লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ৯. প্রথম অনুচ্ছেদ - বক্তৃতা ও কবিতা আবৃত্তি
৪৭৮৩-[১] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, দু’জন লোক পূর্বদিক থেকে এসে (বিশুদ্ধ ও সুচারুরূপে) বক্তৃতা উপস্থাপন করল। লোকেরা তাদের বক্তৃতা শুনে মুগ্ধ হয়ে গেল। তখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ নিশ্চয় কোন কোন বক্তৃতা যাদুকরী হয়। (বুখারী)[1]
بَابُ الْبَيَانِ وَالشِّعْرِ
عَن ابْن عمر قَالَ: قَدِمَ رَجُلَانِ مِنَ الْمَشْرِقِ فَخَطَبَا فَعَجِبَ النَّاسُ لِبَيَانِهِمَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
ব্যাখ্যাঃ (رَجُلَانِ) দু’জন বক্তির নামা হলো যিবরিকান ইবনু বাদ্র এবং ‘আমর ইবনু আহতাম। তারা উভয়ে তামীম গোত্রের ছিলেন। নবম হিজরীতে বানী তামীম প্রতিনিধি দলের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে মদীনাতে আগমন করেছিলেন।
(الْمَشْرِقِ) বানী তামীম গোত্রের বসবাস ছিল ইরাকের দিকে। আর ইরাক মদীনার পূর্বে অবস্থিত। তাই বলা হয়েছে পূর্ব দিক থেকে আগমন করেন। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৭৬৭)
(إِنَّ مِنَ الْبَيَانِ لَسِحْرًا) ‘‘নিশ্চয় বক্তব্যে যাদু আছে’’ এটা বলার উদ্দেশ্য নিয়ে মুহাদ্দিসগণ মতানৈক্য করেছেন। ‘শারহুস্ সুন্নাহ্’ গ্রন্থকার বলেনঃ কতিপয় মুহাদ্দিস মনে করেন, এটা নিন্দা করে বলা হয়েছে। কেননা বক্তব্যে বানোয়াট, মনগড়া কথা কিছু বক্তা এমনভাবে উপস্থাপন করে যে মানুষ তা বিশ্বাস করে ফেলে। তাছাড়া যাদু বৈধ কোন বিষয় নয়। সাধারণত নিন্দার জন্যই অবৈধ বিষয়ের সাথে তুলনা করা হয়, কেউ কেউ মনে করেন, এ বক্তব্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য উৎসাহ দেয়া হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
উভয়ের মাঝে সমন্বয়, সত্য বিষয়কে সুন্দরভাবে উপস্থাপন প্রশংসনীয় আর বাতিল বিষয়কে বক্তব্যে আকর্ষণীয় করে বর্ণনা করা নিন্দনীয়। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৭৬৭)
(البيان বিশুদ্ধ ও সুন্দর শব্দ দ্বারা মনের ভাব প্রকাশকে البيان বলে। الشعر অন্তর্মিলযুক্ত কথা যাতে সূক্ষ্ম জ্ঞান নিহিত থাকে তাকে الشعر বলে।)