৩৩০৪

পরিচ্ছেদঃ মেহমানের খাতির করার গুরুত্ব

(৩৩০৪) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, ’আমি বড়ই ক্ষুধার্ত।’ তিনি তাঁর কোন এক স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালে তিনি বললেন, ’যে সত্তা আপনাকে সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাঁর শপথ! আমার কাছে পানি ছাড়া কিছুই নেই।’ তিনি অন্য এক স্ত্রীর কাছে লোক পাঠালে তিনিও একই কথা বললেন। এইভাবে সকল স্ত্রী এই কথাই বললেন যে, ’সেই সত্তার শপথ! যিনি আপনাকে সত্য দ্বীনসহ প্রেরণ করেছেন, আমার নিকট পানি ছাড়া অন্য কিছুই নেই।’ তখন তিনি বললেন, আজ রাতে লোকটির মেহমানদারী কে করবে? আল্লাহ তার প্রতি রহম করবেন। এক আনসারী ব্যক্তি উঠে বলল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আমি (এর মেহমানদারী করব)।’ অতঃপর সে লোকটিকে নিয়ে স্বীয় বাড়ীর দিকে রওনা দিল এবং তার স্ত্রীকে বলল, ’তোমার কাছে কিছু আছে কি?’ সে বলল, ’না। কেবল বাচ্চাদের জন্য সামান্য কিছু খাবার আছে।’

সাহাবী বললেন, ’তাদের (বাচ্চাদের) কিছু দিয়ে ভুলিয়ে রাখ।’ (অপর এক বর্ণনায় এসেছে যে, ’বাচ্চাদের ভুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দাও।) আর যখন মেহমান প্রবেশ করবে, তখন তুমি আলোটা কমিয়ে দেবে। তুমি তাকে দেখাবে যে, আমরাও আহার করছি। তারপর সে যখন খাওয়ার শুরু করবে, তখন তুমি আলোর কাছে গিয়ে সেটাকে একেবারে নিভিয়ে দেবে।’ বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তাঁরা বসেই রইলেন, আর মেহমান খেতে লাগল। সকাল বেলা তিনি (আনসারী) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলে তিনি বললেন, আজ রাতে মেহমানের সাথে তোমাদের দু’জনের আচরণে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তিনি এই আয়াত নাযিল করেছেন, ’নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও তারা (অন্যদেরকে) নিজেদের উপর প্রাধান্য দেয়। আর যাদেরকে নিজ আত্মার কার্পণ্য হতে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ ﷺ فَبَعَثَ إِلَى نِسَائِهِ فَقُلْنَ مَا مَعَنَا إِلَّا الْمَاءُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ يَضُمُّ أَوْ يُضِيفُ هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ مِنْ الْأَنْصَارِ أَنَا فَانْطَلَقَ بِهِ إِلَى امْرَأَتِهِ فَقَالَ أَكْرِمِي ضَيْفَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَتْ مَا عِنْدَنَا إِلَّا قُوتُ صِبْيَانِي فَقَالَ هَيِّئِي طَعَامَكِ وَأَصْبِحِي سِرَاجَكِ وَنَوِّمِي صِبْيَانَكِ إِذَا أَرَادُوا عَشَاءً فَهَيَّأَتْ طَعَامَهَا وَأَصْبَحَتْ سِرَاجَهَا وَنَوَّمَتْ صِبْيَانَهَا ثُمَّ قَامَتْ كَأَنَّهَا تُصْلِحُ سِرَاجَهَا فَأَطْفَأَتْهُ فَجَعَلَا يُرِيَانِهِ أَنَّهُمَا يَأْكُلَانِ فَبَاتَا طَاوِيَيْنِ فَلَمَّا أَصْبَحَ غَدَا إِلَى رَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ ضَحِكَ اللهُ اللَّيْلَةَ أَوْ عَجِبَ مِنْ فَعَالِكُمَا فَأَنْزَلَ اللهُ وَيُؤْثِرُونَ عَلَى أَنْفُسِهِمْ وَلَوْ كَانَ بِهِمْ خَصَاصَةٌ وَمَنْ يُوقَ شُحَّ نَفْسِهِ فَأُولَئِكَ هُمْ الْمُفْلِحُونَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ