লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ লোকের বাহ্যিক অবস্থা ও কার্যকলাপের ভিত্তিতে বিধান প্রয়োগ করা হবে এবং তাদের আভ্যন্তরিক অবস্থা আল্লাহকে সঁপে দেওয়া হবে
(৩৫৯২) জুনদুব ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিম মুজাহিদীনের একটি দল এক মুশরিক সম্প্রদায়ের দিকে পাঠালেন। তাদের পরস্পরের মধ্যে মুকাবেলা হল। মুশরিকদের মধ্যে একটি লোক ছিল সে যখন কোন মুসলিমকে হত্যা করার ইচ্ছা করত, তখন সুযোগ পেয়ে তাঁকে হত্যা ক’রে দিত। (এ অবস্থা দেখে) একজন মুসলিম (তাকে খুন করার জন্য) তার অমনোযোগিতার সুযোগ গ্রহণ করলেন। আমরা পরস্পরের মধ্যে বলাবলি করছিলাম যে, উনি হলেন উসামা ইবনে যায়দ। (অতঃপর যখন সুযোগ পেয়ে) উসামা তরবারি উত্তোলন করলেন, তখন সে বলল, ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’। কিন্তু তিনি তাকে হত্যা করে দিলেন। অতঃপর (মুসলিমদের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সংবাদ নিয়ে) সুসংবাদবাহী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এল। তিনি তাকে (যুদ্ধের ব্যাপারে) জিজ্ঞাসা করলেন। সে তাঁকে (সমস্ত) সংবাদ দিল। এমনকি শেষ পর্যন্ত সে ঐ ব্যক্তিরও খবর অবহিত করল।
তিনি উসামাকে ডেকে জিজ্ঞাসা ক’রে বললেন, ’তুমি কেন তাকে হত্যা করেছ?’ উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! সে মুসলিমদেরকে খুবই কষ্ট দিয়েছে এবং অমুক অমুককে হত্যাও করেছে।’ উসামা কিছু লোকের নামও নিলেন। ’(এ দেখে) আমি তার উপর হামলা করলাম। অতঃপর সে যখন তরবারি দেখল, তখন বলল, ’’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তুমি তাকে হত্যা ক’রে দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কী করবে? উসামা বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আপনি আমার জন্য (আল্লাহর কাছে) ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’ তিনি বললেন, ’’কিয়ামতের দিন যখন ’লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কি করবে? (তিনি বারংবার এ কথা বলতে থাকলেন এবং) এর চেয়ে বেশী কিছু বললেন না, কিয়ামতের দিন যখন ’লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ আসবে, তখন তুমি কি করবে?
وَعَن جُنْدُبِ بْنِ عَبْدِ اللهِ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ بَعَثَ بَعْثًا مِنَ المُسْلِميْنَ إِلَى قَوْمٍ مِنَ الْمُشرِكيْنَ وَأَنَّهُمْ التَّقَوْا فَكَانَ رَجُلٌ مِنَ المُشْركينَ إِذَا شَاءَ أنْ يَقْصِدَ إِلَى رَجُل مِنَ المُسْلِمينَ قَصَدَ لَهُ فَقَتَلَهُ وَأنَّ رَجُلاً مِنَ المُسْلِمِينَ قَصَدَ غَفْلَتَهُ وَكُنَّا نَتَحَدَّثُ أنَّهُ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ فَلَمَّا رَفَعَ عَلَيهِ السَّيفَ قَالَ : لا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ فَقَتَلهُ فَجَاءَ البَشيرُ إِلٰـى رَسُوْلِ اللهِ ﷺ فَسَألَهُ وَأخبَرَهُ حَتّٰـى أخْبَرَهُ خَبَرَ الرَّجُلِ كَيْفَ صَنَعَ فَدَعَاهُ فَسَألَهُ فَقَالَ لِمَ قَتَلْتَهُ ؟ فَقَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أوْجَعَ في المُسلِمِينَ وَقَتَلَ فُلاَناً وَفُلاَناً وَسَمَّى لَهُ نَفَراً وَإنِّي حَمَلْتُ عَلَيهِ فَلَمَّا رَأى السَّيفَ قَالَ : لاَ إِلٰهَ إلاَّ اللهُ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أقَتَلْتَهُ ؟ قَالَ : نَعَمْ قَالَ فَكَيفَ تَصْنَعُ بلَا إِلٰهَ إلاَّ اللهُ، إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ قَالَ : يَا رَسُوْلَ اللهِ اسْتَغْفِرْ لِي قَالَ وكَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءَتْ يَوْمَ القِيَامَةِ ؟ فَجَعَلَ لاَ يَزِيدُ عَلَى أنْ يَقُولَ كَيفَ تَصْنَعُ بِلاَ إِلٰهَ إلاَّ الله إِذَا جَاءتْ يَوْمَ القِيَامَةِ رواه مسلم