুমি এ ছেলের (অর্থাৎ আমার) সাথে তোমার কন্যার বিয়ে দাও। তিনি আমাকে বিয়ে করিয়ে দিলেন। অতঃপর তিনি মাহমিয়্যাকে বললেন, এ দু’জনের পক্ষ থেকে এত এত পরিমাণ মহরানা খুমুসের তহবিল থেকে আদায় করে দাও।
যুহরী বলেন, আমার শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল্লাহ আমার কাছে মহরের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ উল্লেখ করেননি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৪৯, ইসলামীক সেন্টার ২৩৪৯)
باب تَرْكِ اسْتِعْمَالِ آلِ النَّبِيِّ عَلَى الصَّدَقَةِ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَسْمَاءَ الضُّبَعِيُّ، حَدَّثَنَا جُوَيْرِيَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ حَدَّثَهُ قَالَ اجْتَمَعَ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَالْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ فَقَالاَ وَاللَّهِ لَوْ بَعَثْنَا هَذَيْنِ الْغُلاَمَيْنِ - قَالاَ لِي وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَكَلَّمَاهُ فَأَمَّرَهُمَا عَلَى هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَأَدَّيَا مَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَأَصَابَا مِمَّا يُصِيبُ النَّاسُ - قَالَ - فَبَيْنَمَا هُمَا فِي ذَلِكَ جَاءَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فَوَقَفَ عَلَيْهِمَا فَذَكَرَا لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ لاَ تَفْعَلاَ فَوَاللَّهِ مَا هُوَ بِفَاعِلٍ . فَانْتَحَاهُ رَبِيعَةُ بْنُ الْحَارِثِ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا تَصْنَعُ هَذَا إِلاَّ نَفَاسَةً مِنْكَ عَلَيْنَا فَوَاللَّهِ لَقَدْ نِلْتَ صِهْرَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَمَا نَفِسْنَاهُ عَلَيْكَ . قَالَ عَلِيٌّ أَرْسِلُوهُمَا . فَانْطَلَقَا وَاضْطَجَعَ عَلِيٌّ - قَالَ - فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ سَبَقْنَاهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَقُمْنَا عِنْدَهَا حَتَّى جَاءَ فَأَخَذَ بِآذَانِنَا . ثُمَّ قَالَ " أَخْرِجَا مَا تُصَرِّرَانِ " ثُمَّ دَخَلَ وَدَخَلْنَا عَلَيْهِ وَهُوَ يَوْمَئِذٍ عِنْدَ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ - قَالَ - فَتَوَاكَلْنَا الْكَلاَمَ ثُمَّ تَكَلَّمَ أَحَدُنَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْتَ أَبَرُّ النَّاسِ وَأَوْصَلُ النَّاسِ وَقَدْ بَلَغْنَا النِّكَاحَ فَجِئْنَا لِتُؤَمِّرَنَا عَلَى بَعْضِ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ فَنُؤَدِّيَ إِلَيْكَ كَمَا يُؤَدِّي النَّاسُ وَنُصِيبَ كَمَا يُصِيبُونَ - قَالَ - فَسَكَتَ طَوِيلاً حَتَّى أَرَدْنَا أَنْ نُكَلِّمَهُ - قَالَ - وَجَعَلَتْ زَيْنَبُ تُلْمِعُ عَلَيْنَا مِنْ وَرَاءِ الْحِجَابِ أَنْ لاَ تُكَلِّمَاهُ - قَالَ - ثُمَّ قَالَ " إِنَّ الصَّدَقَةَ لاَ تَنْبَغِي لآلِ مُحَمَّدٍ . إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ - وَكَانَ عَلَى الْخُمُسِ - وَنَوْفَلَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ " . قَالَ فَجَاءَاهُ فَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ فَأَنْكَحَهُ وَقَالَ لِنَوْفَلِ بْنِ الْحَارِثِ " أَنْكِحْ هَذَا الْغُلاَمَ ابْنَتَكَ " . لِي فَأَنْكَحَنِي وَقَالَ لِمَحْمِيَةَ " أَصْدِقْ عَنْهُمَا مِنَ الْخُمُسِ كَذَا وَكَذَا " . قَالَ الزُّهْرِيُّ وَلَمْ يُسَمِّهِ لِي .
'Abd al-Muttalib b. Rabi'a b. al-Harith reported that Rabi'a b. al-Harith and Abbas b. Abd al-Muttalib gathered together and said:
By Allah, if we had sent these two young boys (i. e. I and Fadl b. 'Abbas) to the Messenger of Allah (ﷺ) and they had spoken to him, he would have appointed them (as the collectors) of these sadaqat; and they would (collect them) and pay (to the Holy Prophet) as other people (collectors) paid and would get a share as other people got it. As they were talking about it there came 'Ali b. Abu Talib and stood before them, and they made a mention of it to him. 'Ali b. Abu Talib said: Don't do that; by Allah he (the Holy Prophet) would not do that (would not accept your request). Rabi'a b. Harith turned to him and said: By Allah, you are not doing so but out of jealousy that you nurse against us By Allah, you became the son-in-law of the Messenger of Allah (ﷺ) but we felt no jealousy against you (for this great privilege of yours). 'Ali then said: Send them (if you like). They set out and 'Ali lay on the bed. When the Messenger of Allah (ﷺ) offered the noon prayer. we went ahead of him to his apartment and stood near it till he came out. He took hold of our ears (out of love and affection) and then said: Give out what you have kept in your hearts. He then entered (the apartment) and we also went in and he (the Holy Prophet) was on that day (in the house of) Zainab b. jahsh. We urged each (of us) to speak. Then one of us thus spoke: Messenger of Allah, you are the best of humanity and the best to cement the ties of blood-relations. We have reached the-marriageable age. We have come (to you) so that you may appoint us (as collectors) of these sadaqat. and we would pay you just as thin people (other collectors) pay you, and get our share as others get it. He (the Holy Prophet) kept silence for a long time till we wished that we should speak with him (again), and Zainab pointied to us from behind the curtain not to talk (any more). He (the Holy Prophet) said; It does not become the family of Muhammad (to accept) sadaqat for they are the impurities of people. You call to me Mahmiya (and he was in charge of khums, i. e, of the one-fifth part that goes to the treasury out of the spoils of war), and Naufal b. Harith b. 'Abd al-Muttalib. They both came to him, and he (the Holy Prophet) said to Mahmiya: Marry your daughter to this young man (i. e. Fadl b. 'Abbas), and he married her to him And he said to Naufal b. Harith: Marry your daughter to this young man (i e. 'Abd al-Muttalib b. Rabi'a, the narrator of this hadith) and he married her to me, and he said to Mahmiya: Pay so much mahr on behalf of both of them from this khums Zuhri, however. said: He did not determine (the amount of mahr).
পরিচ্ছেদঃ ৫১. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বংশধরকে সদাকাহ্ উসুলকারী নিযুক্ত না করা প্রসঙ্গে
২৩৭২-(১৬৮/...) হারূন ইবনু মা’রূফ (রহঃ) ..... আবদুল মুত্ত্বালিব ইবনু রবীআহ্ ইবনু হারিস ইবনু ’আবদুল মুত্ত্বলিব (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রাবী’আহ ইবনু হারিস ও আব্বাস ইবনু আবদুল মুত্ত্বলিব উভয়ে নিজ নিজ পুত্র আবদুল মুত্ত্বলিব ইবনু রবীআহ ও ফাযল ইবনু আব্বাসকে বললেন, তোমরা দু’জন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাও। হাদীসের বাকী অংশ মালিক কর্তৃক বর্ণিত উপরের হাদীসের অনুরূপ। এ বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে- তারপর ’আলী (রাযিঃ) নিজের চাঁদর বিছিয়ে শুয়ে পড়লেন এবং বললেন, “আমি হাসানের পিতা এবং সাইয়্যিদ। আল্লাহর শপথ! তোমরা যে কথা বলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তোমার ছেলেদের পাঠিয়েছো তারা তার জবাব নিয়ে না আসা পর্যন্ত আমি এখান থেকে নড়ব না।
এ হাদীসে আরো আছে, তিনি আমাদের উদ্দেশে বললেনঃ “যাকাতের এ অর্থ হলো মানুষের (সম্পদের) আবর্জনা। তাই এ অর্থ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার বংশধরদের জন্য হালাল নয়।" অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মাহমিয়্যাহ ইবনু জায-কে আমার কাছে ডেকে আনো। তিনি বানী আসাদ গোত্রের লোক ছিলেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে খুমুসের (গনীমাতের মালের) কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ করেছিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৫০, ইসলামীক সেন্টার ২৩৫০)
باب تَرْكِ اسْتِعْمَالِ آلِ النَّبِيِّ عَلَى الصَّدَقَةِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ مَعْرُوفٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ بْنُ يَزِيدَ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ الْهَاشِمِيِّ، أَنَّ عَبْدَ الْمُطَّلِبِ بْنَ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ، بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَخْبَرَهُ أَنَّ أَبَاهُ رَبِيعَةَ بْنَ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ وَالْعَبَّاسَ بْنَ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ قَالاَ لِعَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ وَلِلْفَضْلِ بْنِ عَبَّاسٍ ائْتِيَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ مَالِكٍ وَقَالَ فِيهِ فَأَلْقَى عَلِيٌّ رِدَاءَهُ ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهِ وَقَالَ أَنَا أَبُو حَسَنٍ الْقَرْمُ وَاللَّهِ لاَ أَرِيمُ مَكَانِي حَتَّى يَرْجِعَ إِلَيْكُمَا ابْنَاكُمَا بِحَوْرِ مَا بَعَثْتُمَا بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ ثُمَّ قَالَ لَنَا " إِنَّ هَذِهِ الصَّدَقَاتِ إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ وَإِنَّهَا لاَ تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلاَ لآلِ مُحَمَّدٍ " . وَقَالَ أَيْضًا ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوَا لِي مَحْمِيَةَ بْنَ جَزْءٍ " . وَهُوَ رَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَعْمَلَهُ عَلَى الأَخْمَاسِ .
Rabi'a b. Harith b. 'Abd al-Muttalib and Abbas b. 'Abd al-Muttalib said to Abd al-Muttalib b. Rabi'a and Fadl b. Ibn Abbas:
Go to the Messenger of Allah (ﷺ), and the rest of the hadith is the same (but with this addition):" 'Ali spread his cloak and then lay down on it and said: I am the father of Hasan, and I am the chief. By Allah, I would not move from my place till your sons come back to you with the reply to that for which you sent them to the Messenger of Allah (ﷺ). And he then also said: Verily these sadaqat are the impurities of people, and they are not permissible for Muhammad (may peaace be upon him), and for the family of Muhammad. And he also said: The Messenger of Allah (ﷺ) also said to me: Call Mahmiya b. Jaz', and he was person from Banu Asad. and the Messenger of Allah (ﷺ) had appointed him as a collector of khums.
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৫৬-[২২] ’আবদুল মুত্তালিব ইবনু রবীআহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন আব্বাস (রাঃ) ভীষণ ক্ষুব্ধ অবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে আসলেন। আমি তখন তাঁর কাছে বসা ছিলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রশ্ন করলেন, কিসে আপনাকে এমনভাবে ক্ষুব্ধ করেছে? তখন তিনি [আব্বাস (রাঃ)] বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের (অর্থাৎ বানূ হাশিম) এবং কুরায়শের মধ্যে কি (ব্যবধান) রয়েছে? তারা যখন একে অপরের দেখা সাক্ষাৎ করে, তখন তারা হাশিখুশি অবস্থায় মেলামেশা করে। অপরদিকে আমাদের সাথে যখন দেখা-সাক্ষাৎ করে, তখন তারা সেভাবে মিলে না। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) এমনভাবে রাগান্বিত হলেন যে, তাঁর চেহারা লাল হয়ে গেল। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ! কোন লোকের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের সন্তুষ্টির উদ্দেশে তোমাদেরকে (অর্থাৎ আহলে বায়তকে) ভালোবাসবে। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে লোকসকল! যে লোক আমার চাচাকে কষ্ট দেয়, সে যেন আমাকে কষ্ট দিল। কেননা কোন লোকের চাচা হলো তার পিতার সমতুল্য। (তিরমিযী, মাসাবীহ গ্রন্থে হাদীসটির বর্ণনাকারীর নাম ’মুত্তালিব’ উল্লেখ রয়েছে)
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
إِلَّا الْجُمْلَة الْأَخِيرَة فصحيحة) وَعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ أَنَّ الْعَبَّاسَ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُغْضَبًا وَأَنَا عِنْدَهُ فَقَالَ: «مَا أَغْضَبَكَ؟» قَالَ: يَا رَسُول الله مَا لَنَا وَلِقُرَيْشٍ إِذَا تَلَاقَوْا بَيْنَهُمْ تَلَاقَوْا بِوُجُوهٍ مُبْشَرَةٍ وَإِذَا لَقُونَا لَقُونَا بِغَيْرِ ذَلِكَ؟ فَغَضِبَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى احْمَرَّ وَجْهُهُ ثُمَّ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا يَدْخُلُ قَلْبَ رَجُلٍ الْإِيمَانُ حَتَّى يحبكم لله وَلِرَسُولِهِ» ثمَّ قَالَ: «يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَنْ آذَى عَمِّي فَقَدْ آذَانِي فَإِنَّمَا عَمُّ الرَّجُلِ صِنْوُ أَبِيهِ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ. وَفِي «المصابيح» عَن الْمطلب
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3758 وقال : حسن صحیح) * فیہ یزید بن ابی زیاد : ضعیف مشھور ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: উক্ত হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর রাগান্বিত হওয়ার কারণ হলো আবূ জাহল তাঁকে বলেছিল, বানূ হাশিম গোত্র যুদ্ধের পতাকা গ্রহণ করে, হাজীদের পানি পান করায়, নুবুওয়্যাত ও রিসালাত তাদের মাঝে তাহলে অন্যান্য কুরায়শদের মাঝে কি অবশিষ্ট থাকল? (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী হা. ৩৭৭০)
হাদীসে ‘আব্বাস (রাঃ)-এর মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। এটাই প্রকৃত উদ্দেশ্য। তাছাড়া হাদীস হতে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তির চাচার মর্যাদা কতটুকু। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৩. সদাকাহ (যাকাত ও ‘উশর) বণ্টন পদ্ধতি - বনু হাশিম ও বনু মুত্তালিবের জন্য যাকাত গ্রহণের বিধান
৬৪৬. ’আবদুল মুত্তালিব বিন রাবী’আহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-নিশ্চয়ই সাদাকা (যাকাত ’উশর)ও তাঁর বংশধরের জন্য বাঞ্জিত নয়। সদকা হচ্ছে জনগণের (দেহ থেকে বের হওয়া) ময়লা মাত্র। অপর বর্ণনায় আছে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর বংশধরের জন্য বৈধ নয়।[1]
وَعَنْ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ الْحَارِثِ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: إِنَّ الصَّدَقَةَ لَا تَنْبَغِي لِآلِ مُحَمَّدٍ, إِنَّمَا هِيَ أَوْسَاخُ النَّاسِ
وَفِي رِوَايَةٍ: «وَإِنَّهَا لَا تَحِلُّ لِمُحَمَّدٍ وَلَا آلِ مُحَمَّدٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1072) (167)، في حديث طويل
مسلم (2/ 754 / 168)
’Abdul Muttalib bin Rabi’ah bin Al-Harith narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Indeed, Zakah ought not to be given to the family of Muhammad, it will be like giving them from the impurities of people.” In another narration, “It is not lawful for Muhammad or the family of Muhammad(ﷺ). Related by Muslim.