লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তি যখন তার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আমলের উসীলায় দু‘আ করে, তখন তার দু‘আ কবূল হওয়ার আশা করা যায়- এই মর্মে হাদীস
৮৯৪. আব্দুল্লাহ বিন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “একবার তিনজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হয়ে হাঁটছিলেন, অতঃপর তাদেরকে বৃষ্টি পেয়ে বসে, ফলে তারা একটি পাহাড়ের গুহায় প্রবেশ করেন। অতঃপর একটি পাথর পড়ে তাদের গর্ত থেকে বের হওয়ার রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তখন তারা বলেন, “আপনারা আপনাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য আমলের উসিলায় আল্লাহর কাছে দু‘আ করুন।
তখন তাদের এক ব্যক্তি বললেন, “হে আল্লাহ যদি আপনি জানেন যে, নিশ্চয়ই আমার বাবা-মা বৃদ্ধ ছিলেন, আমি একদিন রাতে বাড়িতে আসি, অতঃপর তাদের জন্য দুধ দোহন করি এবং তাদের কাছে এসে দেখি তারা ঘুমিয়ে পড়েছে ফলে আমি তাদেরকে জাগিয়ে তোলাকে অপছন্দ করলাম আর (তাদের আগে) আমার সন্তানদের দুধ পান করানোকেও অপছন্দ করলাম আর সময় আমার সন্তানরা ক্ষুধায় চিৎকার করছিল, তারপর আমি ফজর উদিত হওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকি, অতঃপর তাদেরকে পান করাই! হে আল্লাহ, যদি আপনি জানেন যে, নিশ্চয়ই আমি ঐ কাজটি আপনার রহমত পাওয়ার আশায় এবং আপনার শাস্তির ভয়ে করেছি, তবে আমাদের বিপদ দূর করুন এবং আমাদেরকে আসমান দেখান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তখন একটি ছিদ্র বের হয়, যাতে তারা আসমান দেখতে পান।
আরেকজন বললেন, “হে আল্লাহ, যদি আপনি জানেন যে, আমার এক চাচাতো বোন ছিল, মানুষ নারীদের যেমন ভালবাসে, আমি তাকে অত্যধিক ভালবাসতাম আর আমি তাকে একবার নিজেকে আমার কাছে সোপর্দ করার দাবী করি তখন সে আমাকে বলে, “না, যতক্ষন না তুমি আমাকে একশ স্বর্ণমুদ্রা দিবে (ততক্ষন পর্যন্ত আমি নিজেকে তোমার কাছে সোপর্দ করবো না)। ফলে আমি সে স্বর্ণ মুদ্রা সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করি এবং আমি তা সংগ্রহ করি। অতঃপর আমি তাকে তা দেই। তারপর যখন আমি তার দুই পায়ের মাঝে বসি, তখন সে আমাকে বলে, “আল্লাহর বান্দা, তুমি আল্লাহকে ভয় করো, অন্যায়ভাবে তুমি সতিত্ব নষ্ট করো না।” ফলে আমি তাকে ছেড়ে চলে আসি। হে আল্লাহ, যদি আপনি জানেন যে, নিশ্চয়ই আমি ঐ কাজটি আপনার রহমত পাওয়ার আশায় এবং আপনার শাস্তির ভয়ে করেছি, তবে আমাদের বিপদ দূর করুন এবং আমাদেরকে আসমান দেখান। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “অতঃপর পাথরের একাংশ সরে যায় ফলে তারা আসমান দেখতে পান।
অপরজন বললেন, “হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আমি এক ফারাক (তিন সা‘ অর্থাৎ প্রায় আট কেজি) ধানের বিনিময়ে একজন মজুর নিয়োগ করেছিলাম, যখন রাত হলো আমি তাকে তার মজুরী প্রদান করি, কিন্তু সে তার মজুরী গ্রহণ করেনি এবং সে তাতে অনিহা প্রকাশ করে। ফলে আমি সেই এক ফারাক ধান নিয়ে জমিনে বোপন করি, এভাবে (চাষাবাদ করে করে ফলশ্রুতিতে) সেখান থেকে অনেক মেষ ও গরু হয়ে যায়। এরপর সে লোক আমার কাছে আসে এবং বলে, “হে আল্লাহর বান্দা, আপনি আল্লাহকে ভয় করুন, আর আমার মজুরীর ব্যাপারে আমার প্রতি যুলুম করবেন না।” তখন আমি বলি, “এসব গরু এবং তার রাখালসহ তুমি নিয়ে যাও।” সে বললো, “আল্লাহকে ভয় করুন, আমার সাথে ঠাট্টা করবেন না!” আমি বললাম, “আমি তোমার সাথে ঠাট্টা করছি না। এসব তোমার।” আমি চাইলে তাকে কেবল এক ফারাক ধানই দিতে পারতাম। হে আল্লাহ, যদি আপনি জানেন যে, নিশ্চয়ই আমি ঐ কাজটি আপনার রহমত পাওয়ার আশায় এবং আপনার শাস্তির ভয়ে করেছি, তবে আমাদের বিপদ দূর করুন।” ফলে পাথরটি সরে যায় এবং তারা গুহা থেকে বের হয়ে যায়।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ دُعَاءَ الْمَرْءِ بِأَوْثَقِ عَمَلِهِ قَدْ يُرْجَى لَهُ إِجَابَةُ ذَلِكَ الدعاء
894 - أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ حَدَّثَنِي ابْنُ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: (خَرَجَ ثَلَاثَةٌ يَتَمَاشَوْنَ فَأَصَابَهُمْ مَطَرٌ فَدَخَلُوا كَهْفَ جَبَلٍ فَانْحَطَّ عَلَيْهِمْ حَجَرٌ فَسَدَّ عَلَيْهِمُ الطَّرِيقَ فَقَالُوا: ادْعُوا اللَّهَ بِأَوْثَقِ أَعْمَالِكُمْ فَقَالَ وَاحِدٌ مِنْهُمُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّهُ كَانَ لِي وَالِدَانِ شَيْخَانِ كَبِيرَانِ وَأَنِّي رُحْتُ يَوْمًا فَحَلَبْتُ لَهُمَا فَأَتَيْتُهُمَا وَهُمَا نَائِمَانِ فَكَرِهْتُ أَنْ أُوقِظَهُمَا وَكَرِهْتُ أَنْ أَسْقِيَ وَلَدِي ـ وَصِبْيَتِي عِنْدَ رِجْلَيَّ يَتَضَاغَوْنَ ـ فَقُمْتُ قَائِمًا حَتَّى انْفَجَرَ الصُّبْحُ فَسَقَيْتُهُمَا اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ رَجَاءَ رَحْمَتِكَ وَخَشْيَةَ عَذَابِكَ فَافْرُجْ عَنَّا وَأَرِنَا السَّمَاءَ قَالَ: فَانْفَرَجَ فُرْجَةٌ فَرَأَوَا السَّمَاءَ وَقَالَ الْآخَرُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّهُ كَانَتْ لِي بِنْتُ عَمٍّ وَكُنْتُ أُحِبُّهَا كَأَشَدِّ مَا يُحِبُّ الرِّجَالُ النِّسَاءَ وَأَنِّي سألتها نفسها فقالت: لا حتى تأتيني بمئة دِينَارٍ فَسَعَيْتُ فِيهَا حَتَّى جَمَعْتُهَا فَأَتَيْتُهَا فَلَمَّا قَعَدْتُ بَيْنَ رِجْلَيْهَا قَالَتْ: يَا عَبْدَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تَفُضَّ الْخَاتَمَ إِلَّا بِحَقِّهِ فَتَرَكْتُهَا اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ رَجَاءَ رَحْمَتِكَ وَخَشْيَةَ عَذَابِكَ فَافْرُجْ عَنَّا وَأَرِنَا السَّمَاءَ قَالَ: فَزَالَتْ قِطْعَةٌ مِنَ الْحَجَرِ وَرَأَوَا السَّمَاءَ وَقَالَ الْآخَرُ: اللَّهُمَّ إِنِّي اسْتَعْمَلْتُ أَجِيرًا بفَرَقٍ مِنَ الْأَرُزِّ فَلَمَّا كَانَ اللَّيْلُ أَعْطَيْتُهُ فَلَمْ يَأْخُذْ أَجْرَهُ وتسخَّطَهُ فَأَخَذْتُ الْفَرَقَ فَزَرَعْتُهُ حَتَّى صَارَ مِنْ ذَلِكَ بَقَرًا وَغَنَمًا فَأَتَانِي بَعْدَ ذَلِكَ قَالَ: يَا عَبْدَ اللَّهِ اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تَظْلِمْنِي أَجْرِيَ فَقُلْتُ: خُذْ هَذِهِ الْبَقَرَ وَرَاعِيهَا: فَقَالَ: اتَّقِ اللَّهَ وَلَا تَهْزَأْ بِي قُلْتُ: مَا أَهْزَأُ بِكَ فَهُوَ لَكَ ـ وَلَوْ شِئْتُ لَمْ أُعْطِهِ إِلَّا الفَرَقَ ـ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنِّي فَعَلْتُ ذَلِكَ رَجَاءَ رَحْمَتِكَ وَخَشْيَةَ عَذَابِكَ فَافْرُجْ عَنَّا فَزَالَ الحجر وخرجوا) الراوي : ابْن عُمَرَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 894 | خلاصة حكم المحدث:. صحيح ـ