১২১০

পরিচ্ছেদঃ নাপাক ব্যক্তি গোসলের আগে ঘুমাতে চাইলে কী করবে, সেই সম্পর্কে হাদীস

১২১০. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে এসে বলেন যে, রাতে তিনি নাপাক হয়ে যান, (তখন তিনি কী করবেন?)” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আপনি ওযূ করবেন, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবেন, তারপর তারপর ঘুমিয়ে যাবেন।”[1]

আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “আপনি ওযূ করবেন, লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবেন” এটি এমন নির্দেশ যা পালন করা বাঞ্চনীয়। আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “তারপর তারপর ঘুমিয়ে যাবেন” এটি বৈধতা নির্দেশক নির্দেশ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বক্তব্য “লজ্জাস্থান ধুয়ে নিবেন” এর মাঝে এই দলীল নেই যে, বীর্য নাপাক। কেননা লজ্জাস্থান ধৌত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কারণ এমন খুব কমই হয় যে, কোন মানুষ মানুষ স্ত্রী মিলন করে অথচ তার পুরুষাঙ্গে নাপাক লাগে না। যদি সে এমন অবস্থা থেকে মুক্ত থাকে, তবুও গোসলের আগে সে প্রায় পেশাব করা থেকে মু্ক্ত থাকে না। এসব কারণে লজ্জাস্থানে নাপাক লাগার কারণে তা ধৌত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; এজন্য গোসল করার নির্দেশ দেওয়া হয়নি যে, বীর্য নাপাক। কেননা আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাপড় থেকে বীর্য খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলতেন, তারপর তিনি সেই কাপড়ে সালাত আদায় করতেন।”

ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَعْمَلُ الْجُنُبُ إِذَا أَرَادَ النَّوْمَ قَبْلَ الِاغْتِسَالِ

1210 - أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ الْحُبَابِ حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ: عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّهُ قَالَ: ذَكَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ تُصيبه الْجَنَابَةُ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذكرك ثمَّ نَمْ) الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 1210 | خلاصة حكم المحدث: صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (تَوَضَّأْ وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ) أمرُ نَدْبٍ وَقَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (ثُمَّ نَمْ) أَمَرُ إِبَاحَةٍ وَلَيْسَ فِي قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (وَاغْسِلْ ذَكَرَكَ) دَلِيلٌ عَلَى أَنَّ الْمَنِيَّ نَجِسٌ لِأَنَّ الْأَمْرَ بِغَسْلِ الذِّكْرِ إِنَّمَا أُمِرَ لِأَنَّ الْمَرْءَ قَلَّمَا يَطَأُ إِلَّا وَيُلَاقِي ذَكَرُهُ شَيْئًا نَجِسًا فَإِنْ تَعَرَّى عَنْ هَذَا فَلَا يَكَادُ يَخْلُو مِنَ الْبَوْلِ قَبْلَ الِاغْتِسَالِ فَمِنْ أَجْلِ مُلَاقَاةِ النَّجَاسَةِ لِلذَّكَرِ أُمِرَ بِغَسْلِهِ لَا أَنَّ الْمَنِيَّ نَجِسٌ لِأَنَّ عَائِشَةَ كَانَتْ تَفْرُكُهُ مِنْ ثَوْبِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ يُصَلِّي فِيهِ.