আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৭ টি

পরিচ্ছেদঃ ১১২. দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় ও তার জন্য একবার গোসল করা সম্পর্কে।

২৯৬. ওয়াহব ইবনু বাকিয়্যা ..... আসমা বিনতে উমায়েস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, ইয়া রাসূলোল্লাহ্! ফাতিমা বিনতে আবূ হুবায়েশ (রাঃ) এত এত দিন অর্থাৎ সাত বছর যাবত ইস্তেহাযাগ্রস্ত। এজন্য তিনি নামায আদায় করতে পারেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সুবহানাল্লাহ্! এতো শয়তানের ধোকামাত্র। সে যেন একটি পানিপূর্ণ বড় পাত্রের মধ্যে বসে এবং যখন সে পানির উপর হলুদ বর্ণ দেখতে পাবে- তখন যেন যুহর ও আসর, মাগরিব ও এশা এবং ফজরের নামাযের জন্য একবার করে গোসল করে এবং এর মধ্যবতী সময় সমূহের জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে।

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, মুজাহিদ (রহঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, প্রত্যেক নামাযের জন্য আলাদা আলাদাভাবে গোসল করা যখন তাঁর জন্য কষ্টদায়ক হল, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করার নির্দেশ দেন।

باب مَنْ قَالَ تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلاً

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا فَلَمْ تُصَلِّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ سُبْحَانَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا مِنَ الشَّيْطَانِ لِتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ فَإِذَا رَأَتْ صُفْرَةً فَوْقَ الْمَاءِ فَلْتَغْتَسِلْ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْفَجْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ رَوَاهُ مُجَاهِدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهَا الْغُسْلُ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَرَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَهُوَ قَوْلُ إِبْرَاهِيمَ النَّخَعِيِّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ ‏.‏

حكم : صحيح (الألباني


Asma' daughter of 'Unais said: I said: Messenger of Allah, Fatimah daughter of Abu Hubaish had a flow of blood for a certain period and did not pray. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Glory be to Allah! This comes from the devil. She should sit in a tub, and when she sees yellowness of the top of the water, she would take a bath once for the Zuhr and 'Asr prayer, and take another bath for the Maghrib and 'Isha prayers, and take a bath once for the fajr prayer, and in between times she would perform ablution. Abu Dawud said: Mujahid reported on the authority of Ibn 'Abbas: When bathing became hard for her, he commanded her to combine the two prayers. Abu Dawud said: Ibrahim reported it from Ibn 'Abbas. This is also the view of Ibrahim al-Nakha'i and 'Abd Allah b. Shaddad. Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬৭. ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে।

১৫২৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ...... আস্‌মা বিনতে উমায়েস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেনঃ আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিব না, যা তুমি বিপদাপদের সময় পাঠ করতে পার? অতঃপর তিনি বলেনঃ আল্লাহু, আল্লাহু রাব্বী, লা উশ্‌রিকু বিহি শায়আন। (নাসাঈ, ইব্‌ন মাজা)।

باب فِي الاِسْتِغْفَارِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ هِلاَلٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ ابْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ أَلاَ أُعَلِّمُكِ كَلِمَاتٍ تَقُولِينَهُنَّ عِنْدَ الْكَرْبِ أَوْ فِي الْكَرْبِ اللَّهُ اللَّهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا هِلاَلٌ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَابْنُ جَعْفَرٍ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ ‏.‏


Narrated Asma' daughter of Umays: The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: May I not teach you phrases which you utter in distress? (These are:) "Allah , Allah is my Lord, I do not associate anything as partner with Him." Abu Dawud said: The narrator Hilal is a client of 'Umar b. 'Abd al-Aziz. The name of Ja'far, a narrator, is 'Abd Allah b. Ja'far.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. ইহরাম বাঁধার জন্য গোসল করা

২৬৬৫. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... আসমা বিনত উমায়াস (রাঃ) বর্ণনা করেন, তিনি মুহাম্মদ ইবন আবু বকর সিদ্দীককে বায়দায় প্রসব করেন। আবু বকর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ সংবাদ জানালে তিনি বলেনঃ তাকে বল, যেন সে গোসল করে, এরপর ইহরাম বাঁধে।

الْغُسْلُ لِلْإِهْلَالِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ عَنْ ابْنِ الْقَاسِمِ قَالَ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ أَنَّهَا وَلَدَتْ مُحَمَّدَ بْنَ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ بِالْبَيْدَاءِ فَذَكَرَ أَبُو بَكْرٍ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مُرْهَا فَلْتَغْتَسِلْ ثُمَّ لِتُهِلَّ


It was narrated from Asma bin 'Umais that: she gave birth to Muhammad bin Abi Bakr As-Siddiq in Al-Baida, Abu Bakr told the Messenger of Allah about that, and he said: "Tell her to perform Gusl then begin the Talbiyah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৯. মৃতের বাড়িতে খাদ্য পাঠানো।

২/১৬১১। আসমা বিনত উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জা’ফর (রাঃ) শহীদ হওয়ার সংবাদ পৌঁছার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের পরিবারের নিকট এসে বলেনঃ জা’ফরের পরিবার তাদের মৃতের কারণে ব্যস্ত রয়েছে। অতএব তোমরা তাদের জন্য খাদ্য তৈরি করো। ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, এটা সুন্নাত হিসাবে পরিগণিত হয়। তবে তা আলোচনার বিষয়ে পরিণত হলে বর্জন করা হয়।

بَاب مَا جَاءَ فِي الطَّعَامِ يُبْعَثُ إِلَى أَهْلِ الْمَيِّتِ

- حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ أَبُو سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أُمِّ عِيسَى الْجَزَّارِ قَالَتْ حَدَّثَتْنِي أُمُّ عَوْنٍ ابْنَةُ مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ جَدَّتِهَا أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ لَمَّا أُصِيبَ جَعْفَرٌ رَجَعَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِلَى أَهْلِهِ فَقَالَ إِنَّ آلَ جَعْفَرٍ قَدْ شُغِلُوا بِشَأْنِ مَيِّتِهِمْ فَاصْنَعُوا لَهُمْ طَعَامًا قَالَ عَبْدُ اللهِ فَمَا زَالَتْ سُنَّةً حَتَّى كَانَ حَدِيثًا فَتُرِكَ


Asma’ bint ‘Umais said: “When Ja’far was killed, the Messenger of Allah (ﷺ) went to his family and said: ‘The family of Ja’far are busy with the matter of their deceased, so prepare food for them.’”


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সানা।

২০৮৭. মুহাম্মদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... আসমা বিনত উমায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন; তোমরা কি দিয়ে দাস্ত করাও। তিনি বললেনঃ শুবরুম দিয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এতো সাংঘাতিক গরম ঔষধ। আসমা বলেনঃ পরবর্তীতে আমি দাস্তের জন্য সানা ব্যবহার করি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কোন বস্ততে যদি মৃত্যুর ঔষদ থাকত তবে তা থাকত সানায়। যঈফ, মিশকাত ৪৫৩৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৮১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব।

باب ما جاء في السنا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلَهَا ‏"‏ بِمَ تَسْتَمْشِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ بِالشُّبْرُمِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ حَارٌّ جَارٌّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ثُمَّ اسْتَمْشَيْتُ بِالسَّنَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ أَنَّ شَيْئًا كَانَ فِيهِ شِفَاءٌ مِنَ الْمَوْتِ لَكَانَ فِي السَّنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ يَعْنِي دَوَاءَ الْمَشْىِّ ‏.‏


Asma' bint 'Umais narrated that the Messenger of Allah (S.A.W) asked her what they used as a laxative. She said: "Shubrum" He said: "It is hot and too strong." She said:"Then I used Senna as a laxative." So the Prophet (S.A.W): "If there was anything that would have a cure for death in it, then it would have been Senna."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৪৫১. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া আযদী বাসরী (রহঃ) ...... আসমা বিনত উমায়স খাছ’ আমিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কত মন্দ সেই বান্দা যে নিজেকে বড় মনে করে আর গর্ব করে অথচ মহান সমুচ্চ আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে যায়। কতই না নিকৃষ্ট সেই বান্দা যে সত্যবিমুখ হয় এবং অনর্থক কাজে লিপ্ত অথচ কবর ও হাড় মাটিতে মিশে যাওয়াকে ভুলে যায়। কতই না মন্দ সেই বান্দা যে অবাধ্য হয় এবং নাফরমানী করে অথচ শুরু ও শেষ পরিণতিকে ভুলে যায়। কত মন্দ সেই বান্দা যে দীনের বিনিময়ে দুনিয়া অর্জন কৌশল অবরম্বন করে। কত মন্দ সেই বান্দা যে সন্দেহজনক বিষয়ের উপর আমল করে দীনের বিষয়ে ত্রুটি সৃষ্টি করে। কত নিকৃষ্ট সেই বান্দা যাকে লালসা পরিচালনা করে। কত মন্দ সেই বান্দা যাকে প্রবৃত্তি পথভ্রষ্ট করে। কত খারাপ সেই বান্দা যাকে বস্তর আকর্ষণ লাঞ্চিত করে। যঈফ, মিশকাত তাহকিক ছানী ৫১১৫, যইফা ২০২৬, যিলাল ৯-১০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি গারীব। এ সূত্র ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। এটির সনদ শক্তিশালী নয়।

بَابٌ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي زَيْدٌ الْخَثْعَمِيُّ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ الْخَثْعَمِيَّةِ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ وَنَسِيَ الْكَبِيرَ الْمُتَعَالِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَجَبَّرَ وَاعْتَدَى وَنَسِيَ الْجَبَّارَ الأَعْلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ سَهَا وَلَهَا وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ وَالْبِلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ عَتَا وَطَغَى وَنَسِيَ الْمُبْتَدَا وَالْمُنْتَهَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدُّنْيَا بِالدِّينِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدِّينَ بِالشُّبُهَاتِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ طَمَعٌ يَقُودُهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ هَوًى يُضِلُّهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ رَغَبٌ يُذِلُّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ ‏.‏


Asma bint 'Umais Al-Khath'amiyyah narrated that The Messenger of Allah (s.a.w) said: "What an evil servant is the one who fancies himself and becomes vain forgetting the Most Great, the Most High. What an evil servant is the one who forces and behaves hostility, forgetting the Compeller, the Most High. What an evil servant is the one who is heedless and diverted, forgetting about the graves and the trials. What an evil servant is the one who is violent and tyrannical, forgetting his beginnings or his end. What an evil servant is the one who seeks the world through the religion. What an evil servant is the one who seeks the religion through his desires. What an evil servant is the one who puts all hope in his own zeal. What an evil servant is the worshipper who is misled by his desire. What an evil servant is the one whose aspirations humiliate him."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০. সোনামুখী গাছ ও এর পাতা

২০৮১। আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে প্রশ্ন করেনঃ তোমরা কি দিয়ে জোলাপ দাও? তিনি বললেন, শুবরুম (ছোলার মত এক প্রকার দানা) দিয়ে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা তো খুব গরম ঔষধ। আসমা (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি সোনামুখী গাছের পাতা দিয়ে জোলাপ দেই। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মৃত্যু’ নামক রোগের নিরাময় যদি কোন জিনিস দিয়ে সম্ভব হত তবে সোনামুখী গাছ দিয়েই তা সম্ভব হত।

যঈফ, মিশকাত (৪৫৩৭)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنِي عُتْبَةُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سَأَلَهَا ‏"‏ بِمَ تَسْتَمْشِينَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ بِالشُّبْرُمِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ حَارٌّ جَارٌّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ ثُمَّ اسْتَمْشَيْتُ بِالسَّنَا ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْ أَنَّ شَيْئًا كَانَ فِيهِ شِفَاءٌ مِنَ الْمَوْتِ لَكَانَ فِي السَّنَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ يَعْنِي دَوَاءَ الْمَشْىِّ ‏.‏


Asma' bint 'Umais narrated that the Messenger of Allah (S.A.W) asked her what they used as a laxative. She said: "Shubrum" He said: "It is hot and too strong." She said:"Then I used Senna as a laxative." So the Prophet (S.A.W): "If there was anything that would have a cure for death in it, then it would have been Senna."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. (কতই না নিকৃষ্ট সেই ব্যাক্তি)

২৪৪৮। আসমা বিনতু উমাইস আল-খাসআমিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যে নিজেকে বড় মনে করে এবং অহংকার করে আর আল্লাহ্ তা’আলাকে ভুলে যায়।

সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ, যে যালিম হয়ে যুলুম করে এবং পরাক্রমশালী আল্লাহ্ তা’আলাকে ভুলে যায়। সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ, যে সত্যবিমুখ হয়ে অনর্থক কাজে লিপ্ত হয় এবং গোরস্থান ও মাটিতে মিশে যাওয়ার কথা ভুলে যায়। সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ, যে বিদ্রোহী হয়ে অবাধ্যতা করে এবং তার সূচনা ও পরিণতিকে ভুলে যায়। আর সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যে দীনের বিনিময়ে দুনিয়া হাসিল করার পথ অবলম্বন করে।

আর সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যে সন্দেহজনক বিষয়ের উপর আমল করে দীনের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করে। সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যে লালসার গোলাম হয়ে যায়, লালসা তাকে টেনে নিয়ে যায়। সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যাকে তার প্রবৃত্তি ভুল পথে পরিচালিত করে। সেই ব্যক্তি কতই না খারাপ যাকে প্রবৃত্তির চাহিদা লাঞ্ছিত করে।

যঈফ, মিশকাত তাহকীক ছানী (৫১১৫), যঈফা (২০২৬) যিলাল (৯-১০)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি। এর সনদ তেমন মজবুত নয়।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي زَيْدٌ الْخَثْعَمِيُّ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ الْخَثْعَمِيَّةِ، قَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ وَنَسِيَ الْكَبِيرَ الْمُتَعَالِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَجَبَّرَ وَاعْتَدَى وَنَسِيَ الْجَبَّارَ الأَعْلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ سَهَا وَلَهَا وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ وَالْبِلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ عَتَا وَطَغَى وَنَسِيَ الْمُبْتَدَا وَالْمُنْتَهَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدُّنْيَا بِالدِّينِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدِّينَ بِالشُّبُهَاتِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ طَمَعٌ يَقُودُهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ هَوًى يُضِلُّهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ رَغَبٌ يُذِلُّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ ‏.‏


Asma bint 'Umais Al-Khath'amiyyah narrated that The Messenger of Allah (s.a.w) said: "What an evil servant is the one who fancies himself and becomes vain forgetting the Most Great, the Most High. What an evil servant is the one who forces and behaves hostility, forgetting the Compeller, the Most High. What an evil servant is the one who is heedless and diverted, forgetting about the graves and the trials. What an evil servant is the one who is violent and tyrannical, forgetting his beginnings or his end. What an evil servant is the one who seeks the world through the religion. What an evil servant is the one who seeks the religion through his desires. What an evil servant is the one who puts all hope in his own zeal. What an evil servant is the worshipper who is misled by his desire. What an evil servant is the one whose aspirations humiliate him."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৩৭-[২৪] আসমা বিনতু ’উমায়স (রাঃ)হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন : তোমরা জোলাবের জন্য কি জিনিস ব্যবহার করো? আসমা বললেনঃ শুব্রুম ব্যবহার করি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ তা তো অত্যধিক গরম-ভীষণ গরম। আসমা বলেন, পরে আমি সানা দ্বারা জোলাব নেই। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদি মৃত্যু হতে রক্ষার কোন ঔষধ থাকত, তবে সানা-এর মধ্যেই থাকত। [তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ হাদীসটি হাসান ও গরীব][1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَأَلَهَا: «بمَ تستَمشِينَ؟» قَالَت: بالشُّبْرمِ قَالَ: «حارٌّ حارٌّ» . قَالَتْ: ثُمَّ اسْتَمْشَيْتُ بِالسَّنَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَنَّ شَيْئًا كَانَ فِيهِ الشِّفَاءُ مِنَ الْمَوْتِ لَكَانَ فِي السَّنَا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيث حسن غَرِيب

ব্যাখ্যাঃ (شُبْرمِ) ‘শুব্রুম’-এর পরিচয়ে ইমাম জাযারী (রহিমাহুল্লাহ) ‘নিহায়াহ্’ গ্রন্থে বলেনঃ শুবরুম একপ্রকারের দানা যা আকারে চানাবুটের মতো যা সিদ্ধ করে ঔষধ হিসেবে তার পানি পান করা হয়।

‘সানা-’ হলো এক প্রকারের ঘাস যা রস করে সিদ্ধ করে তার পানি পান করতে হয়। পেট নামলে বা ডায়রিয়া হলে এটি খুবই উপকারী। এটি উকুন ও মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার মাধ্যম। এটি পেশীবহুল হতে ও মাথার চুল গজাতে সহায়তা করে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৮১)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ

৪৫৬০-[৪৭] আসমা বিনতু ’উমায়স (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি জিজ্ঞেস করলেন: হে আল্লাহর রসূল! জা’ফার (তাইয়্যার)-এর সন্তানদের ওপর দ্রুত বদনযর লেগে থাকে। আমি কি তাদের জন্য ঝাড়ফুঁক করাব? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, কেননা যদি কোন জিনিস তাকদীরের অগ্রগামী হতে পারত, তবে বদনযরই তার অগ্রগামী হত। (আহমাদ, তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)[1]

الْفَصْلُ الثَّانِي

وَعَن أَسمَاء بنت عُميس قَالَتْ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ وَلَدَ جَعْفَرٍ تُسْرِعُ إِلَيْهِمُ الْعَيْنُ أَفَأَسْتَرْقِي لَهُمْ؟ قَالَ: «نَعَمْ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابِقُ الْقَدَرِ لَسَبَقَتْهُ العينُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه

ব্যাখ্যাঃ (إِنَّ وَلَدَ جَعْفَرٍ) মুল্লা ‘আলী কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তার থেকে জা‘ফারের সন্তানদের অথবা সে ব্যতীত অন্যের থেকে জা‘ফার-এর সন্তানদের। (إِلَيْهِمُ الْعَيْنُ) অর্থাৎ তাদের চেহারা খুবই সুন্দর হওয়ার কারণে অতি তাড়াতাড়ি বদনযর তাদের ওপর প্রভাব ফেলে। অসৎ উদ্দেশে হিংসা নিয়ে কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করলে তার (যার প্রতি দৃষ্টিপাত করা হয়েছে) ক্ষতি হয়ে যায়। হাফিয ইবনু হাজার (রহিমাহুল্লাহ) এ কথা বলেছেন। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৯)

(لَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابِقُ الْقَدَرِ لَسَبَقَتْهُ العينُ) ‘‘যদি কোন জিনিস তাকদীবের অগ্রগামী হতে পারত, তবে বদনযরই তার অগ্রগামী হতো’’। এর অর্থ হলো নিশ্চয় এটা একটা বিরাট বিষয়। সুতরাং এটা থেকে মহান রবের তরফ থেকে ঝাড়ফুঁক তলব করা জায়িয। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

আহলুস্ সুন্নাতের মাযহাব হলো এই যে, বদনযরকারীর চোখ ক্ষতি করে ও ধবংস করে মহান আল্লাহর কাজের দ্বারা (তার নিজের কোন ক্ষমতা নেই)। মহান আল্লাহ এ রীতি চালু করে রেখেছেন যে, এ ব্যক্তি অন্য ব্যক্তির মুখোমুখি ক্ষতি সাধান করতে পারবে। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ২০৫৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - রাগ ও অহংকার

৫১১৫-[১২] আসমা বিনতু ’উমায়স (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ঐ বান্দা মন্দ, যে নিজেকে অপরের চেয়ে ভালো মনে করে, অহংকার করে এবং আল্লাহ তা’আলাকে ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে মানুষের ওপর জুলুম-অত্যাচার করে, সীমালঙ্ঘন করে এবং সর্বশ্রেষ্ঠ পরাক্রমশালী আল্লাহকে ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে দীনের কাজ ভুলে যায়, দুনিয়ার কাজে মত্ত হয়ে থাকে এবং কবরস্থানের কথা ও শরীর পঁচে যাওয়ার কথা ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে ঝগড়া-বিবাদ বাধিয়ে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, অবাধ্য হয় এবং নিজের প্রথম ও শেষ ভুলে যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যে দুনিয়াবাসীকে ’’দীন’’ দ্বারা ধোঁকা দেয়। ঐ বান্দা মন্দ, যে সন্দেহ করে ধর্মকে খারাপ করে দেয়। ঐ বান্দা মন্দ, যাকে দুনিয়ার লোভ-লালসার দিকে এবং দুনিয়ার পূজারীদের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। ঐ বান্দা মন্দ, যাকে দুনিয়ার লোভ-লালসা ও দুনিয়ার প্রতি আসক্তি, অসম্মানিত ও হেয় করে।[তিরমিযী ও বায়হাক্বী’র ’’শু’আবুল ঈমানে’’ বর্ণনা করেছেন; আর ইমাম বায়হাক্বী ও তিরমিযী (রহিমাহুমাল্লাহ) বলেনঃ এ হাদীসের বর্ণনাসূত্র সবল নয় এবং ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেনঃ এ হাদীসটি গরীব।][1]

وَعَنْ أَسْمَاءَ
بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ وَنَسِيَ الْكَبِيرَ الْمُتَعَالِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَجَبَّرَ وَاعْتَدَى وَنَسِيَ الْجَبَّارَ الْأَعْلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ سَهَى وَلَهَى وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ وَالْبِلَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ عَتَى وَطَغَى وَنَسِيَ الْمُبْتَدَأَ وَالْمُنْتَهَى بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدُّنْيَا بِالدِّينِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ يَخْتِلُ الدِّينَ بِالشُّبَهَاتِ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ طَمَعٌ يَقُودُهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ هَوًى يُضِلُّهُ بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ رَغَبٌ يُذِلُّهُ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ» . وَقَالَا: لَيْسَ إِسْنَادُهُ بِالْقَوِيِّ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ أَيْضًا: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

ব্যাখ্যাঃ بِئْسَ الْعَبْدُ এখানে الرجل লোক অথবা المرأ (ব্যক্তি) শব্দ ব্যবহার করা হয়নি। বরং الْعَبْدُ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু হাদীসে উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ কোন عَبْدٌ তথা আল্লাহর ‘ইবাদাতকারী বান্দার জন্য শোভনীয় নয়, তাই الْعَبْدُ শব্দ ব্যবহার করে তাকে তিরস্কার জানানো হয়েছে।

(عَبْدٌ تَخَيَّلَ وَاخْتَالَ) মুনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এখানে ঐ বান্দার কথা বলা হয়েছে, যে মনে মনে নিজেকে অন্যের তুলনায় শ্রেষ্ঠভাবে এবং অহংকার করে চলে।

(بِئْسَ الْعَبْدُ عَبْدٌ تَخَيَّلَ) মুনবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ঐ বান্দার কথা বলা হয়েছে, যে মানুষকে নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলতে বাধ্য করে। এখানেও ক্ষমতার অপব্যবহারে অহংকার প্রকাশ পায়।

(عَبْدٌ سَهٰى) ঐ ব্যক্তির কথা বলা হয়েছে, যে দুনিয়াবী লোভ লালসায় মত্ত থাকে কিন্তু সঠিক বিষয় তার সামনে আসলে সেটা গ্রহণও করে না আবার ‘ইবাদাত-বন্দেগীর তোয়াক্কাও করে না।

(وَلَهٰى) খেল-তামাশায় মত্ত থাকে।

(وَنَسِيَ الْمَقَابِرَ) এখানে উদ্দেশ্য হলো মৃত্যুকে ভুলে থাকে। উদাসীন জীবন যাপন করে মৃত্যু, কবর, পরকাল ইত্যাদি সবকিছু থেকে নিজেকে উদাসীন করে রাখে।

(وَنَسِيَ الْمُبْتَدَأَ وَالْمُنْتَهٰى) এখানেالْمُبْتَدَأَ শব্দ দ্বারা তার সৃষ্টির সূচনা তথা মাতা-পিতার দেহে তাদের বীর্যে তার অবস্থানকে সে ভুলে যায় এবং পুনরায় আল্লাহর কাছে তার ফিরে যাওয়ার কথাও সে ভুলে যায়।

(তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৪৪৮; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১১২. যে বলে, মুস্তাহাযা দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করবে এবং এর জন্য একবার গোসল করবে তার প্রসঙ্গে

২৯৬। আসমা বিনতু ’উমাইস রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললামঃ হে আল্লাহর রসূল! ফাতিমাহ বিনতু আবূ হুবাইশ এত এত দিন যাবত ইস্তিহাযায় আক্রান্ত। তাই তিনি সালাত আদায় করতে পারছেন না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সুবহানাল্লাহ! এটা তো শয়তানের ধোঁকা মাত্র। সে একটি বড় (পানির) পাত্রে বসবে। পানির উপর হলুদ রঙ দেখতে পেলে যুহর ও ’আসরের জন্য একবার গোসল করবে, মাগরিব ও ’ইশার জন্য একবার গোসল করবে এবং ফজর সালাতের জন্য একবার গোসল করবে। আর মধ্যবর্তী সময়ের জন্য অযু করবে।[1]

সহীহ।

قَالَ أَبُو دَاوُدَ : رَوَاهُ مُجَاهِدٌ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ لَمَّا اشْتَدَّ عَلَيْهَا الْغُسْلُ أَمَرَهَا أَنْ تَجْمَعَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ .‏

- صحيح ‏.‏

ইমাম আবূ দাউদ (রহঃ) বলেন, হাদীসটি ইবনু আব্বাস রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে মুজাহিদও বর্ণনা করেছেন। তাতে রয়েছেঃ তার পক্ষে গোসল করা অসম্ভব হওয়ায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে আদায় করার নির্দেশ দিলেন।

সহীহ।

باب مَنْ قَالَ تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلاً

حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ بَقِيَّةَ، أَخْبَرَنَا خَالِدٌ، عَنْ سُهَيْلٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ : قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ! إِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا فَلَمْ تُصَلِّ ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ سُبْحَانَ اللهِ إِنَّ هَذَا مِنَ الشَّيْطَانِ، لِتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ فَإِذَا رَأَتْ صُفْرَةً فَوْقَ الْمَاءِ فَلْتَغْتَسِلْ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَغْتَسِلْ لِلْفَجْرِ غُسْلاً وَاحِدًا وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ ‏"‏ ‏.‏

- صحيح


Asma' daughter of 'Unais said: I said: Messenger of Allah, Fatimah daughter of Abu Hubaish had a flow of blood for a certain period and did not pray. The Messenger of Allah (ﷺ) said: Glory be to Allah! This comes from the devil. She should sit in a tub, and when she sees yellowness of the top of the water, she would take a bath once for the Zuhr and 'Asr prayer, and take another bath for the Maghrib and 'Isha prayers, and take a bath once for the fajr prayer, and in between times she would perform ablution. Abu Dawud said: Mujahid reported on the authority of Ibn 'Abbas: When bathing became hard for her, he commanded her to combine the two prayers. Abu Dawud said: Ibrahim reported it from Ibn 'Abbas. This is also the view of Ibrahim al-Nakha'i and 'Abd Allah b. Shaddad.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৬১. (ইস্তিগফার) ক্ষমা প্রার্থনা সম্পর্কে

১৫২৫। আসমা বিনতু উমাইস রাযিয়াল্লাহু ’আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে এমন কয়েকটি বাক্য শিক্ষা দিবো না, যা তুমি বিপদের সময় পাঠ করবে? তা হচ্ছেঃ ’’আল্লাহু আল্লাহু রব্বী লা উশরিকু বিহি শাইয়ান’’ (অর্থঃ আল্লাহ! আল্লাহ! আমার রব্ব! তাঁর সাথে আমি কাউকে শরীক করি না)।[1]

সহীহ।

باب فِي الاِسْتِغْفَارِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ هِلَالٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنِ ابْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ، قَالَتْ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلَا أُعَلِّمُكِ كَلِمَاتٍ تَقُولِينَهُنَّ عِنْدَ الْكَرْبِ أَوْ فِي الْكَرْبِ : اللهُ اللهُ رَبِّي لَا أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا ‏"‏ ‏.‏

- صحيح

قَالَ أَبُو دَاوُدَ هَذَا هِلَالٌ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ وَابْنُ جَعْفَرٍ هُوَ عَبْدُ اللهِ بْنُ جَعْفَرٍ


Narrated Asma' daughter of Umays: The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: May I not teach you phrases which you utter in distress? (These are:) "Allah , Allah is my Lord, I do not associate anything as partner with Him." Abu Dawud said: The narrator Hilal is a client of 'Umar b. 'Abd al-Aziz. The name of Ja'far, a narrator, is 'Abd Allah b. Ja'far.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. হায়িয (ঋতুস্রাব) সংক্রান্ত - ইস্তিহাযা নারীর (হায়েযের রোগীর) গোসল করা ও তার সময় সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে

১৩৯। আবূ দাউদে আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে আছে- একটা বড় পানির গামলাতে বসবে। অতঃপর হলদে রং এর রক্ত দেখতে পাও তবে যুহর ও ’আসরের জন্য একবার এবং মাগরিব ও ইশা সালাতের জন্য একবার গোসল করবে এবং ফজর সালাতের জন্য একবার করে গোসল করবে। আর এর মাঝে (প্রত্যেক সালাতের জন্য) উযূ করবে।[1]

وَفِي حَدِيثِ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ: لِتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ, فَإِذَا رَأَتْ صُفْرَةً فَوْقَ الْمَاءِ, فَلْتَغْتَسِلْ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلًا وَاحِدًا, وَتَغْتَسِلْ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلًا وَاحِدًا, وَتَغْتَسِلْ لِلْفَجْرِ غُسْلًا, وَتَتَوَضَّأْ فِيمَا بَيْنَ ذَلِكَ

-

صحيح. رواه أبو داود (296)، عن أسماء بنت عميس، قالت: قلت: يا رسول الله. إن فاطمة بنت أبي حبيش استحيضت منذ كذا وكذا، فلم تصل، فقال رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «سبحان الله! هذا من الشيطان، لتجلس ... » الحديث


In the narration of Asma bint ‘Umais, Abu Dawud transmitted, (the Prophet Peace be upon him said:) "She should sit in a tub, and if she sees yellowness appearing (on top of the water) she should wash (three times), once for the Dhuhr and Asr prayers, and once for the Maghrib and Isha prayers, and once for the Fajr prayer, and she should then perform ablution in between those times."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ স্বামী স্ত্রীকে গোসল করানো বৈধ

৫৫৩. আসমা বিনতু উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতিমা (রাঃ) ’আলী (রাঃ)-কে তার গোসল দেয়ার জন্য ওয়াসিয়াত করেছিলেন।[1]

وَعَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ أَوْصَتْ أَنْ يُغَسِّلَهَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ. رَوَاهُ الدَّارَقُطْنِيُّ

-

حسن. رواه الدارقطني (2/ 79/12)


Asma’ bint ’Umais (RAA) narrated that Fatimah (RAA) (the daughter of the prophet (ﷺ) made a will that ‘Ali (RAA) was to wash her when she dies.’ Related by Ad-Daraqutni.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)

৮১৫(৫৩). আবু মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আসমা বিনতে উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ এতো এতো দিন যাবত রক্তপ্রদরে আক্রান্ত রয়েছেন। তিনি বলেন, “সুবহানাল্লাহ (কি আশ্চর্য)! এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। সে যেন একটি (পানিভর্তি) গামলার মধ্যে বসে। অতঃপর তিনি গামলার মধ্যে বসলেন, এমনকি তিনি পানির উপর পীতবর্ণ দেখতে পেলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ “সে (পবিত্র পানি দ্বারা) গোসল করবে, যুহর ও আসরের নামাযের জন্য একবার গোসল করবে, মাগরিব ও এশার নামাযের জন্য একবার গোসল করবে এবং ফজরের নামাযের জন্য একবার গোসল করবে, অতঃপর এর মাঝখানে উযু করবে।

حَدَّثَنَا أَبُو مُحَمَّدِ بْنُ صَاعِدٍ ، نَا إِسْحَاقُ بْنُ شَاهِينَ أَبُو بِشْرٍ ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ : قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا ؟ قَالَ : " سُبْحَانَ اللَّهِ ! هَذَا مِنَ الشَّيْطَانِ ، فَلْتَجْلِسْ فِي مِرْكَنٍ " . فَجَلَسَتْ فِيهِ حَتَّى رَأَتِ الصُّفْرَةَ فَوْقَ الْمَاءِ ، فَقَالَ : " تَغْتَسِلُ لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ غُسْلًا وَاحِدًا ، ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ غُسْلًا وَاحِدًا ، ثُمَّ تَغْتَسِلُ لِلْفَجْرِ غُسْلًا وَاحِدًا ، ثُمَّ تَوَضَّأُ بَيْنَ ذَلِكَ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)

৮১৬(৫৪). মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আসমা বিনতে উমাইস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ এতো এতো দিন যাবত নামায পড়েন না (রক্তপ্রদরের কারণে)। তিনি বলেনঃ সুবহানাল্লাহ! এটা একটা শিরার রক্ত। এরপর তিনি অন্য বাক্য বলেন, ... তার মাসিক ঋতুর কয়দিন (নামায ছেড়ে দিবে)। অতঃপর সে গোসল করে নামায পড়বে। যুহরের নামাযে বিলম্বে করবে এবং আসরের নামায এগিয়ে আনবে, আর উভয় নামাযের জন্য একবার গোসল করবে। অনুরূপভাবে মাগরিবের নামাযে বিলম্ব করবে এবং এশার নামায এগিয়ে আনবে, আর উভয় নামাযের জন্য একবার গোসল করবে এবং নামায পড়বে।

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ بْنِ مُسْلِمٍ الصَّيْرَفِيُّ ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ ، أَخْبَرَنِي الزُّهْرِيُّ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ عُمَيْسٍ قَالَتْ : قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لَمْ تُصَلِّ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا ؟ قَالَ : " سُبْحَانَ اللَّهِ ! إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ " - فَذَكَرَ كَلِمَةً بَعْدَهَا - : " أَيَّامَ أَقْرَائِهَا " ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي ، وَتُؤَخِّرُ مِنَ الظُّهْرِ وَتُعَجِّلُ مِنَ الْعَصْرِ ، وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلًا وَاحِدًا ، وَتُؤَخِّرُ مِنَ الْمَغْرِبِ وَتُعَجِّلُ مِنَ الْعِشَاءِ ، وَتَغْتَسِلُ لَهُمَا غُسْلًا وَتُصَلِّي


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ আসমা বিনতু ‘উমায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে