লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৩০-[৩৫] ইবনু মাসউদ (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: আমার পরে তোমরা আমার সাহাবীদের মধ্য হতে এ দু’জনের- আবূ বকর ও ’উমার-এর অনুকরণ করো। আম্মার-এর চরিত্র অবলম্বন করো এবং ইবনু উম্মু ’আবদ-এর (ইবনু মাস্উদ-এর) নির্দেশ দৃঢ়তার সাথে মেনে চলে। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)
عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: اقْتَدُوا بِاللَّذَيْنِ مِنْ بَعْدِي مِنْ أَصْحَابِي: أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ وَاهْتَدُوا بِهَدْيِ عمّارٍ وَتَمَسَّكُوا بِعَهْدِ ابْنِ أُمِّ عَبْدٍ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ اسنادہ حسن ، رواہ الترمذی (3663)
ব্যাখ্যা: (وَاهْتَدُوا بِهَدْيِ عمّارٍ) অর্থাৎ ‘আম্মার ইবনু ইয়াসীর (রাঃ) (الهَدْى) ‘হা’ বর্ণে যবরসহ এবং ‘দাল’ বর্ণে সুকূন যোগে অর্থ চরিত্র, পদ্ধতি। অর্থাৎ তোমরা তার চরিত্র গ্রহণ কর ও তার পথকে মনোনীত করো। মনে হয় যেন (إقتداء) শব্দটি (إهتداء) থেকে বেশি ব্যাপক। যেহেতু (إقتداء)-এর সাথে (فول) এবং (فعل) তথা কথা ও কর্ম উভয় যুক্ত থাকে। পক্ষান্তরে (إهتداء) শুধু (فعل) (কাজ) এর সাথে যুক্ত। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮১১)
এ বাক্যে আমাদের সর্দার আমীরুল মু'মিনীন আলী (রাঃ)-এর খিলাফত সত্য ও সঠিক হওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু মা'ঊদ (রাঃ)-এর উপনাম হলো ইবনু উম্মু আবদ। তাঁদের যুগ থেকে উদ্দেশ্য হলো তাদের খিলাফতকাল। এ কারণে তার উদ্দেশ্য হলো তাদের খিলাফতকাল। এ কারণে তারা আমাদের নেতা আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফতের সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং তার ওপর এ দলীল পেশ করেন যে, আমরা তাঁকে পিছনে ফেলে রাখতে পারি না। যাকে স্বয়ং রাসূল (সা.) আমাদের দীনের কাজে অর্থাৎ সালাতে অগ্রগামী করেছেন। আমরা কি তাদের দুনিয়ার জন্য পছন্দ করব না? (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৩)