পরিচ্ছেদঃ ১৯. 'উসমান ইবনু আফফান (রাযিঃ)-এর মর্যাদা।
৩৭০১। ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উসমান (রাযিঃ) এক হাজার দীনারসহ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির হলেন। বর্ণনাকারী আল-হাসান ইবনু ওয়াকি’ (রহঃ) বলেন, আমার কিতাবের (পাণ্ডুলিপির) অন্য জায়গায় আছে, তিনি তার জামার হাতার মধ্যে করে সেগুলো নিয়ে আসেন যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাবুকের যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। মুদ্রগুলো তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোলে ঢেলে দেন। আবদুর রহমান (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমি সেগুলো তার কোলে ওলট-পালট করতে করতে বলতে শুনলামঃ আজকের পর হতে উসমান যে কার্যকলাপই করুক তা তার কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। তিনি কথাটি দু’বার বললেন।
হাসানঃ মিশকাত (৬০৭৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপর্যুক্ত সনদে হাসান গারীব।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا ضَمْرَةُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَوْذَبٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنْ كَثِيرٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ جَاءَ عُثْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِأَلْفِ دِينَارٍ - قَالَ الْحَسَنُ بْنُ وَاقِعٍ وَكَانَ فِي مَوْضِعٍ آخَرَ مِنْ كِتَابِي فِي كُمِّهِ حِينَ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَنَثَرَهَا فِي حِجْرِهِ . قَالَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُقَلِّبُهَا فِي حِجْرِهِ وَيَقُولُ " مَا ضَرَّ عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ " . مَرَّتَيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Samurah:
that 'Uthman went to the Prophet (ﷺ) with one-thousand Dinar" - Al-Hasan bin Waqi (one of the narrators) said: "And in another place in my book: 'In his garment when the 'army of distress' was being prepared. So he poured them into his lap.'" - 'Abdur-Rahman said: "So I saw the Prophet (ﷺ) turning them over in his lap, saying: 'Whatever 'Uthman does after today will not harm him,' two times."
পরিচ্ছেদঃ ২৩. লুটতরাজ করা নিষিদ্ধ
২০৩৩. আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিনতাই-লুটতরাজ করা হতে নিষেধ করেছেন।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, মুশকিলিল আছার ১/১৩০; ইবনু আবী শাইবা, ৭/৫৯ নং ২৩৬৯; আহমাদ ৫/৬২, ৬৩; আবূ দাউদ, জিহাদ ২৭০৩; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ ৬৪৫;
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইমরাণ ইবনু হুসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২৬৭, ৫১৭০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১২৭০, ১৬৮০ তে। এছাড়া ছা’লাবা ইবনুল হাকাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এর শাহিদ রয়েছে যার তাখরীজ আমরা দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫১৬৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৬৭৯ তে।
بَاب النَّهْيِ عَنْ النُّهْبَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ يَعْلَى بْنِ حَكِيمٍ عَنْ أَبِي لَبِيدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ النُّهْبَةِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هَذَا فِي الْغَزْوِ إِذَا غَنِمُوا قَبْلَ أَنْ يُقْسَمَ
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অন্য বিষয়কে এরচেয়ে উত্তম দেখতে পায়
২৩৮৫. আবদুর রহমান ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হে আবদুর রহমান ইবনু সামুরা, শাসন ক্ষমতা বা নেতৃত্ব চেয়ে নেবে না। কেননা যদি চাওয়ার কারণে তা তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে এর (ভাল মন্দের) দায়-দায়িত্ব তোমার প্রতিই সোপর্দ করা হবে। আর যদি চাওয়া ছাড়াই তা তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে এই বিষয়ে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) তুমি সাহায্য প্রাপ্ত হবে। আবার কোন বিষয়ে কসম করার পরে অন্য একটি বিষয়কে যদি তা থেকে উত্তম দেখতে পাও, তবে তোমার কসমের কাফফারা দিয়ে দিবে এবং ঐ ভাল কাজটি করবে।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, আহকাম ৭১৪৭; মুসলিম, আইমান ১৬৫২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৩৪৮ তে। এছাড়াও, ইবনুল জারুদ, আল মুনতাক্বা নং ৯২৯; ইবনুল কানি’, মুজামুস সাহাবাহ, তারজমাহ ৬৪৫।
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْفَضْلِ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لَا تَسْأَلْ الْإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا فَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোনো ব্যক্তি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর অন্য বিষয়কে এরচেয়ে উত্তম দেখতে পায়
২৩৮৬. (অপর সূত্রে) আবদুর রহমান ইবনু সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: … এ বলে তিনি অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেন।[1]
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ نَحْوَ الْحَدِيثِ
পরিচ্ছেদঃ ৬. সূর্যগ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান করা এবং “আস্সলা-তু জা-মিজহ্” (সালাতের জামা'আত) বলা প্রসঙ্গে
২০০৩-(২৫/৯১৩) উবায়দুল্লাহ ইবনু উমার আল কাওয়ারীরী (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় আমি তীর নিক্ষেপ করেছিলাম। এমন সময় সূর্যগ্রহণ লাগল। তখন আমি এগুলো ফেলে রেখে মনে মনে ভাবলাম, আজ সূর্যগ্রহণে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নতুন কিছু প্রকাশ পায় কিনা তা অবশ্যই দেখব। আমি তার কাছে পৌছে গেলাম। এ সময় তিনি দু’ হাত উঠিয়ে দুআ করছিলেন এবং তাকবীর (আল্ল-হু আকবার), তাহমীদ (আল হামদুলিল্লা-হ) ও তাহলীলে (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ) মশগুল ছিলেন। অবশেষে সূর্য পরিষ্কার হয়ে গেল। এরপর তিনি দু’টি সূরাহ পাঠ করলেন এবং দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৮৭, ইসলামীক সেন্টার ১৯৯৪)
باب ذِكْرِ النِّدَاءِ بِصَلاَةِ الْكُسُوفِ " الصَّلاَةَ جَامِعَةً "
وَحَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ الْقَوَارِيرِيُّ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، حَيَّانَ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَرْمِي، بِأَسْهُمِي فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذِ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ فَنَبَذْتُهُنَّ وَقُلْتُ لأَنْظُرَنَّ إِلَى مَا يَحْدُثُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي انْكِسَافِ الشَّمْسِ الْيَوْمَ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ يَدْعُو وَيُكَبِّرُ وَيَحْمَدُ وَيُهَلِّلُ حَتَّى جُلِّيَ عَنِ الشَّمْسِ فَقَرَأَ سُورَتَيْنِ وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ .
'Abd al-Rahman b. Samura said:
During the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) I was shooting my arrows in Medina, when an eclipse of the sun took place. I, therefore, threw them away and said, I must see how the Messenger of Allah (ﷺ) acts in a solar eclipse today. When I came to him, he had been supplicating with his hands, raised, pronouncing Allah-o-Akbar, praising Him, acknowledging that He is One God till the eclipse was over, then he recited two surahs and prayed two rak'ahs.
পরিচ্ছেদঃ ৬. সূর্যগ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান করা এবং “আস্সলা-তু জা-মিজহ্” (সালাতের জামা'আত) বলা প্রসঙ্গে
২০০৪-(২৬/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, যিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীর অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে আমি একবার মদীনায় তীর নিক্ষেপ করেছিলাম। এমন সময় সূর্যগ্ৰহণ আরম্ভ হ’ল। তখন আমি এগুলো ফেলে রেখে মনে মনে বললাম, আল্লাহর কসম! সূর্যগ্রহণকালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যা কিছু প্রকাশ পায়, তা অবশ্যই দেখব। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে দেখি তিনি সালাতে দণ্ডায়মান এবং দু’ হাত উঠিয়ে তাসবীহ (সুবহা-নাল্ল-হ), তাহমীদ (আল হামদুলিল্লা-হ), তাহলীল (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হ), তাকবীর (আল্ল-হু আকবার) ও দু’আ করছেন, অবশেষে সূর্য গ্রাসমুক্ত হ’ল এবং তিনি দুটি সূরাহ পাঠ করলেন এবং দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৮৮, ইসলামীক সেন্টার ১৯৯৫)
باب ذِكْرِ النِّدَاءِ بِصَلاَةِ الْكُسُوفِ " الصَّلاَةَ جَامِعَةً "
وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ حَيَّانَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، - وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ كُنْتُ أَرْتَمِي بِأَسْهُمٍ لِي بِالْمَدِينَةِ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ كَسَفَتِ الشَّمْسُ فَنَبَذْتُهَا فَقُلْتُ وَاللَّهِ لأَنْظُرَنَّ إِلَى مَا حَدَثَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ قَالَ فَأَتَيْتُهُ وَهُوَ قَائِمٌ فِي الصَّلاَةِ رَافِعٌ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يُسَبِّحُ وَيَحْمَدُ وَيُهَلِّلُ وَيُكَبِّرُ وَيَدْعُو حَتَّى حُسِرَ عَنْهَا . قَالَ فَلَمَّا حُسِرَ عَنْهَا قَرَأَ سُورَتَيْنِ وَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ .
'Abd al-Rahman b. Samura, who was one of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) said:
During the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) I was shooting some of my arrows in Medina, when the sun eclipsed. I threw (the arrows) and said: By Allah, I must see how the Messenger of Allah (ﷺ) acts in solar eclipse. So I came to him and he was standing in prayer, raising his hands, glorifying Him, praising Him, acknowledging His Oneness, declaring His greatness, and supplicating Him, till the sun cleared. When the eclipse was over, he recited two surahs and prayed two rak'ahs.
পরিচ্ছেদঃ ৬. সূর্যগ্রহণের সালাতের জন্য আহ্বান করা এবং “আস্সলা-তু জা-মিজহ্” (সালাতের জামা'আত) বলা প্রসঙ্গে
২০০৫-(২৭/...) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় একবার আমি আমার তীর ছুড়ছিলাম, এমন সময় সূর্যগ্রহণ লাগল। অতঃপর পূর্বোক্ত বর্ণনাকারীর মতো বর্ণনা করেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৯৮৯, ইসলামীক সেন্টার ১৯৯৬)
باب ذِكْرِ النِّدَاءِ بِصَلاَةِ الْكُسُوفِ " الصَّلاَةَ جَامِعَةً "
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا سَالِمُ بْنُ نُوحٍ، أَخْبَرَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ حَيَّانَ بْنِ، عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَتَرَمَّى، بِأَسْهُمٍ لِي عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ خَسَفَتِ الشَّمْسُ . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِهِمَا .
'Abd al-Rahman b. Samura reported:
I was shooting some of my arrows during the lifetime of the Messenger of Allah (ﷺ) that the sun eclipsed. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ২. যে ব্যক্তি লাত ও উয্যার নামে কসম করে সে যেন লা ইলাহা ইল্লালাহ বলে
৪১৫৪-(৬/১৬৪৮) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা দেব-দেবীর নামে ও তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১১৬, ইসলামিক সেন্টার ৪০১৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সৃষ্টি জগতের কোনো বস্তুর বা ব্যক্তির কসম খাওয়া হারাম। তবে আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ওই ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে বলেছিলেন, যে ব্যক্তি তাঁর কাছে ইসলামের বিধি বিধান জানতে চেয়েছিলেন: “তাঁর পিতার শপথ সে যদি সত্য কথা বলে থাকে, তাহলে সে নিশ্চয় জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ প্রাপ্ত ব্যক্তি”। [দেখতে পারা যায় সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৯ - (১১)] ।
এই হাদীসটির উত্তর হলো এই যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] উক্ত সাহাবীর পিতার শপথ করেছেন ওই সময়ে, যে সময়ে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করার বিষয়টি হারাম করা হয় নি। পরে যখন সেই বিষয়টি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে হারাম করা হয়, তখন তিনি তা বর্জন করেন। তাই এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহ, তাঁর নাম এবং তাঁর গুণাবলির শপথ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করা হারাম ও অবৈধ। এই ক্ষেত্রে আরো অনেক উক্তি রয়েছে কিন্তু এই বিষয়টি লম্বা না করার উদ্দেশ্যে উক্ত উক্তিগুলিকে এখানে উল্লেখ করলাম না।
২। মহান আল্লাহ ছাড়া যে সমস্ত বতিল উপাস্য ও মূর্তি রয়েছে, সেই সমস্ত বতিল উপাস্য ও মূর্তিকে (الطَّوَاغِيْ) বলা হয়। (الطَّوَاغِيْ) হলো বহু বচন এবং (الطاغية) হলো এক বচন। আবার (الطَّوَاغِيْ) ওই সমস্ত লোককেও বলা হয়, যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে না আর কুকর্মে সীমালঙ্ঘন করে।
باب مَنْ حَلَفَ بِاللاَّتِ وَالْعُزَّى فَلْيَقُلْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ، الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَحْلِفُوا بِالطَّوَاغِي وَلاَ بِآبَائِكُمْ " .
Abd al-Rahman b. Samura reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
Do not swear by idols, nor by your fathers.
পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, অতঃপর এটা না করাই উত্তম মনে করলে তা-ই করবে আর কসমের কাফফারাহ দিয়ে দিবে
৪১৭৩-(১৯/১৬৫২) শাইবান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ..... ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি শাসন কর্তৃত্ব চেয়ো না। কারণ, যদি তোমাকে চাওয়ার কারণে তা দেয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর পড়বে। আর চাওয়া ব্যতীত তোমাকে তা দেয়া হলে এ ব্যাপারে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যখন তুমি কোন কাজের উপর কসম কর, তারপর তার বিপরীত কাজকে তুমি উত্তম মনে কর, তবে তুমি তোমার কসমের কাফফারাহ আদায় কর এবং যা উত্তম তা করে নাও। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৪৭০৫]
আবূ আহমাদ আল-জালূদী ..... জারীর ইবনু হাযিম (রহঃ) হতে উক্ত সানাদে হাদীসটি বর্ণনা করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১৩৫, ইসলামিক সেন্টার ৪১৩৪)
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ " .
قَالَ أَبُو أَحْمَدَ الْجُلُودِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ الْمَاسَرْجَسِيُّ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، . بِهَذَا الْحَدِيثِ .
Abd al-Rahman b. Samura reported that Allah's Messenger (ﷺ) said to me:
Abd al-Rahman b. Samura, don't ask for authority for if it is granted to you for asking for it, you would be commissioned for it (without having the support of Allah), but if you are granted it without your asking for it. You would be helped (by Allah) in it. And when you take an oath and find something else better than that, expiate for (breaking) your oath, and do that which is better. This hadith has also been transmitted on the authority of Ibn Farrukh.
The above hadith is narratted through another chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৩. যে ব্যক্তি কোন বিষয়ে কসম করে, অতঃপর এটা না করাই উত্তম মনে করলে তা-ই করবে আর কসমের কাফফারাহ দিয়ে দিবে
৪১৭৪-(.../...) ’আলী ইবনু হুজুর সা’দী ..... আবূ কামিল জাহদারী ..... উবাইদুল্লাহ ইবনু মুআয ..... ও উকবাহ ইবনু মুকরাম আম্মী ..... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেন। তবে মু’তামির তার পিতা সূত্রে বর্ণিত হাদীসে শাসন কর্তৃত্ব (ইমারাত) এর কথা উল্লেখ নেই। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪১৩৬. ইসলামিক সেন্টার ৪১৩৫)
باب نَدْبِ مَنْ حَلَفَ يَمِينًا فَرَأَى غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا أَنْ يَأْتِيَ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَيُكَفِّرَ عَنْ يَمِينِهِ
حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، وَمَنْصُورٍ، وَحُمَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَهِشَامِ، بْنِ حَسَّانَ فِي آخَرِينَ ح وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاذٍ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، عَنْ أَبِيهِ، ح وَحَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . بِهَذَا الْحَدِيثِ وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ الْمُعْتَمِرِ عَنْ أَبِيهِ ذِكْرُ الإِمَارَةِ .
This hadith has been narrated on the authority of 'Abd al-Rahman b. Samura through another chain of transmitters but there is no mention of the word" authority".
পরিচ্ছেদঃ ৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার লোভ নিষিদ্ধ
৪৬০৯-(১৩/১৬৫২) শাইবন ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ...... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আবদুর রহমান! তুমি শাসন ক্ষমতা চাইবে না। কারণ যদি চাওয়ার মাধ্যমে তা পাও, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপর ন্যস্ত হবে। আর যদি তুমি চাওয়া ছাড়া তা পেয়ে যাও, তবে এ ব্যাপারে তুমি (আল্লাহর তরফ থেকে) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। [দ্রষ্টব্য হাদীস ৪২৮১] (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫৬৪, ইসলামিক সেন্টার ৪৫৬৭)
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ لاَ تَسْأَلِ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ أُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا " .
It has been reported on the authority of 'Abd al-Rahman b. Samura who said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'Abd al-Rahman, do not ask for a position of authority, for if you are granted this position as a result of your asking for it, you will be left alone (without God's help to discharge the responsibilities attendant thereon), and it you are granted it without making any request for it, you will be helped (by God in the discharge of your duties).
পরিচ্ছেদঃ ৩. নেতৃত্ব প্রার্থনা ও ক্ষমতার লোভ নিষিদ্ধ
৪৬১০-(.../...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আলী ইবনু হুজর সাদী, আবূ কামিল জাহদারী ..... আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাযিঃ) এর সূত্রেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪৫৬৫, ইসলামিক সেন্টার ৪৫৬৮)
باب النَّهْىِ عَنْ طَلَبِ الإِمَارَةِ، وَالْحِرْصِ، عَلَيْهَا
وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنِي عَلِيُّ، بْنُ حُجْرٍ السَّعْدِيُّ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ يُونُسَ، وَمَنْصُورٍ، وَحُمَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ عَطِيَّةَ، وَيُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، كُلُّهُمْ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ .
The same tradition has been narrated through a different chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪০৮-[৩] ’আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আল্লাহদ্রোহীর (প্রতীমার) নামে ও তোমাদের বাপ-দাদার নামে কসম করো না। (মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَحْلِفُوا بِالطَّوَاغِي وَلَا بِآبَائِكُمْ» . رَوَاهُ مُسلم
ব্যাখ্যা: الطَّوَاغِي অর্থ মূর্তিসমূহ طاغية একবচন। طاغية মূলত সম্মান বা অন্য কিছুর ক্ষেত্রে যখনই সীমানা অতিক্রম করে তাই طغى। যেমন আল্লাহর বাণী: إِنَّا لَمَّا طَغَى الْمَاءُ حَمَلْنَاكُمْ فِي الْجَارِيَةِ ‘‘যখন জ্বলোচ্ছাস হয়েছিল’’- (সূরা আল হা-ককাহ্ ৬৯ : ১১) তথা পানি যখন সীমা অতিক্রম করেছিল। কারও মতে যারা কুফরীর সীমা অতিক্রম করেছে, আবার এটা দ্বারা শায়ত্বনও উদ্দেশ্য। (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৪৮)
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪১২-[৭] ’আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ’আব্দুর রহমান ইবনু সামুরাহ্! নেতৃত্ব প্রত্যাশা করো না। কেননা, আকাঙ্ক্ষার কারণে যদি তুমি নেতৃত্ব পাও, তাহলে তোমাকে তার ওপর ন্যস্ত করা হবে। আর যদি বিনা আকাঙ্ক্ষায় তোমাকে নেতৃত্ব দেয়া হয়, তাহলে সেই নেতৃত্ব পালনকালে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর যখন কোনো কসম কর, অতঃপর তার ব্যতিক্রম করা ভালো বলে মনে কর; তখন তোমার কসমের কাফফারা আদায় করতে হবে এবং সেই উত্তম কাজটি করবে। অন্য এক বর্ণনায় আছে, প্রথমে সেই উত্তম কাজটি কর, অতঃপর তোমার কসমের কাফফারা আদায় কর। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لَا تَسْأَلِ الْإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُوتِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُوتِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَأْتِ الَّذِي هُوَ خير وَكفر عَن يَمِينك»
ব্যাখ্যা: কোনো পদ বা ক্ষমতা যদি আপনা-আপনি এসে যায় সেকালে প্রবৃত্তির লালসা থাকে না। সুতরাং সেক্ষেত্রে আল্লাহর রহমাতের আশা করা যায় কিন্তু তা অর্জন করার চেষ্টা করলে কখনও নিঃস্বার্থ হতে পারে না। কাজেই তাতে আল্লাহর সাহায্য পাবে না।
(وَأْتِ الَّذِىْ هُوَ خَيْرٌ) হিদায়াহ্ প্রণেতা বলেনঃ যে পাপ কাজের কসম খায় যেমন সালাত আদায় করবে না তার পিতার সাথে কথা বলবে না, অবশ্যই সে উমুককে হত্যা করবে তার উচিত হবে কসম ভাঙ্গানো। ইবনু হুমাম বলেনঃ তার ওপর ওয়াজিব হলো কসম ভেঙ্গে কাফফারা আদায় করবে। আর যার ওপর কসম খাওয়া হয় তা কয়েক প্রকার যেমন পাপ কাজ করার জন্য অথবা ফরয কাজ ছেড়ে দেয়া তখন ওয়াজিব হলো কসম ভাঙ্গা। (মিরকাতুল মাফাতীহ)
হাদীসের উপকারিতা বা শিক্ষা নেতৃত্ব চাওয়া ঘৃণিত কাজ, চাই তা ক্ষমতার নেতৃত্ব হোক বা বিচারক হিসেবে হোক। এটি বর্ণনা যে বা যারা নেতৃত্বের লোভ লালসা করে বা চেয়ে নেয় তাতে আল্লাহর সাহায্য থাকে না। (শারহে মুসলিম ১১শ খন্ড, হাঃ ১৬৫২)
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৬৮০-[২০] ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেনঃ নেতৃত্ব বা পদাধিকার প্রত্যাশা করো না। কেননা তোমার চাওয়ার কারণে যদি তা দেয়া হয়, তাহলে তা তোমার ওপর ন্যস্ত করা হবে। আর যদি তা তোমাকে চাওয়া ব্যতীত দেয়া হয়, তবে তুমি এ ব্যাপারে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]
اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَسْأَلِ الْإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عنْ غيرِ مَسْأَلَة أعنت عَلَيْهَا»
ব্যাখ্যা: নেতৃত্ব বা পদ চাওয়া সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা নির্দেশ করেন : ‘‘ইউসুফ (আঃ) বললেন, আমাকে দেশের ধনভাণ্ডারের উপর কর্তৃত্ব প্রদান করুন। আমি বিশ্বস্ত রক্ষক ও সুবিজ্ঞ।’’ (সূরা ইউসুফ ১২ : ৫৫)
হাদীসের উপকারিতা: ১. নেতৃত্বের পদ চেয়ে নেয়া অপছন্দনীয় চাই তা প্রশাসন হোক বা বিচার হোক ইত্যাদি। ২. বর্ণনা করা হয়েছে যে, যে ব্যক্তি নেতৃত্ব চেয়ে নেয় তার নিকটে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য থাকে না। এজন্যই ঐ কাজ তার জন্য যথেষ্ট না। সুতরাং উচিত নেতৃত্ব না চাওয়া। এ সম্পর্কে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা গভর্নর নিযুক্ত করি না, যে অনুসন্ধান করে বা আগ্রহ প্রকাশ করে। (শারহে মুসলিম ১১ খন্ড, হাঃ ১৬৫২-১৯)
হাদীসের সারমর্ম: যে ব্যক্তি নেতৃত্ব চেয়ে নেয়। অতঃপর চাওয়ার কারণে প্রদান করা হয়। তাহলে আল্লাহ তা‘আলার সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হয়। তাঁর আগ্রহের কারণে অবহিত হওয়া যায়, নিশ্চয় নেতৃত্ব চেয়ে নেয়া মাকরূহ বা অপছন্দনীয়। (‘আওনুল মা‘বূদ ৫ম খন্ড, হাঃ ২৯২৭)
কিছু শর্তের সাথে পদ ও নেতৃত্ব চেয়ে নেয়া জায়িয আছে। যেমন কোনো ক্ষমতা নেতৃত্ব ও মর্যাদার লোভ না থাকা, বরং ন্যায় ইনসাফের সাথে সঠিক পদ্ধতিতে হক আদায় করার উদ্দেশ্য থাকা। এটাই উদ্দেশ্য ছিল ইউসুফ (আঃ) এবং খুলাফায়ে রাশিদীনগণের। (ফাতহুল বারী ১৩শ খন্ড, হাঃ ৩৬৮০)
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উসমান (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৭৩-[৫] ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা.) যখন তাবুক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন ’উসমান (রাঃ) নিজ জামার আস্তিনে ভরে এক হাজার দীনার (স্বর্ণমুদ্রা) নিয়ে নবী (সা.) -এর কাছে আসলেন এবং দীনারগুলো রাসূল (সা.) -এর কোলে ঢেলে দিলেন। আমি দেখলাম, নবী (সা.) নিজ কোলের মুদ্রাগুলো উলট-পালট করে বলতে লাগলেন, আজকের পরে ’উসমান-কে কোন ক্ষতি করবে না। তিনি যে আমলই করেন না কেন- এ কথাটি তিনি (সা.) দু’বার বলেছেন। (আহমাদ)।
اَلْفصْلُ الثَّنِ (بَاب مَنَاقِب عُثْمَان)
وَعَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ: جَاءَ عُثْمَانُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِأَلْفِ دِينَارٍ فِي كُمِّهِ حِينَ جَهَّزَ جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَنَثَرَهَا فِي حِجْرِهِ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَلِّبُهَا فِي حِجْرِهِ وَيَقُولُ: «مَا ضَرَّ عُثْمَانَ مَا عَمِلَ بَعْدَ الْيَوْمِ» مرَّتَيْنِ. رَوَاهُ أَحْمد
اسنادہ حسن ، رواہ احمد (5 / 63 ح 20906) [و الترمذی (3701 وقال : حسن غریب) و صححہ الحاکم (3 / 102) و وافقہ الذھبی] ۔
(حسن)
পরিচ্ছেদঃ ২৬৭. যিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের সময় দু’ রাক‘আত সালাত আদায় করবে
১১৯৫। ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় একটি জায়গাতে আমি তীর চালনা শিখছিলাম। এমন সময় সূর্যগ্রহণ হলে আমি তীরগুলো ফেলে দিয়ে বলি, আজ সূর্যগ্রহণের দরুন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য কি ঘটে, তা অবশ্যই স্বচক্ষে দেখবো। আমি তাঁর কাছে গিয়ে দেখলাম, তিনি দু’ হাত উঠিয়ে তাসবীহ, তাহমীদ, কালিমাহ ও দু’আ পাঠেরত আছেন। অবশেষে সূর্য গ্রাসমুক্ত হয়ে গেল। তিনি দু’টি সূরার দ্বারা দু’ রাক’আত সালাত আদায় করলেন।[1]
সহীহ : মুসলিম সংক্ষেপে।
-
সূর্যগ্রহণের সালাত বিষয়ক (১১৭৭-১১৯৫ নং) হাদীসসমূহ হতে শিক্ষাঃ
১। সূর্য গ্রহণের সময় সালাত আদায় করা সুন্নাত।
২। এ সালাত হবে দু’ রাক‘আত। এ দু‘ রাক‘আত সালাতে চারটি রুকূ‘ দিতে হয়। এ সম্পর্কিত হাদীসই সর্বার্ধিক বিশুদ্ধ।
৩। সালাতের ক্বিরাআত হবে দীর্ঘ।
৪। সালাতের শেষে খুত্ববাহ দিতে হয়।
৪। গ্রহণ লাগলে দান-খয়রাত করা, দাস মুক্ত করা, তাকবীর বলা ও দু‘আ করা উত্তম।
৫। এ সালাতের জন্য লোকদেরকে আহবান করা সুন্নাত।
৬। সূর্যগ্রহণ মহান আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ। এর সাথে কারো জন্ম বা মৃত্যুর কোন সম্পর্ক নয়।
باب مَنْ قَالَ يَرْكَعُ رَكْعَتَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ حَيَّانَ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ بَيْنَمَا أَنَا أَتَرَمَّى، بِأَسْهُمٍ فِي حَيَاةِ رَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم إِذْ كُسِفَتِ الشَّمْسُ فَنَبَذْتُهُنَّ وَقُلْتُ لأَنْظُرَنَّ مَا أُحْدِثَ لِرَسُولِ اللهِ صلي الله عليه وسلم فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ الْيَوْمَ فَانْتَهَيْتُ إِلَيْهِ وَهُوَ رَافِعٌ يَدَيْهِ يُسَبِّحُ وَيُحَمِّدُ وَيُهَلِّلُ وَيَدْعُو حَتَّى حُسِرَ عَنِ الشَّمْسِ فَقَرَأَ بِسُورَتَيْنِ وَرَكَعَ رَكْعَتَيْنِ .
- صحيح : م مختصرا
Narrated 'Abd al-Rahman b. Samurah :
During the lifetime of the Messenger of Allah (peace be upon him) I was shooting some arrows when an eclipse of the sun tok place. I, therefore , threw them (the arrows) away and said: I must see how the Messenger of Allah (ﷺ) acts in a solar eclipse today. So I came to him; he was standing (in prayer) raising his hands, glorifying Allah, praising Him, acknowledging that He is the only Deity, and making supplication till the sun was clear. He then recited two surahs and prayed two rak'ahs.
পরিচ্ছেদঃ ২. নেতৃত্ব চাওয়া
২৯২৯। ’আব্দুর রাহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আব্দুর রাহমান ইবনু সামুরাহ! রাষ্ট্রীয় পদ চেয়ে নিবে না। কারণ তোমার চাওয়ার কারণে তোমাকে পদ দেয়া হলে এর দায়-দায়িত্ব তোমার উপরই বর্তাবে (তুমি আল্লাহর সাহায্য পাবে না)। আর চাওয়া ছাড়া তোমাকে নেতৃত্ব পদ দেয়া হলে তুমি দায়িত্ব পালনে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) সাহায্য পাবে।[1]
بَابُ مَا جَاءَ فِي طَلَبِ الْإِمَارَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَمَنْصُورٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، لَا تَسْأَلِ الْإِمَارَةَ، فَإِنَّكَ إِذَا أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ فِيهَا إِلَى نَفْسِكَ، وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا
صحيح
Narrated 'Abd al-Rahman b. Samurah:
The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'Abdul al-Rahman b. Samurah, do not ask for the position of commander, for if you are given it after asking you will be left to discharge it yourself, but if you are given it without asking you will be helped to discharge it.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. অপেক্ষাকৃত উত্তম কাজ হলে কসম ভঙ্গ করা
৩২৭৭। ’আব্দুর রাহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে ’আব্দুর রাহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি কোনো বিষয়ে শপথ করার পর তার বিপরীতে কল্যাণ দেখতে পেলে তুমি কল্যাণকর কাজটি করবে এবং শপথ ভঙ্গের কাফফারা আদায় করবে। আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ইমাম আহমাদ (রহঃ) শপথ ভঙ্গের পূর্বেই কাফফারাহ আদায় জায়িয মনে করেন।[1]
بَابُ الرَّجُلِ يُكَفِّرُ قَبْلَ أَنْ يَحْنَثَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا يُونُسُ، وَمَنْصُورٌ يَعْنِي ابْنَ زَاذَانَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، قَالَ: قَالَ لِي النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ، إِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا، فَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، وَكَفِّرْ يَمِينَكَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: سَمِعْت أَحْمَدَ، يُرَخِّصُ فِيهَا الْكَفَّارَةَ قَبْلَ الْحِنْثِ
صحيح
Narrated 'Abd al-Rahman b. Samurah:
The Prophet (ﷺ) said to me: 'Abd al-Rahman b. Samurah, when you swear an oath and consider something else to be better than it, do the thing that is beter and make atonement for your oath.
Abu Dawud said: I heard Ahmad (b. Hanbal) permitting to make atonement before breaking the oath.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. অপেক্ষাকৃত উত্তম কাজ হলে কসম ভঙ্গ করা
৩২৭৮। ’আব্দুর রাহমান (রাঃ) সূত্রে পূর্বের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে আছেঃ ’’প্রথমে কাফফারাহ দিবে, তারপর কল্যাণকর কাজটি করবে।’’ আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবূ মূসা আল-আশ’আরী, ’আদী ইবনু হাতিম ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে যেসব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার কতগুলোতে রয়েছে, শপথ ভঙ্গের পর কাফফারাহ আদায় করবে, আর কতগুলোতে রয়েছে, শপথ ভঙ্গের আগে কাফফারাহ আদায় করবে।[1]
بَابُ الرَّجُلِ يُكَفِّرُ قَبْلَ أَنْ يَحْنَثَ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ، نَحْوَهُ قَالَ: فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ، ثُمَّ ائْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَحَادِيثُ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ، وَعَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ رُوِيَ عَنْ كُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ فِي بَعْضِ الرِّوَايَةِ الْحِنْثُ قَبْلَ الْكَفَّارَةِ وَفِي بَعْضِ الرِّوَايَةِ الْكَفَّارَةُ قَبْلَ الْحِنْثِ
صحيح
A similar tradition has been transmitted by 'Abd al-Rahman b. Samurah through a different chain if narrators. This version has:
"Make atonement for your oath and then do the thing that is better."
Abu Dawud said: The version of this tradition transmitted by Abu Musa al-Ash'ari, 'Adi b. Hatim and Abu Hurairah are variant. Some of them indicate breaking the oath before making atonement, and other making atonement before breaking the oath.