৩২১৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. প্রথম অনুচ্ছেদ - ওয়ালীমাহ্ (বৌভাত)

৩২১৭-[৮] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কাউকেও খাবার আয়োজনে দা’ওয়াত দিলে, সে যেন গ্রহণ করে। তবে ইচ্ছা থাকলে খাবে, অন্যথায় খাবে না। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْوَلِيْمَةِ

وَعَنْ جَابِرٍ: قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى طَعَام فليجب وَإِن شَاءَ طَعِمَ وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعن جابر: قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا دعي احدكم الى طعام فليجب وان شاء طعم وان شاء ترك» . رواه مسلم

ব্যাখ্যা: ওয়ালীমাহ্ অথবা ‘আক্বীকাহ্ ইত্যাদি খাবার অনুষ্ঠানের দা‘ওয়াত গ্রহণ করা উচিত এবং সেখানে উপস্থিত হওয়াও উচিত। ইবনুল মালিক (রহঃ) বলেন, এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ ঘোষিত হয়েছে, আর নির্দেশসূচক বাণী ওয়াজীবের অর্থ প্রদান করে, যদি সঙ্গত কোনো ওযর না থাকো। অবশ্য যার দূর-দূর্গম কষ্টকর পথপরিক্রমার ওযর রয়েছে তার ওপর থেকে রহিত হয়ে যাবে।

জুমহূর ‘উলামার মতে এ নির্দেশসূচক বাণী মুস্তাহাব অর্থে ব্যবহার হবে।

দা‘ওয়াত কবুল করার পর খাওয়ার বিষয়টিও তার ইচ্ছা, ইচ্ছা করলে সে খেতে পারে ইচ্ছা করলে তা পরিহারও করতে পারে। হাদীসটি আবূ দাঊদও বর্ণনা করেছেন। এছাড়া আবূ দাঊদ, আহমাদ, মুসলিম, তিরমিযী প্রমুখ আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে নিমেণর বাক্য আরেকটি হাদীস বর্ণনা করেছেন :

‘‘তোমাদের কাউকেও যখন কোনো খাদ্যের জন্য দা‘ওয়াত দেয়া হয় সে যেন তা কবুল করে নেয়, যদি সে সায়িম (রোযাদার) না হয় তবে যেন সে খায় আর যদি সায়িম হয় তবে তাদের সাথে যেন (অনুষ্ঠানে) সঙ্গ দেয়।

ত্ববারানী-এর বর্ণনায় ‘‘সে যেন তাদের সাথে সঙ্গ দেয়’’ এর পরিবর্তে ‘‘সে যেন তাদের বারাকাতের জন্য দু‘আ করে’’ বাক্য এসেছে। আবার মুসলিম, আবূ দাঊদ, তিরমিযী ইত্যাদি গ্রন্থে এসেছে ‘‘সায়িম (রোযাদার) হলে সে যেন বলে আমি সায়িম’’। (শারহে মুসলিম ৯/১০ম খন্ড, হাঃ ১৪৩০; মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)