আল-লুলু ওয়াল মারজান ৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯২

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১. মদ হারাম হওয়ার বর্ণনা এবং তা আঙ্গুরের রস, পাকা খেজুর, শুকনা খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি দ্বারা তৈরি হোক যা মাতাল করে।

১২৯২. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের গনীমতের মালের মধ্য হতে যে অংশ আমি পেয়েছিলাম, তাতে একটি জওয়ান উটনীও ছিল। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুমুসের মধ্য হতে আমাকে একটি জওয়ান উটনী দান করেন। আর আমি যখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ (রাঃ)-এর সঙ্গে বাসর যাপন করব, তখন আমি বান্‌ কায়নূকা গোত্রের এক স্বর্ণকারের সঙ্গে এ মর্মে চুক্তিবদ্ধ হলাম যে, সে আমার সঙ্গে যাবে এবং আমরা উভয়ে মিলে ইযখির ঘাস সংগ্রহ করে আনব। আমার ইচ্ছে ছিল তা স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে তা দিয়ে আমার বিবাহের ওয়ালীমা সম্পন্ন করব।

ইতোমধ্যে আমি যখন আমার জওয়ান উটনী দুটির জন্য আসবাবপত্র যেমন পালান, থলে ও রশি ইত্যাদি একত্রিত করছিলাম, আর আমার উটনী দু’টি এক আনসারীর ঘরের পার্শ্বে বসা ছিল। আমি আসবাবপত্র যোগাড় করে এসে দেখি উট দু’টির কুঁজ কেটে ফেলা হয়েছে এবং কোমরের দিকে পেট কেটে কলিজা বের করে নেয়া হয়েছে। উটনী দু’টির এ হাল দেখে আমি অশ্রু চেপে রাখতে পারলাম না। আমি বললাম, কে এমনটি করেছে? লোকরা বলল, ’হামযা ইবনু ’আবদুল মুত্তালিব এমনটি করেছে। সে এ ঘরে আছে এবং শরাব পানকারী কতিপয় আনসারীর সঙ্গে আছে।

আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার চেহারা দেখে আমার মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করতে পারলেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমার কী হয়েছে? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমি আজকের মত দুঃখজনক অবস্থা দেখেনি। হামযাহ আমার উট দু’টির উপর অত্যাচার করেছে। সে দু’টির কুঁজ কেটে ফেলেছে এবং পাঁজর চিরে ফেলেছে। আর সে এখন অমুক ঘরে শরাব পানকারী দলের সঙ্গে আছে। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাদরখানি আনতে আদেশ করলেন এবং চাদরখানি জড়িয়ে পায়ে হেঁটে চললেন।

আমি এবং যায়দ ইবনু হারিসা (রাঃ) তাঁর অনুসরণ করলাম। হামযা যে ঘরে ছিল সেখানে পৌছে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তারা অনুমতি দিল। তখন তারা শরাব পানে বিভোর ছিল। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হামযাহকে তার কাজের জন্য তিরস্কার করতে লাগলেন। হামযাহ তখন পূর্ণ নেশাগ্রস্ত। তার চক্ষু দু’টি ছিল রক্তলাল। হামযাহ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি তাকাল। অতঃপর সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল এবং তার হাঁটু পানে তাকাল।

আবার তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাঁর নাভির দিকে তাকাল। আবার সে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার মুখমণ্ডলের দিকে তাকাল। অতঃপর হামযাহ বলল, তোমরাই তো আমার পিতার গোলাম । এ অবস্থা দেখে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝতে পারলেন, সে এখন পূৰ্ণ নেশাগ্ৰস্ত আছে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেছনে হেঁটে সরে আসলেন। আর আমরাও তাঁর সঙ্গে বেরিয়ে আসলাম।

تحريم الخمر وبيان أنها تكون من عصير العنب ومن التمر والبسر والزبيب وغيرها مما يسكر

حديث عَلِيٍّ، قَالَ: كَانَتْ لِي شَارِفٌ مِنْ نَصِيبِي مِنَ الْمَغْنَمِ، يَوْمَ بَدْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَعْطَانِي شَارِفًا مِنَ الْخُمُسِ؛ فَلَمَّا أَرَدْتُ أَنْ أَبْتَنِيَ بَفَاطِمَةَ، بِنْتِ رَسولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَاعَدْتُ رَجُلاً صَوَّاغًا، مِنْ بَنِي قَيْنُقَاعٍ، أَنْ يَرْتَحِلَ مَعِي، فَنَأْتِيَ بِإِذْخِرٍ، أَرَدْتُ أَنْ أَبِيعَهُ الصَّوَّاغِينَ، وَأَسْتَعِينَ بِهِ فِي وَلِيمَةِ عُرْسِي؛ فَبَيْنَا أَنَا أَجْمَعُ لِشَارِفَيَّ مَتَاعًا مِنَ الأَقْتَابِ وَالْغَرَائِرِ وَالْحِبَالِ، وَشَارِفَايَ مُنَاخَانِ إِلَى جَنْبِ حُجْرَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ، رَجَعْتُ، حِينَ جَمَعْتُ مَا جَمَعْتُ، فَإِذَا شَارِفَايَ قَدِ اجْتُبَّ أَسْنِمَتُهُمَا، وَبُقِرَتْ خَوَاصِرُهُمَا، وَأُخِذَ مِنْ أَكْبَادِهِمَا؛ فَلَمْ أَمْلِكْ عَيْنَيَّ، حِينَ رَأَيْتُ ذَلِكَ الْمَنْظَرَ مِنْهُمَا فَقُلْتُ: مَنْ فَعَلَ هذَا فَقَالُوا: فَعَلَ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ، وَهُوَ فِي هذَا الْبَيْتِ فِي شَرْبٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَانْطَلَقْتُ حَتَّى أَدْخُلَ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَعِنْدَهُ زَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ فَعَرَفَ النَّبَيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي وَجْهِي الَّذِي لَقِيتُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا لَكَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ قَطُّ، عَدَا حَمْزَةُ عَلَى نَاقَتَيَّ فَأَجَبَّ أَسْنِمَتُهُمَا، وَبَقَرَ خَوَاصِرَهُمَا؛ وَهَا هُوَ ذَا، فِي

بَيْتٍ مَعَهُ شَرْبٌ فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بِرِدَائِهِ فَارْتَدَى، ثُمَّ انْطَلَقَ يَمْشِي، وَاتَّبَعْتُهُ أَنَا وَزَيْدُ بْنُ حَارِثَةَ، حَتَّى جَاءَ الْبَيْتَ الَّذِي فِيهِ حَمْزَةُ، فَاسْتَأْذَنَ، فَأَذِنُوا لَهُ، فَإِذَا هُمْ شَرْبٌ فَطَفِقَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَلُومُ حَمْزَةَ فِيمَا فَعَلَ فَإِذَا حَمْزَةُ قَدْ ثَمِلَ مُحْمَرَّةً عَيْنَاهُ فَنَظَرَ حَمْزَةُ إِلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ، فَنَظَرَ إِلَى رُكْبَتِهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ، فَنَظَرَ إِلَى سُرَّتِهِ، ثُمَّ صَعَّدَ النَّظَرَ، فَنَظَرَ إِلَى وَجْهِهِ؛ ثُمَّ قَالَ حَمْزَةُ: هَلْ أَنْتُمْ إِلاَّ عَبِيدٌ لأَبِي فَعَرَفَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَدْ ثَمِلَ، فَنَكَصَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عَقِبَيْهِ الْقَهْقَرَى وَخَرَجْنَا مَعَهُ

حديث علي، قال: كانت لي شارف من نصيبي من المغنم، يوم بدر، وكان النبي صلى الله عليه وسلم اعطاني شارفا من الخمس؛ فلما اردت ان ابتني بفاطمة، بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم، واعدت رجلا صواغا، من بني قينقاع، ان يرتحل معي، فناتي باذخر، اردت ان ابيعه الصواغين، واستعين به في وليمة عرسي؛ فبينا انا اجمع لشارفي متاعا من الاقتاب والغراىر والحبال، وشارفاي مناخان الى جنب حجرة رجل من الانصار، رجعت، حين جمعت ما جمعت، فاذا شارفاي قد اجتب اسنمتهما، وبقرت خواصرهما، واخذ من اكبادهما؛ فلم املك عيني، حين رايت ذلك المنظر منهما فقلت: من فعل هذا فقالوا: فعل حمزة بن عبد المطلب، وهو في هذا البيت في شرب من الانصار فانطلقت حتى ادخل على النبي صلى الله عليه وسلم، وعنده زيد بن حارثة فعرف النبي صلى الله عليه وسلم، في وجهي الذي لقيت فقال النبي صلى الله عليه وسلم: ما لك فقلت: يا رسول الله ما رايت كاليوم قط، عدا حمزة على ناقتي فاجب اسنمتهما، وبقر خواصرهما؛ وها هو ذا، في بيت معه شرب فدعا النبي صلى الله عليه وسلم، برداىه فارتدى، ثم انطلق يمشي، واتبعته انا وزيد بن حارثة، حتى جاء البيت الذي فيه حمزة، فاستاذن، فاذنوا له، فاذا هم شرب فطفق رسول الله صلى الله عليه وسلم يلوم حمزة فيما فعل فاذا حمزة قد ثمل محمرة عيناه فنظر حمزة الى رسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم صعد النظر، فنظر الى ركبته، ثم صعد النظر، فنظر الى سرته، ثم صعد النظر، فنظر الى وجهه؛ ثم قال حمزة: هل انتم الا عبيد لابي فعرف رسول الله صلى الله عليه وسلم، انه قد ثمل، فنكص رسول الله صلى الله عليه وسلم على عقبيه القهقرى وخرجنا معه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১. মদ হারাম হওয়ার বর্ণনা এবং তা আঙ্গুরের রস, পাকা খেজুর, শুকনা খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি দ্বারা তৈরি হোক যা মাতাল করে।

১২৯৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি আবু তালহার বাড়িতে লোকজনকে শরাব পান করাচ্ছিলাম। সে সময় লোকরা ফাযীখ শরাব ব্যবহার করতেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে আদেশ করলেন, যেন সে এ মর্মে ঘোষণা দেয় যে, সাবধান! শরাব এখন হতে হারাম করে দেয়া হয়েছে। আবু তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, বাইরে যাও এবং সমস্ত শরাব ঢেলে দাও। আমি বাইরে গেলাম এবং সমস্ত শরাব রাস্তায় ঢেলে দিলাম। আনাস (রাঃ) বলেন, সে দিন মদীনার অলিগলিতে শরাবের প্লাবন বয়ে গিয়েছিল। তখন কেউ কেউ বলল, একদল লোক নিহত হয়েছে, অথচ তাদের পেটে শরাব ছিল। তখন এ আয়াত নাযিল হলঃ যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা পূর্বে যা কিছু পানাহার করেছে তার জন্য তাদের কোন গুনাহ হবে না। (আল-মায়িদাহ ৯৩)।

تحريم الخمر وبيان أنها تكون من عصير العنب ومن التمر والبسر والزبيب وغيرها مما يسكر

حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: كُنْتُ سَاقِيَ الْقَوْمِ، فِي مَنْزِلِ أَبِي طَلْحَةَ، وَكَانَ خَمْرُهُمْ يَوْمَئِذٍ الْفَضِيخَ فَأَمَرَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُنَادِيًا يُنَادِي: أَلاَ إِنَّ الْخَمْرَ قَدْ حُرِّمَتْ قَالَ: فَقَالَ لِي أَبُو طَلْحَةَ: اخْرُجْ فَأَهْرِقْهَا فَخَرَجْتُ فَهَرَقْتُهَا، فَجَرَتْ فِي سِكَكِ الْمَدِينَةِ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ: قَدْ قُتِلَ قَوْمٌ وَهِيَ فِي بُطُونِهِمْ فَأَنْزَلَ اللهُ (لَيْسَ عَلَى الَّذِين آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ جُنَاحٌ فِيمَا طَعِمُوا) الآية

حديث انس رضي الله عنه، قال: كنت ساقي القوم، في منزل ابي طلحة، وكان خمرهم يومىذ الفضيخ فامر رسول الله صلى الله عليه وسلم مناديا ينادي: الا ان الخمر قد حرمت قال: فقال لي ابو طلحة: اخرج فاهرقها فخرجت فهرقتها، فجرت في سكك المدينة فقال بعض القوم: قد قتل قوم وهي في بطونهم فانزل الله (ليس على الذين امنوا وعملوا الصالحات جناح فيما طعموا) الاية

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৫. পাকা খেজুর ও কিশমিশ একত্র করে নাবিজ বনাননা মাকরূহ।

১২৯৪. জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিসমিস, শুকনো খেজুর, কাঁচা ও পাকা খেজুর মিশ্রণ করতে নিষেধ করেছেন।

كراهة انتباذ التمر والزبيب مخلوطين

حديث جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ الزَّبِيبِ وَالتَّمْرِ وَالْبُسْرِ وَالرُّطَبِ

حديث جابر رضي الله عنه، قال: نهى النبي صلى الله عليه وسلم، عن الزبيب والتمر والبسر والرطب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৫. পাকা খেজুর ও কিশমিশ একত্র করে নাবিজ বনাননা মাকরূহ।

১২৯৫. আবু কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুরমা ও আধাপাকা খেজুর এবং খুরমা ও কিসমিস একত্রিত করতে নিষেধ করেছেন। আর এগুলো প্রত্যেকটিকে পৃথক পৃথকভাবে ভিজিয়ে ’নবীয’ তৈরী করা যাবে।

كراهة انتباذ التمر والزبيب مخلوطين

حديث أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ: نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنْ يَجْمَعَ بَيْنَ التَّمْرِ وَالزَّهْوِ، وَالتَّمْر وَالزَّبِيبِ، وَلْيُنْبَذْ كُلُّ وَاحِدٍ مِنْهُمَا عَلَى حِدَةٍ

حديث ابي قتادة، قال: نهى النبي صلى الله عليه وسلم، ان يجمع بين التمر والزهو، والتمر والزبيب، ولينبذ كل واحد منهما على حدة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৬. আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১২৯৬. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কদু (লাউ)’র খোলসে এবং আলকাতরা মাখানো পাত্রে নাবিজ তৈরী করো না।

النهي عن الانتباذ في المزفت والدباء والحنتم والنقير وبيان أنه منسوخ وأنه اليوم حلال ما لم يصر مسكرًا

حديث أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَنْتَبِذُوا فِي الدُّبَّاءِ وَلاَ فِي الْمُزَفَّتِ

حديث انس بن مالك، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: لا تنتبذوا في الدباء ولا في المزفت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৬. আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১২৯৭. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুব্বা (কদু বা লাউয়ের খোলস) ও মুযাফ্‌ফাত (আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্র) ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।

النهي عن الانتباذ في المزفت والدباء والحنتم والنقير وبيان أنه منسوخ وأنه اليوم حلال ما لم يصر مسكرًا

حديث عَلِيٍّ رضي الله عنه، قَالَ: نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ

حديث علي رضي الله عنه، قال: نهى النبي صلى الله عليه وسلم، عن الدباء والمزفت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৬. আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১২৯৮. ইবরাহীম (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আসওয়াদকে জিজ্ঞেস করলাম যে, আপনি কি উম্মুল মু’মিনীন ’আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে নবীয তৈরী করা মাকরূহ। তিনি উত্তর করলেন, হ্যাঁ। আমি বলেছিলাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! কোন্ কোন্ পাত্রের মধ্যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবীয তৈরী করতে নিষেধ করেছেন? তিনি বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অর্থাৎ আহলে বায়তকে দুব্বা (কদু বা লাউয়ের খোলস) ও মুযাফ্‌ফাত (আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্র) নামক পাত্রে নবীয তৈরী করতে নিষেধ করেছেন। (ইবরাহীম বলেন) আমি বললাম ’আয়িশাহ (রাঃ) কি জার (মাটির কলসী) ও হানতাম (মাটির সবুজ পাত্র) নামক পাত্রের কথা উল্লেখ করেননি? তিনি বললেনঃ আমি যা শুনেছি কেবল তাই তোমাকে বর্ণনা করেছি। আমি যা শুনি নি তাও কি আমি তোমাদের কাছে বর্ণনা করব?

النهي عن الانتباذ في المزفت والدباء والحنتم والنقير وبيان أنه منسوخ وأنه اليوم حلال ما لم يصر مسكرًا

حديث عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ، قُلْتُ لِلأَسْوَدِ: هَلْ سَأَلْتَ عَائِشَةَ أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَمَّا يُكْرَهُ أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ فَقَالَ: نَعَمْ، قُلْتُ يَا أُمَّ الْمُؤْمِنِينَ عَمَّا نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يُنْتَبَذَ فِيهِ قَالَتْ: نَهَانَا فِي ذَلِكَ، أَهْلَ الْبَيْتِ، أَنْ نَنْتَبِذَ فِي الدُّبَّاءِ وَالْمُزَفَّتِ قُلْتُ: أَمَا ذَكَرَتِ الْجَرَّ وَالْحَنْتَمَ قَالَ: إِنَّمَا أُحَدِّثُكَ مَا سَمِعْتُ؛ أُحَدِّثُ مَا لَمْ أَسْمَعْ

حديث عاىشة ام المومنين عن ابراهيم، قلت للاسود: هل سالت عاىشة ام المومنين عما يكره ان ينتبذ فيه فقال: نعم، قلت يا ام المومنين عما نهى النبي صلى الله عليه وسلم ان ينتبذ فيه قالت: نهانا في ذلك، اهل البيت، ان ننتبذ في الدباء والمزفت قلت: اما ذكرت الجر والحنتم قال: انما احدثك ما سمعت؛ احدث ما لم اسمع

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১২৯৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৬. আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১২৯৯. ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল কায়স গোত্রের প্রতিনিধি দল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করলো, ... আর আমি তোমাদেরকে নিষেধ করছি শুষ্ক কদুর খোলস, সবুজ রং প্রলেপযুক্ত পাত্র, খেজুর কাণ্ড নির্মিত পাত্ৰ, তৈলজ পদার্থ প্রলেপযুক্ত মাটির পাত্র ব্যবহার করতে।

النهي عن الانتباذ في المزفت والدباء والحنتم والنقير وبيان أنه منسوخ وأنه اليوم حلال ما لم يصر مسكرًا

حديث ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: وَأَنْهَاكُمْ عَنِ الدُّبَّاءِ والْحَنْتَمِ وَالنَّقِيرِ وَالْمُزَفَّتِ

حديث ابن عباس، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: وانهاكم عن الدباء والحنتم والنقير والمزفت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০০

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৬. আলকাতরা মাখানো পাত্রে, কদুর বোলে, সবুজ কলস ও কাঠের বোলে নাবিজ বানানো নিষিদ্ধ এবং এ বিধান রহিত হয়ে যাওয়া ও বর্তমানে এটা হালাল যতক্ষণ না তা মাতাল করে।

১৩০০. আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ধরনের পাত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করলেন, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলা হল, সব মানুষের নিকট তো মশক মজুদ নেই। ফলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কলসীর জন্য অনুমতি দেন, তবে আলকাতরার প্রলেপ দেয়া পাত্রের জন্য অনুমতি দেননি।

النهي عن الانتباذ في المزفت والدباء والحنتم والنقير وبيان أنه منسوخ وأنه اليوم حلال ما لم يصر مسكرًا

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرو، قَالَ: لَمَّا نَهى النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، عَنِ الأَسْقِيَةِ، قِيلَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ كُلُّ النَّاسِ يَجِدُ سِقَاءً فَرَخَّصَ لَهُمْ فِي الْجَرِّ غَيْرِ الْمُزَفَّتِ

حديث عبد الله بن عمرو، قال: لما نهى النبي صلى الله عليه وسلم، عن الاسقية، قيل للنبي صلى الله عليه وسلم: ليس كل الناس يجد سقاء فرخص لهم في الجر غير المزفت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০১

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৭. যা মাতলামি আনে তাই মাদকদ্রব্য আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।

১৩০১. আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে সকল পানীয় নেশা সৃষ্টি করে, তা হারাম।

بيان أن كل مسكر خمر وأن كل خمر حرام

حديث عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: كُلُّ شَرَابٍ أَسْكَرَ فَهُوَ حَرَامٌ

حديث عاىشة، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: كل شراب اسكر فهو حرام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০২

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৭. যা মাতলামি আনে তাই মাদকদ্রব্য আর প্রত্যেক মাদকদ্রব্যই হারাম।

১৩০২. আবু মূসা আল-আশ’আরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে (আবু মূসাকে গভর্নর নিযুক্ত করে) ইয়ামানে পাঠিয়েছেন। তখন তিনি ইয়ামানে তৈরি করা হয় এমন কতিপয় শরাব সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বললেন, ঐগুলো কী কী? আবূ মূসা (রাঃ) বললেন, তা হল বিত্‌উ ও মিযর শরাব। বর্ণনাকারী সাঈদ (রহঃ) বলেন, আমি আবু বুরদাকে জিজ্ঞেস করলাম বিত্‌উ কী? তিনি বললেন, বিত্‌উ হল মধু থেকে গ্যাজানো রস আর মিযর হল যবের গাজানো রস। (সাঈদ বলেন) তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সকল নেশা উৎপাদক বস্তুই হারাম।

بيان أن كل مسكر خمر وأن كل خمر حرام

حديث أَبِي مُوسى وَمُعَاذٍ بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَبَا مُوسى وَمُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ، فَقَالَ: يَسِّرَا وَلاَ تُعَسِّرَا، وَبَشِّرَا وَلاَ تُنَفِّرَا، وَتَطَاوَعَا فَقَالَ أَبُو مُوسى: يَا نَبِيَّ اللهِ إِنَّ أَرْضَنَا بِهَا شَرَابٌ مِنَ الشَّعِيرِ، الْمِزْرُ؛ وَشَرَابٌ مِنَ الْعَسَلِ، الْبِتْعُ فَقَالَ: كُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ

حديث ابي موسى ومعاذ بعث النبي صلى الله عليه وسلم، ابا موسى ومعاذا الى اليمن، فقال: يسرا ولا تعسرا، وبشرا ولا تنفرا، وتطاوعا فقال ابو موسى: يا نبي الله ان ارضنا بها شراب من الشعير، المزر؛ وشراب من العسل، البتع فقال: كل مسكر حرام

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৮. যে মদপান করল তা থেকে বিরত হল না বা তাওবাহ করল না তার শাস্তি তাকে পরকালে তা থেকে বঞ্চিত করা হবে।

১৩০৩. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি দুনিয়াতে মদ পান করেছে এরপর সে তা থেকে তওবা করেনি, সে ব্যক্তি আখিরাতে তা থেকে বঞ্চিত থাকবে।

عقوبة من شرب الخمر إِذا لم يتب منها بمنعه إِياها في الآخرة

حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ شَرِبَ الْخَمْرَ فِي الدُّنْيَا، ثُمَّ لَمْ يَتُبْ مِنْهَا، حُرِمَهَا فِي الآخِرَةِ

حديث عبد الله بن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: من شرب الخمر في الدنيا، ثم لم يتب منها، حرمها في الاخرة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৯. নাবিজ ততক্ষণ (খাওয়া) বৈধ যতক্ষণ না তা কঠিনভাবে বিকৃত হয় এবং মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়।

১৩০৪. সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু উসায়দ আস্ সাঈদী (রাঃ) শাদী উপলক্ষে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তার ওয়ালীমায় দাওয়াত করলেন। তাঁর নববধু সেদিন খাদ্য পরিবেশন করছিলেন। সাহল বলেন, তোমরা কি জান, সে দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কী পানীয় সরবরাহ করা হয়েছিল? সারারাত ধরে কিছু খেজুর পানির মধ্যে ভিজিয়ে রেখে তা থেকে তৈরি পানীয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খাওয়া শেষ করলেন, তখন তাকে ঐ পানীয়ই পান করতে দেয়া হয়।

إِباحة النبيذ الذي لم يشتد ولم يصر مسكرًا

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: دَعَا أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فِي عُرْسِهِ، وَكَانَتِ امْرَأَتُهُ، يَوْمَئِذٍ، خَادِمَهُمْ، وَهِيَ الْعَرُوسُ قَالَ سَهْلٌ: تَدْرُونَ مَا سَقَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْقَعَتْ لَهُ تَمَرَاتٍ مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمَّا أَكَلَ سَقَتْهُ إِيَّاهُ

حديث سهل بن سعد، قال: دعا ابو اسيد الساعدي رسول الله صلى الله عليه وسلم، في عرسه، وكانت امراته، يومىذ، خادمهم، وهي العروس قال سهل: تدرون ما سقت رسول الله صلى الله عليه وسلم انقعت له تمرات من الليل، فلما اكل سقته اياه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৯. নাবিজ ততক্ষণ (খাওয়া) বৈধ যতক্ষণ না তা কঠিনভাবে বিকৃত হয় এবং মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়।

১৩০৫ সাহল (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন আল্‌ উসয়দ আস-সাঈদী (রাঃ) তাঁর ওয়ালীমায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার সাহাবিগণকে দাওয়াত দিলেন, তখন তাঁর নববধূ উম্মু উসায়দ ব্যতীত আর কেউ উক্ত খাদ্য প্রস্তুত এবং পরিবেশন করেননি। তিনি একটি পাথরের পাত্রে সারা রাত পানির মধ্যে খেজুর ভিজিয়ে রাখেন। যখন তিনি খাওয়া-দাওয়া শেষ করেন, তখন সেই তোহফা তাঁকে পান করান।

إِباحة النبيذ الذي لم يشتد ولم يصر مسكرًا

حديث سَهْلٍ، قَالَ: لَمَّا عَرَّسَ أَبُو أُسَيْدٍ السَّاعِدِيُّ، دَعَا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَصْحَابَهُ فَمَا صَنَعَ لَهُمْ طَعَامًا وَلاَ قَرَّبَهُ إِلَيْهِمْ، إِلاَّ امْرَأَتُهُ، أُمُّ أُسَيْدٍ بَلَّتْ تَمَرَاتٍ فِي تَوْرٍ مِنْ حِجَارَةٍ مِنَ اللَّيْلِ، فَلَمَّا فَرَغَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الطَّعَامِ أَمَاثَتْهُ لَهُ، فَسَقَتْهُ، تُتْحِفُهُ بِذلِكَ

حديث سهل، قال: لما عرس ابو اسيد الساعدي، دعا النبي صلى الله عليه وسلم، واصحابه فما صنع لهم طعاما ولا قربه اليهم، الا امراته، ام اسيد بلت تمرات في تور من حجارة من الليل، فلما فرغ النبي صلى الله عليه وسلم من الطعام اماثته له، فسقته، تتحفه بذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/৯. নাবিজ ততক্ষণ (খাওয়া) বৈধ যতক্ষণ না তা কঠিনভাবে বিকৃত হয় এবং মাদকদ্রব্যে পরিণত হয়।

১৩০৬. সাহ্‌ল ইবনু সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আরবের জনৈকা মহিলার কথা আলোচনা করা হলে, তিনি আবু উসাইন সাঈদী (রাঃ)-কে আদেশ দিলেন, সেই মহিলার নিকট কাউকে পাঠাতে। তখন তিনি তার নিকট একজনকে পাঠালে সে আসলো এবং সায়িদা গোত্রের দূর্গে অবতরণ করল। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেরিয়ে এসে তার কাছে গেলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দূর্গে তার কাছে প্রবেশ করে দেখলেন, একজন মহিলা মাথা ঝুঁকিয়ে বসে আছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার সঙ্গে কথোপকথন করলেন, তখন সে বলে উঠল, আমি আপনার থেকে আল্লাহর নিকট পানাহ চাই।

তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে পানাহ দিলাম। তখন লোকজন তাকে বলল, তুমি কি জান ইনি কে? সে উত্তর করল, না । তারা বললঃ ইনি তো আল্লাহর রাসূল। তোমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে এসেছিলেন। সে বলল, এ মর্যাদা থেকে আমি চির বঞ্চিতা। এরপর সেই দিনই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগ্রসর হলেন এবং তিনি ও তাঁর সাহাবীগণ অবশেষে বানী সায়িদার চত্বরে এসে বসে পড়লেন। এরপর বললেনঃ হে সা’দ! আমাদের পানি পান করাও। সাহল (রাঃ) বলেন, তখন আমি তাদের জন্য এই পেয়ালাটিই বের করে আনি এবং তা দিয়ে তাদের পান করাই। বর্ণনাকারী বলেন, সাহল (রাঃ) তখন আমাদের কাছে সেই পেয়ালা বের করে আনলে আমরা তাতে করে পানি পান করি। তিনি বলেছেনঃ পরবর্তীকাল ’উমার ইবনু ’আবদুল আযীয (রহঃ) তাঁর নিকট হতে সেটি দান হিসাবে পেতে চাইলে, তিনি তাঁকে তা হেবা করে দেন।

إِباحة النبيذ الذي لم يشتد ولم يصر مسكرًا

حديث سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ رضي الله عنه، قَالَ: ذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةٌ مِنَ الْعَرَبِ، فَأَمَرَ أَبَا أُسَيْدٍ السَّاعِدِيَّ أَنْ يُرْسِلَ إِلَيْهَا؛ فأَرْسَلَ إِلَيْهَا، فَقَدِمَتْ، فَنَزَلَتْ فِي أُجُمِ بَنِي سَاعِدَةَ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى جَاءَهَا، فَدَخَلَ عَلَيْهَا، فَإِذَا امْرَأَةٌ مُنَكِّسَةٌ رَأْسَهَا فَلَمَّا كَلَّمَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَتْ: أَعُوذُ بِاللهِ مِنْكَ، فَقَالَ: قَدْ أَعَذْتُكِ مِنِّي فَقَالُوا لَهَا: أَتَدْرِينَ مَنْ هذَا قَالَتْ: لاَ قَالُوا: هذَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَاءَ لِيَخْطُبَكِ قَالَتْ: كُنْتُ أَنَا أَشْقَى مِنْ ذَلِكَ فَأَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ، حَتَّى جَلَسَ فِي سَقِيفَةِ بَنِي سَاعِدَةَ، هُوَ وَأَصْحَابُهُ، ثُمَّ قَالَ: اسْقِنَا يَا سَهْلُ فَخَرَجْتُ لَهُمْ بِهذَا الْقَدَحِ، فَأَسْقَيْتُهُمْ فِيه
(قَالَ الرَّاوِي) فَأَخْرَجَ لَنَا سَهْلٌ ذَلِكَ الْقَدَحَ فَشَرِبْنَا مِنْهُ
قَالَ: ثُمَّ اسْتَوْهَبَهُ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، بَعْدَ ذَلِكَ، فَوَهَبَهُ لَهُ

حديث سهل بن سعد رضي الله عنه، قال: ذكر للنبي صلى الله عليه وسلم امراة من العرب، فامر ابا اسيد الساعدي ان يرسل اليها؛ فارسل اليها، فقدمت، فنزلت في اجم بني ساعدة فخرج النبي صلى الله عليه وسلم حتى جاءها، فدخل عليها، فاذا امراة منكسة راسها فلما كلمها النبي صلى الله عليه وسلم، قالت: اعوذ بالله منك، فقال: قد اعذتك مني فقالوا لها: اتدرين من هذا قالت: لا قالوا: هذا رسول الله صلى الله عليه وسلم جاء ليخطبك قالت: كنت انا اشقى من ذلك فاقبل النبي صلى الله عليه وسلم يومىذ، حتى جلس في سقيفة بني ساعدة، هو واصحابه، ثم قال: اسقنا يا سهل فخرجت لهم بهذا القدح، فاسقيتهم فيه (قال الراوي) فاخرج لنا سهل ذلك القدح فشربنا منه قال: ثم استوهبه عمر بن عبد العزيز، بعد ذلك، فوهبه له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১০. দুগ্ধপান বৈধ।

১৩০৭. বারা’ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনার দিকে যাচ্ছিলেন তখন সুরাকা ইবনু মালিক ইবনু জুশাম তার পেছনে ধাওয়া করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বদদুআ করলেন। ফলে তার ঘোড়াটি তাকে নিয়ে মাটিতে দেবে গেল। তখন সে বলল, আপনি আল্লাহর কাছে আমার জন্য দু’আ করুন। আমি আপনার কোন ক্ষতি করব না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য দুআ, করলেন। বর্ণনাকারী বলেন, এক সময় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃষ্ণার্ত হলেন। তখন তিনি এক রাখালের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) বলেন, তখন আমি একটি বাটি নিয়ে এতে কিছু দুধ দোহন করে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নিয়ে এলাম, তিনি এমনভাবে তা পান করলেন যে, আমি তাতে সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম।

جواز شرب اللبن

حديث أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ عَنْ أَبِي إِسْحقَ، قَالَ: سَمِعْتُ الْبَرَاءَ رضي الله عنه، قَالَ: لَمَّا أَقْبَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَى الْمَدِينَةِ، تَبَعَهُ سُرَاقَةُ بْنُ مَالِكِ بْنِ جُعْشُمِ، فَدَعَا عَلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَاخَتْ بِهِ فَرَسُهُ قَالَ: ادْعُ اللهَ لِي وَلاَ أَضُرُّكَ، فَدَعَا لَهُ قَالَ فَعَطِشَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَمَرَّ بِرَاعٍ قَالَ أَبُو بَكْرٍ: فَأَخَذْتُ قَدَحًا فَحَلَبْتُ فِيهِ كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ، فَأَتَيْتُهُ فَشَرِبَ حَتَّى رَضِيتُ

حديث ابي بكر الصديق عن ابي اسحق، قال: سمعت البراء رضي الله عنه، قال: لما اقبل النبي صلى الله عليه وسلم، الى المدينة، تبعه سراقة بن مالك بن جعشم، فدعا عليه النبي صلى الله عليه وسلم فساخت به فرسه قال: ادع الله لي ولا اضرك، فدعا له قال فعطش رسول الله صلى الله عليه وسلم، فمر براع قال ابو بكر: فاخذت قدحا فحلبت فيه كثبة من لبن، فاتيته فشرب حتى رضيت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১০. দুগ্ধপান বৈধ।

১৩০৮. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বাইতুল মুকাদ্দাসে ভ্রমণ করানো হয়, সে রাতে তাঁর সামনে দু’টি পেয়ালা রাখা হয়েছিল। তার একটিতে ছিল শরাব এবং আরেকটিতে ছিল দুধ। তিনি উভয়টির দিকে তাকালেন এবং দুধ বেছে নিলেন। তখন জিবরীল (আঃ) বললেন, সমস্ত প্রশংসা সে আল্লাহর, যিনি আপনাকে স্বাভাবিক পথ দেখিয়েছেন। যদি আপনি শরাব বেছে নিতেন, তাহলে আপনার উম্মত অবাধ্য হয়ে যেত।

جواز شرب اللبن

حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: أُتِيَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، لَيْلَةَ أُسْرِيَ بِهِ، بِإِيليَاءَ، بِقَدَحَيْنِ مِنْ خَمْرٍ وَلَبَنٍ فَنَظَرَ إِلَيْهِمَا، فَأَخَذَ اللَّبَنَ قَالَ جِبْرِيلُ: الْحَمْدُ للهِ الَّذِي هَدَاكَ لِلْفِطْرَةِ، لَوْ أَخَذْتَ الْخَمْرَ غَوَتْ أُمَّتُكَ

حديث ابي هريرة، قال: اتي رسول الله صلى الله عليه وسلم، ليلة اسري به، بايلياء، بقدحين من خمر ولبن فنظر اليهما، فاخذ اللبن قال جبريل: الحمد لله الذي هداك للفطرة، لو اخذت الخمر غوت امتك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩০৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১১. নাবিজ পান করা ও পাত্র ঢেকে রাখা।

১৩০৯. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবু হুমাইদ (রাঃ) এক পত্রে দুধ নিয়ে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ এটিকে ঢেকে রাখলে না কেন? এর উপর একটি কাঠি দিয়ে হলেও ঢেকে রাখা উচিত ছিল।

في شرب النبيذ وتخمير الإناء

حديث جَابِرٍ رضي الله عنه، قَالَ: جَاءَ أَبُو حُمَيْدٍ، رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، مِنَ النَّقِيعِ، بِإِنَاءٍ مِنْ لَبَنٍ إِلَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَلاَّ خَمَّرْتَهُ، وَلَوْ أَنْ تَعْرُضَ عَلَيْهِ عُودًا

حديث جابر رضي الله عنه، قال: جاء ابو حميد، رجل من الانصار، من النقيع، باناء من لبن الى النبي صلى الله عليه وسلم، فقال النبي صلى الله عليه وسلم: الا خمرته، ولو ان تعرض عليه عودا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩১০

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১২. পাত্র ঢেকে রাখা, মশক বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা, এগুলো করার সময় বিসমিল্লাহ বলা এবং ঘুমানোর সময় বাতি ও আগুন নিভিয়ে রাখা এবং মাগরিবের পর শিশু ও গরু বাছুর বাড়ীর বাইরে যেতে না দেয়ার নির্দেশ।

১৩১০. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’যখন রাতের আঁধার নেমে আসবে অথবা বলেছেন, যখন সন্ধ্যা হয়ে যাবে তখন তোমরা আমাদের শিশুদেরকে (ঘরে) আটকে রাখবে। কেননা এসময় শয়তানেরা ছড়িয়ে পড়ে। আর যখন রাতের কিছু অংশ অতিক্রান্ত হবে তখন তাদেরকে ছেড়ে দিতে পার। তোমরা ঘরের দরজা বন্ধ করবে এবং আল্লাহর নাম স্মরণ করবে। কেননা শয়তান বন্ধ দরজা খুলতে পারে না।

الأمر بتغطية الإناء، وإِيكاء السقاء، وإِغلاق الأبواب وذكر اسم الله عليها، وإِطفاء السراج والنار عند النوم، وكف الصبيان والمواشي بعد المغرب

حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا كَانَ جُنْحُ اللَّيْلِ، أَوْ أَمْسَيْتُمْ، فَكُفُّوا صِبْيَانَكُمْ، فَإِنَّ الشَّيَاطِينَ تَنْتَشِرُ حِينَئِذٍ، فَإِذَا ذَهَبَ سَاعَةٌ مِنَ اللَّيْلِ فَحُلُّوهُمْ وَأَغْلِقُوا الأَبْوَابَ وَاذْكرُوا اسْمَ اللهِ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ لاَ يَفْتَحُ بَابًا مُغْلَقًا

حديث جابر بن عبد الله، قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: اذا كان جنح الليل، او امسيتم، فكفوا صبيانكم، فان الشياطين تنتشر حينىذ، فاذا ذهب ساعة من الليل فحلوهم واغلقوا الابواب واذكروا اسم الله، فان الشيطان لا يفتح بابا مغلقا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
১৩১১

পরিচ্ছেদঃ ৩৬/১২. পাত্র ঢেকে রাখা, মশক বেঁধে রাখা, দরজা বন্ধ করা, এগুলো করার সময় বিসমিল্লাহ বলা এবং ঘুমানোর সময় বাতি ও আগুন নিভিয়ে রাখা এবং মাগরিবের পর শিশু ও গরু বাছুর বাড়ীর বাইরে যেতে না দেয়ার নির্দেশ।

১৩১১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমরা ঘুমাবে তখন তোমাদের ঘরগুলোতে আগুন রেখে ঘুমাবে না।

الأمر بتغطية الإناء، وإِيكاء السقاء، وإِغلاق الأبواب وذكر اسم الله عليها، وإِطفاء السراج والنار عند النوم، وكف الصبيان والمواشي بعد المغرب

حديث ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ تَتْرُكُوا النَّارَ فِي بُيُوتِكُمْ حِينَ تَنَامُونَ

حديث ابن عمر، عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: لا تتركوا النار في بيوتكم حين تنامون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৩৬/ পানীয় (كتاب الأشربة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 পরের পাতা »