৫০৮৩

পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব

৫০৮৩-[১৬] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি যখন যেভাবে থাকবে, আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করবে। মন্দ কাজ হয়ে গেলে সাথে সাথেই ভালো কাজ করবে। কারণ ভালো কাজ মন্দকে মুছে ফেলে। আর মানুষের সাথে সদাচরণ করবে। (আহমাদ, তিরমিযী ও দারিমী)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اتَّقِ اللَّهَ حَيْثُمَا كُنْتَ وَأَتْبِعِ السَّيِّئَةَ الْحَسَنَةَ تَمْحُهَا وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ والدارمي

ব্যাখ্যাঃ (اتَّقِ اللهَ) অর্থাৎ যাবতীয় ওয়াজিব কাজ (আল্লাহ যা করার নির্দেশ দিয়েছেন তা) পালন করা এবং যাবতীয় নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকাকে তাকওয়া বলা হয়। কেননা তাকওয়া হলো দীনের মূল ভিত্তি। আর এরই দ্বারা বিশ্বাসের স্তর উন্নীত হয়।

(حَيْثُ مَا كُنْتَ) অর্থাৎ তুমি নির্জনে থাক বা নি‘আমাতের মাঝে থাক অথবা বিপদাপদে থাক সর্বদা তাকওয়া অবলম্বন করবে। কেননা মহান আল্লাহ তোমার গোপন বিষয় সম্পর্কে অবহিত যেরূপ তোমার প্রকাশ্য বিষয় তিনি অবহিত। সুতরাং তার আদেশ ও যে সব কাজ তাকে সন্তুষ্ট করে তা সংরক্ষণ করা তোমার একান্ত দায়িত্ব। পাশাপাশি তার রাগের ও অসন্তুষ্টির বিষয় হতেও বিরত থাকা কর্তব্য।

মহান আল্লাহ বলেনঃ وَاتَّقُوا اللهَ الَّذِىْ تَسَاءَلُونَ بِه وَالْأَرْحَامَ إِنَّ اللهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا

‘‘তোমরা সেই আল্লাহকে ভয় করো যার নামে তোমরা পরস্পর পরস্পরের কাছে চাও ও আত্মীয়তার বন্ধন গড়ে তোলো, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন।’’ (সূরাহ্ আন্ নিসা ৪ : ১)

(أَتْبِعِ السَّيِّئَةَ) অর্থাৎ তোমার থেকে সগীরাহ্ গুনাহ হয়ে যায়, অনুরূপভাবে কাবীরাহ্ গুনাহও। ‘আম বা সাধারণভাবে এটা বুঝা যায়। আর এ মতটি সাধারণ কতিপয় ‘উলামা বলেছেন। তবে জামহূর ‘উলামার মত হলো, কেবলমাত্র সগীরাহ্ বা ছোট গুনাহগুলো ক্ষমা হয়ে যাবে।

(الْحَسَنَةَ) হাদীসে হাসানাহ্ বলতে সালাত, সাদাকা অথবা ইস্তিগফার ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।

(وَخَالِقِ النَّاسَ بِخُلُقٍ حَسَنٍ) এখানে خُلُقْ শব্দটি المخالقة মাসদার থেকে আমর এর সীগাহ। اسم فاعل নয়। যার অর্থ হলো মানুষের সাথে মিলিত হও বা তাদের সাথে সদাচরণ কর। আর (خُلُقٍ حَسَنٍ) হলো সহাস্যমুখে মানুষের সাথে মিলিত হওয়া। লজ্জার ক্ষেত্রে লজ্জাশীলতা প্রদর্শন করা। দানক্ষেত্রে দান করা ও দুঃখ-কষ্ট সহ্য করা। কারণ এ সকল কাজ যে করে সে দুনিয়াতে সফলতা লাভ করতে পারে এবং পরকালে মুক্তি লাভ করে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯৮৭)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ