১০২

পরিচ্ছেদঃ আলিমের জন্য আবশ্যক হলো, তার ইলমের অহঙ্কার পরিত্যাগ করা এবং সকল অবস্থায় আল্লাহর তা’আলার প্রতি মুখাপেক্ষীতা অবলম্বন করা- এ সংক্রান্ত বর্ণনা

১০২. উবাইদুল্লাহ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণনা করেন, তিনি (ইবনু আব্বাস) এবং কায়স ইবনু হিসন আলফাযারী মূসা (আঃ) এর সঙ্গী সম্পর্কে বিতর্কে জড়ালেন। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, সঙ্গীটি খাযির (আঃ) ছিলেন। অতঃপর সেখানে উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) আসলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) তাকে বললেন, হে আবূ তুফায়ল! এদিকে আসুন, আমি এবং আমার এ সাথীর মধ্যে বিতর্ক হয়েছে যে, মূসা (আঃ) এর সঙ্গীর সম্বন্ধে যার নিকট তিনি জানতে চেয়েছিলেন সাক্ষাতে যাওয়ার রাস্তা। আপনি কি তার সম্বন্ধে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে কিছু বলতে শুনেছেন? উবাই ইবনু কা’ব (রাযিঃ) বললেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলদের এক সমাবেশে ছিলেন, এমতাবস্থায় একটা লোক এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানী কোন লোক সম্বন্ধে কি আপনার জানা আছে? মূসা (আঃ) বললেন, না। তখন আল্লাহ মূসা আঃ এর প্রতি ওয়াহী প্রেরণ করলেন, বরং আমার বান্দা খাযির (তোমার তুলনায় অধিক জানেন)।

মূসা (আঃ) খাযির (আঃ) এর সাথে দেখার করার উপায় জানতে চাইলেন। আল্লাহ তা’আলা মাছকে নমুনা হিসেবে চিহ্নিত করলেন এবং আদেশ করা হলো, যখন তুমি মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরবে আর তার দর্শনও পাবে। মূসা (আঃ) আল্লাহর ইচ্ছা মতো চললেন। তারপর তার সঙ্গী গোলামকে বললেন, আমাদের নাস্তা বের করো। তথন খাদিম মূসা আঃ কে বলল, আপনার কি জানা আছে যে, যখন আমরা সাখরাহ্ (পাথরের)  নিকট পৌঁছলাম তখন মাছের কথা ভুলে গিয়েছি; আর শাইতানই আমাদের তা স্মরণ ভুলিয়ে দেয়ার কারণ। মূসা (আঃ) গোলামকে বললেন, এটাই তো আমরা খুঁজছিলাম। সুতরাং দু’জনেই পদাঙ্ক অনুসরণ করে ফিরলেন এবং খাযির (আঃ) কে পেলেন। পরবর্তী ঘটনা আল্লাহ তা’আলা তার গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন।[1]

ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى أَنَّ الْعَالِمَ عَلَيْهِ تَرْكُ التَّصَلُّفِ بِعِلْمِهِ وَلُزُومُ الِافْتِقَارِ إِلَى اللَّهِ جَلَّ وَعَلَا فِي كُلِّ حَالِهِ

أَخْبَرَنَا ابْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا [ص: 211] يُونُسُ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّهُ تَمَارَى هُوَ والحُرُّ بْنُ قَيْسِ بْنِ حِصْنٍ الْفَزَارِيُّ فِي صَاحِبِ مُوسَى فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: هُوَ الْخَضِرُ فَمَرَّ بِهِمَا أُبيُّ بْنُ كَعْبٍ فَدَعَاهُ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقَالَ: يَا أَبَا الطُّفَيْلِ هَلُمَّ إِلَيْنَا فَإِنِّي قَدْ تَمَارَيْتُ أَنَا وَصَاحِبِي هَذَا فِي صَاحِبِ مُوسَى الَّذِي سَأَلَ مُوسَى السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ فَهَلْ سَمِعْتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فِيهِ شَيْئًا؟ فَقَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: (بَيْنَمَا مُوسَى فِي مَلَأٍ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ إِذْ جَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ لَهُ: هَلْ تَعْلَمُ أَحَدًا أَعْلَمَ مِنْكَ؟ فَقَالَ مُوسَى: لَا فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى مُوسَى: بَلْ عَبْدُنَا الْخَضِرُ فَسَأَلَ مُوسَى السَّبِيلَ إِلَى لُقِيِّهِ فَجَعَلَ اللَّهُ لَهُ الْحُوتَ آيَةً وَقِيلَ لَهُ: إِذَا فَقَدْتَ الْحُوتَ فَارْجِعْ فإنك تلقاه فسار موسى ماشاء اللَّهُ أَنْ يَسِيرَ ثُمَّ قَالَ لِفَتَاهُ: آتِنَا غَدَاءَنَا فَقَالَ لِمُوسَى حِينَ سَأَلَهُ الْغَدَاءَ: {أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّي نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهُ إِلَّا الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ} [الكهف: 63] وقال موسى لفتاه: {ذَلِكَ مَا كُنَّا نبغِ فارتدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قصصاً} [الكهف: 64] فَوَجَدَا خَضِراً وَكَانَ مِنْ شَأْنِهِمَا مَا قصَّ الله في كتابه) = [4: 3] [تعليق الشيخ الألباني] صحيح: ق. الحديث: 102 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 210