পরিচ্ছেদঃ ৩. মুত'আ বিবাহ তা বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, তারপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং এখন কিয়ামত পর্যন্ত তার অবৈধতা বলবৎ থাকবে
৩২৯৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... সাবরা ইবনু মা’বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছর তাঁর সাহাবীগণকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুতআর অনুমতি দেন। সাবরা (রাঃ) বলেন, তখন আমি এবং সুলায়ম গোত্রের আমার এক সাথী বের হয়ে পড়লাম এবং শেষ পর্যন্ত আমির গোত্রের এক যুবতীকে পেয়ে গেলাম। সে জোয়ান উষ্ট্রীর ন্যায়। আমরা তার নিকট মুত’আ বিবাহের প্রস্তাব দিলাম এবং আমাদের চাঁদর তার সামনে পেশ করলাম। তখন সে তাকিয়ে দেখল এবং আমাকে আমার সঙ্গীর তুলনায় সুন্দর দেখতে পেল, অপরদিকে আমার চাঁদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাঁদর উৎকৃষ্টতর দেখল। সে মনে মনে কিছুক্ষণ চিন্তা করল তারপর আমার সঙ্গীর চাইতে আমাকে অগ্রাধিকার দিল। তারা আমাদের সাথে তিন থাকল। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পরিত্যাগ করতে আমাদের নির্দেশ দিলেন।
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالتَّمَتُّعِ مِنَ النِّسَاءِ - قَالَ - فَخَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى وَجَدْنَا جَارِيَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَخَطَبْنَاهَا إِلَى نَفْسِهَا وَعَرَضْنَا عَلَيْهَا بُرْدَيْنَا فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ فَتَرَانِي أَجْمَلَ مِنْ صَاحِبِي وَتَرَى بُرْدَ صَاحِبِي أَحْسَنَ مِنْ بُرْدِي فَآمَرَتْ نَفْسَهَا سَاعَةً ثُمَّ اخْتَارَتْنِي عَلَى صَاحِبِي فَكُنَّ مَعَنَا ثَلاَثًا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهِنَّ .
Sabra b. Ma'bad reported that Allah's Apostle (ﷺ) permitted his Companions to contract temporary marriage with women in the Year of Victory. So I and a friend of mine from Banu Sulaim went out, until we found a young woman of Banu Amir who was like a young she-camel having a long neck. We proposed to her for contracting temporary marriage with us, and presented to her our cloaks (as dower). She began to look and found me more handsome than my friend, but found the cloak of my friend more beautiful than my cloak. She thought in her mind for a while, but then preferred me to my friend. So I remained with her for three (nights), and then Allah's Messenger (ﷺ) commanded us to part with them (such women).
পরিচ্ছেদঃ ১৭৪. যমীন খন্ড করে বন্দোবস্ত দেওয়া।
৩০৫৭. সুলায়মান ইবন দাউদ মাহরী (রহঃ) ..... সাবুরা ইবন আবদিল আযীয ইবন রবী জুহানী (রহঃ) তাঁর পিতা হতে, তিনি তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (জুহানিয়াদের এলাকায়) মসজিদের স্থানে একটি গাছের ঝাড়ের নীচে তিন দিন অবস্থান করেন। এরপর সেখান থেকে তিনি তাবুক অভিমুখে যাত্রা করেন। এ সময় জুহায়নারা তাঁর সঙ্গে রাহবা নামক স্থানে সাক্ষাত করে। তখন তাদের জিজ্ঞাসা করেনঃ এখানে কারা বসবাস করে? তারা জওয়াবে বলেঃ জুহায়না সম্প্রদায়ের বনূ রিফা’আ গোত্রের লোকেরা। তখন তিনি বলেনঃ আমি এ যমীন বনূ বিফাআ গোত্রের লোকদের প্রদান করছি। তারা ঐ যমীন হতে স্ব স্ব অংশ বন্টন করে নেয়, যার কিছু অংশ তারা পরবর্তীকালে বিক্রি করে দেয় এবং কিছু লোক তা চাষাবাদ করতে থাকে।
রাবী ইবন ওয়াহব বলেনঃ আমি পরে আবদুল আযীযকে এ হাদীছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। তখন তিনি এর কিছু অংশ আমার নিকট বর্ণনা করেন। তিনি পূর্ণ হাদীছটি আমার কাছে বর্ণনা করেন নি।
باب فِي إِقْطَاعِ الأَرَضِينَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي سَبْرَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ الْجُهَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَزَلَ فِي مَوْضِعِ الْمَسْجِدِ تَحْتَ دَوْمَةٍ فَأَقَامَ ثَلاَثًا ثُمَّ خَرَجَ إِلَى تَبُوكَ وَإِنَّ جُهَيْنَةَ لَحِقُوهُ بِالرَّحْبَةِ فَقَالَ لَهُمْ " مَنْ أَهْلُ ذِي الْمَرْوَةِ " . فَقَالُوا بَنُو رِفَاعَةَ مِنْ جُهَيْنَةَ . فَقَالَ " قَدْ أَقْطَعْتُهَا لِبَنِي رِفَاعَةَ " . فَاقْتَسَمُوهَا فَمِنْهُمْ مَنْ بَاعَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَمْسَكَ فَعَمِلَ ثُمَّ سَأَلْتُ أَبَاهُ عَبْدَ الْعَزِيزِ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَحَدَّثَنِي بِبَعْضِهِ وَلَمْ يُحَدِّثْنِي بِهِ كُلِّهِ .
Narrated Saburah ibn Ma'bad al-Juhani:
The Prophet (ﷺ) alighted at a place where a mosque has been built under a large tree. He tarried there for three days, and then proceeded to Tabuk. Juhaynah met him on a wide plain. He asked them: who are the people of Dhul-Marwah? They replied: Banu Rifa'ah of Juhaynah. He said: I have given this (land) to Banu Rifa'ah as a fief. Therefore, they divided it. Some of them sold (their share) and others retained and worked on it.
(Sub-narrator Ibn Wahab said: I then asked AbdulAziz about this tradition. He narrated a part of it to me and did not narrate it in full.
পরিচ্ছেদঃ ৪/১২. উট ও ভেড়ার খোঁয়াড়ে সালাত পড়া
৩/৭৭০। সাবরা ইবনু মাবাদ আল-জুহানী থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ উটের খোঁয়াড়ে সালাত পড়া যাবে না, তবে বকরীর খোঁয়াড়ে সালাত পড়া যাবে।
بَاب الصَّلَاةِ فِي أَعْطَانِ الْإِبِلِ وَمُرَاحِ الْغَنَمِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ رَبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ، أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " لاَ يُصَلَّى فِي أَعْطَانِ الإِبِلِ وَيُصَلَّى فِي مُرَاحِ الْغَنَمِ " .
'Abdul-Malik bin Rabi' bin Sabrah bin Ma'bad Al-Juhani said:
"My father told me, from his father that the Messenger of Allah said: 'Do not perform prayer in the camels' resting-places, and perform prayer in the sheep's resting-places.'"
পরিচ্ছেদঃ শিশুদের কখন সালাতের নিদের্শ দেওয়া হবে।
৪০৭. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... সাবরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সাত বৎসর হলে শিশুদের সালাত (নামায/নামাজ) শিক্ষা দিবে আর দশ বৎসরের হলে এই বিষয়ে (প্রয়োজনবোধে) প্রহার করবে। - মিশকাত ৫৭২,৫৭৩, সহিহ আবু দাউদ ২৪৭, ইরওয়া ২৪৭, তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ ১০০২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪০৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ সাবরা ইবনু মা’বাদ আল-জুহানী (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিমও এতদনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। কতক আলিম ও এতদনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। ইমাম আহমদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমতও এ-ই। তারা বলেন, দশ বছর হওয়ার পর কোন শিশু সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করলে তাকে তা অবশ্যই কাযা করতে হবে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই সাবরা হলেন ইবনু মা’বাদ আল-জুহানী এবং তাকে ইবনু আওসাজাও বলা হয়।
باب مَا جَاءَ مَتَى يُؤْمَرُ الصَّبِيُّ بِالصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلاَةَ ابْنَ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالاَ مَا تَرَكَ الْغُلاَمُ بَعْدَ الْعَشْرِ مِنَ الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ يُعِيدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَبْرَةُ هُوَ ابْنُ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ وَيُقَالَ هُوَ ابْنُ عَوْسَجَةَ .
(Sabrah bin Ma'bad al-Juhni) narrated that:
Allah's Messenger (S) said: "Teach the boy Salat when he is seven years old, and beat him (if he does not pray) when he is ten."
পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. বালকদের কখন হতে নামায আদায়ের নির্দেশ দিতে হবে
৪০৭। সাবরা ইবনু মা’বাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাত বছর বয়সে বালকদের নামায শিখাও এবং দশ বছরে পৌছলে নামায আদায়ের অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য দৈহিক শাস্তি দাও।
এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। হাসান সহীহ। মিশকাত- (৫৭২, ৫৭৩), সহীহ আবু দাউদ(২৪৭), ইরওয়া- (২৪৭), তা’লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ– (১০০২)।
আবু ঈসা বলেনঃ সাবরা ইবনু মা’বাদের হাদীসটি হাসান সহীহ। একদল বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমল করেছেন। ইমাম আহমাদ এবং ইসহাকও একথা বলেছেন। তারা উভয়ে বলেছেন, কোন বালক দশ বছরের পর নামায না আদায় করলে এগুলোর কাযা তাকে অবশ্যই আদায় করতে হবে।
আবু ঈসা বলেনঃ সাবরা হলেন ইবনু মা’বাদ আল-জুহানী, এও বলা হয়ে থাকে যে, তিনি ইবনু আওসাজাহ।
باب مَا جَاءَ مَتَى يُؤْمَرُ الصَّبِيُّ بِالصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ الْجُهَنِيُّ، عَنْ عَمِّهِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلاَةَ ابْنَ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرٍ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَقَالاَ مَا تَرَكَ الْغُلاَمُ بَعْدَ الْعَشْرِ مِنَ الصَّلاَةِ فَإِنَّهُ يُعِيدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَبْرَةُ هُوَ ابْنُ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ وَيُقَالَ هُوَ ابْنُ عَوْسَجَةَ .
(Sabrah bin Ma'bad al-Juhni) narrated that:
Allah's Messenger (S) said: "Teach the boy Salat when he is seven years old, and beat him (if he does not pray) when he is ten."
পরিচ্ছেদঃ ১৪১. শিশুদেরকে কখন সালাতের আদেশ দেয়া হবে
১৪৬৮. সাবরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সাত বৎসর বয়স হলে শিশুদের সালাত শিক্ষা দিবে আর দশ বৎসর হলে এর জন্য (প্রয়োজনবোধে) প্রহার করবে।”[1]
তাখরীজ: তিরমিযী ৪০৭; তাবারাণী, আল কাবীর ৭/১১৫ নং ৬৫৪৬, ৬৫৪৭,৬৫৪৮, ৬৫৪৯; তাহাবী , শারহু মুশকিলিল আছার ৩/২৩১; ইবনু খুযাইমা, আস সহীহ নং ১০০২; হাকিম ১/২৫৮; বাইহাকী ৩/৮৩-৮৪; মা’রিফাতুস ুসুনান ওয়াল আছার নং ৫৭২২; ইবনু আবী শাইবা ১/৩৪৭; আহমাদ ৩/৪০৪; আবু দাউদ ৪৯৪; দারুকুতনী ১/২৩০।
তিরমিযী বলেন: এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
হাকিম বলেন: এ হাদীসটি সহীহ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ যদিও তারা এটি বর্ণনা করেননি।’ যাহাবী তার এ মত সমর্থন করেছেন।
بَاب مَتَى يُؤْمَرُ الصَّبِيُّ بِالصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيُّ حَدَّثَنِي عَمِّي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلَاةَ ابْنَ سَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩. মুত্'আহ বিবাহ বৈধ ছিল, পরে তা বাতিল করা হয়, অতঃপর বৈধ করা হয়, আবার বাতিল করা হয় এবং তা কিয়ামত পর্যন্ত স্থির থাকবে
৩৩১৬-(২৩/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ..... সাবরাহ ইবনু মা’বাদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কাহ (মক্কা) বিজয়ের বছর তার সাহাবীগণকে স্ত্রীলোকদের সাথে মুত্’আর অনুমতি দেন। সারাহ (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি এবং সুলায়ম গোত্রের আমার এক সাথী বের হয়ে পড়লাম এবং শেষ পর্যন্ত আমি গোত্রের এক যুবতীকে পেয়ে গেলাম। সে ছিল দীর্ঘাঙ্গী যুবতী উটনীর ন্যায়। আমরা তার নিকট মুত’আহ বিবাহের প্রস্তাব দিলাম এবং আমাদের চাঁদর তার সামনে পেশ করলাম। তখন সে তাকিয়ে দেখল এবং আমাকে আমার সঙ্গীর তুলনায় সুন্দর দেখতে পেল, অপরদিকে আমার চাঁদরের তুলনায় আমার সঙ্গীর চাঁদর উৎকৃষ্টতর দেখল। সে মনে মনে কিছুক্ষণ চিন্তা করল। অতঃপর আমার সঙ্গীর চাইতে আমাকে অগ্রাধিকার দিল। তারা আমাদের সাথে তিন দিনের মুত’আহ করল। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিদায় করে দেয়ার জন্য আমাদের নির্দেশ দিলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩২৯১, ইসলামীক সেন্টার ৩২৮৯)
باب نِكَاحِ الْمُتْعَةِ وَبَيَانِ أَنَّهُ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ ثُمَّ أُبِيحَ ثُمَّ نُسِخَ وَاسْتَقَرَّ تَحْرِيمُهُ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبِي رَبِيعَ بْنَ سَبْرَةَ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَامَ فَتْحِ مَكَّةَ أَمَرَ أَصْحَابَهُ بِالتَّمَتُّعِ مِنَ النِّسَاءِ - قَالَ - فَخَرَجْتُ أَنَا وَصَاحِبٌ لِي مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ حَتَّى وَجَدْنَا جَارِيَةً مِنْ بَنِي عَامِرٍ كَأَنَّهَا بَكْرَةٌ عَيْطَاءُ فَخَطَبْنَاهَا إِلَى نَفْسِهَا وَعَرَضْنَا عَلَيْهَا بُرْدَيْنَا فَجَعَلَتْ تَنْظُرُ فَتَرَانِي أَجْمَلَ مِنْ صَاحِبِي وَتَرَى بُرْدَ صَاحِبِي أَحْسَنَ مِنْ بُرْدِي فَآمَرَتْ نَفْسَهَا سَاعَةً ثُمَّ اخْتَارَتْنِي عَلَى صَاحِبِي فَكُنَّ مَعَنَا ثَلاَثًا ثُمَّ أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِفِرَاقِهِنَّ .
Sabra b. Ma'bad reported that Allah's Apostle (ﷺ) permitted his Companions to contract temporary marriage with women in the Year of Victory. So I and a friend of mine from Banu Sulaim went out, until we found a young woman of Banu Amir who was like a young she-camel having a long neck. We proposed to her for contracting temporary marriage with us, and presented to her our cloaks (as dower). She began to look and found me more handsome than my friend, but found the cloak of my friend more beautiful than my cloak. She thought in her mind for a while, but then preferred me to my friend. So I remained with her for three (nights), and then Allah's Messenger (ﷺ) commanded us to part with them (such women).
পরিচ্ছেদঃ পরিবার-পরিজন, স্বীয় জ্ঞানসম্পন্ন সন্তান-সন্ততি ও আপন সমস্ত অধীনস্থদেরকে আল্লাহর আনুগত্যের আদেশ দেওয়া, তাঁর অবাধ্যতা থেকে তাদেরকে নিষেধ করা, তাদেরকে আদব শেখানো এবং শরয়ী নিষিদ্ধ জিনিষ থেকে তাদেরকে বিরত রাখা ওয়াজেব।
(২৭০০) আবূ সুরাইয়াহ সাবরাহ ইবনে মা’বাদ জুহানী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা শিশুকে সাত বছর বয়সে নামায শিক্ষা দাও এবং দশ বছর বয়সে তার জন্য তাকে মার।
আবূ দাঊদের শব্দেঃ শিশু সাত বছর বয়সে পৌঁছলে তাকে তোমরা নামাযের আদেশ দাও।
وَعَن أَبِـيْ ثُرَيَّةَ سَبْرَةَ بنِ مَعبَدٍ الجُهَنِيِّ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ عَلِّمُوا الصَّبِيَّ الصَّلاةَ لِسَبْعِ سِنِينَ وَاضْرِبُوهُ عَلَيْهَا ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ حديث حسن رواه أَبُو داود والترمذي وَقالَ حديث حسن ولفظ أَبِـيْ داود مُرُوا الصَّبِيَّ بِالصَّلاةِ إِذَا بَلَغَ سَبْعَ سِنِينَ
পরিচ্ছেদঃ ৪. সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সুতরা বা আড় - সুতরাহ গ্রহণের নির্দেশ ও তার প্রশস্ততার কোন সীমারেখা নেই
২৩০. সাবরাহ বিন মা’বাদ আল জুহনী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত আদায় করার সময় সুতরা করে নেবে যদিও একখানা তীর দিয়ে তা করা হয়। হাকিম।[1]
وَعَنْ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لِيَسْتَتِرْ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ وَلَوْ بِسَهْمٍ». أَخْرَجَهُ الْحَاكِمُ
-
حسن. رواه الحاكم (1/ 252)، واللفظ الذي ساقه الحافظ لابن أبي شيبة (1/ 278)