পরিচ্ছেদঃ ১৩৯৮. বিক্রয়ের পূর্বে শুফআ এর অধিকারীর নিকট (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা। হযরত হাকাম (রঃ) বলেন, বিক্রয়ের পূর্বে যদি অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেয়, তবে তার শুফআ এর অধিকার থাকেনা। শাবী (রঃ) বলেন, যদি কারো উপস্থিতিতে তার শুফআ এর যমীন বিক্রি হয়, আর সে এতে কোন আপত্তি না করে, তবে (বিক্রয়ের পরে) তার শুফআ এর অধিকার থাকে না।
২১১৫. মাক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) এর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) এসে তাঁর হাত আমার কাঁধে রাখেন। এমতাবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম আবূ রাফি (রাঃ) এসে বললেন, হে সা’দ! আপনার বাড়ীতে আমার যে দুটি ঘর আছে, তা আপনি আমার থেকে খরিদ করে নিন। সা’দ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি সে দুটি ঘর খরিদ করবে না। তখন মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আপনি এ দুটো অবশ্যই খরিদ করবেন।
সা’দ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে কিস্তিতে চার হাজার (দিরহাম) এর অধিক দিব না। আবূ রাফি (রাঃ) বললেন, এই ঘর দুটির বিনিময়ে আমাকে পাঁচশ দ্বীনার দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমি যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী অধিক হকদার তার নৈকট্যের কারনে, তাহলে আমি এ দুটি ঘর আপনাকে চার হাজার (দিরহাম) এর বিনিময়ে কিছুতেই দিতাম না। আমাকে এ দুটি ঘরের বিনিময়ে পাঁচশ দ্বীনার দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তারপর তিনি তা তাঁকে (সা’দ’ কে) দিয়ে দিলেন।
اب عَرْضِ الشُّفْعَةِ عَلَى صَاحِبِهَا قَبْلَ الْبَيْعِ وَقَالَ الْحَكَمُ إِذَا أَذِنَ لَهُ قَبْلَ الْبَيْعِ فَلاَ شُفْعَةَ لَهُ. وَقَالَ الشَّعْبِيُّ مَنْ بِيعَتْ شُفْعَتُهُ وَهْوَ شَاهِدٌ لاَ يُغَيِّرُهَا فَلاَ شُفْعَةَ لَهُ
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، قَالَ وَقَفْتُ عَلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، فَجَاءَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى إِحْدَى مَنْكِبَىَّ إِذْ جَاءَ أَبُو رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا سَعْدُ ابْتَعْ مِنِّي بَيْتَىَّ فِي دَارِكَ. فَقَالَ سَعْدٌ وَاللَّهِ مَا أَبْتَاعُهُمَا. فَقَالَ الْمِسْوَرُ وَاللَّهِ لَتَبْتَاعَنَّهُمَا. فَقَالَ سَعْدٌ وَاللَّهِ لاَ أَزِيدُكَ عَلَى أَرْبَعَةِ آلاَفٍ، مُنَجَّمَةٍ أَوْ مُقَطَّعَةٍ. قَالَ أَبُو رَافِعٍ لَقَدْ أُعْطِيتُ بِهَا خَمْسَمِائَةِ دِينَارٍ، وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ ". مَا أَعْطَيْتُكَهَا بِأَرْبَعَةِ آلاَفٍ، وَأَنَا أُعْطَى بِهَا خَمْسَمِائَةِ دِينَارٍ. فَأَعْطَاهَا إِيَّاهُ.
Narrated `Amr bin Ash-Sharid:
While I was standing with Sa`d bin Abi Waqqas, Al-Miswar bin Makhrama came and put his hand on my shoulder. Meanwhile Abu Rafi`, the freed slave of the Prophet (ﷺ) came and asked Sa`d to buy from him the (two) dwellings which were in his house. Sa`d said, "By Allah I will not buy them." Al- Miswar said, "By Allah, you shall buy them." Sa`d replied, "By Allah, I will not pay more than four thousand (Dirhams) by installments." Abu Rafi` said, "I have been offered five hundred Dinars (for it) and had I not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'The neighbor has more right than anyone else because of his nearness, I would not give them to you for four-thousand (Dirhams) while I am offered five-hundred Dinars (one Dinar equals ten Dirhams) for them." So, he sold it to Sa`d.
পরিচ্ছেদঃ ২৯২৭. হেবা ও শুফ’আর ব্যাপারে কৌশল অবলম্বন। কোন কোন মনিষী বলেন, কেউ কেউ কৌশল করে এক হাজার বা ততোধিক দিরহাম হেবা করে এবং তা কয়েক বছর গ্রহীতার কাছে থেকে যায় এবং এতে কৌশল করে। এরপর হেবাকারী যদি আবার তা ফেরত নিয়ে আসে, তাহলে তাদের উভয়ের কারো উপর যাকাত ওয়াজিব হবে না। আবু আবদুল্লাহ(বুখারী) বলেনঃ তাহলে সে হেবার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর বিরুদ্ধাচরণ করল এবং যাকাত ফাঁকি দিল
৬৫০৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিসওয়ার ইবনু মাখারামা (রাঃ) এসে তাঁর হাত আমার কাঁধে রাখলেন। তারপর আমি তাঁর সাথে সা’দ (রাঃ) এর কাছে গেলাম। তখন আবূ রাফি (রাঃ) মিসওয়ার (রাঃ) কে বললেন, আপনি কি ওকে এ কথা বলছেন যে, সে আমার ঐ ঘরটি ক্রয় করে নেবে, যে ঘরটি তাঁর বাড়ীতে রয়েছে। সা’দ (রাঃ) বললেন, আমি চারশ থেকে বেশী দেব না। তাও আবার কিস্তিতে কিস্তিতে দেব। আবূ রাফি (রাঃ) বললেন, আমাকে নগদ পাঁচশত দেয়া হচ্ছে, অথচ আমি তাকে দিচ্ছি না। আমি যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী তার সংলগ্ন ভূমি ক্রয়ের ব্যাপারে সবচে বেশী হকদার, তাহলে আমি তা তোমার কাছে বিক্রি করতাম না। অথবা বলেছেন, তোমাকে আমি তা দিতাম না।
আমি সুফয়ান (রহঃ) কে বললাম যে, মা’মার তো এমনটি বলেননি। তিনি বললেন, কিন্তু তিনি আমাকে এমনটি বলেছেন। কিছু সংখ্যক লোক বলেন, কেউ যদি কোন ভূমি বিক্রি করে, তাহলে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে শুফ্আর অধিকার বাতির করে দিতে পারে। যেমন বিক্রেতা ক্রেতাকে বাড়িটি দান করে দেবে এবং তার সীমানা বর্ণনা করে ক্রেতার কাছে সোপর্দ করে দেবে। এরপর ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দেবে। এমতাবস্থায়, শাফী’র জন্য তাতে শুফ্আর অধিকার থাকবে না।
باب فِي الْهِبَةِ وَالشُّفْعَةِ وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِنْ وَهَبَ هِبَةً أَلْفَ دِرْهَمٍ أَوْ أَكْثَرَ، حَتَّى مَكَثَ عِنْدَهُ سِنِينَ، وَاحْتَالَ فِي ذَلِكَ، ثُمَّ رَجَعَ الْوَاهِبُ فِيهَا، فَلاَ زَكَاةَ عَلَى وَاحِدٍ مِنْهُمَا، فَخَالَفَ الرَّسُولَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْهِبَةِ وَأَسْقَطَ الزَّكَاةَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ، قَالَ جَاءَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِي، فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ إِلَى سَعْدٍ فَقَالَ أَبُو رَافِعٍ لِلْمِسْوَرِ أَلاَ تَأْمُرُ هَذَا أَنْ يَشْتَرِيَ مِنِّي بَيْتِي الَّذِي فِي دَارِي. فَقَالَ لاَ أَزِيدُهُ عَلَى أَرْبَعِمِائَةٍ، إِمَّا مُقَطَّعَةٍ وَإِمَّا مُنَجَّمَةٍ. قَالَ أُعْطِيتُ خَمْسَمِائَةٍ نَقْدًا، فَمَنَعْتُهُ، وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ ". مَا بِعْتُكَهُ أَوْ قَالَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ. قُلْتُ لِسُفْيَانَ إِنَّ مَعْمَرًا لَمْ يَقُلْ هَكَذَا. قَالَ لَكِنَّهُ قَالَ لِي هَكَذَا. وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَبِيعَ الشُّفْعَةَ فَلَهُ أَنْ يَحْتَالَ حَتَّى يُبْطِلَ الشُّفْعَةَ فَيَهَبُ الْبَائِعُ لِلْمُشْتَرِي الدَّارَ، وَيَحُدُّهَا وَيَدْفَعُهَا إِلَيْهِ، وَيُعَوِّضُهُ الْمُشْتَرِي أَلْفَ دِرْهَمٍ، فَلاَ يَكُونُ لِلشَّفِيعِ فِيهَا شُفْعَةٌ.
Narrated 'Amr bin Ash-Sharid:
Al-Miswar bin Makhrama came and put his hand on my shoulder and I accompanied him to Sa'd. Abu Rafi' said to Al-Miswar, "Won't you order this (i.e. Sa'd) to buy my house which is in my yard?" Sa'd said, "I will not offer more than four hundred in installments over a fixed period." Abu Rafi said, "I was offered five hundred cash but I refused. Had I not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'A neighbor is more entitled to receive the care of his neighbor,' I would not have sold it to you." The narrator said, to Sufyan: Ma'mar did not say so. Sufyan said, "But he did say so to me." Some people said, "If someone wants to sell a house and deprived somebody of the right of preemption, he has the right to play a trick to render the preemption invalid. And that is by giving the house to the buyer as a present and marking its boundaries and giving it to him. The buyer then gives the seller one-thousand Dirham as compensation in which case the preemptor loses his right of preemption."
পরিচ্ছেদঃ ২৯২৮. বখশীশ পাওয়ার নিমিত্ত কর্মচারীর কৌশল অবলম্বন
৬৫১০। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ রাফি (রাঃ) একটি ঘর ক্রয় করার নিমিত্ত সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) এর সাথে চারশ মিছকাল মূল্য ঠিক করেন। আর বলেন, যদি আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী তার সংলগ্ন ভূমির ক্রয়ের ক্ষেত্রে সবচে বেশী হকদার, তাহলে তোমাকে আমি প্রদান করতাম না।
باب احْتِيَالِ الْعَامِلِ لِيُهْدَى لَهُ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، أَنَّ أَبَا رَافِعٍ، سَاوَمَ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ بَيْتًا بِأَرْبَعِمِائَةِ مِثْقَالٍ وَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ ". مَا أَعْطَيْتُكَ.
Narrated `Amr bin Ash-Sharid:
Abu Rafi` sold a house to Sa`d bin Malik for four-hundred Mithqal of gold, and said, "If I had not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'The neighbor has more right to be taken care of by his neighbor (than anyone else),' then I would not have sold it to you."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি থেকে দূরে থাকা
৫৬২৮। ইয়াহিয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বকর ইবনু শায়বা (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) সুত্রে তার পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ গোত্রীয় প্রতিনিধি দলের মাঝে একজন কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে (সংবাদ) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বায়আত করে নিয়েছি। তুমি ফিরে যাও।
باب اجْتِنَابِ الْمَجْذُومِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ " .
'Amr b. Sharid reported on the authority of his father that there was in the delegation of Thaqif a leper. Allah's Apostle (ﷺ) sent a message to him:
We have accepted your allegiance, so you may go.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৮৯। আমর আন-নাকিদ ও ইবনু আবূ উমার (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) সুত্রে তার পিতা [শারীদ (রাঃ)] থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (একদিন) আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (বাহনে) আরোহী হলাম। তিনি বললেন, তোমার স্মৃতিতে (কবি) উমাইয়া ইবনু আবূস-সালত-এর কবিতার কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, চালাও (শুনাও)। আমি তখন তাঁকে একটি পংক্তি আবৃত্তি করে শোনালাম। তিনি বললেন, চালাও। তখন আমি তাঁকে আর একটি শ্লোক আবৃতি করে শোনালাম। তিনি বললেন, চালাও। শেষ পর্যন্ত আমি তাঁকে একশটি পংক্তি আবৃত্তি করে শোনালাম।
যুহায়র ইবনু হারব ও আহমদ ইবনু আবদা (রহঃ) ... শারীদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তাঁর (বাহনে) পিছনে সহ-আরোহী বানালেন ......। এরপর তারা পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ননা করেছেন।
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَدِفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ " هَلْ مَعَكَ مِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ شَيْئًا " . قُلْتُ نَعَمْ قَالَ " هِيهِ " . فَأَنْشَدْتُهُ بَيْتًا فَقَالَ " هِيهِ " . ثُمَّ أَنْشَدْتُهُ بَيْتًا فَقَالَ " هِيهِ " . حَتَّى أَنْشَدْتُهُ مِائَةَ بَيْتٍ .
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ، جَمِيعًا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ مَيْسَرَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، أَوْ يَعْقُوبَ بْنِ عَاصِمٍ عَنِ الشَّرِيدِ، قَالَ أَرْدَفَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَلْفَهُ . فَذَكَرَ بِمِثْلِهِ .
`Amr b. Sharid reported his father as saying:
One day when I rode behind Allah's Messenger (ﷺ), he said (to me): Do you remember any poetry of Umayya b. Abu Salt. I said: Yes. He said: Then go on. I recited a couplet, and he said: Go on. Then I again recited a couplet and he said: Go on. I recited one hundred couplets (of his poetry). This hadith has been reported on the authority of Sharid through another chain of transmitters but with a slight variation of wording.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৬৯০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আমর ইবনু শারীদ তাঁর পিতা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কবিতা আবৃত্তি করে শোলাতে বললেন, এরপর (উপরোল্লেখিত) রাবী ইবরাহীম ইবনু মায়সারা (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। আর এছাড়াও তিনি অধিক বলেছেন, তিনি (নবী) বললেনঃ সে তো মুসলিম হয়ে গিয়েছিল প্রায়। আর (অন্য সনদের) রাবী ইবনু মাহদী (রহঃ) বর্নিত হাদীসে রয়েছে, তিনি বললেন, সে তো তার কবিতায় মুসলিম হওয়ার কাছাকাছি পৌছে গিয়েছিল।
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيِّ، عَنْ عَمْرِو، بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ اسْتَنْشَدَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ وَزَادَ قَالَ " إِنْ كَادَ لَيُسْلِمُ " . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مَهْدِيٍّ قَالَ " فَلَقَدْ كَادَ يُسْلِمُ فِي شِعْرِهِ " .
`Amr b. Sharid reported on the authority of his father that Allah's Messenger (ﷺ) asked him to recite poetry, the rest of the hadith is the same, but with this addition:
"He (that is Umayya b. Abu Salt) was about to become a Muslim", and in the hadith transmitted on the authority of Ibn Mahdi (the words are) "He was almost a Muslim in his poetry."
পরিচ্ছেদঃ ৪১২. দেনার কারণে কাউকে কয়েদ করা যায় কিনা?
৩৫৮৯. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) ...... আমর ইবন শারীদ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মালদার ব্যক্তি যদি দেনা পরিশোধ করতে গড়িমসি করে, তবে সে গালমন্দ শোনার ও অসম্মানের পাত্র হয় এবং সে ব্যক্তি শাস্তির উপযুক্ত হয়।
রাবী ইবন মুবারক বলেনঃ অসম্মানের পাত্র হওয়ার অর্থ, তাকে এ জন্য গালমন্দ করা হয় এবং কটু কথা শোনান হয়। আর শাস্তির অর্থ হলো, তাকে বন্দী করা হয়।
باب فِي الْحَبْسِ فِي الدَّيْنِ وَغَيْرِهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ وَبْرِ بْنِ أَبِي دُلَيْلَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَيْمُونٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَىُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهُ وَعُقُوبَتَهُ " . قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ يُحِلُّ عِرْضَهُ يُغَلَّظُ لَهُ وَعُقُوبَتَهُ يُحْبَسُ لَهُ .
Narrated Ash-Sharid:
The Prophet (ﷺ) said: Delay in payment on the part of one who possesses means makes it lawful to dishonour and punish him. Ibn al-Mubarak said that "dishonour" means that he may be spoken to roughly and "punish" means he may be imprisoned for it.
পরিচ্ছেদঃ ৪১. যে ব্যক্তি অযথা চড়ুই হত্যা করে
৪৪৪৭. মুহাম্মাদ ইবন দাউদ মাসসীসী (রহঃ) ... আমর ইবন শারীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি শারীদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি কোন চড়ুইকে অযথা হত্যা করলো, তা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলার নিকট উঁচুস্বরে ফরিয়াদ করে বলবেঃ ইয়া আল্লাহ্! অমুক ব্যক্তি আমাকে অযথা হত্যা করেছিল, সে কোন লাভের জন্য আমাকে হত্যা করেনি।
مَنْ قَتَلَ عُصْفُورًا بِغَيْرِ حَقِّهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دَاوُدَ الْمِصِّيصِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ وَاصِلٍ عَنْ خَلَفٍ يَعْنِي ابْنَ مِهْرَانَ قَالَ حَدَّثَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ عَنْ صَالِحِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ قَالَ سَمِعْتُ الشَّرِيدَ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ قَتَلَ عُصْفُورًا عَبَثًا عَجَّ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ يَقُولُ يَا رَبِّ إِنَّ فُلَانًا قَتَلَنِي عَبَثًا وَلَمْ يَقْتُلْنِي لِمَنْفَعَةٍ
It was narrated that 'Amr bin Sharid said:
"I heard Sharid say: 'I herd the Messenger of Allah say: Whoever kills a small bird for no reason, it will beseech Allah on the Day of Resurrection saying: O Lord, so and so killed me for no reason. And he did not kill me for any beneficial purpose."
পরিচ্ছেদঃ ১০০. কর্জ আদায়ে সামর্থ্যবান লোকের টালবাহানা করা
৪৬৮৯, মুহাম্মদ ইবন আদম (রহঃ) ... আমর ইবন শারীদ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধনী ব্যক্তি কর্তৃক দেনা পরিশোধে টালবাহানা করাটা তার মানহানি (অর্থাৎ তার সম্পর্কে অভিযোগ করা) এবং শাস্তিকে বৈধ করে দেয়।
مَطْلُ الْغَنِيِّ
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ آدَمَ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ عَنْ وَبْرِ بنِ أَبِي دُلَيْلَةَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَيْمُونٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهُ وَعُقُوبَتَهُ
It was narrated from 'Amr bin Ash-Sharid, that his father said:
"The Messenger of Allah said: 'if one who can afford it delay repayment, his honor and punishment become permissible."
পরিচ্ছেদঃ ১০০. কর্জ আদায়ে সামর্থ্যবান লোকের টালবাহানা করা
৪৬৯০. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আমর ইবন শারীদ (রহঃ) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধনবান লোক যদি কর্জ আদায় করতে টালবাহানা করে, তবে তার মানহানি ঘটানো এবং তাকে শাস্তি দেওয়া বৈধ হয়ে যায়।
مَطْلُ الْغَنِيِّ
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ قَالَ حَدَّثَنَا وَبْرُ بْنُ أَبِي دُلَيْلَةَ الطَّائِفِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَيْمُونِ ابْنِ مُسَيْكَةَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهُ وَعُقُوبَتَهُ
It was narrated from 'Amr bin Ash-Shrid, from his father that the Messenger of Allah said:
"If one who can afford it delays repayment, his honor and punishment become permissible."
পরিচ্ছেদঃ ১০৯. শুফআ ও তার বিধান
৪৭০৩. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আমর ইবন শারীদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বললোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার জমি আছে, যাতে কারও অংশীদারিত্ব নেই এবং কারো ভাগও নেই। তবে আমার প্রতিবেশী আছে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ প্রতিবেশী শুফআর অধিক হকদার।
ذِكْرُ الشُّفْعَةِ وَأَحْكَامِهَا
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ قَالَ حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْمُعَلِّمُ عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَجُلًا قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرْضِي لَيْسَ لِأَحَدٍ فِيهَا شَرِكَةٌ وَلَا قِسْمَةٌ إِلَّا الْجُوَارَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ
It was narrated from 'Amr Bin Ash-Sharid, from his father, that a man said:
"O Messenger of Allah, not one else has any share in my land, but there are neighbors." He said: "The neighbor has more right to property that is near."
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৫৮. দেনার কারণে আটক করা এবং পেছনে লেগে থাকা
১/২৪২৭। আমর ইবনুশ শারীদ (রাঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে স্বচ্ছল ব্যক্তি কোন দেনা পরিশোধ করতে গড়িমসি করে, তাকে অপমান করা ও শাস্তি দেয়া উভয়ই আমার জন্য হালাল। আল আত-তানাফিসী (রাঃ) বলেন, অপমান করা অর্থ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা এবং শাস্তি দেয়ার অর্থ তাকে জেলখানায় কয়েদ করা।
তাহকীক আলবানীঃ হাসান।
بَاب الْحَبْسِ فِي الدَّيْنِ وَالْمُلَازَمَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا وَبْرُ بْنُ أَبِي دُلَيْلَةَ الطَّائِفِيُّ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مَيْمُونِ بْنِ مُسَيْكَةَ، - قَالَ وَكِيعٌ وَأَثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا - عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَىُّ الْوَاجِدِ يُحِلُّ عِرْضَهُ وَعُقُوبَتَهُ " . قَالَ عَلِيٌّ الطَّنَافِسِيُّ يَعْنِي عِرْضَهُ شِكَايَتَهُ وَعُقُوبَتَهُ سِجْنَهُ ..
It was narrated from 'Amr bin Sharid that his father said that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“If one who can afford it delays repayment, his honor and punishment become permissible.”
পরিচ্ছেদঃ ৩৬/২. বিক্রয়ের আগে শুফ্‘আ এর অধিকারীর কাছে (বিক্রয়ের) প্রস্তাব করা।
وَقَالَ الْحَكَمُ إِذَا أَذِنَ لَهُ قَبْلَ الْبَيْعِ فَلاَ شُفْعَةَ لَهُ وَقَالَ الشَّعْبِيُّ مَنْ بِيعَتْ شُفْعَتُهُ وَهْوَ شَاهِدٌ لاَ يُغَيِّرُهَا فَلاَ شُفْعَةَ لَهُ
হাকাম (রহ.) বলেন, বিক্রয়ের পূর্বে যদি অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বিক্রয়ের অনুমতি দেয়, তবে তার শুফ্‘আহ এর অধিকার থাকে না। শা‘বী (রহ.) বলেন, যদি কারো উপস্থিতিতে তার শুফ্‘আহর যমীন বিক্রি হয় আর সে এতে কোন আপত্তি না করে, তবে (বিক্রয়ের পরে) তার শুফ্‘আহ এর অধিকার থাকে না।
২২৫৮. আমর ইবনু শারীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সা‘দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)-এর কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) এসে তাঁর হাত আমার কাঁধে রাখেন। এমতাবস্থায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর আযাদকৃত গোলাম আবূ রাফি‘ (রাঃ) এসে বললেন, হে সা‘দ! আপনার বাড়ীতে আমার যে দু’টি ঘর আছে, তা আপনি আমার নিকট হতে খরিদ করে নিন। সা‘দ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি সে দু’টি খরিদ করব না। তখন মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আপনি এ দু’টো অবশ্যই খরিদ করবেন। সা‘দ (রাঃ) বললেন, আল্লাহর কসম, আমি তোমাকে কিস্তিতে চার হাজার (দিরহাম)-এর অধিক দিব না। আবু রাফি‘ (রাঃ) বললেন, এই ঘর দু’টির বিনিময়ে আমাকে পাঁচশ’ দ্বীনার দেয়ার প্রস্তাব এসেছে। আমি যদি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশী অধিক হকদার তার নৈকট্যের কারণে, তাহলে আমি এ দু’টি ঘর আপনাকে চার হাজার (দিরহাম)-এর বিনিময়ে কিছুতেই দিতাম না। আমাকে এ দু’টি ঘরের বিনিময়ে পাঁচশ’ দ্বীনার দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। তারপর তিনি তা তাঁকে (সা‘দকে) দিয়ে দিলেন। (৬৯৭৭, ৬৯৮১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১১৫)
بَاب عَرْضِ الشُّفْعَةِ عَلَى صَاحِبِهَا قَبْلَ الْبَيْعِ
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ قَالَ وَقَفْتُ عَلَى سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَجَاءَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى إِحْدَى مَنْكِبَيَّ إِذْ جَاءَ أَبُو رَافِعٍ مَوْلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا سَعْدُ ابْتَعْ مِنِّي بَيْتَيَّ فِي دَارِكَ فَقَالَ سَعْدٌ وَاللهِ مَا أَبْتَاعُهُمَا فَقَالَ الْمِسْوَرُ وَاللهِ لَتَبْتَاعَنَّهُمَا فَقَالَ سَعْدٌ وَاللهِ لاَ أَزِيدُكَ عَلَى أَرْبَعَةِ آلاَفٍ مُنَجَّمَةً أَوْ مُقَطَّعَةً قَالَ أَبُو رَافِعٍ لَقَدْ أُعْطِيتُ بِهَا خَمْسَ مِائَةِ دِينَارٍ وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الْجَارُ أَحَقُّ بِسَقَبِهِ مَا أَعْطَيْتُكَهَا بِأَرْبَعَةِ آلاَفٍ وَأَنَا أُعْطَى بِهَا خَمْسَ مِائَةِ دِينَارٍ فَأَعْطَاهَا إِيَّاهُ
Narrated `Amr bin Ash-Sharid:
While I was standing with Sa`d bin Abi Waqqas, Al-Miswar bin Makhrama came and put his hand on my shoulder. Meanwhile Abu Rafi`, the freed slave of the Prophet (ﷺ) came and asked Sa`d to buy from him the (two) dwellings which were in his house. Sa`d said, "By Allah I will not buy them." Al- Miswar said, "By Allah, you shall buy them." Sa`d replied, "By Allah, I will not pay more than four thousand (Dirhams) by installments." Abu Rafi` said, "I have been offered five hundred Dinars (for it) and had I not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'The neighbor has more right than anyone else because of his nearness, I would not give them to you for four-thousand (Dirhams) while I am offered five-hundred Dinars (one Dinar equals ten Dirhams) for them." So, he sold it to Sa`d.
পরিচ্ছেদঃ ৯০/১৪. হেবা ও শুফ‘আর ক্ষেত্রে কূটকৌশল গ্রহণ করা।
৬৯৭৭. ’আমর ইবনু শারীদ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মিস্ওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) এসে তাঁর হাত আমার কাঁধে রাখলেন। তারপর আমি তাঁর সঙ্গে সা’দ (রাঃ)-এর কাছে গেলাম। তখন আবূ রাফি’ (রাঃ) মিস্ওয়ার (রাঃ)-কে বললেন, আপনি কি ওকে এ কথা বলবেন যে, সে আমার ঐ ঘরটি কিনে নেবে, যে ঘরটি তার বাড়িতে রয়েছে। সা’দ (রাঃ) বললেন, আমি চারশ’ থেকে অধিক দেব না। তাও আবার কিস্তিতে কিস্তিতে দেব। আবূ রাফি’ (রাঃ) বললেন, আমাকে নগদ পাঁচশ দেয়া হচ্ছে, অথচ আমি তাকে দিচ্ছি না। আমি যদি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশি তার পার্শ্ববর্তী ভূমি কেনার ব্যাপারে অধিক হকদার, তাহলে আমি তা তোমার কাছে বিক্রি করতাম না।
অথবা বলেছেন, তোমাকে আমি তা দিতাম না। আমি সুফ্ইয়ান (রহ.)-কে বললাম যে, মা’মার তো এমনটি বলেননি। তিনি বললেন, কিন্তু তিনি আমাকে এমনটি বলেছেন। কিছু সংখ্যক লোক বলেন, কেউ যদি কোন ভূমি বিক্রি করে, তাহলে কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করে শুফ’আহর অধিকার রদ করে দিতে পারে। যেমন বিক্রেতা ক্রেতাকে বাড়িটি দান করে দেবে এবং তার সীমানা বর্ণনা করে ক্রেতার কাছে সোপর্দ করে দেবে। এরপর ক্রেতা বিক্রেতাকে এক হাজার দিরহাম দিয়ে দেবে। এই অবস্থায় শাফী’র জন্য তাতে শুফ’আহর অধিকার থাকবে না। [২২৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫০৬)
بَاب فِي الْهِبَةِ وَالشُّفْعَةِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ سَمِعْتُ عَمْرَو بْنَ الشَّرِيدِ قَالَ جَاءَ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى مَنْكِبِي فَانْطَلَقْتُ مَعَهُ إِلَى سَعْدٍ فَقَالَ أَبُو رَافِعٍ لِلْمِسْوَرِ أَلاَ تَأْمُرُ هَذَا أَنْ يَشْتَرِيَ مِنِّي بَيْتِي الَّذِي فِي دَارِي فَقَالَ لاَ أَزِيدُهُ عَلَى أَرْبَعِ مِائَةٍ إِمَّا مُقَطَّعَةٍ وَإِمَّا مُنَجَّمَةٍ قَالَ أُعْطِيتُ خَمْسَ مِائَةٍ نَقْدًا فَمَنَعْتُهُ وَلَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الْجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ مَا بِعْتُكَهُ أَوْ قَالَ مَا أَعْطَيْتُكَهُ قُلْتُ لِسُفْيَانَ إِنَّ مَعْمَرًا لَمْ يَقُلْ هَكَذَا قَالَ لَكِنَّهُ قَالَ لِي هَكَذَا وَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَبِيعَ الشُّفْعَةَ فَلَهُ أَنْ يَحْتَالَ حَتَّى يُبْطِلَ الشُّفْعَةَ فَيَهَبَ الْبَائِعُ لِلْمُشْتَرِي الدَّارَ وَيَحُدُّهَا وَيَدْفَعُهَا إِلَيْهِ وَيُعَوِّضُهُ الْمُشْتَرِي أَلْفَ دِرْهَمٍ فَلاَ يَكُونُ لِلشَّفِيعِ فِيهَا شُفْعَةٌ
Narrated 'Amr bin Ash-Sharid:
Al-Miswar bin Makhrama came and put his hand on my shoulder and I accompanied him to Sa'd. Abu Rafi' said to Al-Miswar, "Won't you order this (i.e. Sa'd) to buy my house which is in my yard?" Sa'd said, "I will not offer more than four hundred in installments over a fixed period." Abu Rafi said, "I was offered five hundred cash but I refused. Had I not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'A neighbor is more entitled to receive the care of his neighbor,' I would not have sold it to you." The narrator said, to Sufyan: Ma'mar did not say so. Sufyan said, "But he did say so to me." Some people said, "If someone wants to sell a house and deprived somebody of the right of preemption, he has the right to play a trick to render the preemption invalid. And that is by giving the house to the buyer as a present and marking its boundaries and giving it to him. The buyer then gives the seller one-thousand Dirham as compensation in which case the preemptor loses his right of preemption."
পরিচ্ছেদঃ ৯০/১৫.বখশিশ পাওয়ার জন্য কর্মচারীর কৌশল গ্রহণ করা।
৬৯৮১. ’আমর ইবনু শারীদ (রহ.) হতে বর্ণিত যে, আবূ রাফি’ (রাঃ) একটি ঘর ক্রয় করার জন্য আ’দ ইবনু মালিক (রাঃ)-এর সঙ্গে চারশ’ মিসকাল মূল্য ঠিক করেন। আর বলেন, যদি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, প্রতিবেশি তার পার্শ্ববর্তী ভূমির কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে অধিক হক্দার, তাহলে তোমাকে আমি প্রদান করতাম না। [২২৫৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৪৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৫১০)
بَاب احْتِيَالِ الْعَامِلِ لِيُهْدَى لَهُ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْسَرَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ أَنَّ أَبَا رَافِعٍ سَاوَمَ سَعْدَ بْنَ مَالِكٍ بَيْتًا بِأَرْبَعِ مِائَةِ مِثْقَالٍ وَقَالَ لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ الْجَارُ أَحَقُّ بِصَقَبِهِ مَا أَعْطَيْتُكَ
Narrated `Amr bin Ash-Sharid:
Abu Rafi` sold a house to Sa`d bin Malik for four-hundred Mithqal of gold, and said, "If I had not heard the Prophet (ﷺ) saying, 'The neighbor has more right to be taken care of by his neighbor (than anyone else),' then I would not have sold it to you."
পরিচ্ছেদঃ ১০. মদপান কারীকে যখন চতুর্থবার নিয়ে আসা হবে
২৩৫২. আমর ইবনু শারীদ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: “তোমাদের কেউ মদপান করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে পুনরায় বেত্রাঘাত করো, সে পুনরায় মাদক গ্রহণ করলে তাকে বেত্রাঘাত করো। এরপর সে চতুর্থবার মাদক গ্রহণ করলে তাকে হত্যা করো।”[1]
তাখরীজ: নাসাঈ, কুবরা নং ৫৩০১; তাবারাণী, কাবীর ৭/৩১৭ নং ৭২৪৪; আহমাদ ৪/৩৮৮-৩৮৯; হাকিম ৪/৩৭২; হাকিম বলেন: হাদীসটি মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ..।’ এবং যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। তবে আমরা বলছি: হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী নয়; আর এর সনদ মোটেও সহীহ নয়।
তবে এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৭ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৭ তে। ((আবূ দাউদ, হুদুদ ৪৪৮৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭২ (আলবানী (রহঃ) একে সহীহ বলেছেন); আহমাদ ৭৭০৪, ৭৮৫১, ১০১৬৯, ১০৩৫১।-অনুবাদক))
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে মু’আবি’য়া ইবনু আবু সুফিয়ান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭৩৬৩ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৪৪৬ ও মাওয়ারিদুয যামআন নং ১৫১৯ তে। ((তিরমিযী, হুদুদ ১৪৪৪; ইবনু মাজাহ, হুদুদ ২৫৭৩ ,আলবানীর তাহক্বীক্বে হাদীসটি হাসান।-অনুবাদক))
بَاب فِي شَارِبِ الْخَمْرِ إِذَا أُتِيَ بِهِ الرَّابِعَةَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الرَّقَاشِيُّ حَدَّثَنَا يَزِيدُ هُوَ ابْنُ زُرَيْعٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ هُوَ ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ عُرْوَةَ بْنِ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِذَا شَرِبَ أَحَدُكُمْ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ فَاضْرِبُوهُ ثُمَّ إِنْ عَادَ الرَّابِعَةَ فَاقْتُلُوهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. কুষ্ঠ প্রভৃতি রোগাক্রান্ত ব্যক্তি হতে বেঁচে থাকা
৫৭১৫-(১২৬/২২৩১) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আমর ইবনু শারীদ (রাযিঃ)-এর সানাদে তার পিতা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাকীফ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি দলের মধ্যে জনৈক কুষ্ঠ রোগী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট (খবর) পাঠালেন যে, আমরা তোমাকে বাই’আত করে নিয়েছি; তুমি ফিরে যাও * (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬২৮, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৫৭)।
باب اجْتِنَابِ الْمَجْذُومِ وَنَحْوِهِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، وَهُشَيْمُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ يَعْلَى بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّا قَدْ بَايَعْنَاكَ فَارْجِعْ " .
'Amr b. Sharid reported on the authority of his father that there was in the delegation of Thaqif a leper. Allah's Apostle (ﷺ) sent a message to him:
We have accepted your allegiance, so you may go.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৭৭৮-(১/২২৫৫) আমর আন্ নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ..... আমর ইবনু শারীদ (রহঃ) এর সানাদে তার পিতা [শারীদ (রাযিঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর (বাহনে) সফরসঙ্গী হলাম। তিনি বললেন, তোমার স্মৃতিতে (কবি) উমাইয়াহ ইবনু আবুস সালত এর কবিতার কোন কিছু আছে কি? আমি বললাম, হ্যাঁ তিনি বললেন, পড়ো। আমি তখন তাঁকে একটি লাইন আবৃতি করে শুনলাম। তিনি বললেন, বলতে থাকো, তখন আমি তাঁকে আরও একটি শ্লোক পাঠ করে শুনালাম। তিনি আবার বললেন, বলতে থাকো। শেষ অবধি আমি তাকে একশটি ছন্দ আবৃতি করে শুনালাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬৮৯, ইসলামিক সেন্টার ৫৭২০)
باب
حَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ، قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ رَدِفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا فَقَالَ " هَلْ مَعَكَ مِنْ شِعْرِ أُمَيَّةَ بْنِ أَبِي الصَّلْتِ شَيْئًا " . قُلْتُ نَعَمْ قَالَ " هِيهِ " . فَأَنْشَدْتُهُ بَيْتًا فَقَالَ " هِيهِ " . ثُمَّ أَنْشَدْتُهُ بَيْتًا فَقَالَ " هِيهِ " . حَتَّى أَنْشَدْتُهُ مِائَةَ بَيْتٍ .
`Amr b. Sharid reported his father as saying:
One day when I rode behind Allah's Messenger (ﷺ), he said (to me): Do you remember any poetry of Umayya b. Abu Salt. I said: Yes. He said: Then go on. I recited a couplet, and he said: Go on. Then I again recited a couplet and he said: Go on. I recited one hundred couplets (of his poetry).
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৫৭৮০-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আমর ইবনু শারীদ তার পিতা শারীদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কবিতা আবৃতি করে শুনাতে বললেন, তারপর (উপরোক্ত) বর্ণনাকারী ইবরাহীম ইবনু মাইসারাহ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। আর এছাড়াও তিনি বর্ধিত বলেছেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ’সে তো মুসলিম হয়ে গিয়েছিল প্রায়। আর (অন্য সানাদের) বর্ণনাকারী ইবনু মাহদী (রহঃ) বর্ণিত হাদীসে আছে, তিনি বললেন, সে তো তার কবিতায় মুসলিম হওয়ার নিকটবর্তী হয়ে গিয়েছিল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬৯০, ইসলামিক সেন্টার ৫৭২২)
باب
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، ح وَحَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الطَّائِفِيِّ، عَنْ عَمْرِو، بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ اسْتَنْشَدَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . بِمِثْلِ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مَيْسَرَةَ وَزَادَ قَالَ " إِنْ كَادَ لَيُسْلِمُ " . وَفِي حَدِيثِ ابْنِ مَهْدِيٍّ قَالَ " فَلَقَدْ كَادَ يُسْلِمُ فِي شِعْرِهِ " .
`Amr b. Sharid reported on the authority of his father that Allah's Messenger (ﷺ) asked him to recite poetry, the rest of the hadith is the same, but with this addition:
"He (that is Umayya b. Abu Salt) was about to become a Muslim", and in the hadith transmitted on the authority of Ibn Mahdi (the words are) "He was almost a Muslim in his poetry."
পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - শুভ ও অশুভ লক্ষণ
৪৫৮১-[৬] ’আমর ইবনু শারীদ (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সাক্বীফ দলের মধ্যে একজন কুষ্ঠরোগী ছিল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে লোক পাঠিয়ে এ সংবাদ জানিয়ে দিলেন যে, আমি অবশ্যই তোমার বায়’আত নিয়েছি (বায়’আত করার প্রয়োজন নেই)। সুতরাং তুমি চলে যাও। (মুসলিম)[1]
بَابُ الْفَأْلِ وَالطِّيَرَةِ
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الشَّرِيدِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ فِي وَفْدِ ثَقِيفٍ رَجُلٌ مَجْذُومٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّا قد بايعناك فَارْجِع» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যাঃ সহীহুল বুখারীতে অন্য একটি হাদীসে এসেছে, وَفِرَّ مِنَ الْمَجْذُومِ فِرَارَكَ مِنَ الْأَسَدِ তুমি কুষ্ঠরোগী থেকে পলায়ন কর যেভাবে তুমি বাঘ থেকে পালাও। لاعدوى ‘‘কোন সংক্রামক রোগ নেই’’ অধ্যায়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি لايورد مُمْرِضٌ عَلَى مُصِحٍّ এর বিপরীত নয়।
কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ কুষ্ঠরোগীর ঘটনায় বিভিন্ন আসার (সাহাবীগণের বর্ণনা) এসেছে। আর উল্লেখিত হাদীস দু’টি প্রমাণিত হয়েছে। আর জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুষ্ঠ রোগীর সাথে খেয়েছেন। আর তাকে বলেছিলেন, তুমিও খাও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে এবং তারই ওপর তাওয়াক্কুল কর।
মা ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) বলেনঃ আমার মুক্ত দাসী আমার সাথে আমার পেস্নটে খেত আমার পাত্রে পান করত এবং আমার বিছানায় ঘুমাত।
কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ ‘উমার ও অন্যান্য সালাফ বলেন, কুষ্ঠরোগীর সাথে খাওয়া যায়। আর তারা মনে করেন তাকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ রহিত হয়ে গেছে। সহীহ কথা হলো, সেটি অধিকাংশের বক্তব্য আর তা হলো এটি রহিত হয়ে যায়নি। বরং উভয় হাদীসের মধ্যে সমন্বয় দরকার। কুষ্ঠরোগী থেকে পালানোর নির্দেশ ও তার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ সতর্কতামূলক মুস্তাহাব এটা ওয়াজিব নয়। আর তার সাথে খাওরা এটি জায়িয বর্ণনা করার জন্য। মহান আল্লাহই ভালো জানেন।
কাযী (রহিমাহুল্লাহ) আরো বলেনঃ কতক ‘উলামা বলেন, এ হাদীসটি এবং এ জাতীয় আরো হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত হয় যে, যদি কোন মহিলার স্বামীর কুষ্ঠরোগ হয় তবে তার বিবাহ ঠিক রাখা না রাখার ইখতিয়ার বা স্বাধীনতা আছে। কাযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ তারা বলেছেন, তাকে মসজিদে যেতে বাধা দেয়া হবে এবং মানুষের সাথে মিশতেও বাধা দেয়া হবে। মোট কথা বেশি লোকের সমাবেশে তারা অপছন্দ করে তবে তার যোগদান ঠিক নয়। আর জুমু‘আর সালাতের জন্য মসজিদে যেতে তাকে নিষেধ করা যাবে না। (শারহুন নাবাবী ১৪, হাঃ ২২৩১)