পরিচ্ছেদঃ ১৯. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নম্রতা, লজ্জাশীলতা ও উত্তম স্বভাব
৫০৮২-[১৫] ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, মু’মিনগণ তাদের উত্তম চরিত্র দ্বারা রাতে ’ইবাদাতকারীর ও দিনে সায়িমের (রোযাদারের) মর্যাদা লাভ করে থাকবে। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ
عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ الْمُؤْمِنَ لَيُدْرِكُ بِحُسْنِ خُلُقِهِ دَرَجَةَ قَائِمِ اللَّيْل وصائم النَّهَار» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ دَرَجَةَ الصَّائِمِ الْقَائِمِ অর্থাৎ আনুগত্যের সাথে রাতে তাহাজ্জুদের সালাত আদায়কারীর মতো মর্যাদা দেয়া হবে। এই মর্যাদা কেবল উত্তম চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিকে দেয়া হবে। কারণ সিয়াম পালনকারী ব্যক্তি ও মুসল্লী ব্যক্তি তাহাজ্জুদের সালাত আদায়কালে উভয়ে নিজের নাফসের সাথে সংগ্রাম করে উভয়ের অংশের ক্ষেত্রে। আর যে ব্যক্তি বিভিন্ন স্বভাব চরিত্রের বিপরীতে মানুষের সাথে উত্তম চরিত্রের কারণে সদাচরণ করে, সে ব্যক্তিও পরোক্ষভাবে বহু আত্মার সাথে সংগ্রাম করে। তাই সে ব্যক্তির মর্যাদা সিয়াম পালনকারীর ও রাতে তাহাজ্জুদ আদায়কারীর সমান; কখনো তাদের চেয়েও বেশি। (‘আওনুল মা‘বূদ ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৭৯০)