আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ

১৮০০। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে মুখাম্মাস নামক স্থানে আসরের সালাত আদায় করলেন এবং বললেন, এ সালাত তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতদের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এ সালাতকে বিনষ্ট করল। অতএব যে ব্যাক্তি এ সালাতের ব্যাপারে যত্নবান হবে তাকে দ্বিগুন সাওয়ার দেয়া হবে। এ সালাতের পর অন্য কোন সালাত নেই ’শাহিদ’ উদয় না হওয়া পর্যন্ত। (শাহিদ হল তারকা)

باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا ‏.‏

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ ‏"‏ ‏.‏ وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ ‏.‏


Abu Basra Ghifari reported: The Messenger of Allah (ﷺ) led us in the 'Asr prayer at (the place known as) Mukhammas, and then said: This prayer was presented to those gone before you, but they lost it, and he who guards it has two rewards in store for him. And no prayer is valid after till the onlooker appears (by onlooker is meant the evening star).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ

১৮০১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ বাসরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত পড়লেন। তারপর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا ‏.‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، - وَكَانَ ثِقَةً - عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.‏


This hadith has been narrated by Abu Basra Ghifari through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪/ মাগরিবের নামায বিলম্বে পড়া।

৫২২। কুতায়বা (রহঃ) ... আবূ বাসরা গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদা) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’মুখাম্মাস’ নামক স্থানে আমাদের নিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন। (এবং) বললেনঃ এই সালাত তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতগনের নিকট পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এর মর্যাদা রক্ষা করেনি। যে ব্যাক্তি উক্ত সালাত যথাযথ আদায় করবে, সে দ্বিগুন ছওয়াব পাবে। তার (আসর) পর শাহিদ উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আর কোন সালাত নেই। শাহিদ (অর্থ) তারকারাজি।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ قَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا وَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ ‏"‏ ‏.‏ وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ ‏.‏


It was narrated that Abu Basrah Al-Ghifari said: "The Messenger of Allah (ﷺ) led us in praying 'Asr in Al-Mukhammas. He said: 'This prayer was enjoined upon those who came before you, but they neglected it. Whoever prays it regularly will have a two-fold reward, and there is no prayer after it until the Shahid appears." And the Shahid is "the star." [1] [1] This is a statement of one of the narrators, and Allah knows best.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ

১৮১২-(২৯২/৮৩০) কুতায়বাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ বাসরাহ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুখাম্মাস নামক স্থানে আমাদের নিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন। তিনি বললেনঃ এ সালাত তোমাদের পূর্ববর্তীদের নিকট পেশ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা এ সালাত ধ্বংস করে দিল। যে ব্যক্তি এ সালাতের প্রতি যত্নবান হবে তাকে দ্বিগুণ সাওয়াব দেয়া হবে। এ সালাতের পর শাহিদ অর্থাৎ তারকা উদিত না হওয়া পর্যন্ত কোন সালাত নেই। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭৯৭, ইসলামীক সেন্টার ১৮০৪)

باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا ‏.‏

وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنِ ابْنِ هُبَيْرَةَ، عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلاَةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا فَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ وَلاَ صَلاَةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ ‏"‏ ‏.‏ وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ ‏.‏


Abu Basra Ghifari reported: The Messenger of Allah (ﷺ) led us in the 'Asr prayer at (the place known as) Mukhammas, and then said: This prayer was presented to those gone before you, but they lost it, and he who guards it has two rewards in store for him. And no prayer is valid after till the onlooker appears (by onlooker is meant the evening star).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে সকল ওয়াক্তে সালাত আদায় করা নিষেধ

১৮১৩-(.../...) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ বাসরাহ আল গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে আসরের সালাত আদায় করলেন ..... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৭৯৮, ইসলামীক সেন্টার ১৮০৫)

باب الأَوْقَاتِ الَّتِي نُهِيَ عَنِ الصَّلاَةِ، فِيهَا ‏.‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ ابْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ هُبَيْرَةَ السَّبَائِيِّ، - وَكَانَ ثِقَةً - عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْعَصْرَ ‏.‏ بِمِثْلِهِ ‏.‏


This hadith has been narrated by Abu Basra Ghifari through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪: মাগরিবের সালাত বিলম্বে আদায় করা

৫২১. কুতায়বাহ (রহ.)…. আবূ বাসরাহ আল গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ (সা.) ’মুখম্মাস’ নামক স্থানে আমাদেরকে নিয়ে আসরের সালাত আদায় করলেন। তিনি বললেন, এ সালাত তোমাদের পূর্ববতী উম্মতগণের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা এর মর্যাদা রক্ষা করেনি। যে ব্যক্তি উক্ত সালাত যথাযথ আদায় করবে, সে দ্বিগুণ নেকী পাবে। তার (’আসরের) পরে শাহিদ উদয়ের পূর্ব পর্যন্ত আর কোন সালাত নেই। শাহিদ (শব্দের অর্থ) তারকারাজি।

تأخير المغرب

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ خَيْرِ بْنِ نُعَيْمٍ الْحَضْرَمِيِّ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ ابْنِ هُبَيْرَةَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي تَمِيمٍ الْجَيْشَانِيِّ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ، ‏‏‏‏‏‏قَالَ:‏‏‏‏ إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا، ‏‏‏‏‏‏وَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ، ‏‏‏‏‏‏وَلَا صَلَاةَ بَعْدَهَا حَتَّى يَطْلُعَ الشَّاهِدُ وَالشَّاهِدُ النَّجْمُ .

تخریج دارالدعوہ: صحیح مسلم/صلاة المسافرین ۵۱ (۸۳۰)، (تحفة الأشراف: ۳۴۴۵)، مسند احمد ۶/۳۹۶، ۳۹۷ (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 522 - صحيح

14. Delaying Maghrib


It was narrated that Abu Basrah Al-Ghifari said: The Messenger of Allah (ﷺ) led us in praying 'Asr in Al-Mukhammas. He said: 'This prayer was enjoined upon those who came before you, but they neglected it. Whoever prays it regularly will have a two-fold reward, and there is no prayer after it until the Shahid appears. And the Shahid is the star. [1] [1] This is a statement of one of the narrators, and Allah knows best.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ উল্লেখিত হাদীসগুলোর অর্থ যা আমরা বলেছি যে, আরবরা কামেল না হলে সে ক্ষেত্রে তারা সেই নাম ব্যবহার করেন না আবার কামালিয়্যাতের কাছাকাছি হলে তার নাম ব্যবহার করেন- আমাদের উল্লেখিত বিষয়ের বিশুদ্ধতা প্রমাণে হাদীস

১৯৫. আবু যার আল গিফারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বাকী’ আল গারকাদের দিকে রওয়ানা দিলেন। আমিও তাঁর পিছে চললাম। অতঃপর তিনি আমাকে বললেন: ’হে আবু যার!’ আমি বললাম: ’আমি আপনার এবং আপনার সন্তুষ্টির কাছে সদাপ্রস্তুত! আপনার জন্য আমি উৎসর্গিত হতে প্রস্তুত! তিনি বললেন: : ’(দুনিয়াতে ধন-সম্পদের দিক দিয়ে) আধিক্যতা লাভকারীরা কিয়ামতের দিন (সাওয়াব প্রাপ্তির দিক দিয়ে) স্বল্প লাভকারী হবে, তবে সে ব্যতিত যে ব্যক্তি তার সম্পদ ডানে ও বামে এভাবে এভাবে খরচ করবে ’ তিনি এই কথাটি তিনবার বললেন। তারপর আমাদের সামনে উহুদ পাহাড় পড়লো।

 অতঃপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: ’হে আবু যার, আমার এটা মোটেও পছন্দ নয় যে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর পরিবারের নিকট এক দীনার বা এক মিসকাল সোনাও সন্ধা পর্যন্ত থাকুক।’ আমি বললাম: আল্লাহ ও তার রাসূলই ভালো জানেন। এরপর আমাদের সামনে আরো একটি উপত্যকা পড়লো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপত্যকার মাঝে অবতরণ করলেন। আমি এক প্রান্তে বসে পড়লাম। আমার মনে হলো তাঁর কোন হাজত আছে। তিনি আমার কাছে আসতে বিলম্ব করলেন। ফলে আমার মনে মন্দ ধারণা উদয় হলো (যে হয়তো কোন শত্রু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সামনে পড়েছে।) এমন সময় আমি মুনাজাত (চুপি চুপি সংলাপ) এর আওয়াজ শুনতে পেলাম। তিনি আমাকে বললেন: ’উনি জিবরীল, আমার উম্মাতের ব্যাপারে আমাকে জানিয়েছেন যে, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এই সাক্ষ্য দিবে যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোন মা’বুদ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর রাসূল, সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ আমি বললাম: ’হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যদি সে ব্যভিচার করে, যদি সে ‍চুরি করে?’ তিনি জবাবে বললেন: ’যদিও সে ব্যভিচার করে, যদিও সে চুরি করে, (তবুও সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।)’[1]

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى صِحَّةِ مَا ذَكَرْنَا أَنَّ مَعَانِيَ هَذِهِ الْأَخْبَارِ مَا قُلْنَا إِنَّ الْعَرَبَ تَنْفِي الِاسْمَ عَنِ الشَّيْءِ لِلنَّقْصِ عَنِ الْكَمَالِ وَتُضِيفُ الِاسْمَ إِلَى الشَّيْءِ لِلْقُرْبِ مِنَ التَّمَامِ

أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ عَنْ زَيْدِ بْنِ وَهْبٍ عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: انْطَلَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نحو بَقِيعِ الْغَرْقَدِ فَانْطَلَقْتُ خَلْفَهُ فَقَالَ: "يَا أَبَا ذَرٍّ" فَقُلْتُ: لَبَّيْكَ ثُمَّ سَعْدَيْكَ وَأَنَا فِدَاؤُكَ فَقَالَ: "الْمُكْثِرُونَ هُمُ الْمُقِلُّونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِلَّا مَنْ قَالَ بِالْمَالِ هَكَذَا وَهَكَذَا عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ شِمَالِهِ" قَالَهَا ثَلَاثًا ثُمَّ عَرَضَ لَنَا أُحُدٌ فَقَالَ: "يَا أَبَا ذَرٍّ مَا يَسُرُّنِي أَنَّهُ لِآلِ مُحَمَّدٍ ذَهَبًا يُمْسِي مَعَهُمْ دِينَارٌ أَوْ مِثْقَالٌ" فَقُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ثُمَّ عَرَضَ لَنَا وَادٍ فَاسْتَبْطَنَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَنَزَلَ فِيهِ وَجَلَسْتُ عَلَى شَفِيرِهِ فَظَنَنْتُ أَنَّ لَهُ حَاجَةً فَأَبْطَأَ عَلَيَّ وَسَاءَ ظَنِّي فَسَمِعْتُ مُنَاجَاةً فَقَالَ: "ذَلِكَ جِبْرِيلُ يُخْبِرُنِي لِأُمَّتِي مَنْ شَهِدَ مِنْهُمْ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ دَخَلَ الْجَنَّةَ" فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ؟ قَالَ: "وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ.
الراوي : أَبو ذَرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 195 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পানি পাওয়া ব্যক্তি যদি জুনুবী থাকে, তবে তার জন্য আবশ্যক হলো তখনই শরীরে পানি স্পর্শ করানো অর্থাৎ গোসল করা

১৩০৯. আবূ যার্র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে সাদাকার কিছু ছাগল জমা হলে তিনি বলেন, “হে আবূ যার্র, তুমি এগুলি নিয়ে মাঠে যাও।” আবূ যার্র রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “ফলে আমি সেগুলো নিয়ে রাবাযাহ নামক জায়গায় যাই। অতঃপর আমি সেখানে জুনুবী অবস্থায় ৫/৬ দিন অবস্থান করি, আমার মনে আমি খটকা অনুভব করলাম। ফলে আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসি এমন অবস্থায় যে, তিনি  হুজরার সাথে পিঠ হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। যখন তিনি আমাকে দেখলেন, তখন বললেন, “আবূ যার্র, কী ব্যাপার তোমার?” তিনি বলেন, “অতঃপর আমি সেখানে বসলাম।” তিনি আবার বলেন, “হে আবূ যার্র, কী ব্যাপার তোমার? তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক (অথবা তোমার মায়ের জন্য দুঃখ)।” আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমি জুনুবী হয়ে আছি।”রাবী বলেন, অতঃপর তিনি কালো এক দাসীকে আদেশ করলে, সে  এক পাত্র পানি নিয়ে আসলো। অতঃপর আমি কাপড় ও উটনীর মাধ্যমে পর্দা করলাম। তারপর গোসল করলাম। আমার মনে হলো যেন আমার থেকে একটি পাহাড় সরে গেলো। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “কাছে আসো, নিশ্চয়ই পবিত্র মাটি মুসলিম ব্যক্তির ওযূ, যদিও দশ বছর পর্যন্ত  পানি না পাওয়া যায়। অতঃপর যখন তুমি পানি পাবে, তখন তা তোমার শরীরে বুলিয়ে নিবে (অর্থাৎ গোসল করে নিবে)।”[1]

ذكر البيان بأن واجد الماء إذا الْمَاءِ إِذَا كَانَ جُنُبًا بَعْدَ تَيَمُّمِهِ عَلَيْهِ إِمْسَاسُ الْمَاءِ بَشَرَتَهُ حِينَئِذٍ

1309 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَلِيٍّ الصَّيْرَفِيُّ غُلَامُ طَالُوتَ بْنِ عَبَّادٍ بِالْبَصْرَةِ قَالَ: حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ الْحُسَيْنِ الْجَحْدَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ عَمْرِو بْنِ بُجْدَانَ قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ قَالَ: اجْتَمَعَتْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ غَنَمٌ مِنْ غَنَمِ الصَّدَقَةِ فَقَالَ: (ابْدُ يَا أَبَا ذَرٍّ) قَالَ: فَبَدَوْتُ فِيهَا إِلَى الرَّبْذَةِ قَالَ: فَكَانَ يَأْتِي عَلَيَّ الخمس والست وأنا جنب وَأَنَا جُنُبٌ فَوَجَدْتُ فِي نَفْسِي فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ مُسْنِدٌ ظَهْرَهُ إِلَى الْحُجْرَةِ فَلَمَّا رَآنِي قَالَ: مَا لَكَ يَا أَبَا ذَرٍّ قَالَ فَجَلَسْتُ , قَالَ: (مَا لَكَ يَا أَبَا ذَرٍّ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ)؟ قُلْتُ يارسول اللَّهِ جُنُبٌ قَالَ: فَأَمَرَ جَارِيَةً سَوْدَاءَ فَجَاءَتْ بِعُسٍّ فِيهِ مَاءٌ فَاسْتَتَرْتُ بِالْبَعِيرِ وَبِالثَّوْبِ فَاغْتَسَلْتُ فَكَأَنَّمَا وَضَعَ عَنِّي جَبَلًا فَقَالَ: (ادْنُ فَإِنَّ الصَّعِيدَ الطَّيِّبَ وَضُوءُ الْمُسْلِمِ وَلَوْ عَشْرَ حِجَجٍ فإذا وجد الماء فَلْيُمِسُّ بشرته الماء)
الراوي : أَبُو ذرٍّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 1309 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩) ফজর ও আসর নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ

৪৬০. (সহীহ্) আবু বুসরা গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ’মুখাম্মাস’[1] নামক এলাকায় আমাদেরকে আসরের নামায পড়ালেন তারপর বললেনঃ ’’নিশ্চয় এই নামায তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে পেশ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা তা বিনষ্ট করেছে। অতএব যে ব্যক্তি এ নামাযের প্রতি যত্নবান হবে তাকে দু’বার প্রতিদান দেয়া হবে।’’

(ইমাম মুসলিম ৮৩০ ও নাসাঈ ১/২৫৯ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)

الترغيب في المحافظة على الصبح والعصر

(صحيح) و عَنْ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعَصْرَ بِالْمُخَمَّصِ قَالَ إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ عُرِضَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَضَيَّعُوهَا وَمَنْ حَافَظَ عَلَيْهَا كَانَ لَهُ أَجْرُهُ مَرَّتَيْنِ. رواه مسلم والنسائي


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাসরা আল গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৯ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে