লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) -এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৩১-[১৩] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর কাছে উপস্থিত হলে তিনি তাঁকে (লক্ষ্য করে) বললেন, আপনি জাহান্নামের আগুন হতে আল্লাহর ’আতীক (আযাদপ্রাপ্ত)। সেদিন হতে তিনি আতীক উপাধিতে প্রসিদ্ধ হন। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب مَنَاقِب أبي بكر)
وَعَنْ عَائِشَةَ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ دَخَلَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَنْت عتيقُ اللَّهِ من النَّار» . فَيَوْمئِذٍ سمي عتيقا. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ صحیح ، رواہ الترمذی (3679 وقال : غریب) * اسحاق بن یحیی بن طلحۃ ضعیف و للحدیث شاھد عند ابن الاعرابی فی المعجم (409) و سندہ صحیح فالحدیث صحیح
ব্যাখ্যা: (فَيَوْمئِذٍ سمي عتيقا) ইমাম ইবনুল জাওযী (রহিমাহুল্লাহ) তালক্বিহ নামক গ্রন্থে আবূ বাকর (রাঃ)-কে ‘আতীক উপাধি দেয়ার ব্যাপারে তিনটি উক্তি উল্লেখ করেছেন,
১) নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জাহান্নাম হতে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দেখতে চায় সে যেন আবূ বাকর (রাঃ) -কে দেখে।
২) মূসা ইবনু তলহাহ বলেন, ‘আতীক নামটি তার মা রেখেছিলেন। ৩) রায়সি ইবনু সা'দ বলেন, তার সুন্দর চেহারার জন্য এ নাম রাখা হয়।
ইবনু কুতায়বাহ্ (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, নবী (সা.) তাকে এ উপাধি দেন তার সুন্দর চেহারার জন্য। লেখক বলেন, প্রথম উক্তিটিই গ্রহণযোগ্য। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৬৮৮)।
«أَنْت عتيقُ اللَّهِ من النَّار» . فَيَوْمئِذٍ سمي عتيقا. ইমাম রাগিব (রহিমাহুল্লাহ) বলেন: 'আতীক হলো যে ব্যক্তি সময় স্থান অথবা উঁচু স্তরের দিক হতে অগ্রগামী। এ জন্যই পুরাতন ও মূল্যবান কিছুকে ‘আতীক বলা হয় এবং যারা দাসত্ব হতে মুক্ত হয় তাদেরকেও ‘আতীক বলা হয়।
বায়তুল্লাহ বা কা'বাহ ঘরক ‘আতীক বলা হয় তার সম্মানের জন্য অথবা প্রাচীনতম হওয়ার দিক থেকে অথবা উঁচু স্থানে হওয়ার দিক থেকে, কেননা তাকে তুফানে তলিয়ে যাওয়া হতে মুক্ত রাখা হয়েছে এবং অত্যাচারী শাসকের হস্তক্ষেপ হতে রক্ষা করা হয়েছে।
(فَيَوْمئِذٍ سمي عتيقا) ঐ দিন হতে আবূ বাকর -এর উপাধি দেয়া হয় ‘আতীক।
লেখক বলেন, তার নাম হলো ‘আবদুল্লাহ ইবনু উসমান আবূ কুহাফা সপ্তম পূর্বপুরুষ গিয়ে নবীর বংশের সাথে মিলেছে। তিনি ইসলাম গ্রহণকারী সর্বপ্রথম পুরুষ। তিনি শুভ্র ছিলেন, হালকা পাতলা গঠনের, উজ্জ্বল চেহারার ডাবা চক্ষু বিশিষ্ট গালদ্বয় ক্ষীণকায়।
জন্ম: তিনি ফীলের ঘটনার দুই বছর চার মাস পর বা কিছুদিন বাকী থাকতে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যু: তিনি তের হিজরী জুমাদাল আখেরা মাসের আটদিন অবশিষ্ট থাকতে মঙ্গলবার রাতে মাগরিব ও ‘ইশার মধ্যবর্তী সময়ে ৬৩ বছর বয়সে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি তার স্ত্রী আসমা বিনতু ‘উমায়স-কে গোসলের জন্য ওয়াসিয়্যাত করেন। উমার ইবনুল খত্তাব (রাঃ) তার জানাযার সালাত আদায় করান। তার খিলাফতকাল ছিল দুই বছর চার মাস ১০দিন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।