পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৫৬. উসমান ইবনুল আসওয়াদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার স্ত্রী, যে রক্ত দেখতে পায়, তার সম্পর্কে আমি মুজাহিদ রাহি.কে প্রশ্ন করলাম। আর আমার ধারণা, সে গর্ভবতী। তিনি বললেন, এটি হলো গর্ভেরই সামান্য পরিমাণ (রক্ত)। (আল্লাহ তা’আলা বলেন:)( (اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ) অর্থ: “প্রত্যেক নারী যা গর্ভে ধারণ করে এবং জরায়ুতে যা কিছু কমে ও বাড়ে আল্লাহ তা জানেন।” (সূরা রা’দ: ৮)
তিনি বললেন: ফলে (রক্ত বের হওয়ার মাধ্যমে গর্ভের মধ্যে) যে পরিমাণই কমে যায়, তার গর্ভের মধ্যে ঠিক সেই পরিমাণে বৃদ্ধি হয়।[1]
তাখরীজ: তাবারী, আত তাফসীর ১৩/১১০ অধিক শব্দে সহীহ সনদে। তাবারী অপর সনদে মুজাহিদ হতে এটি বর্ণনা করেছেন।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ قَالَ سَأَلْتُ مُجَاهِدًا عَنْ امْرَأَتِي رَأَتْ دَمًا وَأَنَا أُرَاهَا حَامِلًا قَالَ ذَلِكَ غَيْضُ الْأَرْحَامِ اللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَحْمِلُ كُلُّ أُنْثَى وَمَا تَغِيضُ الْأَرْحَامُ وَمَا تَزْدَادُ فَمَا غَاضَتْ مِنْ شَيْءٍ رَأَتْ مِثْلَهُ فِي الْحَمْلِ
পরিচ্ছেদঃ ১০৫. হাযিযগ্রস্ত মহিলা তার পরিধেয় কাপড় পবিত্র করে সেই কাপড়েই সালাত আদায় করতে পারবে
১০৪৯. উছমান হতে বর্ণিত, মুজাহিদ রাহি. বলেন, হায়িযগ্রস্ত মহিলা (পবিত্রতা লাভের পর) হায়েয অবস্থায় পরিহিত কাপড়ে সালাত আদায় করতে পারবে। কিন্তু, যদি তার শরীর থেকে কাপড়ের কোথাও রক্ত লেগে যায়, তবে সে শুধু রক্তের স্থানটুকু ধুয়ে নেবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৬।
بَابُ الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ عُثْمَانَ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ الْمَرْأَةُ الْحَائِضُ تُصَلِّي فِي ثِيَابِهَا الَّتِي تَحِيضُ فِيهَا إِلَّا أَنْ يُصِيبَ شَيْئًا مِنْهَا دَمٌ فَتَغْسِلَ مَوْضِعَ الدَّمِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৯. হায়িযগ্রস্ত মহিলার পবিত্রতা লাভের পর গোসল করার পূর্বেই তার সাথে মিলিত হওয়া প্রসঙ্গে
১১১১. উছমান ইবনুল আসওয়াদ মুজাহিদ রাহি. হতে বর্ণনা করেন ....[1]
(একই সনদে) ইউনূস হাসান রাহি. হতে ....[2]
(একই সনদে) আব্দুল মালিক, আতা রাহি. হতে .....[3]
মুহাম্মদ বলেন: এবং ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান, উছমান ইবনুল আসওয়াদ হতে, তিনি মুজাহিদ হতে, (তিনি বলেন,) হায়িযগ্রস্ত মহিলা যখন রক্তস্রাব হতে পবিত্র হবে, এরপর সে গোসল না করা পর্যন্ত তার স্বামী তার নিকটবর্তী হবে না।[4]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৩১০; ইবনু আবী শাইবা ১৯৬; তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৮৬।
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৬ হাসান সনদে।
[3] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৬; আরও দেখুন, মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক নং ১২৪৫, ১২৭৩।
[4] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৬ সহীহ সনদে; আগের টীকাটিও দেখুন।
بَاب مُجَامَعَةِ الْحَائِضِ إِذَا طَهُرَتْ قَبْلَ أَنْ تَغْتَسِلَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ حَدَّثَنَا مُغِيرَةُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَيُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ وَعَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ مُحَمَّدٌ وَحَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ عَنْ مُجَاهِدٍ فِي الْحَائِضِ إِذَا طَهُرَتْ مِنْ الدَّمِ لَا يَقْرَبُهَا زَوْجُهَا حَتَّى تَغْتَسِلَ
পরিচ্ছেদঃ ১০৯. হায়িযগ্রস্ত মহিলার পবিত্রতা লাভের পর গোসল করার পূর্বেই তার সাথে মিলিত হওয়া প্রসঙ্গে
১১১৬. উছমান ইবনুল আসওয়াদ বলেন, আমি ইবরাহীম রাহি. কে এমন এক মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে, পবিত্রাবস্থা দেখতে পেলো। এমতাবস্থায় সে গোসল করার পূর্বে তার স্বামীর জন্য তার সাথে সহবাস করা হালাল কি? তিনি বললেন: না। যতক্ষণ না তার জন্য সালাত আদায় করা জায়িয হয়।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৬ সহীহ সনদে। দেখুন এরপূর্বের ১১১৭ (অনুবাদে ১১১১) নং হাদীসটি।
بَاب مُجَامَعَةِ الْحَائِضِ إِذَا طَهُرَتْ قَبْلَ أَنْ تَغْتَسِلَ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْأَسْوَدِ قَالَ سَأَلْتُ مُجَاهِدًا عَنْ امْرَأَةٍ رَأَتْ الطُّهْرَ أَيَحِلُّ لِزَوْجِهَا أَنْ يَأْتِيَهَا قَبْلَ أَنْ تَغْتَسِلَ قَالَ لَا حَتَّى تَحِلَّ لَهَا الصَّلَاةُ
পরিচ্ছেদঃ ১১৩. পশ্চাদ্দার দিয়ে মহিলাদের নিকট গমণ করা
১১৫৫. উছমান ইবনুল আসওয়াদ হতে বর্ণিত, [“তখন তাদের নিকট গমণ করো, যেখান দিয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন।” সুরা বাকারা: ২২২] (এ আয়াতের ব্যাখ্যায়) মুজাহিদ রাহি. বলেন, তোমাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তারা সেই স্থান দিয়ে গমণ করবে, (হায়িযের সময়) যে স্থান থেকে তাদেরকে বিরত থাকার আদেশ করা হয়েছিল।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২-২৩৩ সহীহ সনদে; তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৮৮, ১৯/১০৫; আরও দেখুন সামনে ১১৬৩ (অনূবাদে ১১৫৭) নং হাদীসটি।
بَاب إِتْيَانِ النِّسَاءِ فِي أَدْبَارِهِنَّ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ عَنْ مُجَاهِدٍ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمْ اللَّهُ قَالَ أُمِرُوا أَنْ يَأْتُوا مِنْ حَيْثُ نُهُوا
পরিচ্ছেদঃ ১১৪. যে লোক তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করে
১১৬৯. উছমান ইবনুল আসওয়াদ হতে বর্ণিত, মুজাহিদ রাহি. বলেন, যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর পশ্চাদ্দারে সঙ্গম করবে, তবে এ স্ত্রীলোক পুরুষের স্থলাভিষিক্ত হবে (কেননা, সেটা পুরুষের সাথে ’লিওয়াতাত’ এর মতো)। তারপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: [“তারা তোমাকে (স্ত্রী লোকদের) হায়িয সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে; তুমি বলো, ওটা হচ্ছে কষ্টদায়ক অবস্থা। অতএব, হায়িয অবস্থায় স্ত্রীলোকদের থেকে (সঙ্গম না করে) বিরত থাক এবং উত্তমরূপে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাদের নিকট যেওনা। অতঃপর যখন তারা উত্তমরূপে পবিত্র হবে, তখন তাদের নিকট গমণ করো, যেখান দিয়ে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ করেছেন।” (সুরা বাকারা: ২২২)] (এ আয়াতের) ’তোমরা তাদেরকে পরিত্যাগ করবে’ অর্থ: হায়িয অবস্থায় যৌনাঙ্গ (দিয়ে সহবাস পরিত্যাগ করবে)। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেন: [“তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের জন্য ক্ষেতস্বরূপ; অতএব তোমরা যেভাবেই ইচ্ছা তোমাদের ক্ষেতে গমণ কর।” (সুরা বাকারা: ২২৩)] (এর অর্থ:) দাড়ানো ও বসা অবস্থায়, সামনের দিক থেকে এবং পিছনের দিক থেকে (সঙ্গম করতে পারো, তবে তা হতে হবে) যৌনাঙ্গে।[1]
তাখরীজ: দুররে মানছুর ১/২৬৫ এ সুয়ূতী একে আব্দ ইবনু হুমাইদ এর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।
এছাড়া বর্ণনা করেছেন তাবারী, আত তাফসীর ২/৩৮৭-৩৮৮; ইবনু আবী শাইবা ৪/২৩২, ২৩৩ সহীহ সনদে; পূর্বের ১১৬০, ১১৬১, ১১৬৩ (অনূবাদে ১১৫৪, ১১৫৫, ১১৫৭) নং হাদীসগুলি দেখুন।
بَاب مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ مَنْ أَتَى امْرَأَتَهُ فِي دُبُرِهَا فَهُوَ مِنْ الْمَرْأَةِ مِثْلُهُ مِنْ الرَّجُلِ ثُمَّ تَلَا وَيَسْأَلُونَكَ عَنْ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ وَلَا تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّى يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمْ اللَّهُ أَنْ تَعْتَزِلُوهُنَّ فِي الْمَحِيضِ الْفَرْجَ ثُمَّ تَلَا نِسَاؤُكُمْ حَرْثٌ لَكُمْ فَأْتُوا حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ قَائِمَةً وَقَاعِدَةً وَمُقْبِلَةً وَمُدْبِرَةً فِي الْفَرْجِ
পরিচ্ছেদঃ ১৮. ওয়াসীয়াত করার পুর্বে যা করা হবে
৩২৬৮. আসওয়াদ হতে বর্ণিত, আতা (রহঃ) বলেন, যে ব্যক্তি ওয়াসীয়াত করলো অথবা, দাসমুক্ত করলো, আর তার ওয়াসীয়াতের মধ্যে জুলুম বা কষ্ট ছিল, সেই জুলুম বা কষ্ট মুক্তিপ্রদানকারী ব্যক্তি ও ওয়াসীয়াতকারী ব্যক্তির সাথে যাবে।তিনি বলেন, আতা বলেছেন, মদীনাবাসীরা আমাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেছেন, তারা প্রথমে দাসমুক্তির কথা বলেছেন।[1]
তাখরীজ: আমি এ শব্দে এটি পাইনি। তবে আতা হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক নং ১৬৭৪৮ যয়ীফ সনদে; ইবনু আবী শাইবা ১১/১৯২ নং ১০৯৩৪ তে আতা হতে: প্রথমে দাসমুক্ত করতে হবে। সনদ যয়ীফ।
باب مَا يُبْدَأُ بِهِ مِنْ الْوَصَايَا
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا الْمُعَافَى عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْأَسْوَدِ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ مَنْ أَوْصَى أَوْ أَعْتَقَ فَكَانَ فِي وَصِيَّتِهِ عَوْلٌ دَخَلَ الْعَوْلُ عَلَى أَهْلِ الْعَتَاقَةِ وَأَهْلِ الْوَصِيَّةِ قَالَ وَقَالَ عَطَاءٌ إِنَّ أَهْلَ الْمَدِينَةِ غَلَبُونَا يَبْدَءُونَ بِالْعَتَاقَةِ قَبْلُ