পরিচ্ছেদঃ ৩৬/২৩. তাজা খেজুরের সাথে শসা খাওয়া।
১৩২৫. আবদুল্লাহ ইবনু জাফর ইবনু আবূ ত্বলিব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাজা খেজুর কাঁকুড়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দেখেছি।
أكل القثاء بالرطب
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْكُلُ الرُّطَبَ بالْقِثَّاءِ
পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - করমর্দন ও আলিঙ্গন
৪৬৮৭-[১১] জা’ফার ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) হাবাশাহ্ হতে প্রত্যাবর্তনের ঘটনা প্রসঙ্গে বর্ণনা করেন যে, আমরা হাবাশাহ্ হতে রওয়ানা করে মদীনায় এসে পৌঁছলাম। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে সাক্ষাৎ করলেন এবং আমার সাথে আলিঙ্গন করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমি বলতে পারছি না খায়বার বিজয় আমার কাছে বেশি আনন্দের, না জা’ফার-এর ফিরে আসাটা বেশি আনন্দের! জা’ফার (রাঃ) ঘটনাক্রমে সেদিনই এসেছিলেন, যেদিন খায়বার বিজয় হয়েছিল। (শারহুস্ সুন্নাহ্)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে ‘‘মুজালিদ ইবনু সা‘ঈদ’’ নামের বর্ণনাকারী শক্তিশালী নয়। অন্য একটি বর্ণনায় শা‘বী (রহিমাহুল্লাহ) থেকে দু’জন বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী ‘‘মুজালিদ ইবনু সা‘ঈদ’’-এর বিপরীত বর্ণনা করেছেন। দেখুন- আর্ রওযুন্ নাযীর ৯৩৪, হিদায়াতুর্ রুওয়াত ৪৩৩১ পৃঃ।
وَعَنْ
جَعْفَرِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ فِي قِصَّةِ رُجُوعِهِ مِنْ أَرْضِ الْحَبَشَةِ قَالَ: فَخَرَجْنَا حَتَّى أَتَيْنَا الْمَدِينَةَ فَتَلَقَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاعْتَنَقَنِي ثُمَّ قَالَ: مَا أَدْرِي: أَنَا بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَفْرَحُ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ؟ «. وَوَافَقَ ذَلِكَ فَتْحَ خَيْبَرَ. رَوَاهُ فِي» شَرْحِ السّنة
ব্যাখ্যাঃ (قَالَ: "مَا أَدْرِي: أَنَا بِفَتْحِ خَيْبَرَ أَفْرَحُ أَمْ بِقُدُومِ جَعْفَرٍ؟") এর অর্থ হলো, আমার খুশির কারণ একাধিক। সুতরাং আমি বুঝতে পারছি না, এ দিকে লক্ষ্য করব না ঐ দিকে লক্ষ্য করব। কারণ প্রত্যেকটিই খুশির জন্য স্বনির্ভর কারণ ছিল। খুশির কারণগুলো একটির সাথে আরেকটি যুক্ত হয় না। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এটা আসলে পূর্ণতার সাথে অপূর্ণতাকে মিলিত করার উপযুক্ত সাদৃশ্যদানের একটি রীতিমাত্র। সে কারণে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খায়বার বিজয়ের তুলনায় জা‘ফার-এর আগমনকে অপূর্ণরূপে প্রকাশ করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. সফরকালে নামায পড়ার নিয়ম-কানুন, কোনরূপ ওজর ব্যতীত দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে পড়া এবং নৌযানে অবস্থানকালে নামায পড়ার নিয়ম
১৪৪২(২). ইবরাহীম ইবনে মুহাম্মাদ (রহঃ) ... জাফার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দাঁড়িয়ে নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তবে নৌযান থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় হলে (বসে নামায পড়বে)। হাদীসের বর্ণনায় একজন অজ্ঞাত রাবী আছেন।
بَابُ صِفَةِ الصَّلَاةِ فِي السَّفَرِ وَالْجَمْعِ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ ، وَصِفَةِ الصَّلَاةِ فِي السَّفِينَةِ
حَدَّثَنَاهُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، ثَنَا ابْنُ دَاوُدَ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ مِنْ ثَقِيفٍ عَنْ جَعْفَرِ بْنِ بُرْقَانَ عَنْ مَيْمُونِ بْنِ مِهْرَانَ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ جَعْفَرٍ أَنَّ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَمَرَهُ أَنْ يُصَلِّيَ قَائِمًا إلََّا أَنْ يَخْشَى الْغَرَقَ . قَالَ الدَّارَقُطْنِيُّ : يَعْنِي فِي السَّفِينَةِ فِيهِ رَجُلٌ مَجْهُولٌ