লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৫. দাদার (মীরাস) সম্পর্কে ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বক্তব্য
২৯৬৫. আবী ইসহাক থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমাদের এক সম্ভ্রান্ত মহিলার মীরাছ সম্পর্কে (জিজ্ঞাসা করার জন্য) শুরাইহ’র নিকট প্রবেশ করলাম, যে তার স্বামী, মা, এক বৈমাত্রেয় ভাই ও তার দাদা রেখে মৃত্যু বরণ করেছেন। তখন তার নিকট আমীর, ইবরাহীম ও আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুল্লাহ বসে ছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, তার কোন বোন আছে কি? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, স্বামী পাবে অর্ধেক এবং মাতা পাবে এক তৃতীয়াংশ।
তখন আমি বারবার চেষ্টা করলাম যাতে তিনি আমাকে (অন্য কোনো) জবাব দেন। কিন্তু তিনি এছাড়া অন্য কোনো জবাবই দিলেন না (বারবার একই জবাব দিলেন)।
আমীর, ইবরাহীম ও আব্দুর রহমান ইবনু আব্দুল্লাহ বললেন: আপনি ফারাইয বিষয়ে যে মাস’আলাটি নিয়ে এসেছেন, এর চেয়ে কোনো কঠিন মাস’আলা আর কেউ কখনো নিয়ে আসেনি।
এরপর আমি উবাইদাহ আস সালমানী’র নিকট এলাম। আর তার সম্পর্কে বলা হতো যে, ’কুফায় উবাইদাহ ও হারিস আল আওয়ার এর চেয়ে ফারাইয বিষয়ে অধিক জ্ঞানী আর কেউ নাই।’ আর উবাইদাহ তখন মসজিদে বসে ছিলেন। আর শুরাইহ’র নিকট ফারাইযের এমন কোনো মাস’আলা আসতো, যাতে দাদা’ (অংশ) বিদ্যমান থাকতো, তিনি তা উবাইদাহ’র নিকট পাঠিয়ে দিতেন, আর তিনি অংশ ভাগ করে দিতেন। (রাবী বলেন), আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, যদি তোমরা চাও তবে আমি তোমাদেরকে এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ফায়সালা জানিয়ে দিতে পারি (তা হলো): তিনি স্বামীর জন্য অর্ধাংশ তথা তিন ভাগ নির্ধারণ করতেন, বাকী সম্পদের এক তৃতীয়াংশ দিতেন যা মুল সম্পদের এক ষষ্ঠাংশ হতো; আর ভাইয়ের এক ভাগ এবং দাদার এক ভাগ।[1] আবূ ইসহাক বলেন, দাদা হলেন পিতার পিতা।
باب قَوْلِ ابْنِ مَسْعُودٍ فِي الْجَدِّ
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ دَخَلْتُ عَلَى شُرَيْحٍ وَعِنْدَهُ عَامِرٌ وَإِبْرَاهِيمُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ فِي فَرِيضَةِ امْرَأَةٍ مِنَّا الْعَالِيَةِ تَرَكَتْ زَوْجَهَا وَأُمَّهَا وَأَخَاهَا لِأَبِيهَا وَجَدَّهَا فَقَالَ لِي هَلْ مِنْ أُخْتٍ قُلْتُ لَا قَالَ هَلْ مِنْ أُخْتٍ قُلْتُ لَا قَالَ لِلْبَعْلِ الشَّطْرُ وَلِلْأُمِّ الثُّلُثُ قَالَ فَجَهِدْتُ عَلَى أَنْ يُجِيبَنِي فَلَمْ يُجِبْنِي إِلَّا بِذَلِكَ فَقَالَ إِبْرَاهِيمُ وَعَامِرٌ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ مَا جَاءَ أَحَدٌ بِفَرِيضَةٍ أَعْضَلَ مِنْ فَرِيضَةٍ جِئْتَ بِهَا قَالَ فَأَتَيْتُ عَبِيدَةَ السَّلْمَانِيَّ وَكَانَ يُقَالُ لَيْسَ بِالْكُوفَةِ أَحَدٌ أَعْلَمَ بِفَرِيضَةٍ مِنْ عَبِيدَةَ وَالْحَارِثِ الْأَعْوَرِ وَكَانَ عَبِيدَةُ يَجْلِسُ فِي الْمَسْجِدِ فَإِذَا وَرَدَتْ عَلَى شُرَيْحٍ فَرِيضَةٌ فِيهَا جَدٌّ رَفَعَهُمْ إِلَى عَبِيدَةَ فَفَرَضَ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ إِنْ شِئْتُمْ نَبَّأْتُكُمْ بِفَرِيضَةِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ فِي هَذَا جَعَلَ لِلزَّوْجِ ثَلَاثَةَ أَسْهُمٍ النِّصْفَ وَلِلْأُمِّ ثُلُثُ مَا بَقِيَ السُّدُسُ مِنْ رَأْسِ الْمَالِ وَلِلْأَخِ سَهْمٌ وَلِلْجَدِّ سَهْمٌ قَالَ أَبُو إِسْحَقَ الْجَدُّ أَبُو الْأَبِ