লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ ১৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - জরায়ু মুক্তকরণ বা পবিত্রকরণ
৩৩৪১-[৫] ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে বাঁদীর সাথে সহবাস করা হয় ঐ বাঁদী দান, বিক্রয় অথবা মুক্ত করা হলে এক ঋতুস্রাব দ্বারা তার ’ইসতিবরা’ (জরায়ুমুক্ত বা পবিত্রকরণ) করতে হবে। তবে কুমারী জরায়ুমুক্ত কিনা, তা নিস্প্রয়োজন। (উপরোক্ত হাদীস দু’টি রযীন বর্ণনা করেন)[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّهُ قَالَ: إِذَا وُهِبَتْ الْوَلِيدَةُ الَّتِي تُوطَأُ أَوْ بِيعَتْ أَوْ أُعْتِقَتْ فَلْتَسْتَبْرِئْ رَحِمَهَا بِحَيْضَةٍ وَلَا تُسْتَبْرَئُ الْعَذْرَاءُ. رَوَاهُمَا رزين
ব্যাখ্যা: (وَلَا تُسْتَبْرَئُ الْعَذْرَاءُ) কুমারী মেয়ে ইসতিবরা করবে না অর্থাৎ দাসী কুমারী হলে ইসতিবরা বা গর্ভাশয়ের পবিত্রতা দেখার জন্য অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। আমরা দেখছি যে, এটি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-এর মত। ইমাম নববীর বরাত দিয়ে মিরকাতুল মাফাতীহে লিখেন, ‘‘নববী বলেনঃ ইসতিব্রার কারণ হলো কারো মালিকানা অর্জিত হওয়া। অতএব যে ব্যক্তি কোনো দাসীর মালিক হলো, মীরাস, উপঢৌকন অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে; তবে দাসীর জন্য ইসতিবরা করা জরুরী। চাই মালিকানার পরিবর্তন এমন ব্যক্তির নিকট থেকে হোক যার বীর্য এই দাসীর গর্ভে থাকার সম্ভাবনা আছে বা নাই, যেমন কোনো বাচ্চা বা নারী এই দাসীর মালিক ছিল এবং চাই দাসী ছোট হোক বা বৃদ্ধা হোক, চাই কুমারী হোক বা কুমারী না হোক, চাই বিক্রেতা বিক্রির পূর্বেই ইসতিবরা করে নিক বা না নিক।’’ (মিরকাতুল মাফাতীহ)
ইমাম নববীর কথা গ্রহণযোগ্য। কেননা একটা মেয়ে কুমারী কিনা তা গোপন বিষয়। গোপন বিষয়ের উপর শারী‘আতের বাহ্যিক হুকুম লাগানো হয় না। যেমন কোনো মেয়ে বিয়ে হওয়ার পরও প্রকৃতভাবে কুমারী থাকতে পারে, তবুও তাকে ‘ইদ্দত পালন করতে হয়। কেননা গোপন বিষয়ের উপর শারী‘আতের বাহ্যিক আহকাম নির্ভর করে না। তাই যে কোনো দাসীর জন্য তার ইসতিব্রার বিধি মোতাবেক ইসতিবরা করা জরুরী।