৩২১৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - ওয়ালীমাহ্ (বৌভাত)

৩২১৮-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঐ ওয়ালীমার খাদ্য নিকৃষ্ট খাদ্য, যে আয়োজনে শুধু ধনীদের দা’ওয়াত করা হয় এবং গরীবদের বঞ্চিত করা হয়। আর যে (বিনা কারণে) দা’ওয়াত প্রত্যাহার করে, সে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিরুদ্ধাচরণ করল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَلِيْمَةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ يُدْعَى لَهَا الْأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْفُقَرَاءُ وَمَنْ تَرَكَ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى الله وَرَسُوله»

ব্যাখ্যা: এখানে মন্দ খাদ্য বলতে ঐ অনুষ্ঠানের খাদ্য যাতে শুধু ধনীদের দা‘ওয়াত করা হয় গরীবদের পরিহার করা হয়, যেমন মানুষের মধ্যে মন্দ মানুষ সেই যে নিজে একাই খায় অন্যকে খাদ্যে অংশ দেয় না বা শরীক রাখে না।

কাযী ‘ইয়ায বলেনঃ খাদ্যকে মন্দ বলে অভিহিত করা হয়েছে এর কারণ পরের বাক্যে উল্লেখ হয়েছে, আর তা হলো গরীবকে বর্জন করা। মূলতঃ কোনো খাদ্য মন্দ নয় বরং খাদ্যের অবস্থার কারণে তাকে মন্দ বলা হয়েছে মাত্র। সুতরাং কোনো ব্যক্তিকে যদি এমন ওয়ালীমাহ্ দা‘ওয়াত করা হয় আর ওয়ালীমার দা‘ওয়াত গ্রহণের নির্দেশসূচক হাদীসের ভিত্তিতে সে দা‘ওয়াত গ্রহণ করে এবং খাদ্যে অংশগ্রহণ করে তবে সে মন্দ বা নিকৃষ্ট খাদ্য খেলো এমনটি নয়।

কেউ যদি বিনা ওযরে দা‘ওয়াত বর্জন করে সে আল্লাহ ও তার রসূলের নাফরমানী করল। আল্লাহর নাফরমানী এজন্য যে, সে ব্যক্তি হাদীস বর্জন করে রসূলের নাফরমানী করল, রসূলের নাফরমানী মানেই আল্লাহর নাফরমানী। দা‘ওয়াত গ্রহণ যারা ওয়াজিব বলেন তারা এই যুক্তিতেই বলে থাকেন। কিন্তু জুমহূর ‘উলামায়ে কিরাম দা‘ওয়াত গ্রহণকে বড় জোর তাকীদযুক্ত মুস্তাহাব বলে মনে করেন। (ফাতহুল বারী ৯ম খন্ড, হাঃ ৫১৭৭; শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৩২; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ