পরিচ্ছেদঃ ২৪০৯. আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ এবং তিনি সে তিনজনকে ক্ষমা করলেন যাদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত মুলতবী রাখা হয়েছিল, যে পর্যন্ত না পৃথিবী বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও তাদের জন্য অতি সংকুচিত হয়েছিল এবং তাদের জীবন তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়েছিল এবং তারা উপলব্ধি করতে পেরেছিল যে, আল্লাহ ছাড়া কোন আশ্রয়স্থল নেই, পরে তিনি তাদের প্রতি মেহেরবান হলেন, যাতে তারা তাওবা করে, আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ১১৮)
৪৩২০ মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা’আব ইবনু মালিক (রাঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা’আব মালিক (রাঃ) থেকে শুনেছি, যে তিনজনের তওবা কবূল হয়েছিল, তার মধ্যে তিনি একজন। তিনি বদরের যুদ্ধ ও তাবুকের যুদ্ধ এ দুটি ছাড়া অন্য কোন যুদ্ধে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে পশ্চাতে থাকেন নি। কা’আব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুক যুদ্ধ হতে সূর্যোদয়ের সময় মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে আমি (মিথ্যা আযুহাতের পরিবর্তে) সত্যপ্রকাশের দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলাম।
তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যে কোন সফর হতে সাধারণত সূর্যোদয়ের সময়ই ফিরে আসতেন। এবং সর্বপ্রথম মসজিদে গিয়ে দু’রাকাআত নফল সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। (তাবুকের যুদ্ধ থেকে এসে) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে এবং আমার সঙ্গীদের সাথে কথা বলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন, অথচ আমাদের ছাড়া অন্য যারা যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত ছিল, তাদের সাথে কথা বলায় কোন প্রকার বাধা প্রদান করলেন না। সুতরাং লোকেরা আমাদের সাথে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে লাগলেন।
এভাবে চিন্তার বিষয় এ ছিল যে যদি এ অবস্থায় আমার মৃত্যু এসে যায়, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জানাযার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় না করেন, অথবা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাত হলে আমি মানুষের কাছে এই অবস্থায় থেকে যাব তারা কেউ আমার সাথে কথাও বলবে না, আর আমার জানোযার সালাত (নামায/নামাজ)ও আদায় করবে না। এরপর (পঞ্চাশ দিন পর) আল্লাহ তা’আলা আমার তওবা কবূল করে তাঁর [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রতি আয়াত অবতীর্ণ করেন। তখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ বাকী ছিল। সে রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে সালমা (রাঃ) এর কাছে ছিলেন, উম্মে সালমা (রাঃ) আমার প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল ছিলেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মে সালমা! কা’আবের তওবা কবূল করা হয়েছে। উমম সালমা (রাঃ) বললেন, তাকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য কাউকে তাঁর কাছে পাঠাবো? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন খবর পেলে সব লোক এসে সমবেত হবে। তারা তোমাদের ঘুম নষ্ট করে দিবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের পর (সকলের মধ্যে) আমাদের তওবা কবূল হওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। এ (ঘোষণার) সময় (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মুবারক খুশীতে চাঁদের ন্যায় চমকাচ্ছিল। যেসব মুনাফিক মিথ্যা আযুহাত দেখিয়ে [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অসন্তুষ্টি থেকে] রেহাই পেয়েছিল, তাদের চেয়ে তওবা কবূলের ব্যপারে আমরা তিনজন পিছনে পড়ে গিয়েছিলাম, এরপর আল্লাহ তা’আলা আমাদের তওবা কবূল করে আয়াত অবতীর্ণ করেন।
(তাবুকের যুদ্ধে) অনুপস্থিতিদের মধ্যে যারা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে মিথ্যা কথা বলেছে এবং যারা মিথ্যা আযুহাত দেখিয়েছে তাদের অত্যন্ত জঘন্যভাবে নিন্দাবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ’’তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসলে তারা তোমাদের কাছে আযুহাত পেশ করবে, বল, মিথ্যা অযুহাত পেশ করো না, আমরা তোমাদেরকে কখনোই বিশ্বাস করবো না। আল্লাহ আমাদেরকে তোমাদের খবর জানিয়ে দিয়েছেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করবেন। (৯ঃ ৯৪)
باب وعلى الثلاثة الذين خلفوا حتى إذا ضاقت عليهم الأرض بما رحبت وضاقت عليهم أنفسهم وظنوا أن لا ملجأ من الله إلا إليه ثم تاب عليهم ليتوبوا إن الله هو التواب الرحيم
حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ أَعْيَنَ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ، أَنَّ الزُّهْرِيَّ، حَدَّثَهُ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ،، وَهْوَ أَحَدُ الثَّلاَثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ أَنَّهُ لَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةٍ غَزَاهَا قَطُّ غَيْرَ غَزْوَتَيْنِ غَزْوَةِ الْعُسْرَةِ وَغَزْوَةِ بَدْرٍ. قَالَ فَأَجْمَعْتُ صِدْقَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضُحًى، وَكَانَ قَلَّمَا يَقْدَمُ مِنْ سَفَرٍ سَافَرَهُ إِلاَّ ضُحًى وَكَانَ يَبْدَأُ بِالْمَسْجِدِ، فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ، وَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ كَلاَمِي وَكَلاَمِ صَاحِبَىَّ، وَلَمْ يَنْهَ عَنْ كَلاَمِ أَحَدٍ مِنَ الْمُتَخَلِّفِينَ غَيْرِنَا، فَاجْتَنَبَ النَّاسُ كَلاَمَنَا، فَلَبِثْتُ كَذَلِكَ حَتَّى طَالَ عَلَىَّ الأَمْرُ، وَمَا مِنْ شَىْءٍ أَهَمُّ إِلَىَّ مِنْ أَنْ أَمُوتَ فَلاَ يُصَلِّي عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ يَمُوتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكُونَ مِنَ النَّاسِ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ، فَلاَ يُكَلِّمُنِي أَحَدٌ مِنْهُمْ، وَلاَ يُصَلِّي عَلَىَّ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَوْبَتَنَا عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ بَقِيَ الثُّلُثُ الآخِرُ مِنَ اللَّيْلِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ، وَكَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ مُحْسِنَةً فِي شَأْنِي مَعْنِيَّةً فِي أَمْرِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا أُمَّ سَلَمَةَ تِيبَ عَلَى كَعْبٍ ". قَالَتْ أَفَلاَ أُرْسِلُ إِلَيْهِ فَأُبَشِّرَهُ قَالَ " إِذًا يَحْطِمَكُمُ النَّاسُ فَيَمْنَعُونَكُمُ النَّوْمَ سَائِرَ اللَّيْلَةِ ". حَتَّى إِذَا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلاَةَ الْفَجْرِ آذَنَ بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْنَا، وَكَانَ إِذَا اسْتَبْشَرَ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ قِطْعَةٌ مِنَ الْقَمَرِ، وَكُنَّا أَيُّهَا الثَّلاَثَةُ الَّذِينَ خُلِّفُوا عَنِ الأَمْرِ الَّذِي قُبِلَ مِنْ هَؤُلاَءِ الَّذِينَ اعْتَذَرُوا حِينَ أَنْزَلَ اللَّهُ لَنَا التَّوْبَةَ، فَلَمَّا ذُكِرَ الَّذِينَ كَذَبُوا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمُتَخَلِّفِينَ، وَاعْتَذَرُوا بِالْبَاطِلِ، ذُكِرُوا بِشَرِّ مَا ذُكِرَ بِهِ أَحَدٌ قَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ (يَعْتَذِرُونَ إِلَيْكُمْ إِذَا رَجَعْتُمْ إِلَيْهِمْ قُلْ لاَ تَعْتَذِرُوا لَنْ نُؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّأَنَا اللَّهُ مِنْ أَخْبَارِكُمْ وَسَيَرَى اللَّهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُولُهُ) الآيَةَ.
Narrated `Abdullah bin Ka`b:
I heard Ka`b bin Malik who was one of the three who were forgiven, saying that he had never remained behind Allah's Messenger (ﷺ) in any Ghazwa which he had fought except two Ghazwat Ghazwat- Al-`Usra (Tabuk) and Ghazwat-Badr. He added. "I decided to tell the truth to Allah's Messenger (ﷺ) in the forenoon, and scarcely did he return from a journey he made, except in the forenoon, he would go first to the mosque and offer a two-rak`at prayer. The Prophet (ﷺ) forbade others to speak to me or to my two companions, but he did not prohibit speaking to any of those who had remained behind excepting us. So the people avoided speaking to us, and I stayed in that state till I could no longer bear it, and the only thing that worried me was that I might die and the Prophet (ﷺ) would not offer the funeral prayer for me, or Allah's Messenger (ﷺ) might die and I would be left in that social status among the people that nobody would speak to me or offer the funeral prayer for me. But Allah revealed His Forgiveness for us to the Prophet (ﷺ) in the last third of the night while Allah's Messenger (ﷺ) was with Um Salama. Um Salama sympathized with me and helped me in my disaster. Allah's Messenger (ﷺ) said, 'O Um Salama! Ka`b has been forgiven!' She said, 'Shall I send someone to him to give him the good tidings?' He said, 'If you did so, the people would not let you sleep the rest of the night.' So when the Prophet (ﷺ) had offered the Fajr prayer, he announced Allah's Forgiveness for us. His face used to look as bright as a piece of the (full) moon whenever he was pleased. When Allah revealed His Forgiveness for us, we were the three whose case had been deferred while the excuse presented by those who had apologized had been accepted. But when there were mentioned those who had told the Prophet (ﷺ) lies and remained behind (the battle of Tabuk) and had given false excuses, they were described with the worse description one may be described with. Allah said: 'They will present their excuses to you (Muslims) when you return to them. Say: Present no excuses; we shall not believe you. Allah has already informed us of the true state of matters concerning you. Allah and His Apostle will observe your actions." (9.94)
পরিচ্ছেদঃ ৩০৫৮. শাসক আসামী ও অপরাধীদেরকে তার সাথে কথা বলা, দেখা-সাক্ষাৎ ইত্যাদি থেকে বারন করতে পারবেন কিনা?
৬৭৩১। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ), কা’ব (রাঃ) অন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাঁর সন্তানদের থেকে তিনি তাঁকে (কা’ব) পথ দেখাতেন। তিনি বলেন, আমি কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) কে বলতে শুনেছি তিনি বলেন যে, যখন তিনি তাবুকের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যোগদান না করে রয়ে গেলেন। তারপর তিনি পূর্ণ ঘটনা বর্ণনা করে বললেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমদেরকে আমাদের সাথে কথা বলতে নিষেধ করে দিলেন। ফলে পঞ্চাশ রাত আমরা এভাবে অবস্থান করলাম। এরপর আল্লাহ তাআলা আমাদের তওবা কবুল করেছেন বলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানিয়ে দিলেন।
بَابُ هَلْ لِلإِمَامِ أَنْ يَمْنَعَ الْمُجْرِمِينَ وَأَهْلَ الْمَعْصِيَةِ مِنَ الْكَلاَمِ مَعَهُ وَالزِّيَارَةِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ ـ وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيهِ حِينَ عَمِيَ ـ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، قَالَ لَمَّا تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ ـ فَذَكَرَ حَدِيثَهُ ـ وَنَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُسْلِمِينَ عَنْ كَلاَمِنَا، فَلَبِثْنَا عَلَى ذَلِكَ خَمْسِينَ لَيْلَةً، وَآذَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِتَوْبَةِ اللَّهِ عَلَيْنَا.
Narrated `Abdullah bin Ka`b bin Malik:
Who was Ka`b's guide from among his sons when Ka`b became blind: I heard Ka`b bin Malik saying, "When some people remained behind and did not join Allah's Messenger (ﷺ) in the battle of Tabuk.." and then he described the whole narration and said, "Allah's Messenger (ﷺ) forbade the Muslims to speak to us, and so we (I and my companions) stayed fifty nights in that state, and then Allah's Messenger (ﷺ) announced Allah's acceptance of our repentance."
পরিচ্ছেদঃ ৯. কা'ব ইবন মালিক (রাঃ) ও তার দুই সঙ্গীর তাওবার বিবরণ
৬৭৬১। আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু কাব ইবনু মালিক (রাঃ) যিনি অন্ধ হয়ে যাবার পর কাব (রাঃ) এর চালক ছিলেন, বলেছেন, তাবুক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শরীক না হয়ে গৃহে বসে থাকার সময় কাবে ইবনু মালিক (রাঃ) কে আমি একথা বলতে শুনেছি। অতঃপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে তিনি রয়েছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দিকে যুদ্ধ করার জন্য যেতেন সাধারণতঃ অন্য স্থান দিয়ে প্রচ্ছন্ন করতেন (তিনি আলোচনায় ঐ জায়গার কথা উল্লেখ না করে অন্য জায়গার কথা উল্লেখ করতেন)। তবে এ যুদ্ধের কথা পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছিলেন। যুহরীর ভ্রাতুষ্পুত্রের এ হাদীসের মধ্যে আবূ খায়সামার কথা এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে তাঁর মিলিত হওয়ার কথা উল্লেখ নেই।
باب حَدِيثِ تَوْبَةِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ وَصَاحِبَيْهِ
وَحَدَّثَنِي عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنِي يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ عَنْ عَمِّهِ، مُحَمَّدِ بْنِ مُسْلِمٍ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، وَكَانَ، قَائِدَ كَعْبٍ حِينَ عَمِيَ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حَدِيثَهُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَزَادَ فِيهِ عَلَى يُونُسَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَلَّمَا يُرِيدُ غَزْوَةً إِلاَّ وَرَّى بِغَيْرِهَا حَتَّى كَانَتْ تِلْكَ الْغَزْوَةُ . وَلَمْ يَذْكُرْ فِي حَدِيثِ ابْنِ أَخِي الزُّهْرِيِّ أَبَا خَيْثَمَةَ وَلُحُوقَهُ بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
'Abdullah b. K'ab, who was his (Ka'b's) guide as he became blind, reported that he heard from Ka'b b. Malik the story of his staying behind Allah's Messenger (ﷺ) from the expedition of Tabuk. The rest of the hadith is the same (but with this variation) that in the narration transmitted on the authority of Yunus (the words are):
When Allah's Messenger (may. peace be upon him) intended to set on an expedition he kept It as a secret, but. be did not do so in thic. expedition. And in the narration transmitted on the authority of Muhammad b. Abdullah b. Muslim, there is no mention of Abu Khaithana (Allah be pleased with him) and no mention of his meeting with Allah's Messenger (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ২৮৭. নিজের সব মাল কেউ সাদাকা করতে চাইলে সে সম্পর্কে।
৩২৮১. মুহাম্মদ ইবন ইয়াহ্ইয়া (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন কা’ব (রহঃ) তাঁর পিতা হতে এবং তাঁর দাদা হতে উপরিঊক্ত ঘটনা বর্ণনা করেছেন, যাতে রাবী কা’ব (রাঃ) বলেনঃ একদা আমি বলি, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার ইচ্ছা এই যে, আমার সমস্ত মাল হতে মুখ ফিরিয়ে নেব এবং তা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের রাস্তায় খরচ করব। তিনি বলেনঃ না, (তুমি এরূপ করবে না)। তখন আমি বললামঃ তাহলে অর্ধেক দান করি? তিনি বললেনঃ না। তখন আমি বললামঃ তবে তিন ভাগের এক ভাগদান করি? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, (তা করতে পার)। আমি বললামঃ তাহলে আমি আমার খায়বর যুদ্ধে প্রাপ্ত অংশটি রাখলাম।
باب فِيمَنْ نَذَرَ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِمَالِهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، قَالَ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، فِي قِصَّتِهِ قَالَ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِي إِلَى اللَّهِ أَنْ أَخْرُجَ مِنْ مَالِي كُلِّهِ إِلَى اللَّهِ وَإِلَى رَسُولِهِ صَدَقَةً . قَالَ : " لاَ " . قُلْتُ : فَنِصْفَهُ . قَالَ : " لاَ " . قُلْتُ : فَثُلُثَهُ . قَالَ : " نَعَمْ " . قُلْتُ : فَإِنِّي سَأُمْسِكُ سَهْمِي مِنْ خَيْبَرَ .
Narrated Ka'b ibn Malik:
I said: Messenger of Allah, to make my atonement complete I should divest myself of my all property as sadaqah (alms) for Allah and His apostle. He said: No. I said: The half of it. He said: No. I said: Then a third of it. He said: Yes. I said: I shall retain the portion I have at Khaybar.
পরিচ্ছেদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না
৩৪২৬. মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ ইবন কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) বলেনঃ আমি কা’ব ইবন মালিককে তার কথা বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি যখন তাবুক যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে অংশ গ্ৰহণ করা থেকে বিরত রইলেন। তাতে তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত এসে আমাকে বললোঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আদেশ করেছেন যে, আপনি যেন আপনার স্ত্রী থেকে দূরে থাকেন। তখন আমি বললামঃ আমি তাকে তালাক দেব, না কি করবো। তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের নিকট যাও, তাদের নিকট থাকে, যতক্ষণ না আল্লাহর পক্ষ হতে এ ব্যাপারে কোন ফয়সালা আল্লাহ তা’আলা করে দেন।
بَاب الْحَقِي بِأَهْلِكِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمِ بْنِ نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَكِّيِّ بْنِ عِيسَى قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حَدِيثَهُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَقَالَ فِيهِ إِذَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِينِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ح وَأَخْبَرَنِي سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حَدِيثَهُ حِينَ تَخَلَّفَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَزْوَةِ تَبُوكَ وَسَاقَ قِصَّتَهُ وَقَالَ إِذَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَعْتَزِلَ امْرَأَتَكَ فَقُلْتُ أُطَلِّقُهَا أَمْ مَاذَا قَالَ لَا بَلْ اعْتَزِلْهَا فَلَا تَقْرَبْهَا فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي الْحَقِي بِأَهْلِكِ فَكُونِي عِنْدَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ فِي هَذَا الْأَمْرِ
Ka'b bin Malik narrated the Hadith about when he stayed behind, and did not join the Messenger of Allah on the expedition to Tabuk. He told the story, and said:
"The envoy of the Messenger of Allah came to me and said: 'The Messenger of Allah commands you to stay away from your wife.' I said: 'Shall I divorce her or what?' He said: 'No, just keep away from her and do not approach her.' I said to my wife: 'Go to your family and stay with them until Allah, the Mighty and Sublime, decides concerning this matter.'"
পরিচ্ছেদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না
৩৪২৭. মুহাম্মদ ইবন জাবালা এবং মুহাম্মদ ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন আবদুল্লাহ্ ইবন কা’ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা’ব ইবন মালিককে বলতে শুনেছিঃ তিনি ঐ তিন ব্যক্তির একজন, যার গুনাহ ক্ষমা করা হয়েছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এবং আমার অন্য দুই সাথীর নিকট সংবাদ পাঠান যে, তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের থেকে দূরে থাক। তখন আমি ঐ দূতকে জিজ্ঞাসা করলামঃ আমি কি আমার স্ত্রীকে তালাক দেব, না কি করবো? তিনি বললেনঃ না, বরং তার থেকে দূরে থাকুন, তার কাছে যাবেন না। তখন আমি আমার স্ত্রীকে বললামঃ তুমি তোমার পরিবারের লোকদের নিকট যাও এবং তাদের সাথে থাক। তখন সে তাদের নিকট চলে যায়।
بَاب الْحَقِي بِأَهْلِكِ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ جَبَلَةَ وَمُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُوسَى بْنِ أَعْيَنَ قَالَ حَدَّثَنَا أَبِي عَنْ إِسْحَقَ بْنِ رَاشِدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبِي كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ قَالَ وَهُوَ أَحَدُ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ يُحَدِّثُ قَالَ أَرْسَلَ إِلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَإِلَى صَاحِبَيَّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تَعْتَزِلُوا نِسَاءَكُمْ فَقُلْتُ لِلرَّسُولِ أُطَلِّقُ امْرَأَتِي أَمْ مَاذَا أَفْعَلُ قَالَ لَا بَلْ تَعْتَزِلُهَا فَلَا تَقْرَبْهَا فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي الْحَقِي بِأَهْلِكِ فَكُونِي فِيهِمْ فَلَحِقَتْ بِهِمْ
'Abdur-Rahman bin 'Abdullah bin Ka'b bin Malik narrated that his father said:
"I heard my father Ka'b bin Malik -who was one of the three whose repentance was accepted- say: 'The Messenger of Allah sent word to me and to my two companions saying: The Messenger of Allah commands you to keep away from your wives. I said to his envoy: Shall I divorce my wife, or what should I do? He said: No, just keep away from her, and do not approach her. I said to my wife: Go to your family and stay with them. So she went to them.'
পরিচ্ছেদঃ ১৮. (الْحَقِي بِأَهْلِكِ) অর্থাৎ কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলেঃ 'তুমি তোমার পরিবারের লোকদের সাথে মিলিত হও', আর এরূপ বলাতে সে তালাকের ইচ্ছা করে না
৩৪৩০. মুহাম্মদ ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন কা’ব ইবন মালিক তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দূত আমার নিকট এসে আমাকে বললেন, আপনি আপনার স্ত্রী হতে দূরে থাকুন। তখন আমি বললাম, আমি কি তাকে তালাক দেব? তিনি বললেন, না, কিন্তু তার কাছে যাবেন না। এতে তিনি “তুমি তোমার পরিবারের সাথে গিয়ে থাক” উল্লেখ করেন নি।
بَاب الْحَقِي بِأَهْلِكِ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ وَهُوَ ابْنُ ثَوْرٍ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ فِي حَدِيثِهِ إِذَا رَسُولٌ مِنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَتَانِي فَقَالَ اعْتَزِلْ امْرَأَتَكَ فَقُلْتُ أُطَلِّقُهَا قَالَ لَا وَلَكِنْ لَا تَقْرَبْهَا وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ الْحَقِي بِأَهْلِكِ
It was narrated from 'Abdur-Rahman bin Ka'b bin Malik that his father said:
"The envoy of the Messenger of Allah came to me and said: 'Keep away from your wife.' I said: 'Should I divorce her?' He said: 'No, but do not approach her.'" And he (the narrator) did not mention (the words): "Go to your family."
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. জ্ঞানের প্রচারক
৩/২৩২। আব্দুর রহমান বিন আবদুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি আমার নিকট হতে একটি হাদীস শুনে তা অন্যদের নিকট পৌঁছিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেন। কখনো শ্রোতার চেয়ে প্রচারক অধিকতর স্মৃতিধর হয়ে থাকে।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩২৩০।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির ভাবার্থ হলো এই যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাসূলের নির্ভরযোগ্য হাদীসের যত্নসহকারে প্রচার করবে, আল্লাহ তাকে দুনিয়া ও পরকালে উচ্চ মর্যাদা প্রদান করবেন এবং তাকে জান্নাতের সুখ বা নেয়ামত প্রদানের সাথে সাথে বিশেষ সৌন্দর্যে সুশোভিত করবেন।
২। যারা আল্লাহর রাসূলের হাদীসের প্রতি আন্তরিকভাবে ও সততার সহিত নির্ভেজাল পন্থায় যত্নবান হতে পারবে। তাদের জন্য এই হাদীসটির মধ্যে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর এই দোয়া রয়েছে যে, তারা জান্নাতের সুখ বা নেয়ামত লাভ করার সাথে সাথে বিশেষ সৌন্দর্য লাভ করবে।
৩। বৈধ ও চিত্তাকর্ষক বিভিন্ন প্রকারের মাধ্যম এবং পদ্ধতির দ্বারা আল্লাহর রাসূলের নির্ভরযোগ্য হাদীসের যত্নসহকারে প্রচার করার প্রতি এই হাদীসটি উৎসাহ প্রদান করে।
بَاب مَنْ بَلَّغَ عِلْمًا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْوَلِيدِ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " نَضَّرَ اللَّهُ امْرَأً سَمِعَ مِنَّا حَدِيثًا فَبَلَّغَهُ فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَحْفَظُ مِنْ سَامِعٍ " .
'Abdur-Rahman bin 'Abdullah narrated from his father that:
The Prophet said: "May Allah cause his face to shine, the man who hears a Hadith from us and conveys it, for perhaps the one to whom it is conveyed may remember it better than the one who (first) hears it."
পরিচ্ছেদঃ ৬৩/৪৩. মক্কাহ্য় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আনসারের প্রতিনিধি দল এবং আকাবার বায়‘আত।
৩৮৮৯. ‘আবদুল্লাহ ইবনু কা‘ব (রহ.) যিনি কা‘ব এর পথ প্রদর্শক ছিলেন যখন কা‘ব অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি বলেন, আমি কা‘ব ইবনু মালিক (রাঃ)-কে তাবূক যুদ্ধকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে তাঁর পশ্চাতে হতে যাওয়ার ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করতে শুনেছি। ইবনু বুকায়র তাঁর বর্ণনায় এ কথাটিও বলেন যে, কা‘ব (রাঃ) বলেছেন, আমি ‘আকাবার রাতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। যখন আমরা ইসলামের উপর দৃঢ় থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম। সে রাত্রের পরিবর্তে বাদ্র যুদ্ধে উপস্থিত হওয়া আমার নিকট অধিক প্রিয় নয়, যদিও বাদ্র যুদ্ধ জনগণের মধ্যে ‘আকাবার চেয়ে বেশি আলোচিত ছিল। (২৭৫৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬০৭)
بَابُ وُفُوْدِ الْأَنْصَارِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمَكَّةَ وَبَيْعَةِ الْعَقَبَةِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ ح حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ كَعْبٍ وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ حِيْنَ عَمِيَ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ يُحَدِّثُ حِيْنَ تَخَلَّفَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةِ تَبُوكَ بِطُوْلِهِ قَالَ ابْنُ بُكَيْرٍ فِيْ حَدِيْثِهِ وَلَقَدْ شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْعَقَبَةِ حِيْنَ تَوَاثَقْنَا عَلَى الْإِسْلَامِ وَمَا أُحِبُّ أَنَّ لِيْ بِهَا مَشْهَدَ بَدْرٍ وَإِنْ كَانَتْ بَدْرٌ أَذْكَرَ فِي النَّاسِ مِنْهَا
Narrated `Abdullah bin Ka`b:
Who was Ka`b's guide when Ka`b turned blind: I heard Ka`b bin Malik narrating: When he remained behind (i.e. did not Join) the Prophet (ﷺ) in the Ghazwa of Tabuk. Ibn Bukair, in his narration stated that Ka`b said, " I witnessed the Al-`Aqaba pledge of allegiance at night with the Prophet (ﷺ) when we jointly agreed to support Islam with all our efforts I would not like to have attended the Badr battle instead of that 'Aqaba pledge although Badr is more well-known than it, amongst the people."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৯/১৮. আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আল্লাহ কৃপাদৃষ্টি করলেন নাবীর প্রতি এবং মুহাজির ও আনসারদের প্রতিও, যারা তার অনুসরণ করেছিল অতি কঠিন মুহূর্তে এমনকি যখন তাদের এক দলের অন্তর বক্রতার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। তারপর আল্লাহ তাদের তাওবা ক্ববূল করলেন। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের প্রতি পরম মমতাময়, পরম দয়ালু। (সূরাহ বারাআত ৯/১১৭)
৪৬৭৬. ’আবদুর রহমান ইবনু কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত। কা’ব (রাঃ) যখন অন্ধ হয়ে পড়লেন, তখন তার ছেলেদের মধ্যে যার সাহায্যে তিনি চলাফেরা করতেন, সেই ’আবদুল্লাহ বিন কা’ব বলেন, আমি (আমার পিতা) কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ)-এর কাছে وَعَلَى الثَلَاثَةِ এ আয়াত- সম্পর্কে হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি তার ঘটনা বর্ণনার সর্বশেষে বলতেন, আমি আমার তওবা কবূল হওয়ার খুশীতে আমার সকল মাল আল্লাহ ও তার রাসূলের পথে দান করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কিছু মাল নিজের জন্য রেখে দাও। এটাই তোমার জন্য কল্যাণকর হবে। [২৭৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩১৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১৬)
بَاب قَوْلِهِ :{لَقَدْ تَّابَ اللهُ عَلَى النَّبِيِّ وَالْمُهٰجِرِيْنَ وَالْأَنْصَارِ الَّذِيْنَ اتَّبَعُوْهُ فِيْ سَاعَةِ الْعُسْرَةِ مِنْم بَعْدِ مَا كَادَ يَزِيْغُ قُلُوْبُ فَرِيْقٍ مِّنْهُمْ ثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ طإِنَّه” بِهِمْ رَؤُوْفٌ رَّحِيْمٌ لا}.
أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ يُوْنُسُ ح قَالَ أَحْمَدُ وَحَدَّثَنَا عَنْبَسَةُ حَدَّثَنَا يُوْنُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ كَعْبٍ وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيْهِ حِيْنَ عَمِيَ قَالَ سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ فِيْ حَدِيْثِهِ وَعَلَى الثَلَاثَةِ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْا قَالَ فِيْ آخِرِ حَدِيْثِهِ إِنَّ مِنْ تَوْبَتِيْ أَنْ أَنْخَلِعَ مِنْ مَالِيْ صَدَقَةً إِلَى اللهِ وَإِلَى رَسُوْلِهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَمْسِكْ بَعْضَ مَالِكَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ
Narrated `Abdullah bin Ka`b:
I heard Ka`b bin Malik talking about the Verse:-- 'And to the three (He also forgave) who remained behind.' (9.118) saying in the last portion of his talk, "(I said), 'As a part (sign) of my repentance, I would like to give up all my property in the cause of Allah and His Apostle,' The Prophet (ﷺ) said to me, 'Keep some of your wealth as it is good for you." (To the three (He also forgave) who remained behind till for them the earth, vast as it is, was straitened..." (9.118)
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৯/১৯. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ আর ঐ তিন ব্যক্তির প্রতিও তিনি কৃপাদৃষ্টি করলেন যাদের ব্যাপার (তাওবাহ) স্থগিত রাখা হয়েছিল। এমনকি যখন যমীন প্রশস্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের উপর সংকুচিত হয়ে গেল এবং তাদের জীবনও তাদের জন্য সংকীর্ণ হয়ে পড়ল। আর তারা বুঝতে পারল যে, আল্লাহর দিকে রুজু হওয়া ব্যতীত কোন আশ্রয় পাওয়ার উপায় নেই, তখন তিনি তাদের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করলেন, যাতে তারা তাওবাহ করে। নিশ্চয় আল্লাহই মহান তাওবাহ ক্ববূলকারী, পরম দয়ালু। (সূরাহ বারাআত ৯/১১৮)
৪৬৭৭. ’আবদুর রহমান ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রহ.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতা কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে শুনেছি, যে তিনজনের তওবা কবূল হয়েছিল, তার মধ্যে তিনি একজন। তিনি বদরের যুদ্ধ ও তাবূকের যুদ্ধ এ দু’টি ব্যতীত অন্য কোন যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর থেকে পশ্চাতে থাকেননি। কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবূক যুদ্ধ হতে সূর্যোদয়ের সময় মদিনা্য় ফিরে আসলে আমি (মিথ্যার পরিবর্তে) সত্য প্রকাশের দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলাম। তিনি [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম] যে কোন সফর হতে সাধারণত সূর্যোদয়ের সময় ফিরে আসতেন এবং সর্বপ্রথম মসজিদে গিয়ে দু’রাক’আত নফল সালাত আদায় করতেন। (তাবূকের যুদ্ধ থেকে এসে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সঙ্গে এবং আমার সঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন, অথচ আমাদের ব্যতীত অন্য যারা যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত ছিল, তাদের সঙ্গে কথা বলায় কোন প্রকার বাধা প্রদান করলেন না।
সুতরাং লোকেরা আমাদের সঙ্গে কথা বলা থেকে বিরত থাকতে লাগলেন। আমার কাছে সবচেয়ে বড় ব্যাপার ছিল যে, যদি এ অবস্থায় আমার মৃত্যু এসে যায়, আর নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জানাযাহর সালাত আদায় না করেন, অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত হলে আমি মানুষের কাছে এই অবস্থায় থেকে যাব তারা কেউ আমার সঙ্গে কথাও বলবে না, আর আমার জানাযার সালাতও আদায় করবে না। এরপর (পঞ্চাশ দিন পর) আল্লাহ তা’আলা আমার তওবা কবূল করে তাঁর [নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর] প্রতি আয়াত অবতীর্ণ করেন। তখন রাতের শেষ-তৃতীয়াংশ বাকী ছিল।
সে রাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর কাছে ছিলেন, উম্মু সালামাহ (রাঃ) আমার প্রতি সদয় ও সহানুভূতিশীল ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে উম্মু সালামাহ! কা’বের তওবা কবূল করা হয়েছে। উম্মু সালামাহ (রাঃ) বললেন, তাকে সুসংবাদ দেয়ার জন্য কাউকে তার কাছে পাঠাব? নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন খবর পেলে সব লোক এসে জমা হয়ে যাবে। তারা তোমাদের ঘুম নষ্ট করে দিবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত আদায়ের পর আমাদের তওবা কবূল হওয়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা খুশীতে এমন চমকাচ্ছিল যেন চাঁদের টুকরা।
যেসব মুনাফিক মিথ্যা অজুহাত দেখিয়ে [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অসন্তুষ্টি থেকে] রেহাই পেয়েছিল, তাদের চেয়ে তওবা কবূলের ব্যাপারে আমরা তিনজন পিছনে পড়ে গিয়েছিলাম, এরপর আল্লাহ তা’আলা আমাদের তওবা কবূল করে আয়াত অবতীর্ণ করেন।
(তাবূকের যুদ্ধে) অনুপস্থিতদের মধ্যে যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে মিথ্যা কথা বলেছে এবং যারা মিথ্যা অজুহাত দেখিয়েছে তাদের জঘন্যভাবে নিন্দাবাদ করা হয়েছে। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন, ’’তারা তোমাদের কাছে ওযর পেশ করবে যখন তোমরা তাদের কাছে ফিরে আসবে। আপনি বলে দিনঃ তোমরা ওযর পেশ করো না, আমরা কখনও তোমাদের বিশ্বাস করব না; আল্লাহ তো আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন তোমাদের খবর; আর ভবিষ্যতেও আল্লাহ তোমাদের কার্যকলাপ লক্ষ্য রাখবেন এবং তাঁর রাসূলও’’- (সূরাহ বারাআত ৯/৯৪)।[২৭৫৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৩১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৩১৭)
بَاب :{وَّعَلَى الثَّلٰثَةِ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْا طحَتّٰىٓ إِذَا ضَاقَتْ عَلَيْهِمُ الْأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ وَضَاقَتْ عَلَيْهِمْ أَنْفُسُهُمْ وَظَنُّوْآ أَنْ لَّا مَلْجَأَ مِنَ اللهِ إِلَّآ إِلَيْهِ طثُمَّ تَابَ عَلَيْهِمْ لِيَتُوْبُوْا طإِنَّ اللهَ هُوَ التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ ع}.
مُحَمَّدٌ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ابْنُ أَبِيْ شُعَيْبٍ حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ أَعْيَنَ حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ رَاشِدٍ أَنَّ الزُّهْرِيَّ حَدَّثَهُ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبِيْ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ وَهُوَ أَحَدُ الثَلَاثَةِ الَّذِيْنَ تِيْبَ عَلَيْهِمْ أَنَّهُ لَمْ يَتَخَلَّفْ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِيْ غَزْوَةٍ غَزَاهَا قَطُّ غَيْرَ غَزْوَتَيْنِ غَزْوَةِ الْعُسْرَةِ وَغَزْوَةِ بَدْرٍ قَالَ فَأَجْمَعْتُ صِدْقِيْ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ضُحًى وَكَانَ قَلَّمَا يَقْدَمُ مِنْ سَفَرٍ سَافَرَهُ إِلَّا ضُحًى وَكَانَ يَبْدَأُ بِالْمَسْجِدِ فَيَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ وَنَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ كَلَامِيْ وَكَلَامِ صَاحِبَيَّ وَلَمْ يَنْهَ عَنْ كَلَامِ أَحَدٍ مِنَ الْمُتَخَلِّفِيْنَ غَيْرِنَا فَاجْتَنَبَ النَّاسُ كَلَامَنَا فَلَبِثْتُ كَذَلِكَ حَتَّى طَالَ عَلَيَّ الْأَمْرُ وَمَا مِنْ شَيْءٍ أَهَمُّ إِلَيَّ مِنْ أَنْ أَمُوْتَ فَلَا يُصَلِّيْ عَلَيَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَوْ يَمُوْتَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكُوْنَ مِنْ النَّاسِ بِتِلْكَ الْمَنْزِلَةِ فَلَا يُكَلِّمُنِيْ أَحَدٌ مِنْهُمْ وَلَا يُصَلِّيْ وَلَا يُسَلِّمُ عَلَيَّ فَأَنْزَلَ اللهُ تَوْبَتَنَا عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ بَقِيَ الثُّلُثُ الْآخِرُ مِنْ اللَّيْلِ وَرَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عِنْدَ أُمِّ سَلَمَةَ وَكَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ مُحْسِنَةً فِيْ شَأْنِيْ مَعْنِيَّةً فِيْ أَمْرِيْ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا أُمَّ سَلَمَةَ تِيْبَ عَلَى كَعْبٍ قَالَتْ أَفَلَا أُرْسِلُ إِلَيْهِ فَأُبَشِّرَهُ قَالَ إِذًا يَحْطِمَكُمْ النَّاسُ فَيَمْنَعُوْنَكُمْ النَّوْمَ سَائِرَ اللَّيْلَةِ حَتَّى إِذَا صَلَّى رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَاةَ الْفَجْرِ آذَنَ بِتَوْبَةِ اللهِ عَلَيْنَا وَكَانَ إِذَا اسْتَبْشَرَ اسْتَنَارَ وَجْهُهُ حَتَّى كَأَنَّهُ قِطْعَةٌ مِنَ الْقَمَرِ وَكُنَّا أَيُّهَا الثَلَاثَةُ الَّذِيْنَ خُلِّفُوْا عَنِ الْأَمْرِ الَّذِيْ قُبِلَ مِنْ هَؤُلَاءِ الَّذِيْنَ اعْتَذَرُوْا حِيْنَ أَنْزَلَ اللهُ لَنَا التَّوْبَةَ فَلَمَّا ذُكِرَ الَّذِيْنَ كَذَبُوْا رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الْمُتَخَلِّفِيْنَ وَاعْتَذَرُوْا بِالْبَاطِلِ ذُكِرُوْا بِشَرِّ مَا ذُكِرَ بِهِ أَحَدٌ قَالَ اللهُ سُبْحَانَهُ (يَعْتَذِرُوْنَ إِلَيْكُمْ إِذَا رَجَعْتُمْ إِلَيْهِمْ طقُلْ لَّا تَعْتَذِرُوْا لَنْ نُّؤْمِنَ لَكُمْ قَدْ نَبَّأَنَا اللهُ مِنْ أَخْبَارِكُمْ طوَسَيَرَى اللهُ عَمَلَكُمْ وَرَسُوْلُه”) الْآيَةَ.
Narrated `Abdullah bin Ka`b:
I heard Ka`b bin Malik who was one of the three who were forgiven, saying that he had never remained behind Allah's Messenger (ﷺ) in any Ghazwa which he had fought except two Ghazwat Ghazwat- Al-`Usra (Tabuk) and Ghazwat-Badr. He added. "I decided to tell the truth to Allah's Messenger (ﷺ) in the forenoon, and scarcely did he return from a journey he made, except in the forenoon, he would go first to the mosque and offer a two-rak`at prayer. The Prophet (ﷺ) forbade others to speak to me or to my two companions, but he did not prohibit speaking to any of those who had remained behind excepting us. So the people avoided speaking to us, and I stayed in that state till I could no longer bear it, and the only thing that worried me was that I might die and the Prophet (ﷺ) would not offer the funeral prayer for me, or Allah's Messenger (ﷺ) might die and I would be left in that social status among the people that nobody would speak to me or offer the funeral prayer for me. But Allah revealed His Forgiveness for us to the Prophet (ﷺ) in the last third of the night while Allah's Messenger (ﷺ) was with Um Salama. Um Salama sympathized with me and helped me in my disaster. Allah's Messenger (ﷺ) said, 'O Um Salama! Ka`b has been forgiven!' She said, 'Shall I send someone to him to give him the good tidings?' He said, 'If you did so, the people would not let you sleep the rest of the night.' So when the Prophet (ﷺ) had offered the Fajr prayer, he announced Allah's Forgiveness for us. His face used to look as bright as a piece of the (full) moon whenever he was pleased. When Allah revealed His Forgiveness for us, we were the three whose case had been deferred while the excuse presented by those who had apologized had been accepted. But when there were mentioned those who had told the Prophet (ﷺ) lies and remained behind (the battle of Tabuk) and had given false excuses, they were described with the worse description one may be described with. Allah said: 'They will present their excuses to you (Muslims) when you return to them. Say: Present no excuses; we shall not believe you. Allah has already informed us of the true state of matters concerning you. Allah and His Apostle will observe your actions." (9.94)
পরিচ্ছেদঃ ১১. যে শব্দ দ্বারা তালাক হতে পারে বা এবং নিয়্যাত
২২০২। আব্দুর রহমাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। কা’ব ইবনু মালিক (রহ.) যখন অন্ধ হয়ে যান, তখন তাঁর সন্তানদের মধ্য থেকে আব্দুল্লাহ ইবনু কা’ব ছিলেন তার পথ প্রদর্শক। তিনি বর্ণনা করেন, আমি কা’ব ইবনু মালিক (রাযি.)-কে বলতে শুনেছি। এরপর তাবুক অভিযানের পূর্ব ঘটনা বর্ণনা করেন। কা’ব বলেন, যখন পঞ্চাশ দিন থেকে চল্লিশ দিন অতিবাহিত হয় তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দূত আমার কাছে এসে বললো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে আপনার স্ত্রী থেকে পৃথক থাকতে বলেছেন। তিনি বলেন, তবে কি আমি তাকে তালাক দিবো, না কি রাখবো? সে বললো, না, বরং বিচ্ছিন্ন রাখুন এবং সহবাস মেলামেশা করবেন না। আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, তুমি তোমার পরিবারের কাছে চলে যাও এবং তাদের সাথে অবস্থান করো যতক্ষণ না মহান আল্লাহ আমার এ বিষয়ে কোনো ফায়সালা দেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِيمَا عُنِيَ بِهِ الطَّلَاقُ وَالنِّيَّاتُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ السَّرْحِ، وَسُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، قَالَا: أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، - وَكَانَ قَائِدَ كَعْبٍ مِنْ بَنِيهِ حِينَ عَمِيَ - قَالَ: سَمِعْتُ كَعْبَ بْنَ مَالِكٍ، فَسَاقَ قِصَّتَهُ فِي تَبُوكَ، قَالَ: حَتَّى " إِذَا مَضَتْ أَرْبَعُونَ مِنَ الْخَمْسِينَ، إِذَا رَسُولُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْتِي، فَقَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَأْمُرُكَ أَنْ تَعْتَزِلَ امْرَأَتَكَ، قَالَ: فَقُلْتُ: أُطَلِّقُهَا أَمْ مَاذَا أَفْعَلُ؟، قَالَ: لَا، بَلِ اعْتَزِلْهَا فَلَا تَقْرَبَنَّهَا، فَقُلْتُ لِامْرَأَتِي: الْحَقِي بِأَهْلِكِ فَكُونِي عِنْدَهُمْ حَتَّى يَقْضِيَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ فِي هَذَا الْأَمْرِ
صحيح
‘Abd Allah bin Ka’b reported “I heard Ka’ab bin Malik. He then narrated his story about the battle of Tabuk.(Narrating the story) he added “When forty out of fifty days passed”, the messenger of the Apostle of Allaah(ﷺ) came and said “The Apostle of Allaah(ﷺ) has commanded you to keep away from your wife. He said “So, I (Ka’b bin Malik)” said “Should I divorce her or what should I do? He said “No, but only keep away from her and do not go near her”. So, I said to my wife “Go to your people and live with them until Allaah, the exalted makes a decision in this matter.”
পরিচ্ছেদঃ ৪০. যে ব্যক্তি নিজের অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়
২৫৩৮। ’আব্দুর রাহমান ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। সালামাহ ইবনুল আকওয়া’ (রাঃ) বলেন, খায়বার যুদ্ধে আমার ভাই কঠোরভাবে যুদ্ধ করলেন। ঘটনাক্রমে নিজের তরবারি তার দিকে ঘুরে গেলে এর আঘাতেই তিনি নিহত হন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ বলাবলি করলেন এবং তার মৃত্যুর ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে বললেন, তিনি তো নিজ অস্ত্রের আঘাতে মারা গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সে জিহাদকারী মুজাহিদ হিসেবে মারা গেছে। বর্ণনাকারী ইবনু শিহাব (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমি সালামাহ ইবনুল আকওয়া’র এক ছেলেকে জিজ্ঞেস করলে সেও তার পিতার সূত্রে একই কথা বললো। তবে সে এও বলেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাদের ধারণা মিথ্যা। সে জিহাদকারী মুজাহিদ হিসেবে মারা গেছে এবং তার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে।[1]
بَابٌ فِي الرَّجُلِ يَمُوتُ بِسِلَاحِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ: أَبُو دَاوُدَ: قَالَ أَحْمَدُ: كَذَا قَالَ: هُوَ يَعْنِي ابْنَ وَهْبٍ، وَعَنْبَسَةُ يَعْنِي ابْنَ خَالِدٍ، جَمِيعًا عَنْ يُونُسَ، قَالَ أَحْمَدُ، وَالصَّوَابُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ سَلَمَةَ بْنَ الْأَكْوَعِ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ خَيْبَرَ قَاتَلَ أَخِي قِتَالًا شَدِيدًا، فَارْتَدَّ عَلَيْهِ سَيْفُهُ فَقَتَلَهُ، فَقَالَ أَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي ذَلِكَ: وَشَكُّوا فِيهِ رَجُلٌ مَاتَ بِسِلَاحِهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: ثُمَّ سَأَلْتُ ابْنًا لِسَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ، فَحَدَّثَنِي عَنْ أَبِيهِ بِمِثْلِ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَذَبُوا مَاتَ جَاهِدًا مُجَاهِدًا، فَلَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ
صحيح
Salamah bin Al Akwa’ said “On the day of the battle of the Khaibar, my brother fought desperately. But his sword fell back on him and killed him. The Companions of the Apostle of Allaah(ﷺ) talked about him and doubted it (his martyrdom) saying “A man who died with his own weapon”. The Apostle of Allaah(ﷺ) said “he died as a warrior striving in the path of Allaah. Ibn Shihab said “I asked the son of Salamah bin Al Akwa’.” He narrated to me on the authority of his father similar to that except that he said “The Apostle of Allaah(ﷺ) said “They told a lie, he died as a warrior striving in the path of Allaah. There is a double reward for him.””
পরিচ্ছেদঃ ১২২. শত্রুকে আগুনে পোড়ানো অপছন্দনীয়
২৬৭৫। ’আব্দুর রাহমান ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সফর সঙ্গী ছিলাম। তিনি তাঁর প্রয়োজনে অন্যত্র গেলেন। ’আমরা দু’টি বাচ্চাসহ একটি পাখি দেখতে পেয়ে বাচ্চা দুটোকে ধরে নিলাম। মা পাখিটা সাথে সাথে আসলো এবং পাখা ঝাঁপটিয়ে বাচ্চার জন্য অস্থিরতা প্রকাশ করতে লাগলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এসে বললেনঃ কে এর বাচ্চা নিয়ে এসে একে অস্থিরতায় ফেলেছে? বাচ্চাগুলো এদের মায়ের কাছে ফিরিয়ে দাও। তিনি আমাদের পুড়িয়ে দেয়া একটা পিঁপড়ার টিবি দেখতে পেয়ে বললেনঃ কে এগুলো পুড়িয়েছে? ’আমরা বললাম, ’আমরা। তিনি বললেনঃ আগুনের রব ব্যতীত আগুন দিয়ে কিছুকে শাস্তি দেয়ার কারো অধিকার নেই।[1]
بَابٌ فِي كَرَاهِيَةِ حَرْقِ الْعَدُوِّ بِالنَّارِ
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سَعْدٍ - قَالَ: غَيْرُ أَبِي صَالِحٍ - عَنِ الْحَسَنِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ فَرَأَيْنَا حُمَرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا، فَجَاءَتِ الْحُمَرَةُ فَجَعَلَتْ تَفْرِشُ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا؟ رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا. وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا فَقَالَ: مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ؟ قُلْنَا: نَحْنُ. قَالَ: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Mas'ud:
We were with the Messenger of Allah (ﷺ) during a journey. He went to ease himself. We saw a bird with her two young ones and we captured her young ones. The bird came and began to spread its wings. The Messenger of Allah (ﷺ) came and said: Who grieved this for its young ones? Return its young ones to it. He also saw an ant village that we had burnt. He asked: Who has burnt this? We replied: We. He said: It is not proper to punish with fire except the Lord of fire.
পরিচ্ছেদঃ ২২. মদীনাহ্ থেকে ইয়াহুদীদের কিভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে
৩০০০। ’আব্দুর রাহমান ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। কা’ব ইবনু মালিক (রাঃ) ছিলেন ঐ তিনজনের অন্যতম যাদের তওবা কবূল হয়। কা’ব ইবনু আশরাফ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে কুরাইশ কাফিরদের উত্তেজিত করতো এবং উসকানি দিতো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর পরিবার যখন হিজরত করে মদীনায় আসেন, তখন সেখানে সব ধরণের লোকেরা বসবাস করতো।
তাদের মধ্যে কিছু ছিলো মুসলিম, কিছু মূর্তিপূজারী মুশরিক এবং কিছু ইয়াহুদী সম্প্রদায়ভুক্ত। ইয়াহুদীরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীদের কষ্ট দিতো। মহান আল্লাহ তাঁর নবীকে ধৈর্য ধারণ ও উদারতা প্রদর্শনের নির্দেশ দেন। তাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ ’’তোমরা আহলে কিতাব ও মুশরিকদের কাছ থেকে বহু কষ্টদায়ক কথা শুনতে পাবে।’’[সূরা আলে ইমরানঃ ১৮৬]
কা’ব ইবনু আশরাফ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কষ্ট দেয়া থেকে রিবত থাকতে অস্বীকার করলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে হত্যা করতে সা’দ ইবনু মু’আয (রাঃ)-কে একটি দল প্রেরণের নির্দেশ দেন। অতঃপর বর্ণনাকারী তার হত্যার ঘটনা বর্ণনা করেনঃ কা’ব ইবনু আশরাফকে হত্যা করা হলে ইয়াহুদী ও মুশরিকরা ভীত হয়ে পড়লো। সকালবেলা তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বললো, রাতের বেলা কিছু লোক আমাদের সাথীর কাছে এসে তাকে হত্যা করেছে।
কা’ব ইবনু আশরাফ যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতো তিনি তাদেরকে তা জানান। তারপর ইয়াহুদী ও মুশরিকদেরকে তাদের বিরোধী আচরণ বর্জনের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মধ্যে ও তাদের মধ্যে একটি চুক্তি করতে আহবান জানালেন। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের, তাদের ও সকল মুসলিমের পক্ষ থেকে একটি চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন।[1]
بَابُ كَيْفَ كَانَ إِخْرَاجُ الْيَهُودِ مِنَ الْمَدِينَةِ؟
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ فَارِسٍ، أَنَّ الْحَكَمَ بْنَ نَافِعٍ، حَدَّثَهُمْ قَالَ: أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ أَبِيهِ، وَكَانَ أَحَدَ الثَّلَاثَةِ الَّذِينَ تِيبَ عَلَيْهِمْ، وَكَانَ كَعْبُ بْنُ الْأَشْرَفِ يَهْجُو النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَيُحَرِّضُ عَلَيْهِ كُفَّارَ قُرَيْشٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ قَدِمَ الْمَدِينَةَ، وَأَهْلُهَا أَخْلَاطٌ، مِنْهُمُ الْمُسْلِمُونَ، وَالْمُشْرِكُونَ يَعْبُدُونَ الْأَوْثَانَ، وَالْيَهُودُ وَكَانُوا يُؤْذُونَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَصْحَابَهُ، فَأَمَرَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ نَبِيَّهُ بِالصَّبْرِ وَالْعَفْوِ، فَفِيهِمْ أَنْزَلَ اللَّهُ: (وَلَتَسْمَعُنَّ مِنَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ مِنْ قَبْلِكُمْ) [آل عمران: ١٨٦] الْآيَةَ، فَلَمَّا أَبَى كَعْبُ بْنُ الْأَشْرَفِ أَنْ يَنْزِعَ عَنْ أَذَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَمَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَعْدَ بْنَ مُعَاذٍ أَنْ يَبْعَثَ رَهْطًا يَقْتُلُونَهُ، فَبَعَثَ مُحَمَّدَ بْنَ مَسْلَمَةَ، وَذَكَرَ قِصَّةَ قَتْلِهِ، فَلَمَّا قَتَلُوهُ، فَزَعَتِ الْيَهُودُ وَالْمُشْرِكُونَ فَغَدَوْا عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالُوا: طُرِقَ صَاحِبُنَا فَقُتِلَ، فَذَكَرَ لَهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّذِي كَانَ يَقُولُ، وَدَعَاهُمُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَنْ يَكْتُبَ بَيْنَهُ كِتَابًا، يَنْتَهُونَ إِلَى مَا فِيهِ فَكَتَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، بَيْنَهُ وَبَيْنَهُمْ وَبَيْنَ الْمُسْلِمِينَ عَامَّةً صَحِيفَةً
صحيح الإسناد
Ka’ab bin Malik who was one of those whose repentance was accepted said “Ka’ab bin Al Ashraf used to satire the Prophet (ﷺ) and incited the infidels of the Quraish against him. When the Prophet (ﷺ) came to Madeena, its people were intermixed, some of them were Muslims and others polytheists aho worshipped idols and some were Jews. They used to hurt the Prophet (ﷺ) and his Companions. Then Allaah Most High commanded His Prophet to show patience and forgiveness. So Allaah revealed about them “And ye shall certainly hear much that will grieve you from those who receive Book before you”. When Ka’ab bin Al Ashraf refused to desist from hurting the Prophet (ﷺ) the Prophet(ﷺ) ordered Sa’d bin Mu’adh to send a band to kill him. He sent Muhammad bin Maslamah and mentioned the story of his murder. When they killed him, the Jews and the polytheist were frightened. Next day they came to the Prophet (ﷺ) and said “Our Companions were attacked and night and killed.” The Prophet(ﷺ) informed them about that which he would say. The Prophet (ﷺ) then called them so that he could write a deed of agreement between him and them and they should fulfill its provisions and desist from hurting him. He then wrote a deed of agreement between him and them and the Muslims in general.”
পরিচ্ছেদঃ ২৩. বনূ নাযীরের ঘটনা প্রসঙ্গে
৩০০৪। ’আব্দুর রাহমান ইবনু কা’ব মালিক (রহঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী সূত্রে বর্ণনা করেন, কুরাইশ কাফিররা ’আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই এবং তার মূর্তিপূজক সহযোগী আওস ও খাযরাজ গোত্রের লোকদের প্রতি পত্র প্রেরণ করে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন মদীনায় ছিলেন। এটি বদর যুদ্ধের পূর্বের ঘটনা। (চিঠিতে লিখা ছিলো) ’’আমাদের এক ব্যক্তিকে (নবী) তোমরা আশ্রয় দিয়েছো। ’আমরা আল্লাহর শপথ করে বলছি, তোমরা অবশ্যই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরো বা বহিস্কার করো। অন্যথায় ’আমরা সম্মিলিতভাবে তোমাদেরকে আক্রমণ করবো, তোমাদের যুদ্ধবাজ লোকদের হত্যা করবো এবং তোমাদের নারীদেরকে বন্দী করবো।’’ চিঠিটি ’আব্দুল্লাহ ইবনু উবাই ও তার মূর্তিপূজক সঙ্গীদের নিকট পৌঁছলো তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ হলো।
এ সংবাদ পেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে বললেনঃ তোমাদের কাছে কুরাইশদের চরমপত্র এসেছে। আসলে তারা তোমাদের ততটা ক্ষতি করতে পারবে না যতটা ক্ষতি তোমরা নিজেরা নিজেদের জন্য ডেকে আনবে। কেননা তোমরা নিজেদের ভাই-বন্ধু ও সন্তানদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাইছো। তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ কথা শুনে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো। এ কথা কুরাইশ কাফিরদের নিকট পৌঁছলে বদর যুদ্ধের পর কুরাইশ কাফিররা ইয়াহুদীদের প্রতি লিখলোঃ তোমরা অস্ত্রে সসজ্জিত ও দুর্গের অধিকারী ব্যক্তি। তোমরা আমাদের সাথীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো, নতুবা ’আমরা এই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। তখন আমাদের ও তোমাদের নারীদের দাসী বানানোর মাঝে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।
ইয়াহুদীদেরকে লেখা এ পত্রের কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবহিত হলেন। বনূ নাযীর গোত্রের লোকেরা বিশ্বাসঘাতকতা করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লোক পাঠিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললো, আপনি আপনার তিরিশজন সাহাবীকে সাথে নিয়ে বের হন এবং ’আমরাও আমাদের তিরিশজন আলিম সাথে নিয়ে বের হই। ’আমরা উভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে মিলিত হবো। তারা আপনার (ধর্মের) কথা শুনবে। তারা আপনার কথা শুনে আপনার প্রতি ঈমান আনলে ’আমরাও আপনার প্রতি ঈমান আনবো।
তিনি সাহাবীদেরকে তাদের এ প্রস্তাবের কথা জানালেন। পরের দিন সকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সৈন্যসহ তাদের নিকট গিয়ে তাদেরকে অবরোধ করে বললেনঃ আল্লাহর শপথ! তোমরা আমার সাথে চুক্তিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমি তোমাদের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হবো না। কিন্তু তারা চুক্তিবদ্ধ হতে রাজি না হওয়ায় সেদিনই তিনি তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেন। পরের দিন তিনি সৈন্যবাহিনী নিয়ে বনূ নাযীরকে ছেড়ে বনূ কুরাইয়াকে অবরোধ করে তাদেরকে সন্ধির জন্য আহবান করেন। তারা তাঁর সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো। অতঃপর সেখান থেকে ফিরে পরের দিন তিনি সৈন্যবাহিনী নিয়ে বনূ নাযীরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরলেন। তারা দেশত্যাগ করতে সম্মত হয়ে দেশত্যাগ করে। তাদের উটের পিঠে ঘরের দরজা, চৌকাঠ ইত্যাটি যতটা মালামাল নেয়া সম্ভব নিলো।
বনূ নাযীরের বাগান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মালিকানায় এলো। আল্লাহ তাঁকে বিশেষভাবে এ বাগানটি দান করলেন এবং শুধু তাঁর জন্যই নির্দিষ্ট করলেন। মহান আল্লাহ তা’আলাঃ ’’আল্লাহ যে সম্পদ তাদের দখল থেকে বের করে তাঁর রাসূলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য তোমরা ঘোড়া বা উট হাঁকাওনি।’’[সূরা আল-হাশরঃ ৬]
এ সম্পদ বিনা যুদ্ধে অর্জিত হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সম্পদের অধিকাংশই মুহাজিরদের মধ্যে বণ্টন করে দিলেন। দু’জন অভাবী আনসারকেও তিনি এর অংশ দিলেন, তবে অন্য আনসারদের এর অংশ দেননি। সম্পত্তির বাকী অংশ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাদাকাহর খাতে অন্তর্ভুক্ত করেন। এ অংশ ফাতিমাহ (রাঃ)-এর বংশধরদের নিয়ন্ত্রণে ছিলো।[1]
بَابٌ فِي خَبَرِ النَّضِيرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَنَّ كُفَّارَ قُرَيْشٍ كَتَبُوا إِلَى ابْنِ أُبَيٍّ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ مَعَهُ الْأَوْثَانَ مِنَ الْأَوْسِ وَالْخَزْرَجِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ بِالْمَدِينَةِ قَبْلَ وَقْعَةِ بَدْرٍ: إِنَّكُمْ آوَيْتُمْ صَاحِبَنَا، وَإِنَّا نُقْسِمُ بِاللَّهِ لَتُقَاتِلُنَّهُ، أَوْ لَتُخْرِجُنَّهُ أَوْ لَنَسِيرَنَّ إِلَيْكُمْ بِأَجْمَعِنَا حَتَّى نَقْتُلَ مُقَاتِلَتَكُمْ، وَنَسْتَبِيحَ نِسَاءَكُمْ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَيٍّ وَمَنْ كَانَ مَعَهُ مِنْ عَبَدَةِ الْأَوْثَانِ، اجْتَمَعُوا لِقِتَالِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا بَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَقِيَهُمْ، فَقَالَ: لَقَدْ بَلَغَ وَعِيدُ قُرَيْشٍ مِنْكُمُ الْمَبَالِغَ، مَا كَانَتْ تَكِيدُكُمْ بِأَكْثَرَ مِمَّا تُرِيدُونَ أَنْ تَكِيدُوا بِهِ أَنْفُسَكُمْ، تُرِيدُونَ أَنْ تُقَاتِلُوا أَبْنَاءَكُمْ، وَإِخْوَانَكُمْ فَلَمَّا سَمِعُوا ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَفَرَّقُوا، فَبَلَغَ ذَلِكَ كُفَّارَ قُرَيْشٍ، فَكَتَبَتْ كُفَّارُ قُرَيْشٍ بَعْدَ وَقْعَةِ بَدْرٍ إِلَى الْيَهُودِ: إِنَّكُمْ أَهْلُ الْحَلْقَةِ وَالْحُصُونِ، وَإِنَّكُمْ لَتُقَاتِلُنَّ صَاحِبَنَا، أَوْ لَنَفْعَلَنَّ كَذَا وَكَذَا، وَلَا يَحُولُ بَيْنَنَا وَبَيْنَ خَدَمِ نِسَائِكُمْ شَيْءٌ، وَهِيَ الْخَلَاخِيلُ، فَلَمَّا بَلَغَ كِتَابُهُمُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَجْمَعَتْ بَنُو النَّضِيرِ بِالْغَدْرِ، فَأَرْسَلُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اخْرُجْ إِلَيْنَا فِي ثَلَاثِينَ رَجُلًا مِنْ أَصْحَابِكَ، وَلْيَخْرُجْ مِنَّا ثَلَاثُونَ حَبْرًا، حَتَّى نَلْتَقِيَ بِمَكَانِ الْمَنْصَفِ فَيَسْمَعُوا مِنْكَ، فَإِنْ صَدَّقُوكَ وَآمَنُوا بِكَ آمَنَّا بِكَ، فَقَصَّ خَبَرَهُمْ، فَلَمَّا كَانَ الْغَدُ، غَدَا عَلَيْهِمْ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْكَتَائِبِ فَحَصَرَهُمْ، فَقَالَ لَهُمْ: إِنَّكُمْ وَاللَّهِ لَا تَأْمَنُونَ عِنْدِي إِلَّا بِعَهْدٍ تُعَاهِدُونِي عَلَيْهِ، فَأَبَوْا أَنْ يُعْطُوهُ عَهْدًا، فَقَاتَلَهُمْ يَوْمَهُمْ ذَلِكَ، ثُمَّ غَدَا الْغَدُ عَلَى بَنِي قُرَيْظَةَ بِالْكَتَائِبِ، وَتَرَكَ بَنِي النَّضِيرِ وَدَعَاهُمْ إِلَى أَنْ يُعَاهِدُوهُ، فَعَاهَدُوهُ، فَانْصَرَفَ عَنْهُمْ، وَغَدَا عَلَى بَنِي النَّضِيرِ بِالْكَتَائِبِ، فَقَاتَلَهُمْ حَتَّى نَزَلُوا عَلَى الْجَلَاءِ، فَجَلَتْ بَنُو النَّضِيرِ، وَاحْتَمَلُوا مَا أَقَلَّتِ الْإِبِلُ مِنْ أَمْتِعَتِهِمْ، وَأَبْوَابِ بُيُوتِهِمْ، وَخَشَبِهَا، فَكَانَ نَخْلُ بَنِي النَّضِيرِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَاصَّةً، أَعْطَاهُ اللَّهُ إِيَّاهَا وَخَصَّهُ بِهَا، فَقَالَ: (وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ، وَلَا رِكَابٍ) [الحشر: ٦] يَقُولُ: بِغَيْرِ قِتَالٍ، فَأَعْطَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكْثَرَهَا لِلْمُهَاجِرِينَ، وَقَسَمَهَا بَيْنَهُمْ وَقَسَمَ مِنْهَا لِرَجُلَيْنِ مِنَ الْأَنْصَارِ، وَكَانَا ذَوِي حَاجَةٍ لَمْ يَقْسِمْ لِأَحَدٍ مِنَ الْأَنْصَارِ غَيْرِهِمَا، وَبَقِيَ مِنْهَا صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الَّتِي فِي أَيْدِي بَنِي فَاطِمَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا
صحيح الإسناد
Narrated A man from the companions of the Prophet:
AbdurRahman ibn Ka'b ibn Malik reported on the authority of a man from among the companions of the Prophet (ﷺ): The infidels of the Quraysh wrote (a letter) to Ibn Ubayy and to those who worshipped idols from al-Aws and al-Khazraj, while the Messenger of Allah (ﷺ) was at that time at Medina before the battle of Badr.
(They wrote): You gave protection to our companion. We swear by Allah, you should fight him or expel him, or we shall come to you in full force, until we kill your fighters and appropriate your women.
When this (news) reached Abdullah ibn Ubayy and those who were worshippers of idols, with him they gathered together to fight the Messenger of Allah (ﷺ).
When this news reached the Messenger of Allah (ﷺ), he visited them and said: The threat of the Quraysh to you has reached its end. They cannot contrive a plot against you, greater than what you yourselves intended to harm you. Are you willing to fight your sons and brethren? When they heard this from the Prophet (ﷺ), they scattered. This reached the infidels of the Quraysh.
The infidels of the Quraysh again wrote (a letter) to the Jews after the battle of Badr: You are men of weapons and fortresses. You should fight our companion or we shall deal with you in a certain way. And nothing will come between us and the anklets of your women. When their letter reached the Prophet (ﷺ), they gathered Banu an-Nadir to violate the treaty.
They sent a message to the Prophet (ﷺ): Come out to us with thirty men from your companions, and thirty rabbis will come out from us till we meet at a central place where they will hear you. If they testify to you and believe in you, we shall believe in you. The narrator then narrated the whole story.
When the next day came, the Messenger of Allah (ﷺ) went out in the morning with an army, and surrounded them.
He told them: I swear by Allah, you will have no peace from me until you conclude a treaty with me. But they refused to conclude a treaty with him. He therefore fought them the same day.
Next he attacked Banu Quraysh with an army in the morning, and left Banu an-Nadir. He asked them to sign a treaty and they signed it.
He turned away from them and attacked Banu an-Nadir with an army. He fought with them until they agreed to expulsion. Banu an-Nadir were deported, and they took with them whatever their camels could carry, that is, their property, the doors of their houses, and their wood. Palm-trees were exclusively reserved for the Messenger of Allah (ﷺ). Allah bestowed them upon him and gave them him as a special portion.
He (Allah), the Exalted, said: What Allah has bestowed on His Apostle (and taken away) from them, for this ye made no expedition with either camel corps or cavalry." He said: "Without fighting." So the Prophet (ﷺ) gave most of it to the emigrants and divided it among them; and he divided some of it between two men from the helpers, who were needy, and he did not divide it among any of the helpers except those two. The rest of it survived as the sadaqah of the Messenger of Allah (ﷺ) which is in the hands of the descendants of Fatimah (Allah be pleased with her).
পরিচ্ছেদঃ ১৭৭. পিঁপড়া মারা সম্পর্কে
৫২৬৮। আব্দুর রাহমান ইবনু ’আব্দুল্লাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ’আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সফরে ছিলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারার জন্য চলে গেলেন। এদিকে ’আমরা একটি ছোট পাখি দেখতে পেলাম। তার সঙ্গে ছিলো দু’টি বাচ্চা। ’আমরা বাচ্চা দু’টিকে ধরে ফেলি। মা পাখিটি এসে পাখা ঝাপটাতে লাগলো। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে এসে বললেনঃ কে এই পাখিটিকে তার বাচ্চা ধরে এনে ভীত সন্ত্রস্ত করেছে? তোমরা এটির বাচ্চা একে ফিরিয়ে দাও। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের পুড়িয়ে মারা পিঁপড়ার একটি বাসস্থানও দেখতে পেলেন। তিনি বললেনঃ এগুলো কে পুড়িয়েছে? ’আমরা বললাম, ’আমরা। তিনি বললেনঃ আগুনের রব ছাড়া আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া কারো পক্ষে সমীচীন নয়।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي قَتْلِ الذَّرِّ
حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنِ ابْنِ سَعْدٍ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهُوَ الْحَسَنُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ، فَانْطَلَقَ لِحَاجَتِهِ، فَرَأَيْنَا حُمَّرَةً مَعَهَا فَرْخَانِ فَأَخَذْنَا فَرْخَيْهَا، فَجَاءَتِ الْحُمَرَةُ، فَجَعَلَتْ تُفَرِّشُ، فَجَاءَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: مَنْ فَجَعَ هَذِهِ بِوَلَدِهَا؟ رُدُّوا وَلَدَهَا إِلَيْهَا وَرَأَى قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حَرَّقْنَاهَا، فَقَالَ: مَنْ حَرَّقَ هَذِهِ؟ قُلْنَا: نَحْنُ، قَالَ: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ
صحيح
‘Abd al-Rahman b. ‘Abd Allah quoted his father as saying :
When we were on a journey with the Messenger of Allah (ﷺ) and he had gone to releive himself, we saw a Hummarah with two young ones. We took the young ones. The Hummarah came and began to spread out its wings. Then the prophet (May peace be upon him) came and said : who has pained this young by the loss of her young? Give her young ones back to her. We also saw an ant-hill which we had burned. He asked? Who has burned this? We replied : we have. He said: it is not fitting that anyone but the lord of the fire should punish with fire.