পরিচ্ছেদঃ ৬০: দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ
১৪/৫৬২। আবূ কাবশাহ ’আমর ইবনে সা’দ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ’’আমি তিনটি জিনিসের ব্যাপারে শপথ করছি এবং তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখোঃ
(১) কোন বান্দার মাল সাদকাহ করলে কমে যায় না।
(২) কোন বান্দার উপর কোন প্রকার অত্যাচার করা হলে এবং সে তার উপর ধৈর্য-ধারণ করলে আল্লাহ নিশ্চয় তার সম্মান বাড়িয়ে দেন, আর
(৩) কোন বান্দা যাচ্ঞার দুয়ার উদ্ঘাটন করলে আল্লাহ তার জন্য দরিদ্রতার দরজা উদ্ঘাটন করে দেন।’’ অথবা এই রকম অন্য শব্দ তিনি ব্যবহার করলেন। ’’আর তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখো।’’ তিনি বললেন, ’’দুনিয়ায় চার প্রকার লোক আছে;
(১) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন। অতঃপর সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে এবং তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে। আর তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তা সে জানে। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে।
(২) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন; কিন্তু মাল দান করেননি। সে নিয়তে সত্যনিষ্ঠ, সে বলে যদি আমার মাল থাকত, তাহলে আমি (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের প্রতিদান সমান।
(৩) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ মাল দান করেছেন; কিন্তু (ইসলামী) জ্ঞান দান করেননি। সুতরাং সে না জেনে অবৈধরূপে নির্বিচারে মাল খরচ করে; সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে না, তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে না এবং তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। আর
(৪) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান কিছুই দান করেননি। কিন্তু সে বলে, যদি আমার নিকট মাল থাকত, তাহলে আমিও (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের পাপ সমান।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ সূত্রে) [1]
بَابُ الْكَرَمِ وَالْجُوْدِ وَالْإِنْفَاقِ فِيْ وُجُوْهِ الْخَيْرِثِقَةًمبِاللهِ تَعَالٰى - (60)
وَعَن أَبي كَبشَةَ عَمرِو بنِ سَعدٍ الأنمَارِي رضي الله عنه: أنّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ، وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ: مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ، وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلَمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللهُ عِزّاً، وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسألَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقرٍ» - أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا- «وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ» قَالَ: «إنَّمَا الدُّنْيَا لأرْبَعَةِ نَفَرٍ: عَبْدٍ رَزَقَهُ اللهُ مَالاً وَعِلماً، فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ، وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ، وَيَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقَّاً، فَهَذَا بِأَفضَلِ المَنَازِلِ . وَعَبْدٍ رَزَقهُ اللهُ عِلْماً، وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً، فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ، يَقُولُ: لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلتُ بِعَمَلِ فُلانٍ، فَهُوَ بنيَّتِهِ، فأجْرُهُمَا سَوَاءٌ . وَعَبْدٍ رَزَقَهُ الله مَالاً، وَلَمَ يَرْزُقْهُ عِلْماً، فَهُوَ يَخبطُ في مَالِهِ بغَيرِ عِلْمٍ، لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ، وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ، وَلاَ يَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقّاً، فَهذَا بِأَخْبَثِ المَنَازِلِ . وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللهُ مَالاً وَلاَ عِلْماً، فَهُوَ يَقُولُ: لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بعَمَلِ فُلاَنٍ، فَهُوَ بنِيَّتِهِ، فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح
(60) Chapter: Excellence of Generosity and Spending in a Good cause with Reliance on Allah
Abu Kabshah 'Amr bin Sa'd (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "I swear by Allah for three (qualities) which I am going to tell you about. Remember them well:
(1) The wealth of a man will not diminish by Sadaqah (charity).
(2) Allah augments the honour of a man who endures an oppression patiently.
(3) He who opens a gate of begging, Allah opens a gate of poverty (or he said a word similar to it)."
He (ﷺ) also said, "Remember well what I am going to tell you: The world is for four kinds of people. (1) One upon whom Allah has bestowed wealth and knowledge and so he fears his Rubb in respect to them, joins the ties of blood relationship and acknowledges the Rights of Allah on him (and fulfills them); this type will have the best position (in Jannah). (2) One upon whom Allah has conferred knowledge but no wealth, and he is sincere in his intention and says: 'Had I possessed wealth, I would have acted like so-and-so.' If that is his intention, his reward is the same as that of the other. (3) One whom Allah has given wealth but no knowledge and he squanders his wealth ignorantly, does not fear Allah in respect to it, does not discharge the obligations of kinship and does not acknowledge the Rights of Allah. Such a person will be in the worst position (in the Hereafter). (4) One upon whom Allah has bestowed neither wealth nor knowledge and he says: 'Had I possessed wealth, I would have acted like so-and-so (i.e., he would squander his wealth).' If this is his intention, both will have equal sin."
[At- Tirmidhi].
Commentary: This Hadith highlights the following points:
1. Those who forgive people and pardon them will be granted honour and elevation both in this life and in the Hereafter.
2. Those who have sufficient means to live on and still beg of people out of greed, will be afflicted with poverty.
3. The Hadith also urges us to acquire religious knowledge, and also the practise of this knowledge along with the intention to please Allah Alone.
4. The Hadith also criticizes ignorance of religious teachings and ignorant people, for ignorance can easily lead one to commit forbidden acts.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. কোন কিছু ধারনাস্বরূপ দেওয়া।
১৬৮৩. ইব্রাহীম ইব্ন মূসা (রহঃ) ..... আবু কাবশাহ আস-সালূলী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবদুল্লাহ্ ইব্ন আমর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ চল্লিশটি বৈশিষ্ট্য আছে, তন্মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠটি হল – কাউকে দুগ্ধবতী বক্রী দান করা (যার দুধ দ্বারা সে উপকৃত হয়)। যে ব্যক্তি এই চল্লিশটি বৈশিষ্টের মধ্যে যে কোন একটির উপর ছাওয়াবের আশায় এবং তার প্রতিশ্রুতিকে সত্য জেনে আমল করবে, আল্লাহ্ তাআলা এর বিনিময়ে তাকে জান্নাত দান করবেন।
ইমাম আবু দাউদ (রহঃ) মুসাদ্দাদের বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে বলেন, হাসসান বলেন, আমরা দুগ্ধবতী বক্রী দান করার বৈশিষ্ট্য ছাড়া অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো গণনা করেছিঃ সালামের জবাব দান, হাঁচির জবাব দেওয়া, রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু দুরীভুত করা, ইত্যাদি। রাবী বলেনঃ (এই চল্লিশটি খাস্লতের মধ্যে), আমাদের পক্ষে পনেরটি খাস্লত পর্যন্ত পৌছানোও সম্ভব হয় নাই।
باب فِي الْمَنِيحَةِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عِيسَى، - وَهَذَا حَدِيثُ مُسَدَّدٍ وَهُوَ أَتَمُّ - عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ حَسَّانَ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ السَّلُولِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَمْرٍو، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَرْبَعُونَ خَصْلَةً أَعْلاَهُنَّ مَنِيحَةُ الْعَنْزِ مَا يَعْمَلُ رَجُلٌ بِخَصْلَةٍ مِنْهَا رَجَاءَ ثَوَابِهَا وَتَصْدِيقَ مَوْعُودِهَا إِلاَّ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهَا الْجَنَّةَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ فِي حَدِيثِ مُسَدَّدٍ قَالَ حَسَّانُ فَعَدَدْنَا مَا دُونَ مَنِيحَةِ الْعَنْزِ مِنْ رَدِّ السَّلاَمِ وَتَشْمِيتِ الْعَاطِسِ وَإِمَاطَةِ الأَذَى عَنِ الطَّرِيقِ وَنَحْوِهِ فَمَا اسْتَطَعْنَا أَنْ نَبْلُغَ خَمْسَ عَشْرَةَ خَصْلَةً .
Narrated Abdullah ibn Amr ibn al-'As:
The Prophet (ﷺ) said: There are forty characteristics; the highest of them is to give a goat on loan (for benefiting from its milk). If any man carries out any of those characteristics with the hope of getting a reward and testifying to the promise for it, Allah will admit him to Paradise for it.
Abu Dawud said: In the version of Musaddad, Hassan said: So we counted other characteristics than lending the goat: to return the greeting, to respond to sneezing, and remove things which cause annoyance to the people from their path, and similar other things. We could not reach fifteen characteristics.
পরিচ্ছেদঃ ৪. শিংগা লাগাবার স্থান সম্পর্কে।
৩৮১৯. আবদুর রহমান ইবন ইবরাহীম .... আবূ কাবশা আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মাথার সিঁথিতে এবং দুই কাঁধের মাঝখানে শিংগা লাগাতেন এবং বলতেনঃ যে ব্যক্তি এসব স্থান থেকে দূষিত রক্ত বের করে ফেলবে, সে কোন রোগের জন্য অন্য চিকিৎসা না করলেও তাঁর কোন ক্ষতি হবে না।
باب فِي مَوْضِعِ الْحِجَامَةِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ، وَكَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ ابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ الأَنْمَارِيِّ، - قَالَ كَثِيرٌ إِنَّهُ حَدَّثَهُ - أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَحْتَجِمُ عَلَى هَامَتِهِ وَبَيْنَ كَتِفَيْهِ وَهُوَ يَقُولُ " مَنْ أَهْرَاقَ مِنْ هَذِهِ الدِّمَاءِ فَلاَ يَضُرُّهُ أَنْ لاَ يَتَدَاوَى بِشَىْءٍ لِشَىْءٍ " .
Narrated Abu Kabshah al-Ansari:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to have himself cupped on the top of his head and between his shoulders, and that he used to say: If anyone pours out any of his blood, he will not suffer if he applies no medical treatment for anything.
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়ার দৃষ্টান্ত চার জন লোকের উদাহরণ স্বরূপ।
২৩২৮. মুহাম্মদ ইবন ইসমাঈল (রহঃ) ...... আবূ কাবশা আনমারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তিনটি বিষয়ে আমি কসম করছি এবং সেগুলির বিষয়ে তোমাদের বলছি। তোমরা এগুলোর সংরক্ষণ করবে।
অনন্তর তিনি বললেনঃ দান-সাদাকার কারণে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দা যদি কোন বিষয়ে মযলুম হয় আর তাতে সে সবর অবলম্বন করে তবে এতে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার ইযযত বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দা যখন যাঞ্ছার দরজা খুলে তখন আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তার অভাবের দরজাও খুলে দেন। অথবা তিনি এ ধরণের কোন কথা বলেছেন।
তোমাদের আমি একটি কথা বলছি, তোমরা সেটির খুব হেফাযত করবে। এই দুনিয়া হল চারজনেরঃ যে বান্দাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ ও ইলম দান করেছেন আর সে এই ক্ষেত্রে তার রবের ভয় করে এবং এর মাধ্যমে সে আত্মীয়তার বন্ধন অক্ষুন্ন রাখে ও তাতে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান, সেই বান্দার মর্যাদা হল সর্বোচ্চ স্তরে।
আরেক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা ইলম দান করেছেন কিন্তু তাকে সম্পদ দেন নি অথচ সে সৎ নিয়্যাতের অধিকারী, সে বলে, আমার যদি সম্পদ থাকত তবে তাতে অমুক (প্রথমোক্ত) ব্যক্তির আমলের ন্যায় আমল করতাম। নিয়্যাত অনুসারেই এই ব্যক্তির মর্যাদা নির্ধারণ হবে। সুতরাং এদের উভয়ের সাওয়াব হবে এক বরাবর।
অপর এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু ইলম দেননি। সে তার সম্পদের ইলম ছাড়াই বিভ্রান্তভাবে খায়িশাত অনুসারে ব্যয় করে, এই বিষয়ে তার রবের ভয় করে না, তা দিয়ে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে না এবং এই ক্ষেত্রে আল্লাহর হক সম্পর্কেও সজ্ঞান নয় এই ব্যক্তির স্থান হল সবচেয়ে নিম্নস্তরে।
অন্য এক বান্দা হল যাকে আল্লাহ তাআলা সম্পদও দেননি ইলমও দেননি, কিন্তু সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত তবে অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃদ্ধি অনুসারে) আমল করতাম। তার স্থান নির্ধারিত হবে তার নিয়্যাত অনুসারে। সুতরাং এদের উভয়েরই গুনাহ হবে এক বরাবর। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৪২২৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ مَثَلُ الدُّنْيَا مَثَلُ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ خَبَّابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ " . قَالَ " مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ " إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Kabshah Al-Anmari narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"There are three things for which I swear and narrate to you about, so remember it." He said: "The wealth of a slave (of Allah) shall not be decreased by charity, no slave (of Allah) suffers injustice and is patient with it except that Allah adds to his honor; no slave (of Allah) opens up a door to begging except that Allah opens a door for him to poverty"- or a statement similar- "And I shall narrate to you a narration, so remember it." He said: "The world is only for four persons: A slave whom Allah provides with wealth and knowledge, so he has Taqwa of his Lord with it, nurtures the ties of kinship with it, and he knows that Allah has a right in it. So this is the most virtuous rank. And a slave whom Allah provides with knowledge, but He does not provide with wealth. So he has a truthful intent, saying: 'If I had wealth, then I would do the deeds of so-and-so with it.' He has his intention, so their rewards are the same. And a slave whom Allah provides with wealth, but He does not provide him with knowledge. [So he] spends his wealth rashly without knowledge, nor having Taqwa of his Lord, nor nurturing the ties of kinship, and he does not know that Allah has a right in it. So this is the most despicable rank. And a slave whom Allah does not provide with wealth nor knowledge, so he says: 'If I had wealth, then I would do the deeds of so-and-so with it.' He has his intention, so their sin is the same."
পরিচ্ছেদঃ ১৭. দুনিয়ার দৃষ্টান্ত চারজন লোকের অনুরূপ
২৩২৫। আবূ কাবশা আল-আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আমি তিনটি বিষয়ে শপথ করছি এবং সেগুলোর ব্যাপারে তোমাদেরকে বলছি। তোমরা এগুলো মনে রাখবে।
তিনি বলেন, দান-খাইরাত করলে কোন বান্দার সম্পদ হ্রাস পায় না। কোন বান্দার উপর যুলুম করা হলে এবং সে তাতে ধৈর্য ধারণ করলে আল্লাহ তা’আলা অবশ্যই তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। কোন বান্দাহ ভিক্ষার দরজা খুললে অবশ্যই আল্লাহ তা’আলাও তার অভাবের দরজা খুলে দেন অথবা তিনি অনুরূপ কথা বলেছেন।
আমি তোমাদেরকে একটি কথা বলছি, তোমরা তা মুখস্থ রাখবে। তারপর তিনি বলেনঃ চার প্রকার মানুষের জন্য এই পৃথিবী। আল্লাহ তা’আলা যে বান্দাহকে ধন-সম্পদ ও ইলম (জ্ঞান) দিয়েছেন, আর সে এই ক্ষেত্রে তার প্রভুকে ভয় করে, এর সাহায্যে আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহার করে এবং এতে আল্লাহ তা’আলারও হক আছে বলে সে জানে, সেই বান্দার মর্যাদা সর্বোচ্চ।
আরেক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ তা’আল ইলম দিয়েছেন কিন্তু ধন-সম্পদ দেননি সে সৎ নিয়াতের (সংকল্পের) অধিকারী। সে বলে, আমার ধন-সম্পদ থাকলে আমি অমুক অমুক ভালো কাজ করতাম। এই ধরনের লোকের মর্যাদা তার নিয়্যাত মুতাবিক নির্ধারিত হবে। এ দুজনেরই সাওয়াব সমান সমান হবে।
আরেক বান্দাহ, আল্লাহ তা’আলা তাকে ধন-সম্পদ প্রদান করেছেন কিন্তু ইলম দান করেননি। আর সে ইলমহীন (জ্ঞানহীন) হওয়ার কারণে তার সম্পদ স্বীয় প্রবৃত্তির চাহিদা মতো ব্যয় করে। সে ব্যক্তি এ বিষয়ে তার রবকেও ভয় করে না এবং আত্মীয়দের সাথে সৌজন্যমূলক ব্যবহারও করে না। আর এতে যে আল্লাহ তা’আলার হক রয়েছে তাও সে জানে না। এই লোক সর্বাধিক নিকৃষ্ট স্তরের লোক।
অপর এক বান্দাহ, যাকে আল্লাহ তা’আলা ধন-সম্পদও দান করেননি, ইলমও দান করেননি। সে বলে, আমার যদি ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুক অমুক ব্যক্তির ন্যায় (প্রবৃত্তির বাসনামতো) কাজ করতাম। তার নিয়্যাত মুতাবিক তার স্থান নির্ধারিত হবে। অতএব, এদের দুজনের পাপ হবে সমান সমান।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪২২৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ مَثَلُ الدُّنْيَا مَثَلُ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا عُبَادَةُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ خَبَّابٍ، عَنْ سَعِيدٍ الطَّائِيِّ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو كَبْشَةَ الأَنْمَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ " . قَالَ " مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ " إِنَّمَا الدُّنْيَا لأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالاً وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالاً وَلاَ عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abu Kabshah Al-Anmari narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"There are three things for which I swear and narrate to you about, so remember it." He said: "The wealth of a slave (of Allah) shall not be decreased by charity, no slave (of Allah) suffers injustice and is patient with it except that Allah adds to his honor; no slave (of Allah) opens up a door to begging except that Allah opens a door for him to poverty"- or a statement similar- "And I shall narrate to you a narration, so remember it." He said: "The world is only for four persons: A slave whom Allah provides with wealth and knowledge, so he has Taqwa of his Lord with it, nurtures the ties of kinship with it, and he knows that Allah has a right in it. So this is the most virtuous rank. And a slave whom Allah provides with knowledge, but He does not provide with wealth. So he has a truthful intent, saying: 'If I had wealth, then I would do the deeds of so-and-so with it.' He has his intention, so their rewards are the same. And a slave whom Allah provides with wealth, but He does not provide him with knowledge. [So he] spends his wealth rashly without knowledge, nor having Taqwa of his Lord, nor nurturing the ties of kinship, and he does not know that Allah has a right in it. So this is the most despicable rank. And a slave whom Allah does not provide with wealth nor knowledge, so he says: 'If I had wealth, then I would do the deeds of so-and-so with it.' He has his intention, so their sin is the same."
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৩৩৩-[৩০] আবূ কাবশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের টুপি ছিল চ্যাপটা। (তিরমিযী এবং তিনি বলেছেনঃ এ হাদীসটি মুনকার।)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘আবূ সা‘ঈদ’’ তার নাম ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর, হাদীস বিশারদদের নিকট তিনি একজন য‘ঈফ রাবী। দেখুন- তিরমিযী ১৭৮২ নং হাদীসের আলোচনা এবং তুহফাতুল আহওয়াযী ৫/৩৯০-৩৯২ নং পৃঃ, ১৭৮২ নং হাদীসের আলোচনা দ্রঃ।
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَن أبي كبشةَ قَالَ: كَانَ كِمَامُ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُطْحًا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حديثٌ مُنكر
ব্যাখ্যাঃ كمام শব্দটি كمة এর বহুবচন, এর অর্থ টুপি। এ শব্দটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মিরক্বাতুল মাফাতীহ গ্রন্থকার বলেন, وهى القلنسوة المدؤرة গোলাকার টুপি বিশেষ, যা মাথাকে আবৃত করে রাখে।
بطحا শব্দের অর্থ সমতল বা প্রশস্ত ভূমি। এখানে টুপির চওড়া বা প্রশস্ত ছাদকে বুঝানো হয়েছে যা উঁচু হয়ে থাকে না, বরং সমতল বা চ্যাপ্টা হয়ে মাথার সাথে লেগে থাকে। কেউ কেউ বলেছেন, كمام শব্দটি كم এর বহুবচন, যেমন قفاف এর অর্থ উঁচু টিলা, অনুরূপ كمام এর অর্থ উঁচু টুপি।
بطحا এর অর্থ প্রশস্ত, ভারতীয় এবং রুমী টুপিগুলো যেমন সংকীর্ণ এমনটি নয়। বরং এর প্রশস্ততা প্রায় এক বিঘত পরিমাণ। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি মুনকার বলায় বিস্তারিত ব্যাখ্যা পরিহার করা হলো।] [সম্পাদক]
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৪২-[২৯] আবূ কাবশাহ্ আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের মাথায় এবং দু’ বাহুর মধ্যখানে শিঙ্গা লাগাতেন এবং বলতেন, যে ব্যক্তি এসব স্থান হতে দূষিত রক্ত বের করে দেয়, তার জন্য অন্য কিছু দ্বারা কোন রোগের ঔষধ না করলেও কোন ক্ষতি হবে না। (আবূ দাঊদ ও ইবনু মাজাহ)[1]
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَن أبي كَبْشَة الْأَنْمَارِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يحتجم على هامته وَبَين كفيه وَهُوَ يَقُولُ: «مَنْ أَهْرَاقَ مِنْ هَذِهِ الدِّمَاءِ فَلَا يَضُرُّهُ أَنْ لَا يَتَدَاوَى بِشَيْءٍ لِشَيْءٍ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
ব্যাখ্যাঃ (عَلٰى هَامَّتِه) অর্থাৎ তার মাথায়, আরো বলা হয় যে, তার মাথার মাঝখানে। অর্থাৎ বিষের কারণে।
(وَبَينَ كَتِفَيْهِ) ‘‘আবার তার দুই কাঁধের মাঝে’’ এটা হতে পারে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একবার করেছিলেন অথবা একই সাথে করিয়েছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; ‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৩৫৫)
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৪৫৭২-[৫৯] আবূ কাবশাহ্ আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিষমিশ্রিত বকরীর মাংস খাওয়ার কারণে নিজের মাথার তালুতে শিঙ্গা লাগান। মা’মার বলেন, বিষের কোন প্রতিক্রিয়া না থাকা সত্ত্বেও আমি আমার মাথার তালুতে শিঙ্গা লাগালাম। ফলে আমার স্মরণশক্তি লোপ পায়। এমনকি সালাতের মধ্যে আমাকে সূরাহ্ আল ফাতিহাহ্ বলে দিতে হত। (রযীন)[1]
الْفَصْلُ الثَّالِثُ
وَعَن أبي كَبْشَة الْأَنْمَارِيِّ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ احْتَجَمَ عَلَى هَامَتِهِ مِنَ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ قَالَ مَعْمَرٌ: فَاحْتَجَمْتُ أَنَا مِنْ غَيْرِ سُمٍّ كَذَلِكَ فِي يَافُوخِي فَذَهَبَ حُسْنُ الْحِفْظِ عَنِّي حَتَّى كُنْتُ أُلَقَّنُ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ فِي الصَّلَاةِ. رَوَاهُ رزين
ব্যাখ্যাঃ (احْتَجَمَ عَلٰى هَامَتِه) অর্থাৎ তার মাথার মাঝখানে অথবা তালুতে। (مِنَ الشَّاةِ الْمَسْمُومَةِ) অর্থাৎ তা খাওয়ার এবং বিষের প্রভাবের কারণে, এ বিষক্রিয়ার প্রভাবের কারণে প্রতি বছর তিনি শিঙ্গা লাগাতেন। যে বছর তিনি মারা যান, মরার সময় তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছিলেন, ‘‘এখন আমার আবহারী রগটি ছিঁড়ে গেছে’’ এর কারণে তিনি শাহাদাতের সৌভাগ্য লাভ করেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ইয়াহূদী মাহিলা বিষমিশ্রিত বকরীর গোশত হাদিয়া দিলে তিনি তার সাহাবীদেরকে নির্দেশ দেন যে, তোমরা বিসমিল্লা-হ বলে ভক্ষণ কর, সুতরাং তারা তা খেয়ে ফেলল। অথচ তাদের কারো কোন ক্ষতি হয়নি। এটি হাকিম (রহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন তার মুসতাদরাকের মধ্যে। তিনি এটি আবূ সা‘ঈদ আল খুদরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণনা করেছেন। আর বলেছেন যে, এর সানাদ সহীহ। সিরাজ প্রণেতাও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
মুবারক (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ এতে আমার ভাবার বিষয় আছে, যখন প্রসিদ্ধ হাদীস প্রণেতাগণ, জীবনীকারগণ, ইতিহাসবিদগণ বর্ণনা করেছেন যে, কোন সাহাবী সেই বিষ-মিশ্রিত বকরীর গোশত খাননি কেবল বিশর ইবনু বারা’ ইবনু মা‘রূর ব্যতীত। তিনি এক লোকমা খেয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই বকবীর গোশত ঢেলে দিতে অথবা মাটির নিচে পুঁতে দিতে বলেন। তারা মতভেদ করেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি সেই ইয়াহূদী মহিলাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন, না তাকে মাফ করে দেন। সঠিক মত হলো তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পক্ষ থেকে তাকে মাফ করে দেন। তবে বিশর ইবনু বারা’ ইবনু মা‘রূর এর হত্যার ক্বিসাস স্বরূপ তাকে হত্যা করার নির্দেশ দেন। আর আমি মনে করি এ বর্ণনার মধ্যে কঠিন ভুল অথবা পবিত্র অপছন্দ রয়েছে। মহান আল্লাহই ভালো জানেন। আমি বলছি যদি হাকিম-এর বর্ণনাটি বিশুদ্ধও হয় তবে সম্ভবত তার বর্ণনাটিও বেশি হবে। আল্লাহই ভালো জানেন।
(مِنْ غَيْرِ سُمٍّ كَذٰلِكَ) অর্থাৎ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে কারণে লাগিয়ে ছিলেন ঐ রকম কারণ ব্যতীত। এটি ছিল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অতিরিক্ত অনুসরণ করার কারণে। অথবা তিনি ধারণা করেছিলেন যে, মাথার মাঝখানে শিঙ্গা লাগানো কাজটা বিষের কারণে না হলেও উপকারী হবে। তাই আমি শিঙ্গা লাগালাম।
(فِي الصَّلَاةِ) তার বর্ণনা দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, তার এ সমস্যা সাময়িক কিছুদিনের জন্য ছিল। তারপর তিনি সুস্থ হয়ে যান। সম্ভবত এটা হয়েছিল তার অধিক রক্ত রক্ষণের কারণে। আর তার শিঙ্গা লাগানো যথাযথ কারণে হয়নি। মহান আল্লাহই ভালো জানেন। এছাড়া অনেক হাদীসে বলা হয়েছে যে, শিঙ্গা লাগানো অনেক উপকারী চিকিৎসা। এতে অনেক রোগ হতে আরোগ্য লাভ হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা
৫২৮৭-[৪] আবূ কাবশাহ্ আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছেন, [রাসূল (স.) বলেছেন] এমন তিনটি বিষয় আছে যার (সত্যতার) উপর আমি শপথ করতে পারি এবং আমি তোমাদের সম্মুখে অপর একটি হাদীস বর্ণনা করব, তাকেও ভালোভাবে স্মরণ রাখবে। আর যে ব্যাপারে আমি শপথ করছি তা হলোঃ-
(ক) দান-খয়রাতের কারণে কোন বান্দার সম্পদে হ্রাস হয় না, (খ) যে নির্যাতিত বান্দা নির্যাতনের শিকার হয়ে ধৈর্যধারণ করে, আল্লাহ তা’আলা তার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, (গ) আর যে বান্দা ভিক্ষার দরজা উন্মুক্ত করে, আল্লাহ তা’আলা তার অভাব ও নিঃস্বতার দরজা খুলে দেন। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন : আমি যে হাদীসটি তোমাদেরকে বলব, তাকে খুব ভালোভাবে সংরক্ষণ করো। তা হলো প্রকৃতপক্ষে পার্থিব জীবন হলো চার শ্রেণির লোকের জন্য।
যথা-
১. এমন বান্দা- আল্লাহ যাকে সম্পদ ও বিদ্যা উভয়টি দান করেছেন, তবে সে তা খরচ করতে আপন প্রভুকে ভয় করে (হারাম পথে ব্যয় করে না); আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো ব্যবহার করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সম্পদের হক মোতাবেক ’আমল করে (খরচ করে)। এ ব্যক্তির মর্যাদা সর্বোত্তম।
২. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ বিদ্যা দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দান করেননি। তবে সে এ সত্য এবং সঠিক নিয়্যাতে বলে, যদি আমার ধন-সম্পদ থাকত তাহলে আমি অমুকের মতো পুণ্যের পথে খরচ করতাম। এ দু’ ব্যক্তির সাওয়াব একই সমান।
৩. এমন বান্দা- যাকে আল্লাহ ধন-সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু বিদ্যা দান করেননি। তার বিদ্যা না থাকার কারণে সে নিজের সম্পদের ব্যাপারে স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ে, এতে সে আল্লাহকে ভয় করে না। আত্মীয়স্বজনদের সাথে আর্থিক সদাচরণ করে না এবং নিজ সম্পদ হক পথে খরচ করে না। এ ব্যক্তি হলো সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট পর্যায়ের।
৪. এমন বান্দা- যার কাছে সম্পদও নেই বিদ্যাও নেই। সে আকাঙ্ক্ষা করে বলে, যদি আমার কাছে সম্পদ থাকত, তাহলে আমি তা অমুক ব্যক্তির মতো খরচ করতাম। এ বান্দাও তার এ মন্দ নিয়্যাতের কারণে গুনাহের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তির সমান। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা। করেছেন এবং তিনি বলেছেন : এ হাদীসটি সহীহ]
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)
وَعَن أبي كبشةَ الأنماريِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «ثَلَاثٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ فَأَمَّا الَّذِي أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ فَإِنَّهُ مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلَا ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلَّا زَادَهُ اللَّهُ بِهَا عِزًّا وَلَا فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ وَأَمَّا الَّذِي أُحَدِّثُكُمْ فَاحْفَظُوهُ» فَقَالَ: إِنَّمَا الدُّنْيَا لِأَرْبَعَةِ نفرٍ: عبدٌ رزقَه اللَّهُ مَالا وعلماً فهوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ رَحِمَهُ وَيَعْمَلُ لِلَّهِ فِيهِ بِحَقِّهِ فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ. وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالًا فَهُوَ صَادِقُ النيَّةِ وَيَقُول: لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلَانٍ فأجرُهما سواءٌ. وعبدٌ رزَقه اللَّهُ مَالا وَلم يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَتَخَبَّطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لَا يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلَا يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلَا يَعْمَلُ فِيهِ بِحَقٍّ فَهَذَا بأخبثِ المنازلِ وعبدٌ لم يرزُقْه اللَّهُ مَالا وَلَا عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ: لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلَانٍ فَهُوَ نِيَّتُهُ وَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ صَحِيح
سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2325) * یونس بن خباب ضعیف رافضی و للحدیث طریق آخر معلول (ضعیف) عند احمد (4 / 230 ح 1802) بمتن آخر ۔
ব্যাখ্যা : (ثَلَاثٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ) অর্থাৎ আমি তোমাদেরকে তিনটি বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সংবাদ দিচ্ছি এবং সেগুলোকে শক্তিশালীর জন্য কসম করছি এবং এ প্রসঙ্গে হাদীস বলছি তোমরা মুখস্থ করে রাখ।
(مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ) সদাক্বাহ্ বা দান করাতে বান্দার সম্পদে কোন ঘাটতি হয় না বা বরকত কমে যায় না। বরং দুনিয়া ও আখিরাতে তার বিনিময় তাকে দেয়া হয়ে থাকে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, (.. وَ مَاۤ اَنۡفَقۡتُمۡ مِّنۡ شَیۡءٍ فَهُوَ یُخۡلِفُهٗ ۚ ..) তোমরা যা কিছু দান করে থাক তা তোমাদের পশ্চাতে রয়ে যায়।” (সূরাহ্ সাবা ৩৪ : ৩৯)
(وَلَا ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلِمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلَّا زَادَهُ اللَّهُ بِهَا عِزًّا) বান্দাকে কোন ধরনের যুলুম করা হলে সে তার উপর ধৈর্যধারণ করার দরুন আল্লাহ তা'আলা তার বিনিময়ে সম্মান বৃদ্ধি করে দেন। আবার কখনো অত্যাচারী ব্যক্তি ঐ মাযলুম ব্যক্তির লাঞ্ছনার স্বীকার হয়ে থাকে কর্মের যথাযথ প্রতিদান স্বরূপ।
(وَلَا فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ) বান্দা যদি বিনা প্রয়োজনে সম্পদ বৃদ্ধির লোভে মানুষের নিকট হাত পাতে তাহলে আল্লাহ তা’আলা তার ওপর একের পর এক অভাবের দরজা খুলে দেন। অথবা তার নিকট থেকে নি'আমত তুলে নেন, ফলে সে শাস্তিতে পতিত হয়। তার জ্বলন্ত উদাহরণ ঐ কুকুরের ন্যায় যে মুখে এক খণ্ড হাড় নিয়ে পানির উপর দিয়ে অতিক্রম করার সময় স্বচ্ছ পানিতে হাড়ের প্রতিচ্ছবি দেখে লোভ করে তা নেয়ার জন্য হা করার সাথে সাথে তার মুখের হাড্ডিটিও পানিতে পড়ে যায়। অতএব লোভ নিন্দনীয় এবং লোভী সর্বদা বঞ্চিত হয়।
(إِنَّمَا الدُّنْيَا لِأَرْبَعَةِ نفرٍ) দুনিয়া চার শ্রেণির লোকের জন্য :
[এক] (عبدٌ رزقَه اللَّهُ مَالا وعلماً) আল্লাহ তা'আলা কোন বান্দাকে ধন-সম্পদ ও জ্ঞান উভয়টিই দিয়েছেন। আর সে উক্ত জ্ঞানের কারণে তার রবকে ভয় করে চলে এবং সম্পদের যথাযথ হক আদায় করে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে ও আল্লাহর রাস্তায় তার হক অনুযায়ী ব্যয় করে। আর এই প্রকার ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে সর্বোত্তম মর্যাদার অধিকারী।।
[দুই] (وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالًا) ঐ ব্যক্তি আল্লাহ তা'আলা যাকে ‘ইলম দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দান করেননি। তবে সে যদি বিশুদ্ধ নিয়্যাতের অধিকারী হয়ে বলে, আমার যদি সম্পদ থাকত তাহলে আমিও প্রথম শ্রেণির লোকের মতো ‘আমল করতাম- এই দুই শ্রেণির লোকের প্রতিদান আল্লাহ তা'আলার নিকট এক সমান।
[তিন] (وعبدٌ رزَقه اللَّهُ مَالا وَلم يَرْزُقْهُ عِلْمًا) যাকে আল্লাহ তা'আলা সম্পদের মালিক বানিয়েছেন, কিন্তু তাকে শারঈ কোন জ্ঞান দান করেননি। ফলে সে যদি জ্ঞান না থাকার কারণে উক্ত সম্পদে গণ্ডগোল বাধিয়ে ফেলে। কখনো তা যথাযথ ব্যয় না করে জমা করে রেখে দেয় আবার কখনো লোক দেখানোর উদ্দেশে ব্যয় করে থাকে। সে ঐ সম্পদ খরচের ক্ষেত্রে রবের ভয় করে না, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে না এবং তার হক অনুযায়ী আমলও করে না। আর এ প্রকার লোক সবচেয়ে নিকৃষ্ট।
[চার] (وعبدٌ لم يرزُقْه اللَّهُ مَالا وَلَا عِلْمًا) ঐ বান্দাকে আল্লাহ তা'আলা সম্পদ এবং জ্ঞান কোনটিই দান করেননি। সে এই আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করে যে, যদি তার নিকট সম্পদ থাকত তাহলে উপরোক্ত ব্যক্তির ন্যায় ‘আমল করত। সে তার নিয়্যাতের কারণে পূর্বের ব্যক্তির ন্যায় সমান গুনাহের অধিকারী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৩/৪২২৮)
পরিচ্ছেদঃ ২. ফিতনার সময় দ্বন্দ্ব-কলহের চেষ্টা করা নিষিদ্ধ
৪২৬২। আবূ কাবশাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ মূসা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই তোমাদের সামনে অন্ধকার রাতের টুকরার ন্যায় একের পর এক বিপদ আসতে থাকবে। সেই বিপদের সময় সকালবেলা যে ব্যক্তি ঈমানদার ছিলো, বিকেলবেলা সে কাফির হয়ে যাবে, আর সন্ধ্যাবেলা যে লোকটি ঈমানদার ছিলো, সকালে সে কাফির হয়ে যাবে। সে সময়ের বসে থাকা ব্যক্তি দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চাইতে উত্তম হবে এবং দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি হেঁটে চলা ব্যক্তির চাইতে উত্তম এবং হেঁটে চলা ব্যক্তি দৌড়ে চলা ব্যক্তির চাইতে উত্তম হবে। লোকজন বললো, আপনি আমাদের কি করতে আদেশ দিচ্ছেন? তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের ঘরের পর্দার ন্যায় হয়ে যাও (বের হয়ো না)।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي النَّهْيِ عَنِ السَّعْيِ فِي الْفِتْنَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، حَدَّثَنَا عَاصِمٌ الْأَحْوَلُ، عَنْ أَبِي كَبْشَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا مُوسَى، يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ بَيْنَ أَيْدِيكُمْ فِتَنًا كَقِطَعِ اللَّيْلِ الْمُظْلِمِ، يُصْبِحُ الرَّجُلُ فِيهَا مُؤْمِنًا وَيُمْسِي كَافِرًا، الْقَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْقَائِمِ، وَالْقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ الْمَاشِي، وَالْمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، قَالُوا: فَمَا تَأْمُرُنَا؟ قَالَ: كُونُوا أَحْلَاسَ بُيُوتِكُمْ
صحيح
Narrated AbuMusa al-Ash'ari:
The Prophet (ﷺ) said: Before you there will be commotions like pieces of a dark night in which a man will be a believer in the morning and an infidel in the evening. He who sits during them will be better than he who gets up, and he who gets up during them is better than he who walks, and he who walks during them is better than he who runs. They (the people) said: What do you order us to do? He replied: Keep to your houses.
পরিচ্ছেদঃ দানশীলতা এবং আল্লাহর উপর ভরসা করে পুণ্য কাজে ব্যয় করার বিবরণ
(৯৩৯) আবূ কাবশাহ আমর ইবনে সা’দ আনসারী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন, আমি তিনটি জিনিসের ব্যাপারে শপথ করছি এবং তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখোঃ (১) কোন বান্দার মাল সাদকাহ করলে কমে যায় না। (২) কোন বান্দার উপর কোন প্রকার অত্যাচার করা হলে এবং সে তার উপর ধৈর্য-ধারণ করলে আল্লাহ নিশ্চয় তার সম্মান বাড়িয়ে দেন, আর (৩) কোন বান্দা যাঞ্চার (ভিক্ষার) দুয়ার উদঘাটন করলে আল্লাহ তার জন্য দরিদ্রতার দরজা উদঘাটন করে দেন। অথবা এই রকম অন্য শব্দ তিনি ব্যবহার করলেন।
আর তোমাদেরকে একটি হাদীস বলছি তা স্মরণ রাখো। তিনি বললেন, দুনিয়ায় চার প্রকার লোক আছে; (১) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন। অতঃপর সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে এবং তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে। আর তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তা সে জানে। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে উৎকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। (২) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ (ইসলামী) জ্ঞান দান করেছেন; কিন্তু মাল দান করেননি। সে নিয়তে সত্যনিষ্ঠ, সে বলে যদি আমার মাল থাকত, তাহলে আমি (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের প্রতিদান সমান।
(৩) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ মাল দান করেছেন; কিন্তু (ইসলামী) জ্ঞান দান করেননি। সুতরাং সে না জেনে অবৈধরূপে নির্বিচারে মাল খরচ করে; সে তাতে আল্লাহকে ভয় করে না, তার মাধ্যমে নিজ আত্মীয়তা বজায় রাখে না এবং তাতে যে আল্লাহর হক রয়েছে তাও সে জানে না। অতএব সে (আল্লাহর কাছে) সবচেয়ে নিকৃষ্ট স্তরে অবস্থান করবে। আর (৪) ঐ বান্দা, যাকে আল্লাহ ধন ও (ইসলামী) জ্ঞান কিছুই দান করেননি। কিন্তু সে বলে, যদি আমার নিকট মাল থাকত, তাহলে আমিও (পূর্বোক্ত) অমুকের মত কাজ করতাম। সুতরাং সে নিয়ত অনুসারে বিনিময় পাবে; এদের উভয়ের পাপ সমান।
وَعَنْ أَبيْ كَبشَةَ عَمرِو بنِ سَعدٍ الأنمَارِي أنّه سَمِعَ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ ثَلاَثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ : مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلاَ ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلَمَةً صَبَرَ عَلَيْهَا إِلاَّ زَادَهُ اللهُ عِزّاً وَلاَ فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسألَةٍ إِلاَّ فَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا (وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثاً فَاحْفَظُوهُ) قَالَ إنَّمَا الدُّنْيَا لأرْبَعَةِ نَفَرٍ : عَبْدٍ رَزَقَهُ اللهُ مَالاً وَعِلماً فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقَّاً فَهَذَا بِأَفضَلِ المَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقهُ اللهُ عِلْماً وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالاً فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ : لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلتُ بِعَمَلِ فُلانٍ فَهُوَ بنيَّتِهِ فأجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ الله مَالاً وَلَمَ يَرْزُقْهُ عِلْماً فَهُوَ يَخبطُ في مَالِهِ بغَيرِ عِلْمٍ لاَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلاَ يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلاَ يَعْلَمُ للهِ فِيهِ حَقّاً فَهذَا بِأَخْبَثِ المَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللهُ مَالاً وَلاَ عِلْماً فَهُوَ يَقُولُ : لَوْ أنَّ لِي مَالاً لَعَمِلْتُ فِيهِ بعَمَلِ فُلاَنٍ فَهُوَ بنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ رواه الترمذي وقال حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১) ইখলাস, সত্যবাদিতা ও সৎ নিয়তের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
১৬. (সহীহ্ লি গাইরিহী) আবু কাবশা আল আনমারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ
’’তিনটি বিষয়ের উপর আমি শপথ করছি এবং তোমাদের কাছে একটি হাদীছ বর্ণনা করছি, তোমরা তা মুখস্ত করে রাখ। তিনি বলেনঃ উক্ত তিনটি বিষয় হল (১) সাদকা করলে কোন বান্দার সম্পদ কমে না। (২) কোন বান্দার উপর জুলুম করা হলে সে যদি ধৈর্য ধারণ করে, তবে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। (৩) যখনই কোন বান্দা ভিক্ষার দরজা খুলে দিবে তখনই আল্লাহ তার জন্য অভাবের দ্বার উন্মুক্ত করে দিবেন।’’ (অথবা তিনি এ জাতীয় একটা কথা বলেছেন) এবং তোমাদের নিকট আরেকটি হাদীছ বর্ণনা করছি, তোমরা উহা মুখস্ত করে রাখঃ
’’দুনিয়াটা চার প্রকার মানুষের জন্য। (১) একজন বান্দা, আল্লাহ তাকে সম্পদ ও জ্ঞান দান করেছেন। সে তাতে তার পালনকর্তাকে ভয় করে, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে এবং তাতে আল্লাহর হক আছে তাও বুঝে (এবং তা আদায় করে)। এব্যাক্তি সর্বোত্তম মর্যাদার অধিকারী। (২) অপর এক বান্দা, আল্লাহ তাকে জ্ঞান দান করেছেন, কিন্তু সম্পদ দেন নাই। কিন্তু সে সৎ নিয়তের অধিকারী। সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত তবে উমুক (প্রথম) ব্যাক্তির ন্যায় তা ব্যবহার করতাম। সে তার নিয়ত অনুযায়ী প্রতিদান পাবে। উভয়ে সমান প্রতিদান পাবে। (৩) তৃতীয় বান্দা, আল্লাহ তাকে সম্পদ দান করেছেন, কিন্তু জ্ঞান দেন নাই। সে স্বীয় সম্পদ মূর্খতাবশতঃ অন্যায় কাজে ব্যয় করে। তাতে নিজ পালনকর্তাকেও ভয় করে না, আত্মীয়তার সম্পর্কও রক্ষা করে না, আল্লাহর কোন হকও আদায় করে না। এ ব্যাক্তি নিকৃষ্টতম মানের অধিকারী। (৪) চতুর্থ বান্দা, আল্লাহ তাকে কোন সম্পদও দেন নাই, জ্ঞানও দান করেন নাই। সে বলেঃ আমার যদি সম্পদ থাকত, তবে উমুক (তৃতীয়) ব্যাক্তির মত (অন্যায় কাজে) তা ব্যয় করতাম, সেও তার নিয়ত অনুযায়ী ফল পাবে। আর উভয় ব্যাক্তির পাপ এক সমান।’’
(হাদীছটি বর্ণনা করেছেন, আহমাদ, তিরমিযী ২৩২৫ ও ইবনে মাজাহ ৪২২৮) তবে ইবনে মাজার বর্ণনা এভাবেঃ
(সহীহ্) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مَثَلُ هَذِهِ الْأُمَّةِ كَمَثَلِ أَرْبَعَةِ نَفَرٍ رَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالًا وَعِلْمًا فَهُوَ يَعْمَلُ بِعِلْمِهِ فِي مَالِهِ يُنْفِقُهُ فِي حَقِّهِ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يُؤْتِهِ مَالًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ هَذَا عَمِلْتُ فِيهِ مِثْلَ الَّذِي يَعْمَلُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُمَا فِي الْأَجْرِ سَوَاءٌ وَرَجُلٌ آتَاهُ اللَّهُ مَالًا وَلَمْ يُؤْتِهِ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ يُنْفِقُهُ فِي غَيْرِ حَقِّهِ وَرَجُلٌ لَمْ يُؤْتِهِ اللَّهُ عِلْمًا وَلَا مَالًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ كَانَ لِي مِثْلُ هَذَا عَمِلْتُ فِيهِ مِثْلَ الَّذِي يَعْمَلُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَهُمَا فِي الْوِزْرِ سَوَاءٌ.
’’এ উম্মতের উদাহরণ চার ব্যাক্তির ন্যায়ঃ (১) এক ব্যাক্তি, আল্লাহ তাকে সম্পদ ও জ্ঞান দান করেছেন। স্বীয় সম্পদে সে ইলম অনুযায়ী আমল করে থাকে। হক পথে তা ব্যয় করে। (২) অপর এক ব্যাক্তি, আল্লাহ তাকে জ্ঞান দান করেছেন, কিন্তু কোন সম্পদ দেন নাই। সে বলেঃ এই ব্যাক্তির মত যদি আমার (সম্পদ) থাকত তবে তার মত আমি তা ব্যবহার করতাম। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উভয় ব্যাক্তি প্রতিদানের ক্ষেত্রে বরাবর। (৩) তৃতীয় এক ব্যাক্তি, আল্লাহ তাকে সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু কোন জ্ঞান দান করেননি, ফলে সে তার সম্পদে মূর্খতা সুলভ আচরণ করে, নাহক পথে তা ব্যয় করে। (৪) চতুর্থ ব্যাক্তি, আল্লাহ তাকে না দিয়েছেন ধন-সম্পদ না দিয়েছেন জ্ঞান। সে বলেঃ এ ব্যাক্তির ন্যায় যদি আমার (সম্পদ) থাকত, তবে এমন ভাবে তা ব্যবহার করতাম, যেমন এ ব্যাক্তি করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ উভয় ব্যাক্তি পাপের ক্ষেত্রে এক সমান।’’
الترغيب في الإخلاص والصدق والنية الصالحة
(16) (صحيح لغيره) وَعَنْ أَبي كَبْشَةَ الْأَنَّمَارِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ثَلَاثَةٌ أُقْسِمُ عَلَيْهِنَّ وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ قَالَ مَا نَقَصَ مَالُ عَبْدٍ مِنْ صَدَقَةٍ وَلَا ظُلِمَ عَبْدٌ مَظْلَمَةً فَصَبَرَ عَلَيْهَا إِلَّا زَادَهُ اللَّهُ عِزًّا وَلَا فَتَحَ عَبْدٌ بَابَ مَسْأَلَةٍ إِلَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ بَابَ فَقْرٍ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا وَأُحَدِّثُكُمْ حَدِيثًا فَاحْفَظُوهُ.
قَالَ إِنَّمَا الدُّنْيَا لِأَرْبَعَةِ نَفَرٍ عَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالًا وَعِلْمًا فَهُوَ يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَيَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَيَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَفْضَلِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ عِلْمًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ مَالًا فَهُوَ صَادِقُ النِّيَّةِ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ بِعَمَلِ فُلَانٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَأَجْرُهُمَا سَوَاءٌ وَعَبْدٍ رَزَقَهُ اللَّهُ مَالًا وَلَمْ يَرْزُقْهُ عِلْمًا فَهُوَ يَخْبِطُ فِي مَالِهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ لَا يَتَّقِي فِيهِ رَبَّهُ وَلَا يَصِلُ فِيهِ رَحِمَهُ وَلَا يَعْلَمُ لِلَّهِ فِيهِ حَقًّا فَهَذَا بِأَخْبَثِ الْمَنَازِلِ وَعَبْدٍ لَمْ يَرْزُقْهُ اللَّهُ مَالًا وَلَا عِلْمًا فَهُوَ يَقُولُ لَوْ أَنَّ لِي مَالًا لَعَمِلْتُ فِيهِ بِعَمَلِ فُلَانٍ فَهُوَ بِنِيَّتِهِ فَوِزْرُهُمَا سَوَاءٌ
رواه أحمد والترمذي واللفظ له وقال حديث حسن صحيح