কোন ভুল থাকলে সেটি রিপোর্ট করার জন্য অনুগ্রহ করে লগইন করুন।
লগইন করুন
লগইন করুন
২৫৯৬
পরিচ্ছেদঃ ২৪. আরইয়া পদ্ধতি (তে বেচাকেনা) সম্পর্কে
২৫৯৬. আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যায়েদ ইবনে সাবিতের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেনাবেচার ’আরিয়া’ পদ্ধতির অধীনে শুকনো খেজুরের সাথে তাজা খেজুরের বিনিময় করার অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু অন্য কিছুর ক্ষেত্রে এই অনুমতি দেননি।[1]
[1] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: বুখারী, বুয়ূ ২১৮৮; মুসলিম, বুয়ূ ১৫৩৯।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫০০১, ৫০০৪, ৫০০৫, ৫০০৯ তে। আরও দেখুন, বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার নং ১১২৬৪, ১১২৬৫, ১১২৬৬।
আরিইয়া: ইবনুল আসীর তার নিহায়াহ ৩/২২৪ এ বলেন: যে জন্য মুযানাবাহ থেকে তিনি নিষেধ করলেন- তা হলো গাছের মাথায় থাকা তাজা খেজুর শুকনো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করা- আর মুযানাবা’র মধ্যে আরিয়া পদ্ধতিকে তিনি অনুমতি দিলেন। আর তা হলো- যার খেজুর গাছ নেই, খেজুরের প্রয়োজন রয়েছে; আবার পরিবার পরিজনের জন্য শুকনো খেুজর কেনার মতো কোনো মুদ্রা বা অর্থও তার হাতে নেই; আবার তার এমন কোনো খেজুর বাগান নেই যা থেকে তাদের খেতে দিতে পারে; তবে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত শুকনো খেজুর রয়েছে। এমতাবস্থায় সে খেজুরের বাগানের মালিকের নিকট এসে বললো: আনুমানিক এত পরিমাণ শুকনো খেজুরের বিনিময়ে আমার নিকট তোমার একটি কিংবা দু’টি খেজুর গাছ বিক্রি করো। তখন তার অতিরিক্ত খেজুর এ দুটি খেজুর গাছের বদলে প্রদান করা যাতে লোকদের সাথে সেও তাজা খেজুর পেতে পারে। এ পদ্ধতির অনুমতি দেয়া হয়েছে যদি তার পরিমাণ পাঁচ ওয়াসাক এর বেশি না হয়।”
(( ‘তা হল তাজা ফল অনুমানে বিক্রি করা, যাতে (ক্রেতা) তাজা খেজুর খাওয়ার সুযোগ লাভ করতে পারে। রাবী সুফইয়ান (রহ.) আর একবার এভাবে বর্ণনা করেছেন, অবশ্য তিনি [আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আরিয়্যা এর ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন যে, ফলের মালিক অনুমানে তাজা খেজুর বিক্রয় করে, যাতে তারা (ক্রেতাগণ) তাজা খেজুর খেতে পারে।’- বুখারী, হা/২১৯১ হতে।
ইমাম) মালিক (রহ.) বলেন, আরায়্যা এর অর্থ- কোন একজন কর্তৃক কাউকে খেজুর গাছ (তার ফল খাওয়ার জন্য) দান করা। পরে ঐ ব্যক্তির বাগানে প্রবেশের কারণে সে বিরক্তি বোধ করে, ফলে তাকে অনুমতি দেয়া হয় যে, সে শুকনো ফলের বিনিময়ে গাছগুলো (এর ফল) ঐ ব্যক্তির নিকট হতে ক্রয় করে নিবে। মুহাম্মাদ ইবনু ইদরীস [ইমাম শাফিঈ (রহ.)] বলেন, শুকনো খেজুর এর বিক্রি নগদ নগদ এবং মাপের মাধ্যমে হবে, অনুমান করে হবে না। (ইমাম বুখারী (রহ.) বলেন, ইমাম শাফিঈ (রহ.) এর মতের সমর্থন পাওয়া যায় সাহাল ইবনু আবূ হাসমা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর এ কথা থেকে ‘‘সুনির্দিষ্ট মাপের মাধ্যমে’’। নাফি‘ (রহ.)-এর সূত্রে ইবনু ‘উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, মালিক কর্তৃক তার বাগান হতে একটি বা দুটি খেজুর গাছ দান করাকে আরাইয়া বলা হয়। সুফিয়ান ইবনু হুসাইন (রহ.) ইয়াযীদ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন যে, আরাইয়া হলো কিছু সংখ্যক খেজুর গাছ গরীব মিসকীনদের দান করা হত, কিন্তু তারা খেজুর পাকা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারত না বিধায় তাদের অনুমতি দেয়া হতো যে, তারা যে পরিমাণ খেজুরের ইচ্ছা, তা বিক্রি করে দিবে।
মূসা ইবনু ‘উকবা (রহ.) বলেন, আরাইয়া বলা হয়, বাগানে এসে কতগুলো নির্দিষ্ট গাছের খেজুর (শুকনা খেজুরের বদলে) ক্রয় করে নেয়া।– বুখারী, বাব: আরিয়্যা’র ব্যাখ্যা’সহ হা/২১৯২।– অনুবাদক))
باب فِي الْعَرَايَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَالِمٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ قَالَ رَخَّصَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي بَيْعِ الْعَرَايَا بِالتَّمْرِ وَالرُّطَبِ وَلَمْ يُرَخِّصْ فِي غَيْرِ ذَلِكَ