৮১০

পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)

৮১০(৪৮). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... হামনা বিনতে জাহ্‌শ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি গুরুতরভাবে অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হলাম। অতএব আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করতে এবং ব্যাপারটা তাকে জানাতে আসলাম। আমি আমার বোন যয়নব বিনতে জাহশের ঘরে তাঁর সাক্ষাত পেলাম। তিনি বলেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি গুরুতরভাবে অত্যধিক পরিমাণে রক্তক্ষরণে আক্রান্ত হয়েছি। এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? তা আমাকে রোযা-নামাযে বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহার করার উপদেশ দিচ্ছি। তা রক্ত শোষণ করবে। তিনি (হামনা) বলেন, এটা তদপেক্ষা বেশী। তিনি বলেনঃ তাহলে তুমি (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বলেন, এটা তদপেক্ষা বেশী। তিনি বলেন : তাহলে তুমি কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। তিনি বললেন, এটা আরো অধিক গুরুতর, পানির প্রবাহের ন্যায় আমার রক্তক্ষরণ হয়।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ আমি তোমাকে দুইটি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি, এর মধ্যে যে কোন একটি তুমি অনুসরণ করবে তা তোমার জন্য অপরটির বদলে যথেষ্ট হবে। আর তুমি যদি উভয়টিই অবলম্বন করতে সক্ষম হও তবে সেক্ষেত্রে তুমিই অধিক জ্ঞাত। তিনি তাকে বলেন, এটা শয়তানের আঘাতসমূহের মধ্যকার একটি আঘাত ছাড়া কিছু নয়।

(এক) তুমি হায়েযের সময়সীমা ছয় দিন অথবা সাত দিন ধরবে, প্রকৃত ব্যাপার আল্লাহর জ্ঞানে রয়েছে। অতঃপর তুমি গোসল করবে, তুমি যখন মনে করবে যে, তুমি পাক হয়েছ তখন (মাসের অবশিষ্ট) চব্বিশ দিন অথবা তেইশ দিন নামায পড়বে এবং রোযা রাখবে। এটা তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। তুমি প্রতি মাসে এরূপ করবে, যেভাবে অন্য মেয়েরা তাদের হায়েয চলাকালে এবং তোহরের (পবিত্রতার) সময়ে নিজেদের হায়েযের মেয়াদ এবং তোহরের (পবিত্রতার) মেয়াদ গণনা করে থাকে।

(দুই) যদি তুমি যুহরের নামায বিলম্ব করতে এবং আসরের নামায এগিয়ে আনতে সক্ষম হও, তাহলে পবিত্রতা অর্জনের জন্য গোসল করে যুহর ও আসরের নামায একত্রে পড়ে নাও। এভাবে মাগরিবের নামায বিলম্ব করতে এবং এশার নামায এগিয়ে আনতে সক্ষম হলে এবং গোসল করে উভয় নামায একত্রে পড়তে পারলে তাই করবে। তুমি যদি ফজরের নামাযের জন্যও গোসল করতে সক্ষম হও তবে তাই করবে এবং রোযাও রাখবে, যদি রোযা রাখতে সক্ষম হও। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দু’টি বিকল্প নির্দেশের মধ্যে শেষোক্তটিই আমার কাছে অধিক পছন্দনীয়।

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ أَبِي الرَّبِيعِ الْجُرْجَانِيُّ ، ثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ ، ثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ عَمِّهِ عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ ، عَنْ أُمِّهِ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ : كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً شَدِيدَةً كَثِيرَةً ، فَجِئْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَسْتَفْتِيهِ فَأُخْبِرُهُ ، فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ ، قَالَتْ : فَقُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً ، فَمَا تَرَى فِيهَا ؟ فَقَدْ مَنَعَتْنِي الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ ؟ . قَالَ : " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ ، فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ؟ . قَالَ : " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ؟ . قَالَ : " اتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ : هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ ، إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا ؟ . فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ ، أَيَّهُمَا فَعَلْتِ فَقَدْ أَجْزَأَ عَنْكِ مِنَ الْآخَرِ ، فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " قَالَ لَهَا " إِنَّمَا هَذِهِ رَكْضَةٌ مِنْ رَكَضَاتِ الشَّيْطَانِ ، فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي ، حَتَّى إِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَيْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً ، أَوْ ثَلَاثًا وَعِشْرِينَ وَأَيَّامَهَا ، وَصُومِي ، فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِيكِ ، وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي كُلَّ شَهْرٍ ، كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ ، وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ ، فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ، وَتَغْتَسِلِينَ حَتَّى تَطْهُرِي ، ثُمَّ تُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ، ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ، ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ ، فَافْعَلِي ، وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الْفَجْرِ ، فَصَلِّي وَصُومِي ، إَنْ قَدَرْتِ عَلَى ذَلِكَ " . قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " وَهَذَا أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ