৬২২৫

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২২৫-[৩০] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে এবং যুবায়র ও মিক্বদাদ-কে, অপর এক বর্ণনায় মিকদাদ-এর পরিবর্তে আছে, আবূ মারসাদ-কে পাঠিয়ে বললেন, তোমরা ’রওযাহ্ খাখ’ নামক স্থানে যাও, সেখানে গিয়ে এক উষ্ট্রারোহী মহিলাকে পাবে। তার কাছে একটি পত্র আছে। অতএব তোমরা তার কাছ হতে উক্ত পত্রখানা নিয়ে আসবে। (আলী রাঃ বলেন,) আমরা সকলে খুব দ্রুত ঘোড়া দৌড়িয়ে যাত্রা করলাম। অবশেষে উক্ত রওযাহ নামক স্থানে পৌছে আমরা উষ্ট্রারোহী মহিলাকে পেলাম। অতঃপর আমরা বললাম, ’পত্রটি বের কর’। সে বলল, আমার কাছে কোন পত্র নেই। আমরা বললাম, স্বেচ্ছায় পত্রটি বের করে দাও, নতুবা আমরা তোমাকে উলঙ্গ করে সন্ধান চালাব। শেষ পর্যন্ত সে তার চুলের বেণির ভিতর হতে পত্রখানা বের করে দিল। অতঃপর আমরা তা নিয়ে নবী (সা.) -এর কাছে এসে পৌছলাম। চিঠিখানা খুলতেই দেখা গেল, (উক্ত চিঠিখানা) মক্কার মুশরিকদের কতিপয় লোকেদের প্রতি হাত্বিব ইবনু আবূ বালতা’আহ্-এর তরফ থেকে। এতে তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কিছু সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করছেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত্বিবকে (ডেকে) প্রশ্ন করলেন, হে হাত্বিব! এটা কি ব্যাপার? তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমার বিরুদ্ধে তড়িৎ কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না। প্রকৃত ব্যাপার হলো, আমি হলাম কুরায়শদের মধ্যে একজন বহিরাগত লোক। আমি তাদের বংশের অন্তর্ভুক্ত নই। আর আপনার সাথে যে সকল মুহাজির রয়েছেন, তাঁদের বংশীয় আত্মীয়স্বজন সেখানে (মক্কায়) রয়েছেন, ফলে মক্কার মুশরিকগণ উক্ত আত্মীয়তার প্রেক্ষিতে ঐ সমস্ত মুহাজিরদের ধন-সম্পদ এবং অবশিষ্ট আপনজনদের হিফাযাত করে থাকে। কুরায়শদের মাঝে যখন আমার কোন আত্মীয়-আপনজন নেই, তখন আমি এটাই চেয়েছি যে, মক্কার শত্রু সম্প্রদায়ের প্রতি কিছু ইহসান করি, যাতে তারা আমার প্রতি সন্তুষ্ট হয় এবং তাদের অনিষ্ট হতে আমার আত্মীয়স্বজন নিরাপদে থাকে। আমি এ কাজটি এজন্য করিনি যে, আমি কাফির কিংবা দীন হতে মুরতাদ হয়ে গেছি। আর না ইসলাম গ্রহণ করার পর আমি কুফরীর দিকে আকৃষ্ট থেকে এরূপ করেছি।
তাঁর বক্তব্য শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, হাত্বিব তোমাদের সামনে সত্য কথাই বলেছে। “উমার (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে অনুমতি দিন, আমি এ মুনাফিকের ঘাড় উড়িয়ে দেই। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, নিশ্চয় ইনি একজন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। তুমি প্রকৃত বিষয়টি কি জান? সম্ভবত আল্লাহ তা’আলা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি লক্ষ্য করেই বলেছেন, তোমরা যা ইচ্ছা কর, তোমাদের জন্য জান্নাত অবধারিত।’ অন্য বর্ণনায় আছে, আমি তোমাদেরকে মাফ করে দিলাম। এরপর হাত্বিব ও অন্যান্যদেরকে সতর্ক করার জন্য আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেন- “হে ঈমানদারগণ! আমার ও তোমাদের শত্রুদের (কাফির-মুশরিকদের) সাথে কোন প্রকারের বন্ধুত্ব স্থাপন করো না....."- (সূরা আল মুমতাহিনাহ ৬০ : ১)। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَالزُّبَيْر والمقداد - وَفِي رِوَايَة: أَبَا مَرْثَدٍ بَدَلَ الْمِقْدَادِ - فَقَالَ: «انْطَلِقُوا حَتَّى تَأْتُوا رَوْضَةَ خَاخٍ فَإِنَّ بِهَا ظَعِينَةً مَعَهَا كِتَابٌ فَخُذُوا مِنْهَا» فَانْطَلَقْنَا تَتَعَادَى بِنَا خَيْلُنَا حَتَّى أَتَيْنَا الرَّوْضَة فَإِذا نَحن بِالظَّعِينَةِ قُلْنَا لَهَا: أَخْرِجِي الْكتاب قَالَت: مَا معي كِتَابٍ. فَقُلْنَا لَتُخْرِجِنَّ الْكِتَابَ أَوْ لَتُلْقِيَنَّ الثِّيَابَ فَأَخْرَجَتْهُ مِنْ عِقَاصِهَا فَأَتَيْنَا بِهِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَإِذَا فِيهِ: مِنْ حَاطِبِ بْنِ أَبِي بَلْتَعَةَ إِلَى نَاسٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ مِنْ أَهْلِ مَكَّةَ يُخْبِرُهُمْ بِبَعْضِ أَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا حَاطِبُ مَا هَذَا؟» فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَا تَعْجَلْ عَلَيَّ إِنِّي كُنْتُ امْرَأً مُلْصَقًا فِي قُرَيْشٍ وَلَمْ أَكُنْ مِنْ أَنْفُسِهِمْ وَكَانَ مَنْ مَعَك من الْمُهَاجِرين من لَهُم قَرَابَات يحْمُونَ بهَا أَمْوَالهم وأهليهم بِمَكَّةَ فَأَحْبَبْتُ إِذْ فَاتَنِي ذَلِكَ مِنَ النَّسَبِ فِيهِمْ يَدًا يَحْمُونَ بِهَا قَرَابَتِي وَمَا فَعَلْتُ كفرا وَلَا ارْتِدَادًا عَن ديني وَلَا رضى بِالْكُفْرِ بَعْدَ الْإِسْلَامِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّهُ قَدْ صَدَقَكُمْ» فَقَالَ عُمَرُ: دَعْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا الْمُنَافِقِ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُم فقد وَجَبت لكم الجنةُ « وَفِي رِوَايَة فقد غَفَرْتُ لَكُمْ» فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى [يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّي وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ] . مُتَّفق عَلَيْهِ متفق علیہ ، رواہ البخاری (6259 و الروایۃ الثانیۃ : 4274) و مسلم (161 / 2494)، (6401) ۔ (مُتَّفق عَلَيْهِ)

ব্যাখ্যা: হাদীসে বর্ণিত ব্যক্তি মিক্বদাদ সম্পর্কে মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা বলেন, তিনি হলেন, মিকদাদ ইবনু আমর আল কিনদী। তাকে কিনদী নামের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়েছে এজন্য যে, তার পিতা কিন্দীর সাথে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছিল। তিনি হলেন, প্রথম ইসলাম গ্রহণকারীদের মধ্যে ষষ্ঠ ব্যক্তি। মদিনাহ থেকে তিন মাইল দূরে জারফ নামক স্থানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তারপর মানুষেরা তাকে কাঁধে বহন করে এনে বাক্বী কবরস্থানে দাফন করে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তার থেকে ‘আলী তা তারিক ইবনু শিহাব ছাড়াও আরো অনেকে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদীসে বর্ণিত আরেক ব্যক্তি আবূ মারসাদ সম্পর্কে মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা বলেন, তিনি হলেন, কিনায় ইবনু হুসায়ন। তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার ছেলে মারসাদ একজন বড় মাপের সাহাবী। সাইয়্যিদ জামালুদ্দীন (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তিনি এবং তার ছেলে মারসাদ হামযাহ ইবনু আবদুল মুত্তালিব-এর সাথে মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন। ওয়াকিদী এবং ইবনু ইসহাক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, রাসূলল্লাহ (সা.) তার মাঝে এবং ‘উবাদাহ ইবনু সামিত-এর মাঝে ভাতত্ব বন্ধন তৈরি করে দিয়েছিলেন। মুহাম্মদ বলেন, আবূ মারসাদ বদর, উহুদ, খন্দক যুদ্ধসহ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে সকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ৬৬ বছর বয়সে আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন।
উক্ত হাদীসের এক বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আলী, যুবায়র এবং মিকদাদকে পাঠিয়েছেন। আবার অপর বর্ণনায় পাওয়া যায় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আবূ যুবায়র ও আবূ মারসাদ-কে পাঠিয়েছেন, এখানে উভয় বর্ণনায় বাহ্যিকভাবে বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে।
এ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানে আসল ব্যাপার হলো যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) চারজনকেই পাঠিয়েছেন। শারহুন্ নাবাবী গ্রন্থেও বলা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) উক্ত চারজনকেই সেই কাজে পাঠিয়েছিলেন।
(رَوْضَةَ خَاخٍ) একটি জায়গার নাম যা মদীনার অদূরে মক্কাহ্ ও মদীনার পথে অবস্থিত। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খণ্ড, ৪৮ পৃ., হা. ২৪৯৪)
হাদীসে উল্লেখিত দাসীর নাম হলো সারাহ। সে হলো, ‘ইমরান ইবনু আবূ সায়ফি আল কুরায়শী-এর আযাদকৃত দাসী।
উক্ত চিঠিতে হাত্বিব ইবনু আবূ বালতা'আহ্ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কিছু সংবাদ এবং মদীনার কিছু খবর লিখে পাঠাচ্ছিল। সে সময় জিবরীল (আঃ) এসে রাসূলুল্লাহ (সা.) কে তা জানিয়ে দিলেন। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদেরকে পাঠালেন। হাত্বিব ইবনু আবূ বালতা'আহ্ -এর কথা বলা শেষ হলে রাসূলুল্লাহ (সা.) তা সত্যায়ন করলেন।
তারপর ‘উমার (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে অনুমতি চাইলেন যে, আপনি অনুমতি দেন। আমি এই মুনাফিকের গর্দান উড়িয়ে দেই। এখন প্রশ্ন হলো, তার কথা রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সত্যায়ন করার পরেও কেন ‘উমার তাকে হত্যা করার অনুমতি চাইলেন। এর উত্তর হলো, ‘উমার (রাঃ) ছিলেন দীনের ক্ষেত্রে খুবই কঠোর। আর তিনি ধারণা করেছিলেন যে, যে ব্যক্তিই রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর আদেশের বিপরীত কোন কাজ করবে সেই হত্যার যোগ্য হবে। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে হত্যা করার অনুমতি দেননি। তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে তো বদরের যুদ্ধে শরীক হয়েছে। যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে আল্লাহ তাদের দিকে দয়া ও ক্ষমার বিশেষ দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন। তাদের জন্য জান্নাত অবধারিত হয়েছে।
তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বললেন, তোমরা তোমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো ও উপকারী ‘আমল করে যাও। তা পরিমাণে কম হোক অথবা বেশি হোক। তোমরা যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছ তাদের জন্য জান্নাত অবধারিত হয়েছে।
এখানে একটি প্রশ্ন হলো, যারা বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তারা কি যে কোন অপরাধ করলেই ছাড় পেয়ে যাবে? যেমন এখানে হাত্বিব ইবনু আবূ বালতা'আহ্ ছাড় পেয়ে গেল।
উত্তর হলো না। ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তারা দুনিয়াতে যে কোন অপরাধ করলে তার শাস্তি হবে। যেমন মিথ্যা অপরাধে শরীক থাকার কারণে মিসতাহ-এর ওপর হাদ্দ প্রয়োগ করা হয়েছিল। অথচ সে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এখানে হাত্বিব ইবনু আবূ বালতা'আহ্-কে ছাড় দেয়া হয়নি। বরং তার প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।
উক্ত হাদীস থেকে ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) আরো কিছু বিষয় প্রমাণ করেছেন। তা হলো –

- রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর এটি একটি স্পষ্ট মু'জিযাহ্ যে, তিনি তথ্য পাচারের ঘটনা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে আগেই জানতে পেরেছেন।
- বিশেষ স্বার্থে গোয়েন্দাদের গোপন বিষয় পড়ে প্রকাশ করা বৈধ আছে।
- গোপন বিষয় প্রকাশ করার মাঝে যদি কোন ক্ষতি না থাকে। বরং তাতে কোন কল্যাণ থাকে তাহলে তা প্রকাশ করা ভালো।
- বিচারকের অনুমতি ছাড়া কোন অপরাধীকে শাস্তি দেয়া যাবে না।
- গোপন তথ্য পাচার করা হলো কবীরাহ গুনাহ। কিন্তু সেজন্য কেউ কাফির হয়ে যায় না। কেউ এ জাতীয় কাজ করলে তাকে কি শাস্তি দেয়া হবে তা নিয়ে ইমামদের মাঝে মতানৈক্য আছে। ইমাম শাফিঈ-এর মতে, মুসলিম গোয়েন্দাকে শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু তাকে হত্যা করা বৈধ হবে না। মালিকিদের মতে তাকে তাওবাহ্ করতে বলা হবে। যদি সে তাওবাহ্ না করে তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। কেউ কেউ বলেন, তাওবাহ্ করলেও তাকে হত্যা করা হবে। ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, বিচারক চিন্তা-ভাবনা করে রায় দিবেন। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খণ্ড, ৪৮-৪৯ পৃ., হা, ২৪৯৪, মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা বিফা'আহ্ সম্পর্কে বলেন, তিনি হলেন, রিফা'আহ্ ইবনু রাফি। তার কুনিয়াত হলো আবূ মু'আয, যুরকী আল আনসারী, তিনি বদর উহুদসহ সকল যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর সাথে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ‘আলী (রাঃ)-এর সাথে থেকে উষ্ট্রের যুদ্ধে ও সিফীনের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মু'আবিয়ার রাজত্বকালের প্রথম দিকেই মৃত্যুবরণ করেন। তার থেকে তার সন্তানেরা ‘উবায়দ, মু'আয এবং তার ভাইয়ের ছেলে ইয়াহইয়া ইবনু খল্লাদ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
জিবরীল (আঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে জিজ্ঞেস করলেন যে, আপনারা বদরী সাহাবীদের কিভাবে মূল্যায়ন করেন? তখন তিনি উত্তরে বললেন, তাঁরা হলো শ্রেষ্ঠ মুসলিম। তারপর জিবরীল (আঃ) বললেন, আমাদের মধ্য হতে যেসব মালাক (ফেরেশতা) বদরে অংশগ্রহণ করেছেন তারাও অন্যসব মালায়িকার (ফেরেশতাদের) চেয়ে উত্তম। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)