লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮৪৫-[৫৮] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন জনৈক ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! কোনো লোক যদি আল্লাহর পথে জিহাদে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করে এবং দুনিয়ার ধন-সম্পদ (গনীমাত) প্রাপ্তির লোভও রাখে (তবে তার কি কোনো সাওয়াব মিলবে)? তদুত্তরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তার কোনো সাওয়াব নেই। (আবূ দাঊদ)[1]
اَلْفَصْلُ الثَّانِىْ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلًا قَالَ: يَا رسولَ الله رجلٌ يُرِيدُ الْجِهَادَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَهُوَ يَبْتَغِي عَرَضاً من عرَضِ الدُّنْيَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا أجر لَهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যা: আলোচ্য হাদীসটিতেও পার্থিব ভোগ্য সামগ্রী বা সুনাম সুখ্যাতি অর্জনের উদ্দেশে জিহাদে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তির পরকালীন প্রতিদান নষ্ট হয়ে যাওয়ার সতর্কবাণী তুলে ধরা হয়েছে।
হাদীসের উক্তি (مِنْ عَرَضِ الدُّنْيَا) অর্থাৎ- সে দুনিয়ার সম্পদ থেকে পারিশ্রমিক বা বিনিময়ের আশা করে, অথবা পার্থিব সুনাম-সুখ্যাতি অর্জনের মাধ্যমে সমাজে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এ উদ্দেশে জিহাদ করলে সে কোনো পরকালীন প্রতিদান পাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণী: لَا أَجْرَ لَه তথা ‘‘তার জন্য কোনো প্রতিদান নেই’’ এ বাক্যের উদ্দেশ্য হলো, সে যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যুদ্ধ না করে তাহলে পরকালে তার জন্য কোনো পুরস্কার বা প্রতিদান নেই। আর যদি কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে যুদ্ধ করে এবং গনীমাত লাভেরও আশা করে, তাহলে সে নিঃসন্দেহে এর প্রতিদান পরকালে পাবে। তবে যে ব্যক্তি গনীমাতের আশা না করে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে যুদ্ধ করবে তার তুলনায় ঐ ব্যক্তির প্রতিদান বা সাওয়াব কম হবে। মহান আল্লাহ বলেনঃ অর্থাৎ- ‘‘তোমাদের মধ্যে কেউ দুনিয়া কামনা করে (গনীমাতের আশা করে) এবং কেউ শুধু পরকাল কামনা করে’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ১৫২)। (মিরকাতুল মাফাতীহ)