পরিচ্ছেদঃ ২২৪: রোযা সম্পর্কিত কিছু জ্ঞাতব্য বিষয়
২/১২৫১। লাক্বীত্ব ইবনে সাবেরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রাসূল! ওযু সম্পর্কে আমাকে বলুন।’ তিনি বললেন, “পূর্ণাঙ্গরূপে ওযু কর। আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী জায়গাগুলো খিলাল কর। সজোরে নাকে পানি টেনে (নাক ঝাড়ো); তবে রোযার অবস্থায় নয়।” (অর্থাৎ রোযার অবস্থায় বেশি জোরে নাকে পানি টানা চলবে না।) (আবূ দাউদ, তিরমিযী হাসান)[1]
(224) بَابُ فِي مَسَائِلَ مِنَ الصَّوْمِ
وَعَنْ لَقِيطِ بنِ صَبِرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، أَخْبِرْنِي عَنِ الوُضُوءِ ؟ قَالَ: «أَسْبِغِ الوُضُوءَ، وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ، وَبَالِغْ فِي الاسْتِنْشَاقِ، إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِماً». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
(224) Chapter: Matters relating to As-Saum (Fasting)
Laqit bin Sabirah (May Allah be pleased with him) reported:
I requested the Messenger of Allah (PBUH) to talk to me about ablution. He said, "Perform the Wudu' well (by washing those parts of the body, such as the face, hands and feet beyond what is required, like washing the hands up to the upper-arm instead of the elbow). Cleanse the base of your fingers and sniff water deep into the nose except when you are observing fast.''
[Abu Dawud and At-Tirmidhi].
Commentary: Ordinarily, it is necessary for Wudu' that one should pass water through the nose and rinse mouth thoroughly. But when one is observing Saum, he has to take care that water does not go down the throat through the nose as this nullifies the Saum.
পরিচ্ছেদঃ ২২০. তৃষ্ণার্ত হওয়ার কারণে মাথায় পানি দেয়া এবং বার বার নাকে পানি দেয়া।
২৩৫৮. কুতায়বা ইবন সাঈদ ....... লাকীত ইবন সাবুরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তোমরা রোযা থাকাবস্থায় ব্যতীত অন্য সময়ে নাকে অধিক পানি প্রবেশ করাবে।
باب الصَّائِمِ يَصُبُّ عَلَيْهِ الْمَاءَ مِنَ الْعَطَشِ وَيُبَالِغُ فِي الاِسْتِنْشَاقِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " بَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا " .
Narrated Laqit ibn Saburah:
The Prophet (ﷺ) said: Snuff up water freely unless you are fasting.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
৩৯৩২. কুতায়বা ইবন সাঈদ (রহঃ) .... লাকীত ইবন সাবুরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি বনু-মুনতাফিকের প্রতিনিধি দলের সাথে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়েছিলাম। এরপর তিনি হাদীস বর্ণনা করে বলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম لاَ تَحْسِبَنَّ পাঠ করেনএবংلاَ تَحْسَبَنَّ পড়েন নি।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - أَوْ فِي وَفْدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ - يَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم - " لاَ تَحْسِبَنَّ " . وَلَمْ يَقُلْ لاَ تَحْسَبَنَّ .
Narrated Laqit ibn Sabirah:
I came in the deputation of Banu al-Muntafiq to the Messenger of Allah (ﷺ). He then narrated the rest of the tradition. The Prophet (ﷺ) said: la tahsibanna (do not think) and did not say: la tahsabanna (do not think).
পরিচ্ছেদঃ ৭১/ নাক ভাল করে পরিষ্কার করা
৮৭। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... লাকীত ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেনঃ পূর্ণরূপে উযূ করবে, আর তুমি যদি রোযাদার না হও তাহলে উত্তমরূপে নাকে পানি পৌছাবে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، ح وَأَنْبَأَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا "
It was narrated from 'Asim bin Laqit bin Sabirah that his father said:
"I said: 'O Messenger of Allah, tell me about Wudu." He said: 'Perform Wudu' well, and exxagerate in sniffing water up into your nose, except when you are fasting.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯২/ আঙ্গুল খিলাল করার নির্দেশ
১১৪। ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম ও মুহাম্মদ ইবনু রাফে (রহঃ) ... লাকীত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে পরিপূর্ণরূপে উযূ করবে এবং আঙ্গুল খিলাল করবে।
أَخْبَرَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، وَكَانَ، يُكْنَى أَبَا هَاشِمٍ ح وَأَنْبَأَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَضَّأْتَ فَأَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ " .
It was narrated from 'Asim bin Laqit that his father said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: "When you perform Wudu', do so properly, and wash in between the fingers (Al-Asabi')."
পরিচ্ছেদঃ ১/৪৪. নাকের ভিতর পানি পৌঁছানো এবং নাক উত্তমরূপে পরিষ্কার করা
২/৪০৭। লাক্বীত্ব ইবনু সাবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাকে উযূ (ওজু/অজু/অযু) সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ তুমি পরিপূর্ণরূপে উযূ করো এবং নাকের ভেতর উত্তমরূপে পানি পৌঁছাও। কিন্তু তুমি সায়িম হলে তা করবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১৩০, মিশকাত ৪১৫।
بَاب الْمُبَالَغَةِ فِي الِاسْتِنْشَاقِ وَالِاسْتِنْثَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، . قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا " .
It was narrated from 'Asim bin Laqit bin Sabrah that his father said:
"I said: 'O Messenger of Allah! Tell me about ablution.' He said: 'Perform ablution properly and sniff water up into your nostrils, thoroughly, unless you are fasting.'"
পরিচ্ছেদঃ ১/৫৪. আঙ্গুলসমূহ খিলাল করা।
৩/৪৪৮। লাক্বীত্ব ইবনু সাবিরাহ (সাবরাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পূর্ণরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করো এবং আঙ্গুলসমূহের মধ্যখান খিলাল করো।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: সহীহ আবূ দাউদ ১৩০।
بَاب تَخْلِيلِ الْأَصَابِعِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ الطَّائِفِيُّ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ " .
'Asim bin Laqit bin Saabirah narrated that his father said:
"The Messenger of Allah said: perform ablution properly and let the water run between your fingers."
পরিচ্ছেদঃ আঙ্গুলী খিলাল করা।
৩৮. কুতায়বা ও হান্নাদ (রহঃ) ..... লাকীত ইবনু সবিরা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন উযূ (ওজু/অজু/অযু) করবে অঙ্গুলী খিলাল করবে। - ইবনু মাজাহ ৪৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস, মুস্তাওরিদ (তিনি হলেন, ইবনু শাদ্দাদ আল-ফিহরী) এবং আবূ আয়্যূব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদিস বর্ণিত। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান সহীহ। আলিমগণ এই হাদিস অনুসারে উযূর সময় পায়ের অঙ্গুলী খিলাল করার বিধান দিয়েছেন। আহমদ, ইসহাকও এই অভিমত পোষণ করেন। ইসহাক বলেন, উযূর সময় হাত ও পায়ের অঙ্গুলী খিলাল করা হবে। রাবী আবূ হাশিমের নাম ইসমাঈল ইবনু কাছীর আল-মাক্কী।
باب مَا جَاءَ فِي تَخْلِيلِ الأَصَابِعِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَضَّأْتَ فَخَلِّلِ الأَصَابِعَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَالْمُسْتَوْرِدِ وَهُوَ ابْنُ شَدَّادٍ الْفِهْرِيُّ وَأَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يُخَلِّلُ أَصَابِعَ رِجْلَيْهِ فِي الْوُضُوءِ . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ يُخَلِّلُ أَصَابِعَ يَدَيْهِ وَرِجْلَيْهِ فِي الْوُضُوءِ . وَأَبُو هَاشِمٍ اسْمُهُ إِسْمَاعِيلُ بْنُ كَثِيرٍ الْمَكِّيُّ .
Asim bin Laqit bin Sabirah narrated from his father that :
the Prophet Muhammad said: "When performing Wudu go between the fingers."
পরিচ্ছেদঃ সায়িমের জন্য নাকে পানি দেয়ার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা মাকরূহ।
৭৮৬. আব্দুল ওয়াহ্হাব ইবনু আব্দুল হাকাম বাগদাদী আল-ওয়াররাক ও আবূ আম্মার হুসাইন ইবনু হুরায়স (রহঃ) ........ লাকীত ইবনু সাবরা তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অযু সম্পর্কে জ্ঞাত করুন। তিনি বললেন, অযু পরিপূর্ণভাবে করবে। আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে। খুব উত্তমরূপে নাকে পানি ব্যবহার করবে, তবে সিয়ামরত থাকলে ভিন্ন কথা। - ইবনু মাজাহ ৪০৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৮৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান-সহীহ্। আলিমগণ সিয়াম পালনকারীর জন্য নাক দিয়ে ঔষধ টানা নিষেধ করেছেন। তাঁদের মতে এতে সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে। হাদীছের বিষয়বস্তু তাঁদের এই বক্তব্যকে সমর্থন করে।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ مُبَالَغَةِ الاِسْتِنْشَاقِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْبَغْدَادِيُّ الْوَرَّاقُ، وَأَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، . قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ السَّعُوطَ لِلصَّائِمِ وَرَأَوْا أَنَّ ذَلِكَ يُفْطِرُهُ وَفِي الْحَدِيثِ مَا يُقَوِّي قَوْلَهُمْ .
Asim bin Laqit bin Sabrah narrated:
From his father who said: "I said. 'O Messenger of Allah! Inform me about Wudu.' So he said: "Perform Wudu well, and go between the fingers, and perform Istinshaq extensively except when fasting."
পরিচ্ছেদঃ ৬৯. রোযাদারের নাকের ভিতরে পানি পৌছানো মাকরূহ
৭৮৮। লাকীত ইবনু সাবিরা (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! ওযু প্রসঙ্গে আমাকে জানিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ ভালোভাবে ওযু কর, আঙ্গুলগুলোর মাঝে খিলাল কর এবং রোযা পালনকারী না হলে নাকের গভীরে পানি পৌছাও। — সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪০৭)
আবু ঈসা এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। রোযা পালনকারীর জন্য নাক দিয়ে ঔষধ গ্রহণ করাকে আলিমগণ মাকরূহ বলেছেন। এরফলে রোযা ভেঙ্গে যায় বলে তারা মনে করেন। এই মতের পক্ষে উল্লেখিত হাদীস হতে জোরালো সমর্থন পাওয়া যায়।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ مُبَالَغَةِ الاِسْتِنْشَاقِ لِلصَّائِمِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عَبْدِ الْحَكَمِ الْبَغْدَادِيُّ الْوَرَّاقُ، وَأَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ قَالاَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ كَثِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ، . قَالَ " أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ كَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ السَّعُوطَ لِلصَّائِمِ وَرَأَوْا أَنَّ ذَلِكَ يُفْطِرُهُ وَفِي الْحَدِيثِ مَا يُقَوِّي قَوْلَهُمْ .
Asim bin Laqit bin Sabrah narrated:
From his father who said: "I said. 'O Messenger of Allah! Inform me about Wudu.' So he said: "Perform Wudu well, and go between the fingers, and perform Istinshaq extensively except when fasting."
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. আঙ্গুলসমূহ খেলাল করা সম্পর্কে
৭২৮. লাকিত্ব ইবনু সাবরাহ তার পিতা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণনা করেন, যিনি বানু আল মুনতাফিক গোত্রের প্রতিনিধি ছিলেন, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন: তুমি যখন ওযু করবে, তখন পরিপূর্ণরূপে ওযু করবে এবং তোমার আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান ১০৫৪; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৫৯। এটি আরও রয়েছে, ইবনুল জারুদ নং ৮০; দেখুন নাইলুল আওতার ১/১৭৯-১৮০।
باب في تخليل الأصابع
أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي إِسْمَعِيلُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ عَنْ أَبِيهِ وَافِدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا تَوَضَّأْتَ فَأَسْبِغْ وُضُوءَكَ وَخَلِّلْ بَيْنَ أَصَابِعِكَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৬০-[২৩] লাক্বীত্ব ইবনু সবিরাহ্ হতে (রাঃ) বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার স্ত্রী অত্যন্ত মুখরিতা (বাচাল)। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে তালাক দিয়ে দাও। আমি বললাম, কিন্তু ঐ স্ত্রীর ঘরে আমার সন্তান রয়েছে এবং সে আমার দীর্ঘ দিনের দাম্পত্য সঙ্গীনী। উত্তরে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তবে তাকে নাসীহাত কর। যদি সে তোমার উপদেশে ভালো হয়ে যায় তবে ভালো। কিন্তু স্ত্রীকে ক্রীতদাসীর ন্যায় মারবে না। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ يَعْنِي الْبَذَاءَ قَالَ: «طَلِّقْهَا» . قُلْتُ: إِنَّ لِي مِنْهَا وَلَدًا وَلَهَا صُحْبَةٌ قَالَ: «فَمُرْهَا» يَقُولُ عِظْهَا «فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَقْبَلُ وَلَا تَضْرِبَنَّ ظَعِينَتَكَ ضَرْبَكَ أُمَيَّتَكَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: এখানে ‘‘লাক্বীত্ব ইবনু সবিরাহ্’’ নাম এসেছে, কিন্তু أَسْمَاءِ الْمُصَنَّفِ লেখকদের নাম বা রচয়িতাদের নামের মধ্যে ‘‘লাক্বীত্ব ইবনু ‘আমির ইবনু সবিরাহ্’’ রয়েছে। ইনি প্রসিদ্ধ সাহাবী, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার স্ত্রীর সম্পর্কে অভিযোগ করেন যে, সে গাল-মন্দ এবং অশ্লীল কথা বলে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও, অর্থাৎ তুমি যদি তার কথায় ধৈর্য ধারণ করতে না পারো তবে তাকে তালাক দিয়ে দাও। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ নির্দেশ আবশ্যক হিসেবে বিবেচিত হবে না বরং ইবাহাত বা বৈধতার অর্থে ব্যবহৃত হবে। লোকটি বললেন, তার সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তার থেকে আমার সন্তানও রয়েছে, কিভাবে আমি এই দীর্ঘ ভালোবাসার অবসান ঘটিয়ে তাকে তালাক দেই। এতে আমার সন্তানের জীবনও হয়ে যেতে পারে বিপন্ন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তাহলে তুমি তাকে ভালো উপদেশ দাও, অর্থাৎ ভালো ব্যবহারের নাসীহাত করো, তার মধ্যে যদি সামান্য কল্যাণও থাকে তাহলে সে তোমার উপদেশ কবুল করবে এবং তার ঐ মন্দ অভ্যাস ত্যাগ করবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাসীহাতের কথা এজন্য বলেছেন যে, আল্লাহ তা‘আলা তা নির্দেশ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ ‘‘তোমরা স্ত্রীদের নাসীহাত করো।’’ (সূরা আন্ নিসা ৪ : ৩৪)
সেকালে মানুষ দাস-দাসীদের নির্দয়ভাবে প্রহার করতো, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে বললেনঃ তুমি তোমার স্বাধীনা স্ত্রীকে ঐরূপ দাস-দাসীর মতো প্রহার করো না। অর্থাৎ সে যদি নাসীহাত কবুল নাই করে, তবে আল কুরআনের অনুমোদিত প্রহারটুকু যেন দয়ার্দ্রতার সাথে হয় এবং হালকা ও মৃদু প্রহার হয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৪র্থ খন্ড, হাঃ ২১৪২)
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. নাক পরিস্কার করা
১৪২। লাক্বীত্ব ইবনু সাবরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আগত বনু মুনতাফিক্ব গোত্রের প্রতিনিধি দলটির নেতা ছিলাম আমি অথবা বলেছেন, আমি তাঁদের মধ্যেই ছিলাম। আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলাম তখন তাঁকে তাঁর ঘরে উপস্থিত পেলাম না, অবশ্য উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য ’খাযিরাহ’ (এক প্রকার খাদ্য) তৈরীর আদেশ দিলেন। অতঃপর আমাদের জন্য তা তৈরী করা হলো এবং আমাদের সম্মুখে ক্বিনা’ (অর্থাৎ খেজুর ভর্তি একটি পাত্র) পেশ করা হলো।
বর্ণনাকারী কুতাইবাহ ’’খেজুর ভতি পাত্র’’ কথাটি উল্লেখ করেননি- অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে বললেনঃ তোমরা কিছু খেয়েছো কি? অথবা তিনি বললেন, তোমাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে কি? আমরা বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল! লাক্বীত্ব বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় এক রাখাল তাঁর মেষপাল খোঁয়াড়ে নিয়ে এলেন। আর সাথে একটি ছাগলের বাচ্চা ছিল, সেটি চিৎকার করছিল।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেনঃ হে উমুক! কি বাচ্চা জন্ম হয়েছে? সে বলল, মাদী। তিনি বলেন, সেটির পরিবর্তে আমাদের জন্য একটি বকরী যাবাহ্ করি। অতঃপর (প্রতিনিধি দলের নেতাকে উদ্দেশ্য করে) বললেনঃ এমনটি মনে করো না যে, বকরীটি তোমার জন্যই যাবাহ্ করছি। বরং আমাদের কাছে একশ’টি বকরী আছে। তাই আমরা এর সংখ্যা আর বাড়াতে চাই না। সেজন্যই কোন বাচ্চা জন্ম হলে আমরা সেটির পরিবর্তে একটি বকরী যাবাহ্ করে, তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! আমার একজন স্ত্রী আছে। সে অশ্লীলভাষী। তিনি বললেনঃ তাহলে তাকে ত্বালাক দাও।
তিনি বলেন, আমার সাহচর্যে সে দীর্ঘ দিন অতিবাহিত করেছে এবং তার গর্ভজাত আমার একটি সন্তানও রয়েছে। তিনি বললেনঃ তবে তাকে উপদেশ দাও। তার মাঝে কল্যাণ থাকলে সে উপদেশ গ্রহণ করবে। জেনে রাখ, নিজের জীবন সঙ্গিনীকে ক্রীতদাসীদের মত প্রহার করবে না। অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে অযু সম্পর্কে অবহিত করুন। তিনি বলেনঃ পরিপূর্ণরূপে অযু করবে, অঙ্গুলিসমূহ খিলাল করবে এবং নাকে উত্তমরূপে পানি পৌঁছাবে, তবে সিয়াম রত অবস্থায় নয়।[1]
সহীহ।
-
হাদীস থেকে শিক্ষাঃ
১। উযুতে দু’ হাত ও দু’ পায়ের অঙ্গুলিগুলো খিলাল করা ওয়াজিব।
২। রোযাদারের জন্য উযুতে নাকের (খুব) ভেতরে পানি পৌঁছানো অপছন্দনীয়। কেননা এতে পানি কণ্ঠনালীর ভেতরে ঢুকে রোযা ভঙ্গ হওয়ার ভয় আছে।
باب فِي الاِسْتِنْثَارِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ- فِي آخَرِينَ - قَالُوا حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ: كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - أَوْ فِي وَفْدِ بَنِي الْمُنْتَفِقِ - إِلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم، قَالَ فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فَلَمْ نُصَادِفْهُ فِي مَنْزِلِهِ وَصَادَفْنَا عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ، قَالَ: فَأَمَرَتْ لَنَا بِخَزِيرَةٍ، فَصُنِعَتْ لَنَا، قَالَ وَأُتِينَا بِقِنَاعٍ - وَلَمْ يَقُلْ قُتَيْبَةُ الْقِنَاعَ وَالْقِنَاعُ: الطَّبَقُ فِيهِ تَمْرٌ - ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا؟ أَوْ أُمِرَ لَكُمْ بِشَىْءٍ"؟ قَالَ قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللهِ . قَالَ فَبَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم جُلُوسٌ: إِذْ دَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ "مَا وَلَّدْتَ يَا فُلَانُ"؟ قَالَ: بَهْمَةً. قَالَ: فَاذْبَحْ لَنَا مَكَانَهَا شَاةً . ثُمَّ قَالَ: لَا تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لَا تَحْسَبَنَّ - أَنَّا مِنْ أَجْلِكَ ذَبَحْنَاهَا لَنَا غَنَمٌ مِائَةٌ لَا نُرِيدُ أَنْ تَزِيدَ، فَإِذَا وَلَّدَ الرَّاعِي بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً. قَالَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ لِي امْرَأَةً، وَإِنَّ فِي لِسَانِهَا شَيْئًا، يَعْنِي الْبَذَاءَ- قَالَ "فَطَلِّقْهَا إِذًا". قَالَ قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ لَهَا صُحْبَةً وَلِي مِنْهَا وَلَدٌ. قَالَ "فَمُرْهَا- يَقُولُ عِظْهَا فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَفْعَلُ، وَلَا تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ كَضَرْبِكَ أُمَيَّتَكَ". فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ. قَالَ: "أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاِسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا".
- صحيح
Narrated Laqit ibn Sabirah:
I was the leader of the delegation of Banu al-Muntafiq or (the narrator doubted) I was among the delegation of Banu al-Muntafiq that came to the Messenger of Allah (ﷺ). When we reached the Prophet, we did not find him in his house. We found there Aisha, the Mother of the Believers. She ordered that a dish called Khazirah should be prepared for us. It was then prepared. A tray containing dates was then presented to us. (The narrator Qutaybah did not mention the word qina', tray).
Then the Messenger of Allah (ﷺ) came. He asked: Has anything been served to you or ordered for you? We replied: Yes, Messenger of Allah. While we were sitting in the company of the Messenger of Allah (ﷺ) we suddenly saw that a shepherd was driving a herd of sheep to their fold. He had with him a newly-born lamb that was crying.
He (the Prophet) asked him: What did it bear, O so and so? He replied: A ewe. He then said: Slaughter for us in its place a sheep. Do not think that we are slaughtering it for you. We have one hundred sheep and we do not want their number to increase. Whenever a ewe is born, we slaughter a sheep in its place.
(The narrator says that the Prophet (ﷺ) used the word la tahsabanna, do not think).
I (the narrator Laqit) then said: Messenger of Allah, I have a wife who has something (wrong) in her tongue, i.e. she is insolent. He said: Then divorce her. I said: Messenger of Allah, she had company with me and I have children from her. He said: Then ask her (to obey you). If there is something good in her, she will do so (obey); and do not beat your wife as you beat your slave-girl.
I said: Messenger of Allah, tell me about ablution. He said: Perform ablution in full and make the fingers go through the beard and snuff with water well except when you are fasting.
পরিচ্ছেদঃ ২৭. পিপাসার কারণে সওম পালনকারীর শরীরে পানি ঢালা এবং বারবার নাকে পানি দেয়া
২৩৬৬। লাক্বীত ইবনু সাবারাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি উত্তমরূপে নাকে পানি দিয়ে তা পরিস্কার করো- যদি তুমি সওম পালনের অবস্থায় না থাকো।[1]
সহীহ। এটি পূর্বের ১৪২ নং হাদীসের অংশ বিশেষ।
بَابُ الصَّائِمِ يَصُبُّ عَلَيْهِ الْمَاءَ مِنَ الْعَطَشِ وَيُبَالِغُ فِي الِاسْتِنْشَاقِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ، إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا
صحيح، و هو طرف من الحديث المتقدم
Narrated Laqit ibn Saburah:
The Prophet (ﷺ) said: Snuff up water freely unless you are fasting.
পরিচ্ছেদঃ কুরআনের কিরআত ও পাঠের নিয়ম
৩৯৭৩। লাক্বীত ইবনু সাবিরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনী মুনতাফিকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়েছিলাম। অতঃপর তিনি হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সীন হরফে যের পড়েছেন, সীনে যবর দিয়ে পড়েননি।[1]
সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ قَالَ: كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَذَكَرَ الْحَدِيثَ فَقَالَ يَعْنِي النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تَحْسِبَنَّ وَلَمْ يَقُلْ لَا تَحْسَبَنَّ
صحيح
Narrated Laqit ibn Sabirah:
I came in the deputation of Banu al-Muntafiq to the Messenger of Allah (ﷺ). He then narrated the rest of the tradition. The Prophet (ﷺ) said: la tahsibanna (do not think) and did not say: la tahsabanna (do not think).
পরিচ্ছেদঃ সিয়াম সম্পর্কিত কিছু জ্ঞাতব্য বিষয়
(১০৫০) লাক্বীত্ব ইবনে স্বাবেরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! ওযূ সম্পর্কে আমাকে বলুন। তিনি বললেন, পূর্ণাঙ্গরূপে ওযূ কর। আঙ্গুলগুলোর মধ্যবর্তী জায়গাগুলো খিলাল কর। সজোরে নাকে পানি টেনে (নাক ঝাড়ো); তবে সিয়ামের অবস্থায় নয়। (অর্থাৎ সিয়ামের অবস্থায় বেশি জোরে নাকে পানি টানা চলবে না।)
وَعَنْ لَقِيطِ بنِ صَبِرَةَ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الوُضُوءِ ؟ قَالَ أَسْبِغِ الوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الاسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِماً رواه أَبُو داود والترمذي، وقَالَ حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ
পরিচ্ছেদঃ ৪. উযূর বিবরণ - উযূর পদ্ধতির বিবরণ
৩৯। লাকীত বিন সাবিরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’ভালভাবে উযূ কর ও আঙ্গুলের ফাঁকা স্থানে খিলাল কর, সওম পালনকারী না হলে নাকে পূর্ণমাত্রায় পানি প্রবেশ করাও”। আবূ দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ। ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছেন।[1]
আবূ দাউদের অন্য বর্ণনায় রয়েছে, ’যখন তুমি উযূ করবে তখন কুলি করবে’।[2]”
[2] সুনান আবু দাউদ (১৪৪)
وَعَنْ لَقِيطِ بْنُ صَبْرَةَ, - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَسْبِغِ الْوُضُوءَ, وَخَلِّلْ بَيْنَ الْأَصَابِعِ, وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ, إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا». أَخْرَجَهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَة
وَلِأَبِي دَاوُدَ فِي رِوَايَةٍ: إِذَا تَوَضَّأْتَ فَمَضْمِضْ
-
صحيح. رواه أبو داود (142 و 143)، والنسائي (1/ 66 و 69)، والترمذي، (38)، وابن ماجه (448)، وابن خزيمة (150 و 168) من طريق عاصم بن لقيط بن صبرة، عن أبيه، به
صحيح. سنن أبي داود (144)
Narrated Laqit bin Sabra (rad):
Allah’s Mesenger (ﷺ) said: “Perform a perfect Wudu run (your fingers) through the fingers of the hands and the toes, and if not fasting, sniff water up well inside the nose”. [Reported by Al-Arba’a and Ibn Khuzaima graded it Sahih].
In another verson of Abu Da’ud is:
“If you perform ablution rinse your mouth”.
পরিচ্ছেদঃ ৭১: নাক ভালো করে পরিষ্কার করা
৮৭. কুতায়বাহ্ ইবনু সা’ঈদ ও ইসহাক্ ইবনু ইব্রাহীম (রহ.) ..... লাকীত্ব ইবনু সবরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আমাকে উযূ সম্পর্কে বলুন। তিনি বললেন, পূর্ণরূপে উযূ করবে, আর তুমি যদি সায়িম (রোযাদার) না হও তাহলে ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করবে।
الْمُبَالَغَةُ فِي الِاسْتِنْشَاقِ
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قال: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ، ح وَأَنْبَأَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قال: أَنْبَأَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قال: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ. قَالَ: أَسْبِغْ الْوُضُوءَ وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا .
تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الطہارة ۵۵ (۱۴۲، ۱۴۳، ۱۴۴)، الصوم ۲۷ (۲۳۶۶)، سنن الترمذی/الصوم ۶۹ (۷۸۸)، سنن ابن ماجہ/الطہارة ۴۴ (۴۰۷)، ۵۴ (۴۴۸)، (وعندہ ’’وخلل بین الأصابع‘‘ بدل ’’وبالغ في الاستنشاق‘‘)، (تحفة الأشراف: ۱۱۱۷۲)، وھکذا عند المؤلف في باب ۹۲ (۱۱۴)، مسند احمد ۴/۳۲، ۳۳، ۲۱۱، سنن الدارمی/الطہارة ۳۴ (۷۳۲) (صحیح)
صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 87 - صحيح
71. Exaggerating In Snuffing Water Into The Nose
It was narrated from 'Asim bin Laqit bin Sabirah that his father said: I said: 'O Messenger of Allah, tell me about Wudu. He said: 'Perform Wudu' well,[1] and exxagerate in sniffing water up into your nose, except when you are fasting.'
[1] See No. 141
পরিচ্ছেদঃ পরিপূর্ণভাবে ওযূ করার নিয়ত করার সাথে সাথে হাতের আঙ্গুলসমূহের মাঝে খেলাল করার নির্দেশ
১০৫১. লাকীত বিন সাবিরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বানু আল মুনফাক গোত্রের প্রতিনিধি দল হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসি। কিন্তু আমরা তাকে তাঁর বাড়িতে পাইনি, আমরা বাড়িতে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে পেলাম। তিনি আমাদের জন্য খাযীরাহ (হালুয়া জাতীয় খাবার যাতে গোসত টুকরো টুকরো করে বেশি পরিমাণে পানি ও লবন দিয়ে পাকানো হয়, যখন তা পরিপক্ক হয়, তখন তাতে আটা দেওয়া হয় ভালভাবে তা মিশ্রিত করা হয়, তারপর তাতে যে কোন তরকারী দেওয়া হয়) প্রস্তত করার নির্দেশ দিলেন, অতঃপর খাবার প্রস্তুত করা হলো এবং তিনি আমাদের কাছে এক গামলা খেজুর নিয়ে আসলেন। আমরা তা খেলাম। অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আসলেন, এবং বললেন, “তোমরা কি কিছু খেতে পেয়েছো, নাকি আমি তোমাদের জন্য কোন কিছু ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিবো?”
আমরা বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, জ্বী, হ্যাঁ (আমরা খেয়েছি)। এভাবে আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে বসে আছি, এমন সময় রাখাল তার মেষপাল নিয়ে খোয়ারের দিকে যাচ্ছিল, তার সাথে একটি মেষশাবক ছিল, যে আওয়াজ করছিল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “কী বাচ্চা প্রসব করেছে?” সে জবাবে বললো, “মেষশাবক” তিনি বলেন, “তবে তার পরিবর্তে একটি মেষ জবেহ করো।” তারপর তিনি আমার মুখোমুখী হন এবং বলেন, “তুমি মনে করো না যে, তোমার কারণে এটি আমরা জবেহ করেছি। বস্তুত আমাদের একশটি উট আছে, যা এর চেয়ে বেশি হয় না; যখনই কোন মেষ বাচ্চা প্রসব করে, তখনই আমরা তার স্থলে আরেকটি মেষ জবাই করি।”
রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমার একজন স্ত্রী আছে, যার জবান একটু কড়া।” জবাবে তিনি বলেন, “তাহলে তুমি তাকে তালাক দিয়ে দাও।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তার গর্ভজাত আমার সন্তান রয়েছে আর সে আমার দীর্ঘ দিনের সঙ্গী।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি তাকে উপদেশ দাও। যদি তার মাঝে কোন কল্যাণ থাকে, তবে অচিরেই তা গ্রহণ করবে। আর তুমি তোমার স্ত্রীকে দাসীর মতো প্রহার করবে না।” রাবী বলেন, “আমি বললাম, হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমাকে ওযূ সম্পর্কে বলুন।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে, তোমার আঙ্গুলসমূহের মাঝে খিলাল করবে, ভালভাবে নাকে পানি দিবে, তবে যদি তুমি সিয়াম পালনকারী হও (তাহলে ভিন্ন কথা)।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে উৎকৃষ্ট বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৩০।)
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِتَخْلِيلِ الْأَصَابِعِ لِلْمُتَوَضِّئِ مَعَ الْقَصْدِ فِي إِسْبَاغِ الْوُضُوءِ
1051 - أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا سُرَيْجُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ وَافِدَ بَنِي الْمُنْتَفِقِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِمْنَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وسلم فلم نصادِفه فِي مَنْزِلِهِ وصادَفْنا عَائِشَةَ فَأَمَرَتْ لَنَا بخزيرة فصُنعت واُتينا بِقِنَاعٍ - وَالْقِنَاعُ الطَّبَقُ فِيهِ التَّمْرُ - فَأَكَلْنَا فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال: (هَلْ أَصَبْتُمْ شَيْئًا؟ أَوْ آمُرُ لَكُمْ بِشَيْءٍ؟ ) قُلْنَا: نَعَمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَبَيْنَمَا نَحْنُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جُلُوسٌ إِذْ رَفَعَ الرَّاعِي غَنَمَهُ إِلَى الْمُرَاحِ وَمَعَهُ سَخْلَةٌ تَيْعَرُ فَقَالَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَا وَلَّدْتَ؟ ) قَالَ: بَهْمَةٌ قَالَ: (اذْبَحْ مَكَانَهَا شَاةً) ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيَّ فَقَالَ:
(لَا تَحْسِبَنَّ - وَلَمْ يَقُلْ لَا تَحْسَبَنَّ - أنَّا مِنْ أجلِكَ ذَبَحْنَاهَا إنَّ لَنَا غَنَمًا مئة لَا تَزِيدُ فَمَا وَلَدَتْ بَهْمَةً ذَبَحْنَا مَكَانَهَا شَاةً) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِيَ امْرَأَةً فِي لِسَانِهَا شَيْءٌ قَالَ: (فَطَلِّقْهَا إِذًا) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي مِنْهَا وَلَدًا وَلَهَا صُحْبَةً قَالَ: (عِظْهَا فَإِنْ يَكُ فِيهَا خَيْرٌ فَسَتَقْبَلُ وَلَا تَضْرِبْ ظَعِينَتَكَ ضَرْبَكَ أَمَتَكَ) قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ قَالَ:(أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وخَلِّل بَيْنَ أَصَابِعِكَ وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ صَائِمًا)
الراوي : لَقِيط بْن صَبِرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1051 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.
পরিচ্ছেদঃ ওযূর সময় হাতের আঙ্গুল খেলাল করার নির্দেশ
১০৮৪. লাকীত বিন সাবিরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আমি বললাম, “হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনি আমাকে ওযূ সম্পর্কে জানিয়ে দিন।” জবাবে তিনি বলেন, “তুমি পরিপূর্ণভাবে ওযূ করবে, আঙ্গুলসমূহের মাঝে খেলাল করবে এবং খুব ভালভাবে নাকে পানি দিবে, তবে যদি তোমরা সিয়াম পালনকারী হও, (সেটা ভিন্ন কথা)।”[1]
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে উৎকৃষ্ট বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ১৩০।)
ذِكْرُ الْأَمْرِ بِتَخْلِيلِ الْأَصَابِعِ فِي الْوُضُوءِ
1084 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ كَثِيرٍ عَنْ عَاصِمِ بْنِ لَقِيطِ بْنِ صَبِرَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ:قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي عَنِ الْوُضُوءِ قَالَ: (أَسْبِغِ الْوُضُوءَ وَخَلِّلْ بَيْنَ الْأَصَابِعِ وَبَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إلا أن تكون صائماً)
الراوي : لَقِيط بْن صَبِرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1084 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.